হযরত আবূ মূসা (রাঃ) হইতে ধারাবাহিকভাবে আবূ বুরদা, ইয়াযীদ ইব্ন আবদুল্লাহ্ ইব্ন আবূ বুরদা, ইয়াহিয়া হাম্মানী, মুহাম্মদ ইব্ন খাল্ফ, আবূ বকর ও ইমাম বুখারী (রঃ) বর্ণনা করিয়াছেন যে, হযরত আবূ মূসা (রা) বলেনঃ
একদা নবী করীম (সাঃ) আমাকে বলিলেন- ‘ওহে আবূ মূসা ! তুমি নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তা’আলার নিকট হইতে দাউদ (আঃ)-এর বংশধরদের একটি বাঁশী লাভ করিয়াছ।’ (উহা দ্বারা নবী করীম (সাঃ) হযরত আবূ মূসা (রাঃ)-এর সুমধুর কণ্ঠস্বরের প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করিয়াছেন।) উক্ত হাদীসের অন্যতম রাবী আবূ ইয়াহিয়া হাম্মানীর আরেক নাম আবদুল হামীদ ইব্ন আবদুর রহমান। ইমাম তিরমিযী উপরোক্ত হাদীস উপরোক্ত রাবী আবূ ইয়াহিয়া হাম্মানী হইতে ‘উপরোক্ত অভিন্ন ঊর্ধ্বতন সনদাংশে এবং আবূ ইয়াহিয়া হাম্মানীর আরেক নাম আবদুল হামীদ ইব্ন আবদুর রহমান। ইমাম তিরমিযী উপরোক্ত হাদীস উপরোক্ত রাবী আবূ ইয়াহিয়া হাম্মানী হইতে উপরোক্ত অভিন্ন ঊর্ধ্বতন সনদাংশে এবং আবূ ইয়াহিয়া হাম্মানী হইতে মূসা ইব্ন আবদুর রহমান কিন্দীর ভিন্নরূপ অধস্তন সনদাংশে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি উহাকে সহীহ ও গ্রহণযোগ্য হাদীস নামে অভিহিত করিয়াছেন। ইমাম মুসলিম উহা উপরোক্ত রাবী আবূ বুরদা হইতে উপরোক্ত অভিন্ন ঊর্ধ্বতন সনদাংশে এবং আবূ বুরদা হইতে তালহা ইব্ন ইয়াহিয়া ইব্ন তালহা প্রমুখ রাবীর ভিন্নরূপ অধস্তন সনদাংশে বর্ণনা করিয়াছেন। উক্ত রিওয়ায়েতে একটি ঘটনা উল্লেখিত রহিয়াছে। ইতিপূর্বে ‘সূরের সহিত কুরআন তিলাওয়াত’ পরিচ্ছেদে সুমধুর কণ্ঠে কুরআন মজীদ তিলাওয়াত করিবার সহিত সম্পর্কিত বিষয় বিশদরূপে আলোচিত হইয়াছে। এখানে উহার পুনরালোচনা নিষ্প্রয়োজন। আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী