অনেকেই মনে করেন যে, হ্যাকার হতে অনেক জটিল জটিল ডিভাইস লাগে, অনেক পাওয়ারফুল কম্পিউটার ও নেট কানেকশন লাগে, অনেক টাকা পয়সা ব্যয় করতে হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলো আসলে সবই অনুমান মাত্র, যার সবটাই সত্য নয়। তবে হ্যাঁ, একজন প্রফেশনাল মানের হ্যাকার হতে প্রচুর পরিশ্রমের পাশাপাশি প্রচুর বিষয় শিখতে হয় এটা সত্য। কিন্তু যেহেতু প্রফেশনাল মানের হ্যাকার হবো না, কাজেই আমাদের এতো কিছুর প্রয়োজন হবে না।

অনেকেই মনে করেন, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যতীত হ্যাকিং প্র্যাকটিস করা যায় না। কিন্তু এই ধারণাটাও পুরোপুরি ঠিক নয়। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেও হ্যাকিং প্র্যাকটিস করা যায়। কম্পিউটারের মাধ্যমে বড় পরিসরে প্র্যাকটিস করা যায়, আর ফোনের মাধ্যমে ছোট পরিসরে। অর্থাৎ বাথটবে সাঁতার শেখা আর পুকুরে সাঁতার শেখার মতো ব্যাপার আর কি।

তবে, হ্যাকিং শেখার জন্য মূলত তিনটি জিনিস অবশ্য প্রয়োজনীয়। (১) ধৈর্য, (২) যথেষ্ট পরিমাণ প্র্যাকটিস ও (৩) ল্যাপটপ বা কম্পিউটার বা নূন্যতম ৪ গিগাবাইট র‍্যামের স্মার্ট ফোন। যথেষ্ট পরিমাণ ধৈর্য যদি আপনার না থাকে, তবে এখান থেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিন, ,কারণ হ্যাকিং প্র্যাকটিস আপনার জন্য নয়।

এরপর আসুন ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে। আমরা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে সাধারণত উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু হ্যাকিং এর জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম মোটেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে না। অনেকেই অনেক ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে, যেমন লিনাক্স, রেড হ্যাট, উবুন্টু, প্যারোট ইত্যাদি। আমি এখানে কালি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে হ্যাকিং প্র্যাকটিস দেখাবো এবং যাদের বাসায় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ কম্পিউটার নেই, তাদের জন্য স্মার্ট ফোনেও প্র্যাকটিস দেখাবো।

আমরা যেহেতু আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে দৈনন্দিন কাজের সুবিধার্থে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকি, সেহেতু সেখানে কালি লিনাক্স ইন্সটল করার চেয়ে উত্তম কাজ হল, আমরা এক্সট্রা একটা পোর্টেবল এস.এস.ডি হার্ডডিস্ক কিনে নিয়ে, সেখানে কালি লিনাক্সের লাইভ ভার্সন সেটাপ করবো। এতে আমরা প্রয়োজন মতো যেমন উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে পারবো, অন্যদিকে সুবিধা মতো লিনাক্স ব্যবহার করে হ্যাকিং প্র্যাকটিস করতে পারবো।

তাহলে শুরু করা যাক … 

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x