স্মৃতিমালা

আমার সম্পাদিত ‘ট্রাস্টনামা’ দলিলের ‘১৫(খ) স্মৃতিমালা’ দফের বিবরণে বলা হয়েছে – “লাইব্রেরী ভবনটির উত্তরাংশে একটি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ (জাদুঘর) নির্মাণ করা হইয়াছে। আমার জীবনের বিভিন্ন স্তরের নির্মিত ও ব্যবহার্য কিছু কিছু বস্তু সেখানে আমার স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ মজুত থাকিবে। তবে কোন কোন বস্তু মজুত থাকিবে তাহা এখনো বলা যাইতেছে না। তবে রক্ষিত বস্তুসমূহের একটি তালিকা তৎসঙ্গে রাখা হইবে।”

উক্ত ওয়াদার পরিপ্রেক্ষিতে এখন নিম্নলিখিত তালিকার বস্তুগুলো যথাস্থানে সজ্জিত করে রাখা হল।

সংরক্ষিত বস্তুসমূহের তালিকা

ক. কৃষি যন্ত্র

(১) ‘হ্যাণ্ডহো’-এর (যন্ত্রাংশ) লোহার ফলা ৩টি। খরিদ মূল্য (পুরো যন্ত্রটি) আট টাকা, বরিশাল, ১৩৪৪।

(২) কোদাল ১ খানা। খরিদ মূল্য পাঁচ টাকা, বরিশাল, ১৩৮৬।

(৩) কাস্তে ১ খানা। খরিদ মূল্য ছয় টাকা, বরিশাল, ১৩৮৬।

খ. জরিপী যন্ত্র

(১) গ্যান্ডারের চেইন (১১ গজ) ১ ছড়া। মরহুম রহমত আলী  মাতুব্বরের দান, লামচরি ১৩৪২।

(২)  গ্যান্ডারের চেইন (২২ গজ) ১ ছড়া। খরিদ মূল্য আটত্রিশ টাকা, বরিশাল, ১৩৭৫।

(৩) প্লেন টেবিল ১টি, সেগুন কাঠ (তেপায়াসহ) এবং

(৪) সাইড ভ্যান ১টি, সেগুন কাঠ। মরহুম আমিন তোরাপ আলী আকনের দান। দক্ষিণ লামচরি, ১৩৪৩।

(৫) প্রিজমেটিক কম্পাস ২টি। লাখুটিয়ার জমিদার মি. পরেশ লাল রায় (ঘুঘু বাবু)-এর স্টেট ম্যানেজার বাবু অনন্ত কুমার বসুর নিকট থেকে খরিদ, মূল্য ২০০.০০ টাকা, বরিশাল ১৩৬৩।

(৬) রাইট এ্যাঙ্গেল ৩টি, পিতল। মূল্য ৬০.০০ টাকা, বরিশাল ১৩৬৩

(৭) একর কুম্ব ১টি। এনামেলের পাত দ্বারা নিজ হাতে তৈরি, লামচরি ১৩৬৪।

(৮) গ্যান্ডারের স্কেল ১টি (পিতল)। পরলোকগত আমিন ফুল খাঁয়ের দান। চরবাড়িয়া ১৩৮২।

(৯) ডিভাইডার ১টি (পিতল)। আলহাজ্ব মৌ. আ. রশীদ খানের দান। দ. লামচরি, ১৩৮২।

গ. পোষাক

(১) জামা ১টি (টেট্রন)। পুত্র আ. মালেকের দান। লামচরি ১৩৮৯।

(২) পাজামা ১টি (সুতী)।

(৩) ছাতা ১টি। পুত্র আ. খালেকের দান। ঢাকা, ১৩৮৯।

(৪) জুতা ১ জোড়া (প্লাস্টিক)।

(৫) গেঞ্জি ১টি। পুত্র আ.বারেকের দান। লামচরি ১৩৮৯।

(৬) মোজা ১ জোড়া

(৭) জামা ১টি (পলিয়েস্টার)। জামাতা ইউনুস মীরের দান। আশুগঞ্জ, ১৩৮৭।

(৮) লুঙ্গী ১ খানা। জামাতা মোতাহার আলীর দান। লামচরি, ১৩৮৭।

(৯) হাতমোজা ১ জোড়া। মো. ইয়াছিন আলী সিকদারের দান (তাঁর মরহুম পিতার ব্যবহার্য)। লামচরি, ১৩৮৭।

(১০) চশমা ১ জোড়া (প্লাস্টিকের ফ্রেম)। খরিদ মূল্য দশ টাকা। বরিশাল, ১৩৮০।

ঘ. চা সরঞ্জাম

(১) কাপ ৬টি (চীনামাটি)। পুত্র আব্দুল খালেকের দান। ঢাকা, ১৩৮৬।

(২) পিরিচ ৬টি (ঐ)।

(৩) কেতলী একটি (এনামেল)। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা বাজারে খরিদ। ওজন ১৪X১/২ তোলা, মূল্য দশ টাকা, ১৩৫৪।

(৪) সসপ্যান ১টি(ঢাকনিসহ, এনামেল)। ওজন ১৩X৩/৪ তোলা, খরিদ মূল্য চোদ্দ টাকা। বরিশাল, ১৩৮৮।

(৫) দুধ রাখার পাতিল একটি (এনামেল)। ওজন ১৭ তোলা, খরিদ মূল্য বার টাকা। বরিশাল, ১৩৮৬।

(৬) মগ ১টি (এনামেল)। ওজন ৬ তোলা, খরিদ মূল্য দুই টাকা। ঢাক, ১৩৮৪।

ঙ. দলিলপত্র

আমার জীবনের বৈষয়িক ও অন্যান্য সংক্রান্ত দলিলসমূহের মধ্যে অনেক দলিল বন্যা ও উইপোকার আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। যে ক’খানা এখনো অক্ষত আছে, তা আমার জাদুঘরে রেখে তার একটি তালিকা নিম্নে প্রদান করা হল।

ক্রম
নং
গ্রহীতা দাতা দলিলের
রকম
তাং বাং তাং ইং
১. শ্রীযুক্ত বাবু দেবকুমার রায়চৌধুরী রবেজান বিবি গং কিস্তিবন্দী ৭.৬.২০ ২৩.৯.১৩

শৈশবে আমার পৈত্তিক সম্পত্তি বাকী করে নিলাম হওয়ায় তা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে জমিদারের দাবীর টাকা ক্রমিক পরিশোধের জন্য আমার পক্ষে অত্র কিস্তিবন্দী দলিলখানা সম্পাদন করেন আমার মা। লাখুটিয়ার জমিদারদের তিন স্টেটে এরূপ ভিন্ন ভিন্ন তিনখানা দলিল সম্পাদিত হয়। কিন্তু সম্পাদনার পর তিনি কিস্তিমত কখনো টাকা শোধ করতে পারেন নি। সমস্ত টাকা শোধ করতে হয়েছে আমাকে কৃষিকাজ শুরু করে ১৩২৮ সালে। কিস্তিবন্দীর টাকা পরিশোধ করে আমি তিনখানা দলিলই ফেরত এনেছিলাম। কিন্তু অপর দু’খানা দলিল বর্তমানে আমার কাছে নেই।

ক্রম
নং
গ্রহীতা দাতা দলিলের
রকম
তাং বাং তাং ইং
২. শ্রীযুক্ত প্যারীলাল রায়চৌধুরী রবেজান বিবি গং কবুলিয়ত ৭.৬.২০ ২৩.৯.১৩

লাখুটিয়ার জমিদারদের তিন স্টেটে এরূপ ভিন্ন ভিন্ন তিনখানা কবুলিয়ত সম্পাদিত হয়। জমিদারী উচ্ছেদের পর পি. এল. রায়ের স্টেট ম্যানেজার অনন্ত কুমার বসু এ দলিলখানা আমাকে ফেরত দেন, অন্য দু’স্টেট দেয়নি।

আমার পৈত্তিক ভূসম্পত্তিটুকু নিলাম হলে আমি নাবালক বিধায় আমার পক্ষে কবুলিয়ত প্রদান করে ১/২ অংশ সম্পত্তি উজাড় করেন আমার মা। অপর ১/২ অংশ আমার ভগ্নিপতি আব্দুল হামেদ মোল্লা তাঁর মাতা মেহেরজান বিবির বেনামীতে কবুলিয়ত প্রদানে তাঁর স্বত্ব দখল করে নেন। তবে বিভিন্ন সময়ে খরিদমূলে সে অংশ সবই আমার স্বত্বদখলে এসেছে।

ক্রম
নং
গ্রহীতা দাতা দলিলের
রকম
তাং বাং তাং ইং
৩. শ্রীযুক্ত প্যারীলাল রায়চৌধুরী হামজে আলী গং কবুলিয়ত ২.৩.২২ ১৮.৬.১৫

একই খতিয়ানভুক্ত জমি বলে আমার জমির সঙ্গে আমার চাচাতো ভাইদের জমিও নিলাম হয় ১৩১৭ সালে। তাই তারা এ কবুলিয়ত দ্বারা তাদের সম্পত্তি রক্ষা করে।

ক্রম
নং
গ্রহীতা দাতা দলিলের
রকম
তাং বাং তাং ইং
৪. আব্দুর রহিম মৃধা আব্দুল হাসেম মোল্লা কবালা ১১.২.৪৯ ২৫.৫.৪২

অত্র দলিলের জমি আমারই খরিদ বটে, দলিলের লিখিত গ্রহীতা আমার বেনামদার।

ক্রম নং গ্রহীতা দাতা দলিলের রকম তাং বাং তাং ইং
৫. জাফর আলী চাপ্রাসী আরজ আলী মাতুব্বর অগ্রিম খা.পা. ২২.১.৫১ ৫.৫.৪৪
৬. নরেন্দ্র নাথ সাহা আরজ আলী মাতুব্বর কবুলিয়ত ২৩.৫.৫১ ৮.৯.৪৪
৭. আ. রহমান মল্লিক হোসেন শরীফ গং কবালা ২১.৬.৫২ ৮.১০.৪৫
৮. আ. রহমান মল্লিক হোসেন শরীফ গং কবালা ২৬.৯.৫২ ১০.১.৪৬
৯. জবান আলী চাপ্রাসী আরজ আলী মাতুব্বর অগ্রিম খা. পা. ২৬.১০.৫২ ৯.২.৪৬
১০. আ. রহমান মল্লিক খবরদ্দি ফরাজী কবালা ১৪.১.৫৩ ২৭.৪.৪৬
১১. আরজ আলী মাতুব্বর আব্দুর রহিম মৃধা কবালা ৩১.৫.৫৩ ১৭.৯.৪৬
১২. আরজ আলী মাতুব্বর সৈয়দ আলী মাল কবালা ২৬.৮.৫৩ ১২.১২.৪৬
১৩. আরজ আলী মাতুব্বর রেকাত আলী কবুলিয়ত ২৬.৮.৫৩ ১২.১২.৪৬
১৪. ললিত মোহন সাহা আরজ আলী মাতুব্বর কবালা ১৯.১.৫৪ ৩.৫.৪৭
১৫. আরজ আলী মাতুব্বর আ. রহমান মল্লিক কবালা ১৩.৩.৫৪ ২৮.৬.৪৭
১৬. হাতেম আলী সরদার আরজ আলী মাতুব্বর অগ্রিম খা. পা. ২.৩.৫৪ ১৭.৬.৪৭
১৭. আরজ আলী মাতুব্বর আ. রহমান মল্লিক কবালা ২১.১.৫৪ ৫.৫.৪৭
১৮. নরেন্দ্র নাথ সাহা আরজ আলী মাতুব্বর কবুলিয়ত নকল ১৩.৪.৫৪ ৩১.৭.৪৭
১৯. মি. পরেশ লাল রায় আরজ আলী মাতুব্বর ঐ (আসল) ২৮.১১.৫৭ ১১.৪.৫১
২০. আরজ আলী মাতুব্বর ললিত মোহন সাহা কবালা ২৬.১.৬২ ১০.৫.৫৫
২১. আরজ আলী মাতুব্বর আদম আলী গোলদার এগ্রিমেন্ট নামা ২১.৬.৫২ ৮.১০.৪৫
২২. কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক আরজ আলী মাতুব্বর বন্ধকী দলিল ৮.৯.৬৫ ২৪.১২.৫৮
২৩. মোবারেক আলী আরজ আলী মাতুব্বর অগ্রিম খা. পা. ২.৬.৬৬ ১৯.৯.৫৯
২৪. আফেজউদ্দিন হাং আরজ আলী মাতুব্বর অগ্রিম খা. পা. ২৩.৭.৬৬ ১০.১১.৫৯
২৫. আরজ আলী মাতুব্বর আ. রহমান শরীফ কবালা ৫.৮.৬৬
২৬. মনোয়ারা (লেখকের কন্যা) আ. মজিদ খলিফা কাবিননামা ৮.২.৬৯ ২২.৫.৬২
২৭. আরজ আলী মাতুব্বর ছফেদ আলী হাং এগ্রিমেন্ট ৭.১.৭২ ২০.৪.৬৫
২৮. সুলতান আহমদ ফ. আরজ আলী মাতুব্বর অ. খা. পা. ২৫.৬.৭২ ১২.১০.৬৫
২৯. আরজ আলী মাতুব্বর আদম আলী গোলদার কবালা ৩০.১১.৭৪ ১৪.৩.৬৮
৩০. আরজ আলী মাতুব্বর আনোয়ারা বেগম গং কবালা ৮.১১.৭৭ ২১.২.৭১
৩১. আরজ আলী মাতুব্বর আক্কেল আলী গং কবালা ১৫.১২.৭৮ ২৯.৩.৭২
৩২. আরজ আলী মাতুব্বর আমিনা খাতুন গং কবালা ১৩.৮.৭৯ ২৯.১১.৭২
৩৩. বি-আম্মা বেগম (লেখকের কন্যা) ইউনুছ মীর কাবিননামা ২৬.১২.৮১ ৯.৪.৭৫
৩৪. আরজ আলী মাতুব্বর আ. রহমান আকন কবালা ২৯.১.৮৫ ১৩.৫.৭৮

চ. বিবিধ

(১) রেকাবী ১ খানা (চীনামাটি)। খরিদ মূল্য আট আনা, বরিশাল, ১৩৩০।

(২) পানপাত্র ১টি (পিতল)। ওজন ৩৪X৩/৪ তোলা, খরিদ মূল্য আট আনা। মকরম প্রতাপ, ১৩৫৬।

(৩) ঘটি ১টি (এনামেল)। ওজন ১২ তোলা। কন্যা মুকুলের দান। আশুগঞ্জ, ১৩৮৮।

(৪) কলসী ১টি (এনামেল)। ওজন ১৭X১/২ তোলা, খরিদ মূল্য ষোলো টাকা। বরিশাল, ১৩৮৬।

(৫) চৌকি বাক্স ১টি। দৈ. ২৮ ইঞ্চি, প্র. ৯X১/২ ইঞ্চি, বেধ ৬ ইঞ্চি। নিজ হাতে তৈরি, ১৩৭০ (পোষাক রক্ষিত)।

(৬) পিজবোর্ড কাগজে তৈরি বাক্স ১টি। দৈ. ১৫ ইঞ্চি, প্র. ১০X১/২ ইঞ্চি, বেধ ৭ ইঞ্চি। নিজ হাতে তৈরি, ১৩৬৪। দ. লামচরি নিবাসী মরহুম আ. রহিম মৃধার শ্রাদ্ধ-ভোজে লোকগণনা কাজে নিশানরূপে উক্ত পিজবোর্ড কাগজের টুকরোগুলো ব্যবহৃত হয়েছিলো ৯ই ফাল্গুন, ১৩৬০ সালে (জরিপ যন্ত্র রক্ষিত)।

(৭) বিভিন্ন রোগের ঔষধের ও লেখায় ব্যবহৃত কালির খালি শিশি –

ক. ঔষধের শিশি

১২ আউন্স শিশি – ১টি

৪ আউন্স শিশি – ৩০টি

৩ আউন্স শিশি – ১টি

১ আউন্স শিশি – ৮টি

১/২ আউন্স শিশি – ৫টি

খ. কালির শিশি – ২১টি

(৮) বৈয়ম ১টি (কাঁচের টিনের মুখোস)। পুত্র আ. খালেকের দান। ঢাকা ১৩৮৬।

(৯) বৈয়ম ১টি (কাঁচ, কাঁচের মুখোস)। খরিদ মূল্য ছয় টাকা। বরিশাল, ১৩৮৯।

এ বৈয়মটিতে আমার চুল, দাঁড়ি, নখ ও দাঁত রক্ষিত।

(১০) আলমারি ১টি (দেওয়ালের সঙ্গে যুক্ত)।

(১১) সুটকেস ১টি (টিন)। দৈ. ১৫X১/২ ইঞ্চি, প্র. ১০ ইঞ্চি, বেধ ৫X১/৪ ইঞ্চি। খরিদ মূল্য ত্রিশ টাকা। বরিশাল, ১৩৮৯ (দলিলপত্র রক্ষিত)।

(১২) তালা (চাবিসহ) ৪টি (সুটকেসসহ তিনটি বাক্সে তিনটি ও কবাটে একটি – মোট ৪টি)।

আসবাবপত্র

১. চেয়ার ৬ খানা
২. টেবিল ২ খানা
৩. টুল ১ খানা
৪. সীলক. ‘আরজ মঞ্জিল’ ১ টি
খ. ‘আরজ মঞ্জিল লাইব্রেরী’ ১ টি
গ. ‘আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরী’ ১ টি
ঘ. ‘সম্পাদক ও লাইব্রেরীয়ান’ ১ টি
৫. স্ট্যাম্প প্যাড ১ টি
৬. পাঞ্চার মেশিন ১ টি
৭. পেপার ওয়েট
ক. কাঁচ নির্মিত ১০ টি
খ. পাথর নির্মিত ৪ টি
৮. গামপট ১ টি
৯. স্ট্যাম্প প্যাড ১ টি

৯. ঝর্ণা কলম ১টি (ইওথ)। খরিদ মূল্য সতেরো টাকা। বরিশাল, ১৩৮৯।

১০. তালা (চাবিসহ) ২টি (সদর দরজা ১টি ও লাইব্রেরী কক্ষ ১টি)। খরিদ মূল্য ঊনত্রিশ টাকা। বরিশাল, ১৩৮৬।

খাতাপত্র

১. সংগৃহীত পুস্তকের তালিকা ১ খানা
২. দফেওয়ারী পুস্তকের তালিকা ১ খানা
৩. পুস্তক আদান-প্রদান ১ খানা
৪. সদস্য পাঠকের তালিকা ১ খানা
৫. চাঁদা আদায়ের রশিদ বই ১ খানা
৬. চাঁদা আদায়ের হিসাব ১ খানা
৭. ক্যাশ বহি ২ খানা
৮. ভাউচার ফাইল ১ খানা
৯. নোটিশ বহি ১ খানা
১০. মন্তব্য বহি ১ খানা
১১. বৃত্তি প্রদান হিসাব ১ খানা
১২. রাইটিং প্যাড (ছোট-বড়) ২ খানা
১৩. পরিদর্শন মন্তব্য ১ খানা
১৪. রেজি. ট্রাস্টনামা (মূল দলিল) ১ খানা

দেয়াল ফটো

১. ‘দুই কাঠুরে রমণী’।

‘সত্যের সন্ধান’ ও ‘সৃষ্টি-রহস্য’ পুস্তকদ্বয়ের লেখককে বাংলাদেশ লেখক শিবির থেকে প্রদত্ত পুরস্কার। ২৪ চৈত্র, ১৩৮৫।

২. ‘বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ’ – আ.খালেক মাতুব্বরের দান। ২৫ পৌষ, ১৩৮৮।

৩. ‘বিদ্রোহী কবি নজরুল’ – আ.খালেক মাতুব্বরের দান। ২৫ পৌষ, ১৩৮৮।

৪. ‘বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব আ. আউয়াল ও আরজ আলী মাতুব্বর’।

পুস্তক প্রদান অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের দান। ৯ জুন, ১৯৮১।

৫. ‘আরজ আলী মাতুব্বর’।

হাতে আঁকা ছবি। শিল্পী কাজী আবুল কাসেম, লেক সার্কাস (কলাবাগান) ঢাকা। ৩ জানুয়ারী, ১৯৭৬।

৬. ‘আরজ আলী মাতুব্বর’।

‘সত্যের সন্ধান’ পুস্তকে প্রকাশের উদ্দেশ্যে মুদ্রিত ছবি। ঢাকা, ১৩৮০।

৭. ‘আরজ আলী মাতুব্বর’।

মো. আলী নূর সাহেবের গৃহীত রঙ্গিন ফটো (দান)। ধানমণ্ডি, ঢাকা। ১৭ ভাদ্র, ১৩৮৮।

৮. ভিউকার্ড ৯৪ খানা। উপহারদাতা এম. এ. ধানমণ্ডি, ঢাকা। ১৩৮৬।

ঋণপত্র

আমার উৎসর্গিত ক্ষুদ্র এ লাইব্রেরীটির উন্নয়নকল্পে যাদের নিকট থেকে কোনো বস্তু বা নগদ অর্থ দানসূত্রে এযাবত পেয়েছি ও ভবিষ্যতে পাবো, সে সমস্ত মহৎ ব্যক্তিগণের কাছে আমি চিরঋণে আবদ্ধ আছি ও থাকবো। এতদার্থে দাতাগণের নাম-ধাম ও তাঁদের দানের পরিচয়সহ অত্র ঋণপত্রখানা লিখে দিচ্ছি।

খাতাপত্র

দাতাদের নাম-ধাম দানের বস্তু মূল্য
বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাননীয় আব্দুল আউয়াল সাহেবের বদান্যতায় দানপত্র সংক্রান্ত দলিলাদি সম্পাদনার খরচ বাকেরগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাপ্ত দান। নগদ টাকা ১৪৬০.৭৫
মৌ. মো. মোশাররফ হোসেন মাতুব্বর (আজাদ অয়েল মিল, হাটখোলা, বরিশাল)-এর স্বেচ্ছাকৃত দান। নগদ টাকা ২৫০০.০০
মৌ. মোছলেম উদ্দীন মাতুব্বর (লামচরি)- এর স্বেচ্ছাকৃত দান। নগদ টাকা ৫০০.০০
ভারপ্রাপ্ত বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাননীয় মো. সিরাজুল ইসলাম সাহেবের বদান্যতায় লাইব্রেরীর উন্নয়নকল্পে বাকেরগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান। নগদ টাকা ৩০০০.০০
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাননীয় মো. সিরাজুল ইসলাম সাহেবের বদান্যতায় লাইব্রেরী প্রাঙ্গণে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন ও অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজের জন্য জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান। নগদ টাকা ৫৮৯০.০০
আলহাজ্ব মৌ. এম. এ. মোতাহের (নিউ বেলী রোড, ঢাকা)- এর স্বেচ্ছাকৃত দান। নগদ টাকা ১০০০.০০
চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাননীয় মৌ. খালেকুজ্জামান সাহেবের বদান্যতায় লাইব্রেরীর উন্নয়নকল্পে পুকুর খননের জন্যে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান ধান ৫ মণ ৭৩৮.০০
বাকেরগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাননীয় আব্দুল সাহেবের বদান্যতায় বাকেরগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত দান। বই ১০০ খানা ৩৩৯৩.৫০
জনাব মো. হানিফ, অধ্যক্ষ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল। বই ১৯ খানা ৫৯.০০
আব্দুল খালেক মাতুব্বর, পিং আরজ আলী মাতুব্বর, লামচরি। বই ৫৩ খানা ৪০৫.০০
মো. আনোয়ার হোসেন (লিটন), পিং মো. ইদ্রিস খান, বুখাই নগর। বই ৪৭ খানা ৪০৩.০০
জনাব মো. তাজুল ইসলাম, বর্ণমিছিল, ঢাকা। বই ৩৬ খানা ৩৩৯.০০
জনাব মো. আলী নুর, ধানমণ্ডি, ঢাকা। বই ২২ খানা ২৬৩.০০
জনাব মো. আলী ইমাম, ঠাটারী বাজার, ঢাকা। বই ৩২ খানা ২৬০.০০
জনাব মো. সিরাজুল হক, অধ্যক্ষ, বরিশাল কলেজ, বরিশাল। বই ৭ খানা ২০১.০০
জনাব মো. আলতাব হোসেন, পিং সফিউদ্দীন হাং, উত্তর লামচরি। বই ১৭ খানা ৫৮.০০
কমরেড অনিল মুখার্জী, ওয়ারী, ঢাকা বই ৪ খানা ৪৫.০০
জনাব মো. ফিরোজ সিকদার, পিং মো. ইয়াছিন আলী সিকদার, লামচরি। বই ৫ খানা ৪৪.০০
জনাব মো. আব্দুল জলিল, পিং আরজ আলী হাং, লামচরি। বই ৭ খানা ৪১.০০
জনাব মো. মফিজুর রহমান, পিং মরহুম মাষ্টার আরব আলী, চরবাড়িয়া (তালতলি)। বই ৩ খানা ২৭.০০
অধ্যাপক আব্দুল হালিম, ওয়ারী, ঢাকা। বই ৩ খানা ১৮.০০
মো. মোস্তফা খান, পিং আলহাজ্ব মৌ. আ. রশীদ খান, দক্ষিণ লামচরি। বই ২ খানা ৬.০০
মো. শাহীন, পিং আ. খালেক মাতুব্বর, লামচরি। বই ১ খানা ২.০০
মো. ফরিদ উদ্দীন, পিং আ. মালেক মাতুব্বর, লামচরি। বই ১ খানা ২.০০
মো. কামাল উদ্দিন, পিং মৃত আ. রাজ্জাক হাং, সাং পশুরীকাঠি, পো. চরমোনাই, বরিশাল। বই ১ খানা ১৫.০০
মোট = ২১,৩০৩.৭৫

আমার এ ঋণপত্র দলিলখানায় গ্রহীতারূপে এযাবত যেসব মহাজনদের নামোল্লেখ করা হল, তাঁরা হচ্ছেন আমার লাইব্রেরীটির সহিত সংশ্লিষ্ট এবং লাইব্রেরীর কল্যাণকামী। এছাড়া আমার ব্যক্তিজীবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এবং আমার ব্যক্তিত্বের কল্যাণকামী এমন ক’জন সুধীমহাজন আছেন, এ দলিলখানায় গ্রহীতার তালিকায় তাঁদের নামোল্লেখ না থাকলে আমার নিজের নাম লিখতে হয় ‘অকৃতজ্ঞ’ তালিকায়। তাই তাঁদের নাম-ধাম ও দানের সংক্ষিপ্ত পরিচয় এখানে দিচ্ছি।

 

১. জনাব সরফুদ্দীন রেজা হাই, অধ্যাপক, গণিত বিজ্ঞান, জগন্নাথ কলেজ, ঢাকা।

আমার দারূন অর্থকষ্টের সময় জনাব হাই সাহেব আমাকে ৫০০.০০ টাকা দান করেন, যদ্বারা আমার ‘সত্যের সন্ধান’ বইখানা ছাপাতে দেওয়া হয় বরিশাল আল-আমিন প্রেসে (১৩৭৯)। আবার আল-আমিন প্রেস কর্তৃপক্ষ যখন আমার উক্ত বইখানার মাত্র একটি ফরমা বাকী রেখে (মুসল্লিদের চাপে পড়ে) ছাপার কাজ বন্ধ করে দেন, তখন ঢাকাস্থ বর্ণমিছিল প্রেসে নিয়ে বইখানার মুদ্রণকাজ সমাধা করা হয় তাঁরই প্রচেষ্টার ফলে (১৩৮০)। এছাড়া বিশেষ মহলের ধিকৃত আমার ‘সত্যের সন্ধান’ বইয়ের পান্ডুলিপিখানা তিনিই সুধীজনের গোচরে নেন এবং তাঁরই প্রচেষ্টায় প্রাপ্ত হই আমি (উক্ত বইয়ের পান্ডুলিপির উপর) বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক মাননীয় কবির চৌধুরী সাহেবের সপ্রশংস অভিমত (১৩৭৯)। এ ভিন্ন আমার প্রণীত ‘সৃষ্টি-রহস্য’ বইখানার ‘কৃত্রিম উপগ্রহ’ অধ্যায়টি রচনা সম্ভব হতো না তাঁর সক্রিয় প্রচেষ্টা ছাড়া। তিনি একাধিকবার আমার সাথে ঢাকাস্থ ইউসিস ভবনে গিয়ে সংগ্রহ করে দিয়েছেন আমাকে উক্ত অধ্যায়টি ও চন্দ্রাভিযান সংক্রান্ত রচনার বিবিধ তথ্যাবলী।

 

২. জনাব মো. আলী নুর, এডভোকেট ৮১-এ কাকরাইল, ঢাকা।

মাননীয় নুর সাহেব লাইব্রেরীটিতে যে ২৬৩.০০ টাকা মূল্যের ২২ খানা পুস্তক দান করেছেন (১৩৮৭), তা-তো আগেই বলা হয়েছে। তাছাড়া আমার ‘সত্যের সন্ধান’ পুস্তকখানার মুদ্রণকাজ সমাধা হওয়ার পরও তা প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছিল না উক্ত পুস্তকখানা সম্বন্ধে সুধী ও বুদ্ধিজীবী মহলের কতিপয় অভিমত মুদ্রণের অর্থাভাবের দরুন, তখন আমার সে অভাবের সময় তিনি আমাকে ৫০০.০০ টাকা দান করেন (১৩৮০)। এতদ্ব্যতীত আমার প্রণীত ‘সৃষ্টি-রহস্য’ পুস্তকখানা প্রকাশের যাবতীয় খরচই তিনি আমাকে দান করেন, যার পরিমাণ হচ্ছে ১০,৫০০.০০ টাকা (১৩৮৪)। তাঁর এ মহান দানের জন্য আমি তাঁকে সামান্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছিলাম আমার উক্ত পুস্তকখানার ভূমিকায়। কিন্তু কৃতজ্ঞতা চান না বলে নিজ হাতে তাঁর নামটা কেটে দিয়েছেন। অগত্যা আমার উক্ত বইখানা তাঁর নামে উৎসর্গ করলাম এবং ছাপিয়ে প্রকাশ করলাম তাঁকে না জানিয়েই। কিন্তু তা দেখতে পেয়েও তিনি আমার কাছে এই বলে কৈফিয়ত চেয়েছিলেন যে, তাঁকে না জানিয়ে বইখানা তাঁর নামে উৎসর্গ করলাম কেন? জানি না, তিনি এ ঋণপত্রে তাঁর নাম দেখতে পেয়ে আবার আমার কৈফিয়ত তলব করবেন কিনা। দেখা যাক।

এ ভিন্ন আমার আমার আরো ক’জন সুধীমহাজন আছেন, তাঁদের কারো কারো নাম এই স্মরণিকায় স্থানবিশেষে উল্লিখিত হয়েছে। তবুও আমার এ ঋণপত্রে তাঁদের নাম না থাকার দাবীদার তাঁরা এবং অধিকারীও বটে। যে সমস্ত মনীষী আমাকে সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা দান করে আসছেন বহুবছর থেকে, আমার উদ্দেশ্যসিদ্ধি ও জীবনের মানোন্নয়নের জন্যে, নিম্নে তাঁদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিচ্ছি।

১. জনাব কাজী গোলাম কাদির, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, ব্রজমোহন কলেজ, বরিশাল (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত)।

২. জনাব মো. হানিফ, অধ্যক্ষ, সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল।

৩. জনাব মো. শামসুল হক, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়।

৪. জনাব মো. শামসুল ইসলাম, সম্পাদক, বাংলাদেশ শিক্ষা বোর্ড, যশোর।

৫. জনাব মাওলানা মো. মুসা আনসারী, অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৬. ড. কাজী নুরূল ইসলাম, অধ্যাপক, দর্শন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

৭.  শ্রদ্ধেয় আবুল হানাসাৎ, সচিত্র যৌন বিজ্ঞানাদি বহু গ্রন্থ প্রণেতা ও সুসাহিত্যিক; তোপখানা রোড, ঢাকা।

৮. জনাব কাজী আবুল কাসেম, প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও সুসাহিত্যিক; ৪৯, লেক সার্কাস, ঢানমণ্ডি, ঢাকা।

৯. প্রিয় মো. শফিকুর রহমান, জ্ঞানতপস্বী ও সাহিত্যসেবী; বাসাবো, ঢাকা।

অপরিশোধ্য ঋণে আবদ্ধ আমি,

তবুও জানি না আশা পুরবে কবে।

আজো লাইব্রেরীর পুস্তকাদির সংখ্যা।

মাত্র – ৮২৩

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x