০০৫. সূরাঃ মায়িদাহ
আয়াত নং | অবতীর্ণঃ মদিনা আয়াত সংখ্যাঃ ১২০ রুকূঃ ১৬ |
---|---|
১০১ | يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ হে মু’মিনগণ! তোমরা এমন সব বিষয়ে জিজ্ঞাসা করো না যে, যদি তা তোমাদের নিকট প্রকাশ করে দেয়া হয়, তবে তোমাদের কষ্ট দেবে, আর যদি তোমরা কুর’আন অবতীর্ণ হওয়ার সময় উক্ত বিষয়সমূহ সম্বন্ধে জিজ্ঞেস কর, তবে তোমাদের জন্যে প্রকাশ করে দেয়া হবে, অতীতের জিজ্ঞাসাবাদ আল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন; বস্তুতঃ আল্লাহ মহা ক্ষমাশীল, অতিশয় সহিষ্ণু। |
১০২ | قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ এরূ বিষয় তোমাদের পূর্বে অন্যান্য লোকেরাও জিজ্ঞেস করেছিল; অতঃপর তারা ওর অস্বীকারকারী হয়ে যায়। |
১০৩ | مَا جَعَلَ اللَّهُ مِن بَحِيرَةٍ وَلَا سَائِبَةٍ وَلَا وَصِيلَةٍ وَلَا حَامٍ ۙ وَلَـٰكِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا يَفْتَرُونَ عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ ۖ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يَعْقِلُونَ আল্লাহ না বাহীরার প্রচলন বৈধ করেছেন, না সায়েবার, না ওয়ালীসার এবং না হামীর; কিন্তু যারা কাফির তারা আল্লাহর উপর মিথ্যারোপ করে, আর অধিকাংশই জ্ঞান রাখে না। |
১০৪ | وَإِذَا قِيلَ لَهُمْ تَعَالَوْا إِلَىٰ مَا أَنزَلَ اللَّهُ وَإِلَى الرَّسُولِ قَالُوا حَسْبُنَا مَا وَجَدْنَا عَلَيْهِ آبَاءَنَا ۚ أَوَلَوْ كَانَ آبَاؤُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ شَيْئًا وَلَا يَهْتَدُونَ আর যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ আল্লাহর অবতীর্ণ বিধানসমূহের দিকে আস এবং রাসূলের দিকে আস, তখন তারা বলেঃ আমাদের জন্যে ওটাই যথেষ্ট যার উপর আমাদের বাপ-দাদাদেরকে পেয়েছি; যদিও তাদের বাপ-দাদাগণ না কোন জ্ঞান রাখতো, আর না হেদায়েতপ্রাপ্ত ছিল; তবুও কি (ওটা তাদের জন্যে যথেষ্ট হবে)? |
১০৫ | يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ ۚ إِلَى اللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ হে মু’মিনগণ? তোমরা নিজেদের চিন্তা কর, যখন তোমরা দ্বীনের পথে চলছো, তখন কেউ পথভ্রষ্ট হলে সে তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না; তোমরা সবাই আল্লাহরই সমীপে প্রত্যাবর্তিত হবে, অতঃপর তোমরা যা কিছু করছিলে সে সম্পর্কে তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন। |
১০৬ | يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا شَهَادَةُ بَيْنِكُمْ إِذَا حَضَرَ أَحَدَكُمُ الْمَوْتُ حِينَ الْوَصِيَّةِ اثْنَانِ ذَوَا عَدْلٍ مِّنكُمْ أَوْ آخَرَانِ مِنْ غَيْرِكُمْ إِنْ أَنتُمْ ضَرَبْتُمْ فِي الْأَرْضِ فَأَصَابَتْكُم مُّصِيبَةُ الْمَوْتِ ۚ تَحْبِسُونَهُمَا مِن بَعْدِ الصَّلَاةِ فَيُقْسِمَانِ بِاللَّهِ إِنِ ارْتَبْتُمْ لَا نَشْتَرِي بِهِ ثَمَنًا وَلَوْ كَانَ ذَا قُرْبَىٰ ۙ وَلَا نَكْتُمُ شَهَادَةَ اللَّهِ إِنَّا إِذًا لَّمِنَ الْآثِمِينَ হে মু’মিনগণ! তোমাদের পরস্পরের (বিষয়াদির) মধ্যে তোমাদের মধ্য হতে দু’জন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তি সাক্ষী থাকা সঙ্গত, যখন তোমাদের মধ্যে কারো মৃত্যু আসন্ন হয় (অর্থাৎ) অসিয়ত করার সময় হয়, অথবা ভিন্ন সম্প্রদায় হতে দু’জন হবে, যদি তোমরা সফরে থাক অতঃপর মৃত্যুর বিপদ তোমাদের পেয়ে বসে, যদি তোমাদের সন্দেহ হয়, তবে সাক্ষীদ্বয়কে নামাযের (জামায়াতের) পর অপেক্ষমান রাখো, অতঃপর তারা আল্লাহর নামে শপথ করে বলবেঃ আমরা এ শপথের বিনিময়ে কোন স্বার্থ ভোগ করতে চাই না। যদিও সে আত্মীয়ও হয়, আর আল্লাহর বিধানকে আমরা গোপন করবো না (যদি এরূপ করি, তবে) এমতাবস্থায় আমরা ভীষণ পাপী হবো। |
১০৭ | فَإِنْ عُثِرَ عَلَىٰ أَنَّهُمَا اسْتَحَقَّا إِثْمًا فَآخَرَانِ يَقُومَانِ مَقَامَهُمَا مِنَ الَّذِينَ اسْتَحَقَّ عَلَيْهِمُ الْأَوْلَيَانِ فَيُقْسِمَانِ بِاللَّهِ لَشَهَادَتُنَا أَحَقُّ مِن شَهَادَتِهِمَا وَمَا اعْتَدَيْنَا إِنَّا إِذًا لَّمِنَ الظَّالِمِينَ অতঃপর যদি জানা যায় যে, ওসীদ্বয় (সাক্ষীদ্বয়) কোন পাপে জড়িত হয়ে পড়েছে, তবে যাদের বিপক্ষে পাপে জড়িত হয়ে পড়েছিল তাদের মধ্য হতে (মৃতের) সর্বাপেক্ষা নিকটতম অপর দু’ব্যক্তি সে স্থানে স্থলাভিষিক্ত হবে, অতঃপর উভয়ে (এরূপে) আল্লাহর নামে শপথ করে বলবেঃ নিশ্চয়ই আমাদের এ শপথ তাদের শপথ অপেক্ষা অধিক সত্য এবং আমরা বিন্দুমাত্র ব্যতিক্রম করিনি, (যদি করি, তবে) এমতাবস্থায় যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবো। |
১০৮ | ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يَأْتُوا بِالشَّهَادَةِ عَلَىٰ وَجْهِهَا أَوْ يَخَافُوا أَن تُرَدَّ أَيْمَانٌ بَعْدَ أَيْمَانِهِمْ ۗ وَاتَّقُوا اللَّهَ وَاسْمَعُوا ۗ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ এটাই এ বিষয়ে অতীব সহজ পন্থা যে তারা ঘটনা যথাযথভাবে প্রকাশ করে দেয়, অথবা এ ভয় করে যে, তারা শপথ গ্রহণ করার পর (পুনঃ) শপথগুলোকে ফিরানো হবে; আর আল্লাহকে ভয় কর এবং (বিধানসমূহের) শ্রবণ কর, আর আল্লাহ ফাসিকদেরকে পথ দেখাবেন না। |
১০৯ | يَوْمَ يَجْمَعُ اللَّهُ الرُّسُلَ فَيَقُولُ مَاذَا أُجِبْتُمْ ۖ قَالُوا لَا عِلْمَ لَنَا ۖ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ যেদিন আল্লাহ রাসূলগণকে সমবেত করবেন, অতঃপর বলবেনঃ তোমরা (উম্মতদের নিকট থেকে) কি উত্তর পেয়েছিলে? তাঁরা উত্তরে বলবেনঃ (তাদের অনাচারের কথা) আমাদের কিছুই জানা নেই; নিশ্চয়ই আপনি সমস্ত গোপনীয় বিষয় সম্পূর্ণ জ্ঞাত। |
১১০ | إِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ اذْكُرْ نِعْمَتِي عَلَيْكَ وَعَلَىٰ وَالِدَتِكَ إِذْ أَيَّدتُّكَ بِرُوحِ الْقُدُسِ تُكَلِّمُ النَّاسَ فِي الْمَهْدِ وَكَهْلًا ۖ وَإِذْ عَلَّمْتُكَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَالتَّوْرَاةَ وَالْإِنجِيلَ ۖ وَإِذْ تَخْلُقُ مِنَ الطِّينِ كَهَيْئَةِ الطَّيْرِ بِإِذْنِي فَتَنفُخُ فِيهَا فَتَكُونُ طَيْرًا بِإِذْنِي ۖ وَتُبْرِئُ الْأَكْمَهَ وَالْأَبْرَصَ بِإِذْنِي ۖ وَإِذْ تُخْرِجُ الْمَوْتَىٰ بِإِذْنِي ۖ وَإِذْ كَفَفْتُ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَنكَ إِذْ جِئْتَهُم بِالْبَيِّنَاتِ فَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْهُمْ إِنْ هَـٰذَا إِلَّا سِحْرٌ مُّبِينٌ যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মারইয়াম! আমার অনুগ্রহ স্মরণ কর যা তোমার উপর ও তোমার মায়ের উপর (প্রদত্ত) হয়েছে। যখন আমি তোমাকে রুহুল কুদুস (জিবরীল আঃ) দ্বারা সাহায্য করেছি, (এবং) তুমি মানুষের সাথে কথা বলেছো (মায়ের) কোলে এবং প্রৌঢ় (পরিণত) বয়সেও আর যখন আমি তোমাকে কিতাব ও হিকমতের কথা এবং তাওরাত ও ইঞ্জিল শিক্ষা দিয়েছি, আর যখন তুমি আমার আদেশে মাটি দ্বারা পাখির আকৃতি সদৃশ এক আকৃতি প্রস্তুত করেছিলে, অতঃপর তুমি ওতে ফুঁৎকার দিতে, যার ফলে ওটা আমার আদেশে পাখি হয়ে যেতো, আর তুমি আমার আদেশে জন্মান্ধ ও কুষ্ঠরোগী নিরাময় করে দিতে; আর যখন তুমি আমার আদেশে মৃতদেরকে বের করে দাঁড় করাতে, আর যখন আমি বাণী ঈসরাইলকে (তোমাকে হত্যা করা হতে) নিবৃত্ত রেখেছি, যখন তুমি তাদের কাছে (স্বীয় নবুয়াতের) প্রমাণাদি নিয়ে হাজির হয়েছিলে, অতঃপর তাদের মধ্যে যারা কাফির ছিল তাঁরা বলেছিল এটা (মুজিযাসমূহ) স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়। |
১১১ | وَإِذْ أَوْحَيْتُ إِلَى الْحَوَارِيِّينَ أَنْ آمِنُوا بِي وَبِرَسُولِي قَالُوا آمَنَّا وَاشْهَدْ بِأَنَّنَا مُسْلِمُونَ আর যখন আমি হাওয়ারীদেরকে আদেশ করলাম- আমার প্রতি এবং আমার রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তারা বললো, আমরা ঈমান আনলাম এবং আপনি সাক্ষী থাকুন যে, আমরা পূর্ণ অনুগত। |
১১২ | إِذْ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ هَلْ يَسْتَطِيعُ رَبُّكَ أَن يُنَزِّلَ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ ۖ قَالَ اتَّقُوا اللَّهَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ (ঐ সময়টুকু স্মরণীয়) যখন হাওয়ারীরা বললোঃ হে ঈমা ইবনে মারইয়াম! আপনার প্রতিপালক কি এরূপ করতে পারেন যে, আমাদের জন্যে আকাশ হতে কিছু খাদ্য প্রেরণ করবেন? ঈসা বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হয়ে থাক। |
১১৩ | قَالُوا نُرِيدُ أَن نَّأْكُلَ مِنْهَا وَتَطْمَئِنَّ قُلُوبُنَا وَنَعْلَمَ أَن قَدْ صَدَقْتَنَا وَنَكُونَ عَلَيْهَا مِنَ الشَّاهِدِينَ তারা বললোঃ আমাদের উদ্দেশ্য এই যে, আমরা তা থেকে আহার করি এবং আমাদের অন্তর সম্পূর্ণ প্রশান্ত হয়ে যায়, আর আমাদের এই বিশ্বাস সুদৃঢ় হয় যে, আপনি আমাদের নিকট সত্য বলেছেন এবং আমরা এর প্রতি সাক্ষ্যদানকারীদের অন্তর্ভুক্ত হই। |
১১৪ | قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِّنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِّأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِّنكَ ۖ وَارْزُقْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ ঈসা ইবনে মারইয়াম দু’আ করলেনঃ হে আল্লাহ! হে আমাদের প্রভু, আমাদের জন্য আকাশ হতে খাদ্য অবতীর্ণ করুন যেন ওটা আমাদের জন্যে অর্থাৎ আমাদের মধ্যে যারা প্রথমে (বর্তমান আছে) এবং যারা পরে, সকলের জন্যে একটা আনন্দের বিষয় হয় এবং আপনার পক্ষ হতে এক নিদর্শন হয়ে থাকে, আর আমাদেরকে খাদ্য প্রদান করুন, বস্তুতঃ আপনি তো সর্বোত্তম খাদ্য প্রদানকারী। |
১১৫ | قَالَ اللَّهُ إِنِّي مُنَزِّلُهَا عَلَيْكُمْ ۖ فَمَن يَكْفُرْ بَعْدُ مِنكُمْ فَإِنِّي أُعَذِّبُهُ عَذَابًا لَّا أُعَذِّبُهُ أَحَدًا مِّنَ الْعَالَمِينَ আল্লাহ বললেনঃ আমি এই খাদ্য তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করবো, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে এর অকৃতজ্ঞ হবে, আমি তাকে এমন শাস্তি দেবো যে, বিশ্বাসীদের মধ্যে ঐ শাস্তি আর কাউকেও দেবো না। |
১১৬ | وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَا عِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَـٰهَيْنِ مِن دُونِ اللَّهِ ۖ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ ۚ إِن كُنتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ ۚ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ ۚ إِنَّكَ أَنتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ আর যখন আল্লাহ বলবেনঃ হে ঈসা ইবনে মারইয়াম! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে মা’বূদ নির্ধারণ করে নাও? ঈসা নিবেদন করবেন আমি তো আপনাকে পবিত্র মনে করি; আমার পক্ষে কোন ক্রমেই শোভনীয় ছিল না যে, আমি এমন কথা বলি যা বলবার কোনই অধিকার আমার নেই; যদি আমি বলে থাকি, তবে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে; আপনি তো আমার অন্তরস্থিত কথাও জানেন, পক্ষান্তরে আপনার অন্তরে যা কিছু রয়েছে আমি তা জানি না; সমস্ত গায়েবের বিষয় আপনিই জ্ঞাত। |
১১৭ | مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ ۚ وَكُنتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَّا دُمْتُ فِيهِمْ ۖ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنتَ أَنتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ ۚ وَأَنتَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ আমি তাদেরকে কিছুই বলিনি এটা ব্যতীত, যা আপনি আমাকে আদেশ করেছেন যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর, যিনি আমারও প্রতিপালক, তোমাদেরও প্রতিপালক, আর আমি তাদের সম্বন্ধে সাক্ষী ছিলাম যতক্ষণ তাদের মধ্যে ছিলাম, অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিয়েছেন। তখন আপনিই তাদের তত্ত্বাবধায়ক; আর আপনি সর্ব বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী। |
১১৮ | إِن تُعَذِّبْهُمْ فَإِنَّهُمْ عِبَادُكَ ۖ وَإِن تَغْفِرْ لَهُمْ فَإِنَّكَ أَنتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ আপনি যদি তাদেরকে শাস্তি প্রদান করেন, তবে ওরা তো আপনার বান্দা, আর যদি তাদেরকে ক্ষমা করে দেন তবে আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। |
১১৯ | قَالَ اللَّهُ هَـٰذَا يَوْمُ يَنفَعُ الصَّادِقِينَ صِدْقُهُمْ ۚ لَهُمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۚ رَّضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ وَرَضُوا عَنْهُ ۚ ذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ আল্লাহ বলবেনঃ এটা সেদিন, যেদিন সত্যবাদীদের সত্যবাদীতা কাজে আসবে, তারা জান্নাত প্রাপ্ত হবে, যার তলদেশে নহরসমূহ বইতে থাকবে, সেখানে তারা চিরস্থায়ী থাকবে। আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে; এটাই হচ্ছে মহা সফলতা। |
১২০ | لِلَّهِ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَمَا فِيهِنَّ ۚ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ আল্লাহর জন্যে রয়েছে নভোমণ্ডলের ও ভূ-মণ্ডলের রাজত্ব এবং ঐসমুদয় বস্তুর যা তাতে বিদ্যমান রয়েছে; আর তিনি সকল বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতাবান। |