ঋকবেদে সূর্য বা আদিত্য দেবতা ছয়জন। (১) মিত্র, (২) অর্যমা, (৩) ভগ, (৪) বরুণ, (৫) দক্ষ, (৬) অংশু। তৈত্তিরীয়’তে সূর্য-দেবতা বা আদিত্য দেবতা আটজন। (১) মিত্র, (২) বরুণ, (৩) ধাতা, (৪) অর্যমা, (৫) অংশু, (৬) ভগ, (৭) ইন্দ্র, (৮) বিবস্বান। শতপথ ব্রাহ্মণে বারো আদিত্য বারো মাসের প্রতীক। এই বারো আদিত্যের সৃষ্টি তত্ত্বে পুরাণে বলা হয়েছে—স্ত্রী সংজ্ঞা পতি সূর্যের তেজ সহ্য করতে না পেরে পিতা বিশ্বামিত্রকে সমস্যার কথা জানান। বিশ্বামিত্র সূর্যের তেজ কমাতে সূর্যকে বারো টুকরো করেন। এই বারো টুকরো সূর্য-ই হল বারো আদিত্য। এসব নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি।
সূর্য দেবতার কল্পনা আর্যভাষীরা ইরান থেকেই এনেছিল। ইরানের সূর্য-দেবতার নাম ছিল মিথ; আর্যভাষীদের সূর্য দেবতা হলেন মিত্র। গুপ্ত যুগে ও তার পরবর্তীকালে উত্তরভারতে যে সব সূর্যমূর্তি পাওয়া গেছে, তাদের পায়ে দেখা যায় বুটজুতো, যেমনটা দেখা যায় কণিষ্কমূর্তিতে। এই জুতোও ইঙ্গিত বহন করে যে, সূর্য দেবতার ভাবনা এসেছিল ইরান থেকে। কারণ ইরানিয় দেবতাদের মধ্যে বুটজুতোর প্রচলন ছিল।
হর্ষবর্ধনের পিতা প্রভাকরবর্ধন সৌর ছিলেন। মুলতান, গুজরাট, কচ্ছে সূর্য- মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। ওড়িশার কোণার্কে তেরশো শতকে সূর্য মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন রাজা নরসিংহবর্মা। কাশ্মীরের মার্তণ্ডদেবে খ্যাতিও যথেষ্ট।
কিন্তু এখন সূর্য পূজার জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে। বিহার ও তার আশে পাশের অঞ্চলে সূর্য-পূজা ‘ছট্ পূজা’র অস্তিত্ব রক্ষা করে চলেছে। এখানে সূর্য- পূজক প্রায় সকলেই নারী। তারাই উপোস করে দণ্ডি কেটে জলাশয় পর্যন্ত যায় সূর্য পুজো করতে। পরদিন স্নান করে সূর্য প্রণাম সেরে উপোস ভঙ্গ। ছট্ পুজো অনেকটা যেন ব্রত-পালন। সূর্য পুজোর সঙ্গে ব্রাহ্মণ-পুরুষদের সম্পর্ক গায়ত্রী মন্ত্রে।
গায়ত্রী মন্ত্রের সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক
ব্রাহ্মণদের দিনে তিনবার গায়ত্রী মন্ত্র পাঠের বিধান রয়েছে। ভোরে,
মধ্যাহ্নে ও সায়াহ্নে উপবীত গ্রহণকারী ব্ৰাহ্মণ গায়ত্ৰী
জপ না করলে সে শূদ্রে পতিত হয়।
‘তন্ত্রতত্ত্ব’ গ্রন্থে তান্ত্রিক পণ্ডিত শিবচন্দ্র বিদ্যার্ণব ভট্টাচার্য বলছেন, “গায়ত্রীই সাবিত্রী— সূর্যদেবতার প্রকাশক।”
প্রাতের সূর্য, মধ্যাহ্নের সূর্য ও সায়াহ্নের সূর্যের সঙ্গে গায়ত্রী সম্পর্কযুক্ত। (১) প্রাতর্গায়ত্রী রবিমণ্ডলের মধ্যে অবস্থান করেন। গায়ের রঙ রক্তবর্ণা, দ্বিভুজা, এক হাতে অক্ষসূত্র, অন্য হাতে কমণ্ডলু। ইনি ব্রহ্মের কন্যা এবং ঋকবেদের সঙ্গে সম্পর্কিতা। (২) ‘মধ্যাহ্ন সাবিত্রী’। রবিমণ্ডলের মধ্যে এঁর অবস্থান। চতুর্ভুজা, চার হাতে রয়েছে শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম। বাহন গরুড়। ইনি বিষ্ণুর শক্তি। যজুর্বেদের সঙ্গে সম্পর্কিতা। (৩) ‘সায়াহ্ন সরস্বতী’ রবিমণ্ডলে সায়াহ্ন সূর্যের মধ্যে এঁর অবস্থান শুক্লবর্ণা, দ্বিভুজা। এক হাতে ত্রিশূল, অন্য হাতে ডমরু। ত্রিনয়নী। বাহন বৃষ। রুদ্র দেবের সঙ্গে এবং সামবেদের সঙ্গে সম্পর্কিতা।
গায়ত্রীর তিন দেবী মাতৃবীজরূপিনী সূর্যমণ্ডলে অবস্থানকারী, তিন মহাশক্তি বা কুণ্ডলিনী। এই তিন মহাশক্তিকে দিনের তিনটি সময়ে তিনরূপে চিন্তা করে ষটচক্র ভেদ করে মস্তিষ্কের সহস্রদল পদ্মকে প্রস্ফুটিত করা যায়—তন্ত্র এমনটাই বিশ্বাস করে।
গায়ত্রীর তিন মাতৃকাশক্তির পুরুষ হলেন যথাক্রমে ব্রহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশ্বর পরশুরাম-কল্পসূত্রকার বলছেন, “আনন্দং ব্রহ্মণো রূপং, তচ্চ দেহে ব্যবস্থিতং, তস্যাভিব্যঞ্জকাঃ পঞ্চমকারাঃ……(১/১১)” অর্থাৎ ব্রহ্মই আনন্দ, আনন্দের অবস্থান দেহে, আর পঞ্চম’কার সেই আনন্দের অভিব্যঞ্জক। (পঞ্চমকার অর্থে—মদ্য, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা, মৈথুন)।
সৌরধর্ম শেষ পর্যন্ত পঞ্চম’কারের গণ্ডীতে আবদ্ধ এক তন্ত্রধর্ম।
গাণপত্য ও তন্ত্র
অতুলচন্দ্র গুপ্তের কথায়—আদিতে গণেশ কর্মসিদ্ধির দেবতা ছিলেন না। ছিলেন কর্মবিঘ্নের দেবতা, অনেকটা শনির মতো ।
ক্ষিতিমোহন সেন বলেছেন, আমরা গণদেবতা বলতে গণেশকে বুঝি। দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গণপতি বা গণেশ একজন নন, বহু।
মানবগুহ্যসূত্রে আমরা গণেশের যে ছবি পাই, তা যথেষ্ট-ই ভয়াবহ। এই সূত্র আনুমানিক ৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রচিত। সূত্র মতে, কারও উপর গণেশের বা গণপতির দৃষ্টি পড়লে বিঘ্নের শেষ নেই। কুমারীর বিয়ে হয় না, বিবাহিতার সন্তান হয় না, সন্তানবতীর সন্তানবিয়োগ হয়, রাজা রাজ্য হারায়, গুরুর শিষ্য জোটে না, চাষীর ফসল গোলায় ওঠে না, বাণিজ্যের লাভ বণিকের ঘরে ঢোকে না।
যাজ্ঞবাল্কস্মৃতি রচিত হয়েছিল মানবগুহ্যসূত্র রচিত হওয়ার কয়েকশ বছর পরে। তখনও আমরা দেখতে পাচ্ছি, গণেশ বা গণপতির দৃষ্টি শুধু ক্ষতি ও বিঘ্নই ঘটায়। এ’সব দেখে মনে হয়, গণপতি বলতে ‘জনগণের পতি’ বা শাসকশ্রেণীকেই বোঝানো হয়েছিল। শাসকশ্রেণীর কুদৃষ্টি তখনও গৃহস্থের ক্ষতির কারণ হত। ধর্মীয়-আইনের স্রষ্টা মনু গণেশকে শূদ্রদের দেবতা বলে উল্লেখ করেছেন। গণেশ- পূজকদের উচ্চবর্ণের শ্রাদ্ধ বাড়িতে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
গণপতি বলতে সম্ভবত ট্রাইব বা উপজাতিদের নেতাদের-ই এক সময় বোঝানো হত। তাই ব্রাহ্মণ্যবাদীরা গণপতি-বিরোধিতা করেছিল।
শিব ও কিরাতকন্যা পার্বতীর মতই গণেশ প্রথম দিকে আর্যভাষীদের কাছে ব্রাত্য ছিলেন। পরবর্তীকালে শিব-পার্বতীর সঙ্গেই গণেশ একটু একটু করে জাতে ওঠেন পরিচিত হন শিব-পার্বতির পুত্র হিসেবে। সর্ববিঘ্নকারী গণপতি শেষ পর্যন্ত হয়ে গেলেন বিঘ্ননাশক সিদ্ধিদাতা।
গণেশকে নিয়ে নানা মুনির নানা মত। বৈষ্ণবৈবর্তপুরাণ, স্কন্ধপুরাণ, গণেশপুরাণ, নারদপুরাণ গণেশকে নিয়ে নানা কাহিনী হাজির করেছে। একটার সঙ্গে আর একটার মিল নেই। মিল থাকারও কথা নয়। দেবতারা তো ইতিহাসের চরিত্র নয়, তাঁরা কল্পনার সৃষ্টি। স্রষ্টা মুনি-ঋষি বা জাদুপুরোহিতরা। স্রষ্টারা নিজেদের মনের মতো করে দেবতাদের চরিত্র গড়ে ছিল বলেই গণেশসহ সব দেবতাদের জন্ম থেকে কর্ম— সবেই অনেক গরমিল।
গণেশের চেহারার বর্ণনা দিতে গিয়ে পৌরাণিক অভিধান রচয়িতা সুধীরচন্দ্র সরকার জানাচ্ছেন, দেহ খর্বাকৃতি, ত্রিনয়ন, চার হাত। হাতে আছে শঙ্খ, চক্র, গদা ও পদ্ম। মাথা হাতীর। বাহন মূষিক। কারণ এই মূষিক বৃষরূপধারী ধর্মের অবতার । গণেশের ‘শক্তি’ হলেন পুষ্টি।
আবার মহারাষ্ট্রের গণেশমূর্তির হাতে পাশ, অঙ্কুশ, গদা ও ডালিম ফল দেখা যায়। গণেশের গায়ের রং টুকটুকে লাল। লাল রঙের সঙ্গে আদিম সমাজের রজঃ- চিন্তার প্রভাব আছে বলে অনেক পণ্ডিতের অনুমান।
গণেশ পূজার প্রাচীন-বিধি পুরোপুরি তন্ত্র নির্ভর। বর্তমানে গণপতির পুজো সর্বজনীন উৎসবের রূপ নিয়েছে। ফলে গুহ্য বা গোপন তন্ত্র-মতে গণপতির পুজো প্রকাশ্যে সম্ভব হচ্ছে না। ‘গণেশ-তন্ত্র’ মতে, গজানন প্রচণ্ড সুরা ও নারী-শক্তিতে আসক্ত। সুরাপান করতে করতে তিনি তাঁর শক্তির সঙ্গে শৃঙ্গার করেন।
গণেশ পূজকদের ছ’টি ধারা। সেগুলো যথাক্রমে উচ্ছিষ্টগণপতি, মহাগণপতি, নবনীতগণপতি, হরিদ্রাগণপতি, স্বর্ণগণপতি এবং সন্তানগণপতি ।
উচ্ছিষ্ট-গাণপত্যরা মনে করেন, উচ্ছিষ্ট, অপবিত্র বলে কিছু নেই। কেউ খেতে খেতে খাওয়া শেষ না করেই উঠে গেল, তার পড়ে থাকা খাবারকে উচ্ছিষ্টজ্ঞান করা অর্থহীন। কারণ সে প্রথম গ্রাস খাবার গ্রহণের পর তো উচ্ছিষ্টই খায়। খাদ্যবস্তু খাবার জন্য। একের খাবার পর দ্বিতীয়জন সেই খাবার গ্রহণ করলে তাকে উচ্ছিষ্ট গ্রহণ ভাবার কোনও কারণ নেই। নারী-পুরুষের সম্পর্কটাও অনেকটা একই রকম। এক নারী ও এক পুরুষের আমরণ সম্পর্ক, বহুর সঙ্গে মিলনের আনন্দ উপভোগের পক্ষে বাধা। বিয়ে-ই এই বাধার সৃষ্টিকারী। নারী-পুরুষের মিলন সব সময়ই সুন্দর। এই মিলনের পর কেউ-ই কারও উচ্ছিষ্ট হয়ে যায় না। পরবর্তী মিলন-পুজোয় ব্রাত্য হয়ে যায় না। এই গাণপত্য শাখার নীতিতে বিশ্বাসীরা বিবাহ সংস্কার বর্জিত। জাত-পাতকে চাপিয়ে দেওয়া বিভাজন মনে করেন। জাত-পাতে বিশ্বাস করেন না । সুরাপানকে পঞ্চমকারের অঙ্গ হিসেবে এবং সুরাকে আনন্দদায়ক পানীয় বলে মনে করেন। পাপ-পুণ্যের ভেদ করেন না। এ-সবই আমাদের আদিম সমাজের ভাবধারারই স্মারক।
মহা-গাণপত্যরা মনে করেন গণেশ বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের স্রষ্টা। সৃষ্টি-কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। সৃষ্টির জন্যেই তিনি শক্তির সঙ্গে অনন্ত মিথুনরত।
হরিদ্রা-গাণপত্যরা বিশ্বাস করেন, গণপতি বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড সৃষ্টির আদি কারণ। ব্ৰহ্মাদি দেবগণের তিনি অংশস্বরূপ। এই সম্প্রদায়ের উপাসকরা তাঁদের বাহুতে গণেশের মুখ এঁকে রাখেন।
গাণপত্যদের প্রভাব পশ্চিম-ভারতেই প্রধানত সীমাবদ্ধ। হাল-খাতায় হিন্দু ব্যবসায়ীরা গণেশ ও লক্ষ্মীর পুজো করে। গাণপত্যে ও লক্ষ্মীতন্ত্রে বিশ্বাস না করলেও করে। এটা এখন ব্যবসার একটা প্রচলিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণেশ ও লক্ষ্মীকে প্রতিদিন জল-বাতাসা, নকুলদানা বা সন্দেশ দেওয়া সেই প্রথারই অঙ্গ। দোকান একদিন বন্ধ মানে গণেশ-লক্ষ্মীর নির্জলা উপবাস।
গণেশকে জল বাতাসা দেবার পরও ফি-বছর প্রচুর ব্যবসা লাটে উঠছে। আর আমরা গল্পের সেই ভেড়ার পালের লাঠি সরিয়ে নেবার পরও লাফিয়েই চলেছি। গল্পটা অনেকেরই জানা। পালের প্রথম ভেড়ার সামনে একটা লাঠি আড়াআড়ি করে একটু উঁচুতে ধরুন, ভেড়াটা লাফিয়ে পেরুবে। এবার লাঠি সরিয়ে নিন। দেখবেন সব ভেড়াই ওখানে এসে লাফিয়ে পেরুচ্ছে।
গণেশকে পুজো করে দেশের অর্থনীতি ফেরাতে পারবো—এমনটা বিশ্বাস করার মত মানুষ এদেশে সংখ্যায় বেশি ভেবে কষ্ট হয়।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ৫ম খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
অধ্যায়ঃ এক
ধর্মঃ সংজ্ঞায় গোলমাল
অধ্যায়ঃ দুই
উপাসনা ধর্মঃ প্রাচীন মত
♦ উপাসনা- ধর্মের (religion) উৎপত্তি
♦ একঃ দৈব-প্রত্যাদেশ বা অপৌরুষেয় প্রত্যাদেশ
♦ দুইঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস; সহজাত প্রবৃত্তি
♦ তিনঃ ধর্মীয় আচরণ বাদে ঈশ্বর বিশ্বাস
♦ আধুনিক নাস্তিক্যবাদ ‘মার্কসবাদ’
অধ্যায়ঃ তিন
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ নাস্তিক্যবাদের সঙ্গে বাড়তি কিছু
♦ ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ চির নতুন
♦ তোমার আমার দুই চেতনার ভালো-খারাপ
♦ মারাদোনার পায়ের জাদু ও যুক্তিবাদ
♦ প্রেমের রহস্যময়তা ও যুক্তিবাদ
♦ ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস’, ‘বিজ্ঞানের বিশ্বাস’ : আকাশ-পাতাল
অধ্যায়ঃ চার
উপাসনা ধর্মঃ আধুনিক মত
♦ উপাসনা-ধর্ম : নৃতত্ত্ব ও সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিতে
অধ্যায়ঃ পাঁচ
ভারতবর্ষের জাদু সংস্কৃতি
♦ আদিম উপজাতি, আধুনিক উপজাতিঃ একই কথা
♦ ধর্মীয় জাদু বিশ্বাস ও ম্যাজিক শোঃ দুই পৃথিবী
অধ্যায়ঃ ছয়
তন্ত্রের প্রথম ধাপ যোগ, তারপর…
অধ্যায়ঃ সাত
বৈদিক সাহিত্য, জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞে যৌনাচার
♦ সত্য খোঁজে মুক্তমন, হিসেব কষে ভন্ড
♦ বৈদিক সাহিত্যের গপ্পো ও দুই ডাক্তার
♦ বৈদিক সাহিত্যে জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞের নামে যৌনাচার
অধ্যায়ঃ আট
হিন্দু উপাসনা-ধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ নয়
শক্তিধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ দশ
রেইকি গ্রাণ্ডমাষ্টার, ফেং শুই ক্ষমতার দাবিদার, জ্যোতিষী ও অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদারদের প্রতি