নদীয়া জেলার খাজুরি গ্রাম ভাঙা হাড় জুড়ে দেওয়ার দৈব চিকিৎসার জন্য বিখ্যাত। কৃষ্ণনগর থেকে বাসে ৩৫ মিনিটের পথ। বাসস্টপ ঘাটেশ্বর। এখানে নেমে হাঁটা পথে মিনিট দশেক এগুলেই খাজুরি। প্রতি মঙ্গল-শুক্কুরেই কাক-ভোর থেকে হাড়-ভাঙা রোগীরা এসে ভিড় জমান। দূরের রোগীরা আগের দিন রাত্রিবাসও করেন। অলৌকিক চিকিৎসকদের বারান্দায় ।

আজকাল পত্রিকার হয়ে খাজুরি যাই ১৯৯৪-এ। তখন খাজুরি গ্রামে ৬ জন ভাঙা হাড় জুড়ে দেওয়ার অলৌকিক চিকিৎসক বা দৈব চিকিৎসকের বাস। এঁরা হলেন খয়ব্বর হালসনা, কাসেৎ মণ্ডল, শেখ এস্তার, আকবর শেখ, জান আলি শেখ ও দিদার শেখ। খয়ব্বর ছাড়া বাকি পাঁচ জনের দাবি, এঁরা মন্ত্র পেয়েছেন আল্লার কাছ থেকে। খয়ব্বর মন্ত্র পেয়েছেন বাবার কাছ থেকে।

বাবা মন্ত্র পেয়েছিলেন ঠাকুরদার কাছ থেকে। আল্লা স্বপ্নে মন্ত্র দিয়েছিলেন ঠাকুরদাকে। খয়ব্বারের ঠাকুরদাহ এই গ্রামের হাড় জোড়ার দৈব চিকিৎসক।

খয়বার গ্রামের সবচেয়ে নামী ও দামী চিকিৎসক। বয়স পঞ্চান্ন। নিরক্ষর। স্বাস্থ্যবান, চালাক-চতুর। হাড় জোড়ার কাজ করে নিজের জমানায় দোতলা বাড়ি, চাষের জমি, পুকুর, মাছ চাষ, মটোর সাইকেল—সবই করেছেন। পাঁচ মেয়ের ধূমধাম করে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলের একজন জমি-জমা দেখাশুনা করেন। অন্যজন দৈব চিকিৎসায় বাবাকে সাহায্য করেন। রোগী দেখার সময় সকাল ছ’টা থেকে নটা তিরিশ। ফি ৬০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। হাড় ভাঙার রকম ফের অনুসারে। খয়ব্বর অবশ্য গ্রামের আর পাঁচ দৈব চিকিৎসককে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘আল্লার কাছ থেকে মন্তর পাওয়া অতই সোজা নাকি? আসলে আল্লার দয়ায় আমাদের পরিবারের রমরমা দেখে রোজগারের ধান্ধায় ওরা সব গপ্পো ফেঁদেছে। ওদের নিয়ে আমি আর বেশি মুখ খুলতে চাই না ৷ ”

খয়ব্বরের মতামত শুনে আর পাঁচজন দৈব-চিকিৎসক ক্ষোভে ফেটে পড়েছে, ‘আল্লা ওর ঠাকুরদা আর ওর কেনা গেলাম নাকি? আল্লা ওর ঠাকুরদাকে দৈব ওষুধ বাতলাতে পারলে আমাদের বাতলাতে অসুবিধে কোথায়? এরকম মনভরা হিংসে নিয়ে কখনও আল্লার কৃপা পাওয়া যায়? ফল তো ফলছে হাতে হাতে। ও কত হাড় ভাঙা রোগীর বারোটা বাজিয়েছে জানেন? ভীষণ লোভী। গরিব রোগীদেরও জোঁকের মতো শুষতে ওর বিবেকে বাধে না।’

অন্য পাঁচ দৈব চিকিৎসক অবশ্য খয়ব্বরের তুলনায় খুবই সস্তায় চিকিৎসা করে। এঁদের ফি ৬০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে কম নেন আকবর শেখ। ২১ টাকা থেকে ৯০ টাকা। তবে সকলেরই রোগী দেখার দিন মঙ্গল-শুক্কুর। রোগী দেখার সময় সকাল। অন্যান্য দিন বাড়িতে বা চেম্বারে রোগী দেখেন না বটে, তবে ‘কল’ পেলে রোগী দেখতে যান।

কী ভাবে হাড় জোড়া লাগে? এ-বিষয়ে খয়ব্বর থেকে আকবর সকলেরই এক সুর, ‘আল্লা জোড়েন, আল্লাই জানেন। আমি কে? আল্লা করাচ্ছেন, আমি করছি।’

দৈব চিকিৎসা পদ্ধতিটি বিচিত্র। রোগীকে আনতে হয় ২০০ গ্রাম চাল বা ২০০ গ্রাম চালের ভাত, দশ হাত লম্বা শাড়ির পাড় ও এক শিশি তিসির তেল। যাঁরা দূরের যাত্রী, তাঁরা চাল আনেন। ভোরের আলো ফোটার আগেই ভাত ফুটিয়ে নেন। অলৌকিক চিকিৎসক বিড় বিড় করে মন্ত্র পড়তে পড়তে প্রয়োজনে আন্দাজমতো হাড় সেট করে ভাঙা জায়গাটা লতা দিয়ে জড়িয়ে বেঁধে দেন। নির্দিষ্ট কোনও লতা এঁরা ব্যবহার করেন না। খেতের আশে-পাশে ঝাড়ে-জঙ্গলে গজিয়ে ওঠা যে কোনও লতাই ডাল পাতা বাদ দিয়ে কাজে লাগান। লতার বাঁধনের উপর ভাত চট্‌কে তৈরি মণ্ড চাপানো হয়। তারপর শাড়ির পাড় জড়িয়ে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। বাঁধা শেষ হতে তিনবার ফুঁ দিয়ে ঘড়ি দেখে সময়টা জানিয়ে দেওয়া হয় রোগী বা তার সঙ্গী অথবা সঙ্গিনীকে ঘড়ি ধরে ২৪ ঘণ্টা পরে ওই সময়ই ব্যান্ডেজ খোলা শুরু করতে হবে। ২৪ ঘণ্টাতেই হাড় জুড়ে যায়—দাবি ছয় অলৌকিক চিকিৎসকেরই। তিসির তেলও মন্ত্র পড়ে দেন। পেঁয়াজের রস, থানকুনি পাতার রস ও নুন মন্ত্র-পড়া তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তিন বেলা মালিশ চালাতে হবে ১ মাস থেকে ৩ মাস পর্যন্ত। জোড়ালাগা ভাঙা অঙ্গ আগের মতই সুস্থ সবল হয়ে উঠবে।

যে-দিন গিয়েছিলাম সেদিন ছিল নদীয়া বনধ। রোগীর ভিড় তাই তেমন জমেনি। তাও খয়ব্বরের বাড়ির বারান্দায় কাল রাত কাটিয়েছেন জনা কুড়ি নারী পুরুষ। সকালে হেঁটে ও সাইকেলে আরও জনা কুড়ি লোক এসেছেন। চাকদার গোরাচাদতলার বাসিন্দা যশোদাবালা, চাকদার ছাতিমতলার মীরা মণ্ডল, পাথুরিয়া গ্রামের রামজন শেখ, তারকনগর গ্রামের চিন্তামণি ভৌমিক, বানপুরের বিজন সরকার – এঁদের প্রত্যেকের কথাতেই বেরিয়ে এলো অলৌকিক চিকিৎসার প্রতি অখণ্ড বিশ্বাস—হাড় জুড়বেই। হাড় না হয় জুড়বে; কিন্তু তা ভাঙা হাড়, না জোড়া হাড়? সেখানেই একটা বিরাট প্রশ্ন। কারণ এঁদের প্রায় কেউই এক্স-রে করেননি। অতএব নিশ্চিত নন—মচকেছে, কি ভেঙেছে। মচকালে, এমনকি হাড়ে, সামান্য চিড় ধরলে আধুনিক চিকিৎকরা ক্রেপ ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখতে উপদেশ দেন দিন কয়েকের জন্য। তাতেই কাজ হয়। দৈব চিকিৎসকের চিকিৎসায় ওইটুকু কাজই হতে পারে মাত্র। পাথরদহের আসান আলি মণ্ডল ১০ বছরের ছেলে সাকিবলকে নিয়ে এসেছেন। তিনিই শুধু এক্স-রে করিয়েছেন। এক্স-রে ছবি দেখার প্রয়োজন হয় না, সাকিবুলের হাত ভেঙেছে। প্লাস্টার করলে দু-তিন মাসের ধাক্কা। ২৪ ঘণ্টাতেই ভাঙা হাড় জোড়ার হদিস জানার পর কে যাবে ফালতু ডাক্তারদের কাছে? তা এখানে হয় তো খরচটা একটু বেশি পড়লো। বারোশ দিতে হচ্ছে।

মহেন্দ্র সাহা, ক্ষয়া চেহারার তিরিশের যুবক। থাকেন কৃষ্ণনগরে। ওঁর বাড়ি গিয়ে দেখা করলাম। হাত ভেঙেছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এক্স-রে করান। হাড় ভেঙেছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি খয়ব্বরের কাছে হাত বাঁধান। ব্যথা ও ফোলা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। ৫ মার্চ আবার এক্স-রে করান। দেখা যায় আল্লার কাছ থেকে পাওয়া দৈব ওষুধ কোনও কাজেই আসেনি। বরং অ-কাজ করেছে। কৃষ্ণনগর হাসপাতালে গিয়ে ৯ মার্চ হাতে প্লাস্টার করিয়ে আসেন। হাড় সেট করেন ডাঃ অরুণজিৎ দত্তরায়। পরে প্রয়োজনে অপারেশন করতে হবে। এ-সবই দৈব চিকিৎসকের ক্যারিশমার ফল। কোনও চিকিৎসকের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীনতার বিরুদ্ধে ক্রেতাসুরক্ষা আইনের সাহায্য নেওয়া যেত। এই অলৌকিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধেও আইনি সাহায্য নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে মুশকিল একটাই, এই আইনটা [The Drugs and Magic Remedies (Objectionable Advertisement) Act, 1954] কৃষ্ণনগর থানার যেমন জানা নেই, তেমনই জানা নেই কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের তা-বড় কর্তাদের। আর একটা মুশকিল আমাদের দেশের নিপীড়িত, শোষিত, প্রতারিত মানুষদের মানসিকতা নিয়ে। এরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেয়ে ভাগ্যের দোহাই দিয়ে অন্যায়ের সঙ্গে সহাবস্থানকে বেশি কাম্য মনে করে।

এখানকার দৈব চিকিৎসক ও মহেন্দ্র সাহার খবর দিয়েছিলেন যুক্তিবাদী সমিতির কৃষ্ণনগর শাখার ঔঙ্কার রায়। ঔঙ্কার ও আমি মহেন্দ্রকে বোঝাবার চেষ্টা করেছি খয়ব্বরের বিরুদ্ধে ও আইনি ব্যবস্থা নিতে চাইলে আমরা সমিতিগত ও ব্যক্তিগতভাবে সাহায্যের চেষ্টা করব। উত্তরে মহেন্দ্র জানিয়েছেন, ‘কপালে ভোগ ছিল হয়েছে। এ-জন্য খয়ব্বরের উপর আমি রাগ পুষে রাখিনি। আমরা কিছু না করলেও শাস্তি ওর হবে। আল্লাই ওর বিচার করবেন।

কাসেৎ মণ্ডলের কাছে চিকিৎসা করতে গিয়ে ভাঙা হাত ভাঙাই থেকে গেছে বেথুয়াডহরির বিল্বগ্রামের ক্লাশ টু’র ছাত্র দেবব্রত সরকারের। এর জন্য দেবব্রতর বাবা কাসেৎকে দোষ না দিয়ে দিলেন ভাগ্যের। কাসেৎ-এর বিচারের ভার সঁপে দিলেন ভগবানের হাতে। রোগীদের ভাগ্য ও ঈশ্বর-আল্লার প্রতি বিশ্বাসই এইসব বে-আইনি চিকিৎসক বা প্রতারকদের ব্যবসা রমরমা করতে সাহায্য করে।

হুগলী জেলার গুড়াপ স্টেশন। গুড়াপ পড়বে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে। সেখান থেকে বাস বা ট্রেকারে উঠে বসুন ‘লতা বাঁধা’ স্টপেজে নামবেন। মিনিট পাঁচেকের পথ।

লতা বেঁধে ভাঙা হাড় সারানোর দৈব চিকিৎসার সুবাদে স্টপেজটি ‘লতা বাঁধা’ নামেই পরিচিত দীর্ঘ বছর ধরে। প্রত্যেক দিনই রোগী দেখা যায়। রোগীর গড় ভিড় দৈনিক ৩৫০ থেকে ৪০০ রোগী আসেন কলকাতা থেকে বাংলাদেশ, সব জায়গা থেকেই। এখানে দৈব চিকিৎসক চার জন। পাতাকেই হিন্দু।

দক্ষিণবঙ্গে হাড় জোড়া দেওয়ার দৈব চিকিৎসক আছেন একাধিক। ভাল ভিড় হয়। এখানেও সেই লতা বেঁধে মন্ত্র পড়ে হাড় জোড়া দেওয়া হয়। হাড় ভাঙার দৈব চিকিৎসকের রমরমা শহর বাঁকুড়াতেও। প্রত্যেক অঞ্চলের হাড় জোড়া দেওয়া দৈব চিকিৎসকদের মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে দারুণ রকমের মিল রয়েছে। একঃ এরা প্রত্যেকেই স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত বা ওদের ছত্রছায়ায় পালিত। দুইঃ স্থানীয় থানার সঙ্গে দহরমমহরম যথেষ্ট। তিনঃ প্রতিবেশীদের ধারণা মোটেই ভালো নয়। চারঃ এইসব দৈব চিকিৎসকদের উপর পশার নির্ভর করা রিকশা, ভ্যান-রিকশা, চায়ের দোকান, খাবারের দোকানের কারবারিরা এইসব বে-আইনি ব্যবসার সমর্থক। নিরীহ প্রতিবেশীরা রাজনীতিক, পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের সম্মিলিত সমর্থনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে ভয় করেন। অথচ এই নিরীহ প্রতিবেশীরাই আমাদের দেশের আমজনতা। এরাই গরিষ্ঠ ভোটদাতা। এদের দ্বারা নির্বাচিত এদের জন্যে নাকি সরকার। এরা জানেই না—এই কল্যাণমূলক ‘ভারত’ নামক রাষ্ট্রটির দায়িত্ব প্রতিটি •নাগরিকের চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়া। পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙা কিছু জটিল ব্যাধি নয়—তার জন্য এক্সরে ও প্লাস্টার করার ব্যবস্থা নেই গ্রামে-গঞ্জে। অথচ প্রায় প্রতিটি মন্ত্রী চিকিৎসা করাতে বিদেশ ছোটেন। শহরের নামী-দামী নর্সিংহোমকেও তাঁদের নিরাপদ মনে হয় না। এই গরিব দেশের জনপ্রতিনিধিরা বিদেশে চিকিৎসার নামে খরচ করেন মাথা পিছু কোটি পর্যন্ত ।

সরকার কি ভাগ্য ও ঈশ্বরের কাছে নাগরিকদের সঁপে দিয়ে বে-আইনি ও অমানবিক চিকিৎসা চালিয়ে যেতে দেবে? স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে রাজনীতিকদের ক্ষুদ্র ব্যক্তি-স্বার্থ ও দলীয়-স্বার্থ কি এভাবে অমানবিক বে-আইনি ব্যবসা চালাতে দেবে?

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!