সৌন্দর্য, যেভাবেই তাকায়, সেভাবেই সুন্দর।
সৌন্দর্য, যখন সরাসরি তাকায়, তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য, যখন চোখ নত করে থাকে, তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্যের গ্রীবায় যখন তিল থাকে সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্যের গ্রীবায় যখন তিল থাকে না সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্যের গালে যখন টোল পড়ে সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্যের গালে যখন টোল পড়ে না সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্যের চুল যখন মেঘের মতো ওড়ে সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্যের চুল যখন কালো গোলাপের মতো খোঁপা বাঁধা থাকে
সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য, যেভাবেই থাকে, সেভাবেই সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন কাতান প’রে আগুনের মতো জ্বলে
সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন নগ্ন ধবধবে বরফের মতো গলে
সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
স্নানাগারে সৌন্দর্য সুন্দর।
সরোবরে সৌন্দর্য সুন্দর।
সৌন্দর্যের জংঘা সুন্দর।
সৌন্দর্যের বক্ষ সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন ধান ভানে সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন গান গায় সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন শিল্প সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন অশিল্প সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন চুমো খায় সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন শোকে ভেঙে পড়ে সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন প্রেমিকের আলিঙ্গনে কেঁপে ওঠে
সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন অথর্ব বৃদ্ধের দেহতলে পিষ্ট হয়
সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য যখন ট্রাকের চাকার নিচে থেলে প’ড়ে থাকে
সৌন্দর্য তখন সুন্দর।
বেয়নেটের খোঁচায় খোঁচায় যখন সৌন্দর্যের হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ঝরে
সৌন্দর্য তখনো সুন্দর।
সৌন্দর্য, যেভাবেই থাকে, সেভাবেই সুন্দর।
সৌন্দর্য, যেভাবেই তাকায়, সেভাবেই সুন্দর।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো