২১. সূরাঃ আম্বিয়া

আয়াতঅবতীর্ণঃ মক্কা
আয়াত সংখ্যাঃ ১১২
রুকূঃ ০৭
৫১وَلَقَدْ آتَيْنَا إِبْرَاهِيمَ رُشْدَهُ مِن قَبْلُ وَكُنَّا بِهِ عَالِمِينَ
আমি তো এর পূর্বে ইব্রাহীমকে (আঃ) সৎপথের জ্ঞান দিয়েছিলাম এবং আমি তাঁর সম্বন্ধে ছিলাম সম্যক অবগত।
৫২إِذْ قَالَ لِأَبِيهِ وَقَوْمِهِ مَا هَـٰذِهِ التَّمَاثِيلُ الَّتِي أَنتُمْ لَهَا عَاكِفُونَ
যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেনঃ এই মূর্তিগুলি কি? যেগুলোর পূজায় তোমরা রত আছ? (যেগুলোর পূজা তোমরা করছ?)
৫৩قَالُوا وَجَدْنَا آبَاءَنَا لَهَا عَابِدِينَ
তারা বললঃ আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে এদের পূজাকারী হিসেবে পেয়েছি।
৫৪قَالَ لَقَدْ كُنتُمْ أَنتُمْ وَآبَاؤُكُمْ فِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনি বললেনঃ তোমরা নিজেরা এবং তোমাদের পিতৃ-পুরুষরাও রয়েছো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।
৫৫قَالُوا أَجِئْتَنَا بِالْحَقِّ أَمْ أَنتَ مِنَ اللَّاعِبِينَ
তারা বললঃ তুমি কি আমাদের নিকট সত্য এনেছো, না তুমি খেল-তামাশা করছো?
৫৬قَالَ بَل رَّبُّكُمْ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ الَّذِي فَطَرَهُنَّ وَأَنَا عَلَىٰ ذَٰلِكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ
তিনি বললেনঃ না, তোমাদের প্রতিপালক তো আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর প্রতিপালক, যিনি ওগুলি সৃষ্টি করেছেন এবং এই বিষয়ে আমি অন্যতম সাক্ষী।
৫৭وَتَاللَّهِ لَأَكِيدَنَّ أَصْنَامَكُم بَعْدَ أَن تُوَلُّوا مُدْبِرِينَ
শপথ আল্লাহর, তোমরা চলে গেলে আমি তোমাদের মূর্তিগুলি সম্বন্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা অবলম্বন করবো।
৫৮فَجَعَلَهُمْ جُذَاذًا إِلَّا كَبِيرًا لَّهُمْ لَعَلَّهُمْ إِلَيْهِ يَرْجِعُونَ
অতঃপর তিনি সেগুলিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিলেন তাদের বড় (প্রধান) মূর্তিটি ব্যতীত, যাতে তারা তার দিকে ফিরে আসে।
৫৯قَالُوا مَن فَعَلَ هَـٰذَا بِآلِهَتِنَا إِنَّهُ لَمِنَ الظَّالِمِينَ
তারা বললঃ আমাদের উপাস্যগুলির প্রতি এরূপ করলো কে? সে নিশ্চয়ই অত্যাচারী।
৬০قَالُوا سَمِعْنَا فَتًى يَذْكُرُهُمْ يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ
কেউ কেউ বললঃ আমরা এক যুবককে ওদের সমালোচনা করতে শুনেছি, তার নাম ইব্রাহীম।
৬১قَالُوا فَأْتُوا بِهِ عَلَىٰ أَعْيُنِ النَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَشْهَدُونَ
তারা বললঃ তাকে উপস্থিত কর লোক সম্মুখে, যাতে তারা সাক্ষ্য দিতে পারে।
৬২قَالُوا أَأَنتَ فَعَلْتَ هَـٰذَا بِآلِهَتِنَا يَا إِبْرَاهِيمُ
তারা বললঃ হে ইব্রাহীম! তুমিই কি আমাদের উপাস্যগুলির উপর এরূপ করেছো?
৬৩قَالَ بَلْ فَعَلَهُ كَبِيرُهُمْ هَـٰذَا فَاسْأَلُوهُمْ إِن كَانُوا يَنطِقُونَ
তিনি বললেনঃ বরং তাদের এই প্রধানই তো একাজ করেছে, অতএব এদেরকেই জিজ্ঞেস কর যদি ওরা কথা বলতে পার।
৬৪فَرَجَعُوا إِلَىٰ أَنفُسِهِمْ فَقَالُوا إِنَّكُمْ أَنتُمُ الظَّالِمُونَ
তখন তারা মনে মনে চিন্তা করে দেখলো এবং এঁকে অপরকে বলতে লাগলোঃ তোমরাই তো অত্যাচারী।
৬৫ثُمَّ نُكِسُوا عَلَىٰ رُءُوسِهِمْ لَقَدْ عَلِمْتَ مَا هَـٰؤُلَاءِ يَنطِقُونَ
অতঃপর তাদের মস্তক অবনত হয়ে গেলে এবং তারা বললঃ তুমি তো জানই যে, এরা কথা বলে না।
৬৬قَالَ أَفَتَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ مَا لَا يَنفَعُكُمْ شَيْئًا وَلَا يَضُرُّكُمْ
তিনি বললেনঃ তবে কি তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত কর যারা তোমাদের কোন উপকার করতে পারে না, ক্ষতিও করতে পারে না?
৬৭أُفٍّ لَّكُمْ وَلِمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ ۖ أَفَلَا تَعْقِلُونَ
ধিক তোমাদেরকে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর তাদেরকে। তবে কি তোমরা বুঝবে না।
৬৮قَالُوا حَرِّقُوهُ وَانصُرُوا آلِهَتَكُمْ إِن كُنتُمْ فَاعِلِينَ
তারা বললঃ তাকে পুড়িয়ে দাও এবং সাহায্য কর তোমাদের দেবতাগুলিকে যদি তোমরা কিছু করতে চাও।
৬৯قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ
আমি বললামঃ হে অগ্নি! তুমি ইব্রাহীমের (আঃ) জন্যে শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও।
৭০وَأَرَادُوا بِهِ كَيْدًا فَجَعَلْنَاهُمُ الْأَخْسَرِينَ
তারা তাঁর ক্ষতি সাধনের ইচ্ছা করেছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে করে দিলাম সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ।
৭১وَنَجَّيْنَاهُ وَلُوطًا إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا لِلْعَالَمِينَ
আর আমি তাঁকে ও লূতকে (আঃ) উদ্ধার করে নিয়ে গেলাম সেই দেশে (সিরিয়ায়) যেথায় আমি কল্যাণ রেখেছি বিশ্ববাসীর জন্যে।
৭২وَوَهَبْنَا لَهُ إِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ نَافِلَةً ۖ وَكُلًّا جَعَلْنَا صَالِحِينَ
এবং আমি ইব্রাহীমকে (আঃ) দান করেছিলাম ইসহাক এবং অতিরিক্ত (পৌত্ররূপে) ইয়াকুবকে (আঃ); আর প্রত্যেককেই করেছিলাম সৎকর্মপরায়ণ।
৭৩وَجَعَلْنَاهُمْ أَئِمَّةً يَهْدُونَ بِأَمْرِنَا وَأَوْحَيْنَا إِلَيْهِمْ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَإِقَامَ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءَ الزَّكَاةِ ۖ وَكَانُوا لَنَا عَابِدِينَ
আর আমি তাদেরকে করে ছিলাম নেতা; তারা আমার নির্দেশ অনুসারে মানুষকে পথপ্রদর্শন করতো; তাদের কাছে আমি ওহী প্রেরণ করেছিলাম সৎকর্ম করতে, নামায কায়েম করতে এবং যাকাত প্রদান করতে তারা আমারই ইবাদত করতো।
৭৪وَلُوطًا آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْقَرْيَةِ الَّتِي كَانَت تَّعْمَلُ الْخَبَائِثَ ۗ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَاسِقِينَ
এবং লূতকে (আঃ) দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান, আর তাঁকে উদ্ধার করেছিলাম এমন এক জনপদ হতে যার অধিবাসীরা লিপ্ত ছিল অশ্লীল কর্মে; তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদায়; সত্যত্যাগী (ফাসিক)।
৭৫وَأَدْخَلْنَاهُ فِي رَحْمَتِنَا ۖ إِنَّهُ مِنَ الصَّالِحِينَ
এবং তাঁকে আমি আমার অনুগ্রহ ভাজন করেছিলাম; নিশ্চয় তিনি ছিলেন সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত।
৭৬وَنُوحًا إِذْ نَادَىٰ مِن قَبْلُ فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِيمِ
স্মরণ কর নূহকে (আঃ); পূর্বে তিনি যখন আহ্বান করেছিলেন তখন আমি সাড়া দিয়েছিলাম তাঁর আহ্বানে এবং তাকে ও তার পরিজন বর্গকে মহাসঙ্কট হতে উদ্ধার করেছিলাম।
৭৭وَنَصَرْنَاهُ مِنَ الْقَوْمِ الَّذِينَ كَذَّبُوا بِآيَاتِنَا ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا قَوْمَ سَوْءٍ فَأَغْرَقْنَاهُمْ أَجْمَعِينَ
এবং আমি তাকে সাহায্য করেছিলাম সে সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যারা আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকার করেছিল, তারা ছিল এক মন্দ সম্প্রদায়; এ জন্যে তাদের সকলকে আমি নিমজ্জিত করেছিলাম।
৭৮وَدَاوُودَ وَسُلَيْمَانَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِي الْحَرْثِ إِذْ نَفَشَتْ فِيهِ غَنَمُ الْقَوْمِ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِينَ
এবং (স্মরণ কর) দাউদ (আঃ) ও সুলাইমানের (আঃ) কথা, যখন তাঁরা বিচার করছিলেন শস্য ক্ষেত্র সম্পর্কে; তাতে রাত্রিকালে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ; আমি প্রত্যক্ষ করছিলাম তাদের বিচার।
৭৯فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ ۚ وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا ۚ وَسَخَّرْنَا مَعَ دَاوُودَ الْجِبَالَ يُسَبِّحْنَ وَالطَّيْرَ ۚ وَكُنَّا فَاعِلِينَ
এবং আমি সুলাইমানকে (আঃ) এ বিষয়ের মীমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাঁদের প্রত্যেককে আমি দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান; আমি পর্বত ও পাখিদের জন্যে নিয়ম করে দিয়েছিলাম যেন ওরা দাউদের (আঃ) সাথে আমার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে; আমিই ছিলাম এই সবের কর্তা।
৮০وَعَلَّمْنَاهُ صَنْعَةَ لَبُوسٍ لَّكُمْ لِتُحْصِنَكُم مِّن بَأْسِكُمْ ۖ فَهَلْ أَنتُمْ شَاكِرُونَ
আমি তাকে তোমাদের জন্যে বর্ম নির্মাণ শিক্ষা দিয়েছিলাম, যাতে ওটা তোমাদের যুদ্ধে তোমাদেরকে রক্ষা করে; সুতরাং তোমরা কি কৃতজ্ঞ হবে না?
৮১وَلِسُلَيْمَانَ الرِّيحَ عَاصِفَةً تَجْرِي بِأَمْرِهِ إِلَى الْأَرْضِ الَّتِي بَارَكْنَا فِيهَا ۚ وَكُنَّا بِكُلِّ شَيْءٍ عَالِمِينَ
এবং সুলাইমানের (আঃ) বশীভূত করে দিয়েছিলাম প্রবল বায়ুকে; তা তাঁর আদেশক্রমে প্রবাহিত হতো সেইদ দেশের দিকে যেখানে আমি কল্যাণ রেখেছি; প্রত্যেক বিষয় সম্পর্কে আমি সম্যক অবগত।
৮২وَمِنَ الشَّيَاطِينِ مَن يَغُوصُونَ لَهُ وَيَعْمَلُونَ عَمَلًا دُونَ ذَٰلِكَ ۖ وَكُنَّا لَهُمْ حَافِظِينَ
এবং শয়তানদের মধ্যে কতক তার জন্যে ডুবুরীর কাজ করতো, এটা ছাড়া অন্য কাজও করতো, আমি তাঁদের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতাম।
৮৩وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
আর (স্মরণ কর) আইয়ুবের (আঃ) কথা, যখন সে তার প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আপনি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
৮৪فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِن ضُرٍّ ۖ وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُم مَّعَهُمْ رَحْمَةً مِّنْ عِندِنَا وَذِكْرَىٰ لِلْعَابِدِينَ
তখন আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিলাম, তাঁর দুঃখ-কষ্ট দূরীভুত করে দিলাম, আর তার পরিবার পরিজনকে তাঁর নিকট ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। তাদের সাথে তাদের মত আরও দিয়েছিলাম আমার বিশেষ রহমত এবং ইবাদতকারীদের জন্যে উপদেশ।
৮৫وَإِسْمَاعِيلَ وَإِدْرِيسَ وَذَا الْكِفْلِ ۖ كُلٌّ مِّنَ الصَّابِرِينَ
আর (স্মরণ কর) ইসমাইল (আঃ) ইদরীস (আঃ) এবং যুলকিফল-এর কথা তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল।
৮৬وَأَدْخَلْنَاهُمْ فِي رَحْمَتِنَا ۖ إِنَّهُم مِّنَ الصَّالِحِينَ
এবং তাদেরকে আমি আমার অনুগ্রহভাজন করেছিলাম, তাঁরা ছিলেন সৎ কর্মপরায়ণ।
৮৭وَذَا النُّونِ إِذ ذَّهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَن لَّن نَّقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَىٰ فِي الظُّلُمَاتِ أَن لَّا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
আর (স্মরণ কর) যুন-নুন (ইউনুস)-এর কথা, যখন তিনি ক্রোধভরে বের হয়ে গিয়েছিলেন এবং মনে করেছিলেন আমি তার উপর কোন ক্ষমতা রাখি না; অতঃপর তিনি অন্ধকার হতে সত্য আহ্বান করেছিলেনঃ আপনি ছাড়া কোন (সত্য) মা’বূদ নেই; আপনি পবিত্র, মহান; আমিতো অত্যাচারীদের একজন।
৮৮فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَنَجَّيْنَاهُ مِنَ الْغَمِّ ۚ وَكَذَٰلِكَ نُنجِي الْمُؤْمِنِينَ
তখন আমি তাঁর ডাকে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাঁকে উদ্ধার করেছিলাম দুশ্চিন্তা হতে এবং এভাবেই আমি মু’মিনদেরকে উদ্ধার করে থাকি।
৮৯وَزَكَرِيَّا إِذْ نَادَىٰ رَبَّهُ رَبِّ لَا تَذَرْنِي فَرْدًا وَأَنتَ خَيْرُ الْوَارِثِينَ
এবং (স্মরণ কর) যাকারিয়ার (আঃ) কথা, যখন তিনি তাঁর প্রতিপালককে আহ্বান করে বলেছিলেনঃ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে একা (সন্তানহীন) ছেড়ে দিওনা এবং আপনিই সর্বোত্তম উত্তরাধিকারী।
৯০فَاسْتَجَبْنَا لَهُ وَوَهَبْنَا لَهُ يَحْيَىٰ وَأَصْلَحْنَا لَهُ زَوْجَهُ ۚ إِنَّهُمْ كَانُوا يُسَارِعُونَ فِي الْخَيْرَاتِ وَيَدْعُونَنَا رَغَبًا وَرَهَبًا ۖ وَكَانُوا لَنَا خَاشِعِينَ
অতঃপর আমি তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলাম এবং তাঁকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়াকে (আঃ), আর তাঁর জন্যে স্ত্রীকে যোগ্যতা সম্পন্ন করেছিলাম; তাঁরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করতেন, তাঁরা আমাকে ডাকতেন আশা ও ভীতির সাথে এবং তারা ছিলেন আমার নিকট বিনীত।
৯১وَالَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهَا مِن رُّوحِنَا وَجَعَلْنَاهَا وَابْنَهَا آيَةً لِّلْعَالَمِينَ
আর (স্মরণ কর) সেই নারীকে (মারয়ামকে) যিনি নিজ সতীত্বকে রক্ষা করেছিলেন, অতঃপর তার মধ্যে আমি আমার রূহ হতে ফুঁ’কে দিয়েছিলাম এবং তাঁকে ও তাঁর পুত্রকে করেছিলাম বিশ্ববাসীর জন্য এক নিদর্শন।
৯২إِنَّ هَـٰذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ
এ হচ্ছে তোমাদেরই জাতি এটা তো একি জাতি এবং আমিই তোমাদের প্রতিপালক, অতএব আমারই ইবাদত কর।
৯৩وَتَقَطَّعُوا أَمْرَهُم بَيْنَهُمْ ۖ كُلٌّ إِلَيْنَا رَاجِعُونَ
কিন্তু মানুষ নিজেদের কার্যকলাপে পরস্পরের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করেছে; প্রত্যেকেই আমার নিকট প্রত্যাবর্তনকারী।
৯৪فَمَن يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَا كُفْرَانَ لِسَعْيِهِ وَإِنَّا لَهُ كَاتِبُونَ
সুতরাং যদি কেউ মু’মিন হয়ে সৎকর্ম করে তবে তার কর্ম প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না এবং আমি তো তা লিখে রাখি।
৯৫وَحَرَامٌ عَلَىٰ قَرْيَةٍ أَهْلَكْنَاهَا أَنَّهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
যে জনপদকে আমি ধ্বংস করেছি তার সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যে, তার অধিবাসীবৃন্দ ফিরে আসবে না।
৯৬حَتَّىٰ إِذَا فُتِحَتْ يَأْجُوجُ وَمَأْجُوجُ وَهُم مِّن كُلِّ حَدَبٍ يَنسِلُونَ
এমন কি যখন ইয়াজুজ ও মা’জুজকে মুক্তি দেয়া হবে এবং তারা প্রত্যেক উঁচু ভূমি হতে ছুটে আসবে।
৯৭وَاقْتَرَبَ الْوَعْدُ الْحَقُّ فَإِذَا هِيَ شَاخِصَةٌ أَبْصَارُ الَّذِينَ كَفَرُوا يَا وَيْلَنَا قَدْ كُنَّا فِي غَفْلَةٍ مِّنْ هَـٰذَا بَلْ كُنَّا ظَالِمِينَ
সত্য প্রতিশ্রুতির সময় আসন্ন হলে অকস্মাৎ কাফিরদের চক্ষু স্থির হয়ে যাবে, তারা বলবেঃ হয় দুর্ভোগ আমাদের! আমরা তো ছিলাম এ বিষয়ে উদাসীন; বরং আমরা তো যালিম ছিলাম।
৯৮إِنَّكُمْ وَمَا تَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللَّهِ حَصَبُ جَهَنَّمَ أَنتُمْ لَهَا وَارِدُونَ
তোমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ইবাদত কর সেগুলি তো জাহান্নামের ইন্ধন; তোমরা সবাই তাতে প্রবেশ করবে।
৯৯لَوْ كَانَ هَـٰؤُلَاءِ آلِهَةً مَّا وَرَدُوهَا ۖ وَكُلٌّ فِيهَا خَالِدُونَ
যদি তারা উপাস্য হতো তবে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করতো না; তাদের সবাই তাতে স্থায়ী হবে।
১০০لَهُمْ فِيهَا زَفِيرٌ وَهُمْ فِيهَا لَا يَسْمَعُونَ
সেথায় থাকবে তাদের আর্তনাদ এবং সেথায় তারা কিছুই শুনতে পাবে না।

 

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x