২৫. সূরাঃ আল মু’মিনুন

আয়াতঅবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াত সংখ্যাঃ ৭৭
রুকূঃ ৬
০১

تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَىٰ عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيرًا

কত মহান তিনি যিনি তাঁর বান্দার প্রতি ‘ফুরকান’ (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন যাতে তিনি বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হতে পারেন।

০২

الَّذِي لَهُ مُلْكُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَلَمْ يَتَّخِذْ وَلَدًا وَلَمْ يَكُن لَّهُ شَرِيكٌ فِي الْمُلْكِ وَخَلَقَ كُلَّ شَيْءٍ فَقَدَّرَهُ تَقْدِيرًا

যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেননি; সার্বভৌমত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করেছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করেছেন যথাযথ অনুপাতে।

০৩

وَاتَّخَذُوا مِن دُونِهِ آلِهَةً لَّا يَخْلُقُونَ شَيْئًا وَهُمْ يُخْلَقُونَ وَلَا يَمْلِكُونَ لِأَنفُسِهِمْ ضَرًّا وَلَا نَفْعًا وَلَا يَمْلِكُونَ مَوْتًا وَلَا حَيَاةً وَلَا نُشُورًا

আর তারা তাঁর পরিবর্তে মা’বূদ রূপে গ্রহণ করেছে অপরকে, যারা কিছুই সৃষ্টি করে না; বরং তারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং তারা নিজেদের অপকার অথবা উপকার করবার ক্ষমতা রাখে না এবং জীবন, মৃত্যু ও পুনরুত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না।

০৪

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا إِنْ هَـٰذَا إِلَّا إِفْكٌ افْتَرَاهُ وَأَعَانَهُ عَلَيْهِ قَوْمٌ آخَرُونَ ۖ فَقَدْ جَاءُوا ظُلْمًا وَزُورًا

কাফিররা বলেঃ এটা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, সে এটা উদ্ভাবন করেছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকেরা তাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করেছে; এইরূপে তারা অবশ্যই যুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হয়েছে।

০৫

وَقَالُوا أَسَاطِيرُ الْأَوَّلِينَ اكْتَتَبَهَا فَهِيَ تُمْلَىٰ عَلَيْهِ بُكْرَةً وَأَصِيلًا

তারা বলেঃ এগুলো তো সেকালের উপকথা, যা সে লিখিয়ে নিয়েছে; এগুলো সকাল- সন্ধ্যায় তাঁর নিকট পাঠ করা হয়।

০৬

قُلْ أَنزَلَهُ الَّذِي يَعْلَمُ السِّرَّ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ إِنَّهُ كَانَ غَفُورًا رَّحِيمًا

বলঃ এটা তিনিই অবতীর্ণ করেছেন যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমুদয় রহস্য অবগত আছেন; তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

০৭

وَقَالُوا مَالِ هَـٰذَا الرَّسُولِ يَأْكُلُ الطَّعَامَ وَيَمْشِي فِي الْأَسْوَاقِ ۙ لَوْلَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَيَكُونَ مَعَهُ نَذِيرًا

তারা বলেঃ এ কেমন রাসূল যে আহার করে এবং হাটে বাজারে চলাফেরা করে? তার কাছে কোন ফেরেশতা কেন অবতীর্ণ করা হল না, যে তার সাথে থাকতো সতর্ককারীরূপে?

০৮

أَوْ يُلْقَىٰ إِلَيْهِ كَنزٌ أَوْ تَكُونُ لَهُ جَنَّةٌ يَأْكُلُ مِنْهَا ۚ وَقَالَ الظَّالِمُونَ إِن تَتَّبِعُونَ إِلَّا رَجُلًا مَّسْحُورًا

তাকে ধন-ভান্ডার দেয়া হয়নি কেন, অথবা তার একটি বাগান নেই কেন, যা হতে সে আহার সংগ্রহ করতে পারে? সীমালঙ্ঘহনকারীরা আরও বলেঃ তোমরা তো এক যাদুগ্রস্থ ব্যক্তিরই অনুসরণ করছো।

০৯

انظُرْ كَيْفَ ضَرَبُوا لَكَ الْأَمْثَالَ فَضَلُّوا فَلَا يَسْتَطِيعُونَ سَبِيلًا

দেখো, তারা তোমাকে কি উপমা দেয়, তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং তারা পথ পাবে না।

১০

تَبَارَكَ الَّذِي إِن شَاءَ جَعَلَ لَكَ خَيْرًا مِّن ذَٰلِكَ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِن تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَيَجْعَل لَّكَ قُصُورًا

কত মহান তিনি যিনি ইচ্ছা করলে তোমাকে দিতে পারেন এটা অপেক্ষা উৎকৃষ্টতর বস্তু, উদ্যানসমূহ যার নিম্নদেশে নদী-নালা প্রবাহিত এবং দিতে পারেন প্রাসাদসমূহ।

১১

بَلْ كَذَّبُوا بِالسَّاعَةِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لِمَن كَذَّبَ بِالسَّاعَةِ سَعِيرًا

কিন্তু তারা কিয়ামতকে অস্বীকার করেছে এবং যারা কিয়ামতকে অস্বীকার করে তাদের জন্যে আমি প্রস্তুত রেখেছি জ্বলন্ত অগ্নি।

১২

إِذَا رَأَتْهُم مِّن مَّكَانٍ بَعِيدٍ سَمِعُوا لَهَا تَغَيُّظًا وَزَفِيرًا

দূর হতে অগ্নি যখন তাদেরকে দেখবে তখন তারা শুনতে পাবে এর ক্রুদ্ধ গর্জন ও চিৎকার।

১৩

وَإِذَا أُلْقُوا مِنْهَا مَكَانًا ضَيِّقًا مُّقَرَّنِينَ دَعَوْا هُنَالِكَ ثُبُورًا

এবং যখন তাদেরকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় ওর কোন সঙ্কীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হবে তখন তারা সেখানে ধ্বংস কামনা করবে।

১৪

لَّا تَدْعُوا الْيَوْمَ ثُبُورًا وَاحِدًا وَادْعُوا ثُبُورًا كَثِيرًا

আজ তোমরা একবারের জন্যে ধ্বংস কামনা করো না; বরং বহুবার ধ্বংস হবার কামনা করতে থাকো।

১৫

قُلْ أَذَٰلِكَ خَيْرٌ أَمْ جَنَّةُ الْخُلْدِ الَّتِي وُعِدَ الْمُتَّقُونَ ۚ كَانَتْ لَهُمْ جَزَاءً وَمَصِيرًا

তাদেরকে জিজ্ঞেস করঃ এটাই শ্রেয়, না স্থায়ী জান্নাত, যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে মুত্তাকীদেরকে? এটাই তাদের পুরস্কার ও প্রত্যাবর্তন স্থল।

১৬

لَّهُمْ فِيهَا مَا يَشَاءُونَ خَالِدِينَ ۚ كَانَ عَلَىٰ رَبِّكَ وَعْدًا مَّسْئُولًا

সেখানে তারা যা কামনা করবে তাই পাবে এবং তারা স্থায়ী হবে, এই প্রতিশ্রুতি পূরণ তোমার প্রতিপালকেরই দায়িত্ব।

১৭

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ وَمَا يَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ فَيَقُولُ أَأَنتُمْ أَضْلَلْتُمْ عِبَادِي هَـٰؤُلَاءِ أَمْ هُمْ ضَلُّوا السَّبِيلَ

এবং যেদিন তিনি একত্রে করবেন তাদেরকে এবং তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদত করতো তাদেরকে তিনি সেদিন জিজ্ঞেস করবেনঃ তোমারই কি আমার এই বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত হয়েছিল?

১৮

قَالُوا سُبْحَانَكَ مَا كَانَ يَنبَغِي لَنَا أَن نَّتَّخِذَ مِن دُونِكَ مِنْ أَوْلِيَاءَ وَلَـٰكِن مَّتَّعْتَهُمْ وَآبَاءَهُمْ حَتَّىٰ نَسُوا الذِّكْرَ وَكَانُوا قَوْمًا بُورًا

তারা বলবেঃ আপনি পবিত্র ও মহান! আলনার পরিবর্তে আমরা অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করতে পারি না; আপনিই তো এদেরকে ও এদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়েছিলেন; পরিণামে তারা উপদেশ বিস্মৃত হয়েছিল এবং পরিণত হয়েছিল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে।

১৯

فَقَدْ كَذَّبُوكُم بِمَا تَقُولُونَ فَمَا تَسْتَطِيعُونَ صَرْفًا وَلَا نَصْرًا ۚ وَمَن يَظْلِم مِّنكُمْ نُذِقْهُ عَذَابًا كَبِيرًا

তোমরা যা বলতে তারা (উপাস্যগুলি) তা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না, সাহায্যও পাবে না। তোমাদের মধ্যে যে সীমালঙ্ঘন করবে আমি তাকে মহাশাস্তি আস্বাদন করাবো।

২০

وَمَا أَرْسَلْنَا قَبْلَكَ مِنَ الْمُرْسَلِينَ إِلَّا إِنَّهُمْ لَيَأْكُلُونَ الطَّعَامَ وَيَمْشُونَ فِي الْأَسْوَاقِ ۗ وَجَعَلْنَا بَعْضَكُمْ لِبَعْضٍ فِتْنَةً أَتَصْبِرُونَ ۗ وَكَانَ رَبُّكَ بَصِيرًا

তোমার পূর্বে আমি যে সব রাসূল প্রেরণ করেছি তাঁরা আহার করতেন ও হাটে-বাজারে চলাফেরা করতেন। আমি তোমাদের মধ্যে পরস্পরকে পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্যধারণ করবে কি? তোমার প্রতিপালক সবকিছু দেখেন।

২১

وَقَالَ الَّذِينَ لَا يَرْجُونَ لِقَاءَنَا لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْنَا الْمَلَائِكَةُ أَوْ نَرَىٰ رَبَّنَا ۗ لَقَدِ اسْتَكْبَرُوا فِي أَنفُسِهِمْ وَعَتَوْا عُتُوًّا كَبِيرًا

যারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তাঁরা বলেঃ আমাদের নিকট ফেরেশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালকের প্রত্যক্ষ করি না কেন? তারা তাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং তারা গুরুতর রূপে সীমালঙ্ঘন করেছে।

২২

يَوْمَ يَرَوْنَ الْمَلَائِكَةَ لَا بُشْرَىٰ يَوْمَئِذٍ لِّلْمُجْرِمِينَ وَيَقُولُونَ حِجْرًا مَّحْجُورًا

যেদিন তারা ফেরেশতাদেরকে প্রত্যক্ষ করবে সেদিন অপরাধীদের জন্যে সুসংবাদ থাকবে না এবং তারা বলবেঃ রক্ষা কর, রক্ষা কর।

২৩

وَقَدِمْنَا إِلَىٰ مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَّنثُورًا

আমি তাদের কৃতকর্মগুলোর দিকে অগ্রসর হবো, অতঃপর সেগুলোকে বিক্ষিপ্ত ধূলি-কণায় পরিণত করবো।

২৪

أَصْحَابُ الْجَنَّةِ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ مُّسْتَقَرًّا وَأَحْسَنُ مَقِيلًا

সেদিন জান্নাতবাসীদের জন্য বাসস্থান হবে উৎকৃষ্ট এবং বিশ্রামস্থল হবে মনোরম।

২৫

وَيَوْمَ تَشَقَّقُ السَّمَاءُ بِالْغَمَامِ وَنُزِّلَ الْمَلَائِكَةُ تَنزِيلًا

যেদিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হবে এবং ফেরেশতাদেরকে নামিয়ে দেয়া হবে।

২৬

الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ لِلرَّحْمَـٰنِ ۚ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا

সেদিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্যে সে দিন হবে কঠিন।

২৭

وَيَوْمَ يَعَضُّ الظَّالِمُ عَلَىٰ يَدَيْهِ يَقُولُ يَا لَيْتَنِي اتَّخَذْتُ مَعَ الرَّسُولِ سَبِيلًا

যালিম ব্যক্তি সেদিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবেঃ হায়, আমি যদি রাসূল (সঃ) –এর সাথে সৎপথ অবলম্বন করতাম।

২৮

يَا وَيْلَتَىٰ لَيْتَنِي لَمْ أَتَّخِذْ فُلَانًا خَلِيلًا

হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।

২৯

لَّقَدْ أَضَلَّنِي عَنِ الذِّكْرِ بَعْدَ إِذْ جَاءَنِي ۗ وَكَانَ الشَّيْطَانُ لِلْإِنسَانِ خَذُولًا

আমাকে তো সে বিভ্রান্ত করেছিল আমার নিকট উপদেশ পৌছবার পর; শয়তান মানুষের জন্যে মহাপ্রতারক।

৩০

وَقَالَ الرَّسُولُ يَا رَبِّ إِنَّ قَوْمِي اتَّخَذُوا هَـٰذَا الْقُرْآنَ مَهْجُورًا

রাসূল (সঃ) বললেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে।

৩১

وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَا لِكُلِّ نَبِيٍّ عَدُوًّا مِّنَ الْمُجْرِمِينَ ۗ وَكَفَىٰ بِرَبِّكَ هَادِيًا وَنَصِيرًا

(আল্লাহ বলেনঃ) এভাবেই প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছিলাম আমি অপরাধীদেরকে। তোমার জন্যে তোমার প্রতিপালকই পথ-প্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।

৩২

وَقَالَ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْلَا نُزِّلَ عَلَيْهِ الْقُرْآنُ جُمْلَةً وَاحِدَةً ۚ كَذَٰلِكَ لِنُثَبِّتَ بِهِ فُؤَادَكَ ۖ وَرَتَّلْنَاهُ تَرْتِيلًا

কাফিররা বলেঃ সমগ্র কুরআন তাঁর নিকট একবারে অবতীর্ণ হল না কেন? এভাবেই তোমার হৃদয়কে ওটা দ্বারা মজবুত করবার জন্যে এবং ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করেছি।

৩৩

وَلَا يَأْتُونَكَ بِمَثَلٍ إِلَّا جِئْنَاكَ بِالْحَقِّ وَأَحْسَنَ تَفْسِيرًا

তারা তোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করেনি যার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করিনি।

৩৪

الَّذِينَ يُحْشَرُونَ عَلَىٰ وُجُوهِهِمْ إِلَىٰ جَهَنَّمَ أُولَـٰئِكَ شَرٌّ مَّكَانًا وَأَضَلُّ سَبِيلًا

যাদেরকে মুখে ভর দিয়ে চলা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্রিত করা হবে, তাদেরই স্থান হবে অতি নিকৃষ্ট এবং তারাই সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।

৩৫

وَلَقَدْ آتَيْنَا مُوسَى الْكِتَابَ وَجَعَلْنَا مَعَهُ أَخَاهُ هَارُونَ وَزِيرًا

আমি মূসা (আঃ) –কে অবশ্যই অবশ্যই কিতাব দিয়েছিলাম এবং তাঁর ভ্রাতা হারূনকে তাঁর সাহায্যকারী করেছিলাম।

৩৬

فَقُلْنَا اذْهَبَا إِلَى الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا فَدَمَّرْنَاهُمْ تَدْمِيرًا

এবং বলেছিলামঃ তোমরা সেই সম্প্রদায়ের নিকট যাও যারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করেছে; অতপর আমি তাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করেছিলাম।

৩৭

وَقَوْمَ نُوحٍ لَّمَّا كَذَّبُوا الرُّسُلَ أَغْرَقْنَاهُمْ وَجَعَلْنَاهُمْ لِلنَّاسِ آيَةً ۖ وَأَعْتَدْنَا لِلظَّالِمِينَ عَذَابًا أَلِيمًا

আর নুহের (আঃ) সম্প্রদায় যখন রাসূলদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করলো তখন আমি তাদেরকে নিমজ্জিত করলাম এবং তাদেরকে মানব জাতির জন্যে নিদর্শন স্বরূপ করে রাখলাম; যালিমদের জন্যে আমি পীড়াদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি।

৩৮

وَعَادًا وَثَمُودَ وَأَصْحَابَ الرَّسِّ وَقُرُونًا بَيْنَ ذَٰلِكَ كَثِيرًا

আমি ধ্বংস করেছিলাম ‘আদ, সামূদ, রাস-বাসী এবং তাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কেও।

৩৯

وَكُلًّا ضَرَبْنَا لَهُ الْأَمْثَالَ ۖ وَكُلًّا تَبَّرْنَا تَتْبِيرًا

আমি তাদের প্রত্যেকের জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছিলাম, আর তাদের সকলকেই আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিলাম।

৪০

وَلَقَدْ أَتَوْا عَلَى الْقَرْيَةِ الَّتِي أُمْطِرَتْ مَطَرَ السَّوْءِ ۚ أَفَلَمْ يَكُونُوا يَرَوْنَهَا ۚ بَلْ كَانُوا لَا يَرْجُونَ نُشُورًا

তারা তো সেই জনপদ দিয়েই যাতায়াত করে যার উপর বর্ষিত হয়েছিল অকল্যাণের বৃষ্টি, তবে কি তারা এটা প্রত্যক্ষ করে না? বস্তুতঃ তারা পুনরুত্থানের আশঙ্কা করে না।

৪১

وَإِذَا رَأَوْكَ إِن يَتَّخِذُونَكَ إِلَّا هُزُوًا أَهَـٰذَا الَّذِي بَعَثَ اللَّهُ رَسُولًا

তারা যখন তোমাকে দেখে তখন শুধু তোমাকে ঠাট্টা-বিদ্রুপের পাত্র রূপে গণ্য করে এবং বলেঃ এই কি সে, যাকে আল্লাহ রাসূল করে পাঠিয়েছেন?

৪২

إِن كَادَ لَيُضِلُّنَا عَنْ آلِهَتِنَا لَوْلَا أَن صَبَرْنَا عَلَيْهَا ۚ وَسَوْفَ يَعْلَمُونَ حِينَ يَرَوْنَ الْعَذَابَ مَنْ أَضَلُّ سَبِيلًا

সে আমাদেরকে আমাদের দেবতাগণ হতে দূরে সরিয়ে দিতো যদি না আমরা তাদের আনুগত্য ধৈর্যের সাথে (প্রতিষ্ঠিত) থাকতাম; যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন তারা জানবে কে সর্বাধিক পথভ্রষ্ট।

৪৩

أَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَـٰهَهُ هَوَاهُ أَفَأَنتَ تَكُونُ عَلَيْهِ وَكِيلًا

তুমি কি দেখো না তাকে, যে তার প্রবৃত্তিকে মা’বূদ রূপে গ্রহণ করে? তবুও কি তুমি তার জিম্মাদার হবে?

৪৪

أَمْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ ۚ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ ۖ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا

তুমি কি মনে কর যে, তাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? তারা পশুর মত বরং তারা আরও পথভ্রষ্ট।

৪৫

أَلَمْ تَرَ إِلَىٰ رَبِّكَ كَيْفَ مَدَّ الظِّلَّ وَلَوْ شَاءَ لَجَعَلَهُ سَاكِنًا ثُمَّ جَعَلْنَا الشَّمْسَ عَلَيْهِ دَلِيلًا

তুমি কি তোমার প্রতিপালকের প্রতি লক্ষ্য কর না কিভাবে তিনি ছায়া সম্প্রসারিত করেন? তিনি চাইলে এটাকে স্থির রাখতে পারতেন; ফলে আমি সূর্যকে করেছি এর নির্দেশক।

৪৬

ثُمَّ قَبَضْنَاهُ إِلَيْنَا قَبْضًا يَسِيرًا

অতঃপর আমি ওকে আমার দিকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে আনি।

৪৭

وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ لَكُمُ اللَّيْلَ لِبَاسًا وَالنَّوْمَ سُبَاتًا وَجَعَلَ النَّهَارَ نُشُورًا

এবং তিনিই তোমাদের জন্যে রাত্রিকে করেছেন আবরণ স্বরূপ, বিশ্রামের জন্যে তোমাদের দিয়েছেন নিদ্রা এবং জাগ্রত হওয়ার জন্যে দিয়েছেন দিবস।

৪৮

وَهُوَ الَّذِي أَرْسَلَ الرِّيَاحَ بُشْرًا بَيْنَ يَدَيْ رَحْمَتِهِ ۚ وَأَنزَلْنَا مِنَ السَّمَاءِ مَاءً طَهُورًا

তিনিই স্বীয় রহমতে সুসংবাদ বহনকারী রূপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং আমি আকাশ হতে পবিত্র পানি বর্ষণ করি।

৪৯

لِّنُحْيِيَ بِهِ بَلْدَةً مَّيْتًا وَنُسْقِيَهُ مِمَّا خَلَقْنَا أَنْعَامًا وَأَنَاسِيَّ كَثِيرًا

যার দ্বারা আমি মৃত ভূ-খন্ডকে জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে বহু জীব-জন্তু ও মানুষকে তা পান করাই।

৫০

وَلَقَدْ صَرَّفْنَاهُ بَيْنَهُمْ لِيَذَّكَّرُوا فَأَبَىٰ أَكْثَرُ النَّاسِ إِلَّا كُفُورًا

আর আমি এটা তাদের মধ্যে বিতরণ করি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে; তা সত্ত্বেও অধিকাংশ লোক অস্বীকার করল; কিন্তু কুফুরী করা হতে (অস্বীকার করল না।)

২৫. সূরাঃ আল মু’মিনুন

আয়াতঅবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াত সংখ্যাঃ ৭৭
রুকূঃ ৬
৫১

وَلَوْ شِئْنَا لَبَعَثْنَا فِي كُلِّ قَرْيَةٍ نَّذِيرًا

আমি ইচ্ছা করলে প্রতিটি জনপদে একজন সতর্ককারী প্রেরণ করতে পারতাম।

৫২

فَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَجَاهِدْهُم بِهِ جِهَادًا كَبِيرًا

সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করো না এবং তুমি তার (কুরআনের) সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে প্রবল সংগ্রাম চালিয়ে যাও।

৫৩

وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَـٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَـٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا

তিনিই দুই মসুদ্রকে মিলিত ভাবে প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্টি, মজাদার এবং অপরটি লবণাক্ত, বিস্বাদ; উভয়ের মধ্যে রেখেছেন এক অন্তরায়, এক শক্ত ব্যবধান।

৫৪

وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا فَجَعَلَهُ نَسَبًا وَصِهْرًا ۗ وَكَانَ رَبُّكَ قَدِيرًا

এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পানি হতে; অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করেছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান।

৫৫

وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُهُمْ وَلَا يَضُرُّهُمْ ۗ وَكَانَ الْكَافِرُ عَلَىٰ رَبِّهِ ظَهِيرًا

তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করে যারা তাদের উপকার করতে পারে না, অপকারও করতে পারে না, কাফির তো স্বীয় প্রতিপালকের বিরোধী।

৫৬

وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا مُبَشِّرًا وَنَذِيرًا

আমি তোমাকে শুধু সুসংবাদ-দাতা ও সতর্ককারী রূপেই প্রেরণ করেছি।

৫৭

قُلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِلَّا مَن شَاءَ أَن يَتَّخِذَ إِلَىٰ رَبِّهِ سَبِيلًا

বলঃ আমি তোমাদের নিকট এর জন্যে কোন প্রতিবাদন চাই না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তার প্রতিপালকের পথ অবলম্বন করুক।

৫৮

وَتَوَكَّلْ عَلَى الْحَيِّ الَّذِي لَا يَمُوتُ وَسَبِّحْ بِحَمْدِهِ ۚ وَكَفَىٰ بِهِ بِذُنُوبِ عِبَادِهِ خَبِيرًا

তুমি নির্ভর কর সেই চিরঞ্জীবের উপর, যার মৃত্যু নেই এবং তাঁর প্রশংসা মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তাঁর বান্দাদের পাপ সম্পর্কে অবহিত।

৫৯

الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ اسْتَوَىٰ عَلَى الْعَرْشِ ۚ الرَّحْمَـٰنُ فَاسْأَلْ بِهِ خَبِيرًا

তিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী এবং ওগুলোর মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেন; অতঃপর তিনি আরশের উপর সমুন্নীত হন; তিনিই রহমান, তাঁর স্মব্দনহে যে অবগত আছে তাকে জিজ্ঞেস করে দেখো।

৬০

وَإِذَا قِيلَ لَهُمُ اسْجُدُوا لِلرَّحْمَـٰنِ قَالُوا وَمَا الرَّحْمَـٰنُ أَنَسْجُدُ لِمَا تَأْمُرُنَا وَزَادَهُمْ نُفُورًا ۩

যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ সিজদাবনত হও ‘রহমান’ –এর প্রতি, তখন তারা বলেঃ রহমান আবার কে? তুমি কাউকেও সিজদা করতে বললেই কি আমরা তাকে সিজদা করবো? এতে তাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়।

৬১

تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَاجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا

কত মহান তিনি যিনি আকাশে সৃষ্টি করেছেন বড় বড় তারকাপুঞ্জ এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ (সূর্য) ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র!

৬২

وَهُوَ الَّذِي جَعَلَ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ خِلْفَةً لِّمَنْ أَرَادَ أَن يَذَّكَّرَ أَوْ أَرَادَ شُكُورًا

এবং যারা উপদেশ গ্রহণ করতে ও কৃতজ্ঞ হতে চায় তাদের জন্যে তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি এবং দিবসকে পরস্পরের অনুগামীরূপে।

৬৩

وَعِبَادُ الرَّحْمَـٰنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا

‘রহমান’ এর বান্দা তারাই যারা নম্রভাবে চলাফেরা করে পৃথিবীতে এবং তাদেরকে যখন অজ্ঞ লোকেরা সম্বোধন করে তখন তারা বলেঃ ‘সালাম’।

৬৪

وَالَّذِينَ يَبِيتُونَ لِرَبِّهِمْ سُجَّدًا وَقِيَامًا

এবং তারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজদারত হয়ে ও দন্ডায়মান থেকে।

৬৫

وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا

এবং তারা বলেঃ হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হতে জাহান্নামের শাস্তি দূরীভূত করুন; নিশ্চয়ই ওর শাস্তি তো আঁকড়ে থাকার জিনিস।

৬৬

إِنَّهَا سَاءَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا

অবস্থান ও বসবাসের স্থান হিসেবে ওটা কত নিকৃষ্ট!

৬৭

وَالَّذِينَ إِذَا أَنفَقُوا لَمْ يُسْرِفُوا وَلَمْ يَقْتُرُوا وَكَانَ بَيْنَ ذَٰلِكَ قَوَامًا

আর যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না; বরং তারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যমপন্থায়।

৬৮

وَالَّذِينَ لَا يَدْعُونَ مَعَ اللَّهِ إِلَـٰهًا آخَرَ وَلَا يَقْتُلُونَ النَّفْسَ الَّتِي حَرَّمَ اللَّهُ إِلَّا بِالْحَقِّ وَلَا يَزْنُونَ ۚ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ يَلْقَ أَثَامًا

এবং তারা আল্লাহর সাথে কোন উপাস্যকে ডাকে না; আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে তারা হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না; যে এগুলো করে সে শাস্তি ভোগ করবে।

৬৯

يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا

কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়।

৭০

إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُولَـٰئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

তারা নয়, যারা তাওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে; আল্লাহ তাদের পাপ পরিবর্তন করে দিবেন পুণ্যের দ্বারা; আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

৭১

وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا

যে ব্যক্তি তাওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ অভিমুখী হয়।

৭২

وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا

আর যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং যখন তারা অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হয় তখন স্বীয় সম্মানের সাথে তা পরিহার করে চলে।

৭৩

وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوا عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا

এবং যারা তাদের প্রতিপালকের আয়াত দ্বারা উপদেশ প্রদান করলে অন্ধ এবং বধির সদৃশ আচরণ করে না।

৭৪

وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا

আর যারা প্রার্থনা করে –হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্যে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের জন্যে চক্ষুশীতলকারী এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে ইমাম করুন।

৭৫

أُولَـٰئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا

তাদেরকে প্রতিদান স্বরূপ দেয়া হবে (জান্নাতে) বালাখানা, যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল, তাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা দেয়া হবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে।

৭৬

خَالِدِينَ فِيهَا ۚ حَسُنَتْ مُسْتَقَرًّا وَمُقَامًا

সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসেবে তা কত উৎকৃষ্ট।

৭৭

قُلْ مَا يَعْبَأُ بِكُمْ رَبِّي لَوْلَا دُعَاؤُكُمْ ۖ فَقَدْ كَذَّبْتُمْ فَسَوْفَ يَكُونُ لِزَامًا

বলঃ তোমরা আমার প্রতিপালকে না ডাকলে তিনি তোমাদেরকে পরওয়া করেন না; তোমরা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছো, ফলে অচিরে নেমে আসবে অপরিহার্য শাস্তি।

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x