শ্লোকঃ ১৯
য এনং বেত্তি হন্তারং যশ্চৈনং মন্যতে হতম।
উভৌ তৌ ন বিজানীতে নায়ং হন্তি ন হন্যতে ।। ১৯ ।।
যঃ- যিনি; এনম- একে; বেত্তি- জানেন; হন্তারম- হন্তা; যঃ- যিনি; চ- এবং; এনম- একে মন্যতে- মনে করেন; হতম- নিহত; উভৌ- উভয়ে; তৌ- তাঁরা; ন- না; বিজানীতঃ- জানেন; ন- না; অয়ম- এই; হন্তি- হত্যা করেন; ন- না; হন্যতে- নিহত হন।
গীতার গান
যে জন বুঝেছে আত্মা মরে যেতে পারে।
অথবা যে জন বুঝে আত্মা অন্যে মারে।।
উভয়েই ভ্রমান্তক কিছু নাহি বুঝে।
মরে না মারে না আত্মা জান যুদ্ধ যুঝে।।
অনুবাদঃ যিনি জীবাত্মাকে হন্তা বলে মনে করেন কিংবা যিনি একে নিহত বলে ভাবেন, তাঁরা উভয়েই আত্মার প্রকৃত স্বরূপ জানেন না। কারণ আত্মা কাউকে হত্যা করেন না এবং কারও দ্বারা নিহতও হন না।
তাৎপর্যঃ যখন কোন দেহধারী জীব মারাত্মক অস্ত্রের দ্বারা আঘাত প্রাপ্ত হয়, তখন জানতে হবে যে, দেহের মধ্যে আত্মার মৃত্যু হয় না। আত্মা তখন আর সেই দেহে বাস করতে পারে না। বাস করার অনুপযোগী বলে আত্মা তখন সেই দেহটি ত্যাগ করে। যারা মূর্খ, তারা আত্মার এই দেহত্যাগ করাকে আত্মার মৃত্যু বলে মনে করে। কিন্তু পরবর্তী শ্লোকে আমরা জানতে পারব- আত্মা এত সূক্ষ্ম যে, কোন অস্ত্রের দ্বারাই তাকে হত্যা করা সম্ভব নয়। আর তা ছাড়া আত্মা চিরশাশ্বত ও চিন্ময় হবার ফলে, কোন অবস্থাতেই তার বিনাশ হয় না। যার মৃত্যু হয় অথবা মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হয়, তা হচ্ছে জড় দেহটি মাত্র। অবশ্যই তা বলতে এটি বোঝায় না যে, দেহটিকে হত্যা করলে কোন অন্যায় হয় না। বেদে নির্দেশ দেওয়া আছে, মা হিংস্যাৎ সর্বা ভূতানি- কোন জীবের প্রতি হিংসা করো না। কোনও জীবের আত্মিক সত্তাকে হত্যা করা যায় না, এই উপলব্ধি হওয়ার ফলে প্রাণিহত্যায় উৎসাহ লাভ করা উচিত নয়। বিনা কারণে অন্যায়ভাবে যখন পশু হত্যা করা হয়, তখন তাতে অবশ্যই পাপ হয়। অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করলে যেমন রাষ্ট্রের আইন অনুসারে হত্যাকারী শাস্তি পায়, ভগবানের আইনেও তেমনই তার জন্য শাস্তি পেতে হয়। সনাতন-ধর্মকে রক্ষা করার জন্য ভগবান অবশ্যই অর্জুনকে যুদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তিনি কখনোই অর্জুনকে তাঁর খেয়ালখুশি মতো হত্যা করতে আদেশ দেননি।
শ্লোকঃ ২০
ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিন
নায়ং ভূত্বা ভবিতা বা ন ভূয়ঃ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো
ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে ।। ২০ ।।
ন- না; জায়তে- জন্ম হয়; ম্রিয়তে- মৃত্যু হয়; বা- অথবা; কদাচিৎ- কখনো (অতীত, বর্তমান অথবা ভবিষ্যতে), ন- না; অয়ম- এই; ভূত্বা- উৎপন্ন হয়ে; ভবিতা- উৎপন্ন হবে; বা- অথবা; ন- না; ভূয়ঃ- উৎপন্ন হয়েছে; অজঃ- জন্মরহিত; নিত্যঃ- নিত্য; শাশ্বতঃ- চিরস্থায়ী, অয়ম- এই; পুরাণঃ- পুরাতন’ ন- না; হন্যতে- নিহত হয়; হন্যমনে- হত হলেও; শরীরে- দেহ।
গীতার গান
জনম মরণ নাই, হয় নাই, হবে নাই,
হয়েছিল তাহা নহে আত্মা।
অজ নিত্য শাশ্বত, পুরাতন নিত্যসত্য,
শরীরের নাশ নহে মৃত্যু।।
অনুবাদঃ আত্মার কখনো জন্ম হয় না বা মৃত্যু হয় না, অথবা পুনঃ পুনঃ তাঁর উৎপত্তি বা বৃদ্ধি হয় না। তিনি জন্মরহিত, শাশ্বত, নিত্য এবং পুরাতন হলেও চিরনবীন। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা কখনো বিনষ্ট হয় না।
তাৎপর্যঃ গুণগতভাবে পরমাত্মা ও তাঁর পরমাণুসদৃশ অংশ জীবাত্মার মধ্যে কোনই পার্থক্য নেই। জড় দেহের যেমন পরিবর্তন হয়, আত্মার তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। তাই আত্মাকে বলা হয় কুটস্থ, অর্থাৎ কোন কালে, কোন অবস্থায় তার কোন পরিবর্তন হয় না। জড় দেহে ছয় রকমের পরিবর্তন দেখা যায়। মাতৃগর্ভে তার জন্ম হয়, তার বৃদ্ধি হয়, কিছুকালের জন্য স্থায়ী হয়, তা কিছু ফল প্রসব করে, ক্রমে ক্রমে তা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং অবশেষে তার বিনাশ হয়। আত্মার কিন্তু এই রকম কোন পরিবর্তনই হয় না। আত্মার কখনো জন্ম হয় না, কিন্তু, যেহেতু সে জড় দেহ ধারণ করে, তাই সেই দেহটির জন্ম হয়। যার জন্ম হয়, তার মৃত্যু অবধারিত। এটিই প্রকৃতির নিয়ম। তেমনই আবার, যার জন্ম হয় না তার কখনোই মৃত্যু হতে পারে না। আত্মার কখনো জন্ম হয় না, তাই তার মৃত্যুও হয় না, আর সেই জন্য তার অতীত, বর্তমান কখনো জন্ম হয় না, তাই তার মৃত্যুও হয় না, আর সেই জন্য তার অতীত, বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ বলে কিছু নেই। সে নিত্য, শাশ্বত ও পুরাতন, অর্থাৎ কবে যে তার উদ্ভব হয়েছিল তার কোনও ইতিহাস নেই। আমরা দেহ-চেতনার দ্বারা প্রভাবিত, তাই আমরা আত্মার জন্ম-ইতিহাস খুঁজে থাকি। কিন্তু যা নিত্য, শাশ্বত, তার তো কোনও শুরু থাকতে পারে না। দেহের মতো আত্মা কখনো জরাগ্রস্থ হয় না। তাই, বৃদ্ধ অবস্থাতেও মানুষ তার অন্তরে শৈশব অথবা যৌবনের উদ্যমের অনুভব করে। দেহের পরিবর্তন কখনোই আত্মাকে প্রভাবিত করে না। জড় দেহের মতো আত্মার কখনো ক্ষয় হয় না। দেহের মাধ্যমে যেমন সন্তান-সন্ততি উৎপন্ন হয়, আত্মা কখনো তেমনভাবে অন্য কোনও আত্মা উৎপাদন করে না। দেহজাত সন্তান-সন্ততিরা প্রকৃতপক্ষে ভিন্ন ভিন্ন আত্মা। স্ত্রী-পুরুষের দেহের মিলনের ফলে আত্মা নতুন দেহ প্রাপ্ত হয় বলে, সেই আত্মাকে কোন বিশেষ স্ত্রী-পুরুষের সন্তান বলে মনে হয়। আত্মার উপস্থিতির ফলে দেহের বৃদ্ধি হয়, কিন্তু আত্মার কখনো বৃদ্ধি বা কোন রকম পরিবর্তন হয় না। এভাবেই আমরা উপলব্ধি করতে পারি, দেহে যে ছয় রকমের পরিবর্তন হয়, আত্মা তার দ্বারা প্রভাবিত হয় না।
কঠ উপনিষদেও (১/২/১৮) গীতার এই শ্লোকের মতো একটি শ্লোক আছে-
ন জায়তে ম্রিয়তে বা বিপশ্চিন্নায়ং কুতশ্চিন্ন বভূব কশ্চিৎ।
অজো নিত্যঃ শাশ্বতোহয়ং পুরাণো ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে।
এই শ্লোকটির সঙ্গে ভগবদগীতার শ্লোকটির পার্থক্য কেবল এখানে বিপশ্চিৎ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞানী অথবা জ্ঞানের সহিত।
আত্মা পূর্ণ জ্ঞানময়, অথবা সে সর্বদাই পূর্ণচেতন। তাই, চেতনাই হচ্ছে আত্মার লক্ষণ। এমন কি আত্মাকে হৃদয়ের মধ্যে দেখা না গেলেও চেতনার প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তার উপস্থিতি অনুভব করা যায়। অনেক সময় মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাবার ফলে অথবা অন্য কোন কারণে সূর্যকে দেখা যায় না, কিন্তু সূর্যের আলো সর্বদাই সেখানে রয়েছে এবং আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এখন দিনের বেলা। ভোরের আকাশে যখনই একটু আলোর আভাস দেখতে পাওয়া যায়, তখনই আমরা বুঝতে পারি, আকাশে সূর্যের উদয় হচ্ছে। ঠিক তেমনই, মানুষই হোক বা পশুই হোক, কীট-পতঙ্গই হোক বা উদ্ভিদই হোক, একটুখানি চেতনার বিকাশ দেখতে পেলেই আমরা তাদের মধ্যে আত্মার উপস্থিতি অনুভব করতে পারি। আত্মার সচেতনতা ও পরমাত্মার সচেতনতার মধ্যে অবশ্য অনেক পার্থক্য রয়েছে, কারণ পরমাত্মা হচ্ছেন সর্বজ্ঞ। তিনি সূর্য অবস্থায় ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান সম্বন্ধে সম্পূর্ণভাবে অবগত। স্বতন্ত্র জীবের চেতনা বিস্মৃতিপ্রবণ, সে যখন তার সচ্চিদানন্দময় স্বরূপের কথা ভুলে যায়, তখন সে শ্রীকৃষ্ণের পরম উপদেশ থেকে শিক্ষা ও আলোক প্রাপ্ত হয়। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ বিস্মরণশীল জীবের মতো নন। যদি তাই হত, কৃষ্ণের ভগবদগীতার উপদেশাবলী অর্থহীন হয়ে পড়ত।
আত্মা দুই রকমের- অণু আত্মা ও পরমাত্মা বা বিভু-আত্মা। কঠ উপনিষদে (১/২/২০) তার বর্ণনা করে বলা হয়েছে-
অণোরণীয়ান্মহতো মহীয়ান আত্মাস্য জন্তোর্নিহিতো গুহায়াম।
তমত্রুতুঃ পশ্যতি বীতশোকো ধাতুঃ প্রসাদন্মহিমানমাত্মনঃ।।
“পরমাত্মা ও জীবাত্মা উভয়েই বৃক্ষসদৃশ জীবদেহের হৃদয়ে অবস্থিত। যিনি সব রকম জড় বাসনা ও সব রকমের শোক থেকে মুক্ত হতে পেরেছেন, তিনি কেবল ভগবানের কৃপার ফলে আত্মার মহিমা উপলব্ধি করতে পারেন।“ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরমাত্মারও উৎস, যা পরবর্তী অধ্য্যায়ে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হবে। আর অর্জুন হচ্ছেন তাঁর প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে আত্মবিস্মৃত জীবাত্মা; তাই তাঁকে শ্রীকৃষ্ণের কাছ থেকে অথবা তাঁর সুযোগ্য প্রতিনিধি সদগুরুর কাছ থেকে এই পরম তত্ত্বজ্ঞান লাভ করতে হয়।
শ্লোকঃ ২১
বেদাবিনাশিনং নিত্যং য এনমজমব্যয়ম।
কথং স পুরুষঃ পার্থ কং ঘাতয়তি হন্তি কম ।। ২১ ।।
বেদ- জানেন; অবিনাশিনম- অবিনাশী; নিত্যম- সর্বদা বর্তমান; যঃ- যিনি; এনম- এই (আত্মাকে); অজম- জন্মরহিত; অব্যয়ম- অক্ষয়; কথম- কিভাবে; সঃ- সেই; পুরুষঃ- ব্যক্তি; পার্থ- হে পার্থ (অর্জুন); কম- কাকে; ঘাতয়তি- বধ করাতে; হন্তি- হত্যা করতে; কম- কাউকে।
গীতার গান
যে জেনেছে আত্মা নিত্য অজ অবিনাশী।
অব্যয় অজর আত্মা সর্ব দিবানিশি।।
সে কেন মারিবে অন্যে মূর্খের মতন।
সে জানে নিশ্চিত আত্মা মরে না কখন।।
অনুবাদঃ হে পার্থ। যিনি এই আত্মাকে অবিনাশী, শাশ্বত, জন্মরহিত ও অক্ষয় বলে জানেন, তিনি কিভাবে কাউকে হত্যা করতে বা হত্যা করাতে পারেন?
তাৎপর্যঃ সব কিছুর যথার্থ উপযোগিতা আছে এবং যিনি পূর্ণ জ্ঞানসম্পন্ন, তিনি জানেন কোন জিনিস কোথায় এবং কিভাবে নিয়োগ করলে তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা হবে। আর সব কিছুর মতো হিংসারও যথার্থ উপযোগিতা আছে এবং যিনি যথার্থ জ্ঞানী, তিনি জানেন কোথায়, তখন, কিভাবে হিংসার প্রয়োগ করতে হয়। বিচারক যখন আসামীকে খুনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে প্রাণদন্ড দেন, তখন হিংসাত্মক কাজ করেছেন বলে বিচারককে কেউ অভিযুক্ত করে না। তার কারণ, তিনি বিচারের রীতি অনুযায়ী এই দন্ড দেন। মানব-সমাজেরা শ্রেষ্ঠ নীতিশাস্ত্র মনুসংহিতাতে খুনীকে প্রাণদন্ডে দন্ডিত করার নির্দেশ দেওয়া আছে। কারণ, এই শাস্তি পাবার ফলে সেই খুনির মহাপাপের ভার লাঘব হয়, পরবর্তী জীবনে তাকে আর তার ফলভোগ করতে হয় না। সুতরাং, রাজা যখন খুনীকে প্রাণদন্ড দেন, তখন তার মঙ্গলের জন্যই তা দেওয়া হয়। তেমনই, শ্রীকৃষ্ণ যখন যুদ্ধ করবার আদেশ দেন, তখন আমরা সহজেই বুঝতে পারি, চরম বিভারের জন্যই তিনি এই হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তাই, অর্জুনের কর্তব্য হচ্ছে ভগবানের নির্দেশ পালন করা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন পরম করুণাময়, তাই আপাতদৃষ্টিতে তাঁর কার্যকলাপ হিংসাত্মক বলে মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা হচ্ছে তাঁর আশীর্বাদ। তেমনই, তাঁর নির্দেশে যখন হিংসার আশ্রয় গ্রহণ করা হয়, তখন সেই হিংসা আশীর্বাদে পরিণত হয়। আর তা ছাড়া, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে অর্জুনকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, মানুষের প্রকৃত পরিচয় হচ্ছে তার আত্মা এবং সেই আত্মাকে কখনো হত্যা করা যায় না। সুতরাং সুবিচারমূলক প্রশাসনের স্বার্থে ঐ ধরণের হিংসাত্মক কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শল্য-চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করেন রোগ সারাবার জন্য, রোগীকে মেরে ফেলবার জন্য নয়। শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন স্বয়ং ভগবান, তাঁর আদেশ অনুসারে যুদ্ধ করার ফলে অর্জুনের কোনও পাপ হবারই সম্ভাবনা নেই, উপরন্তু তাতে সমগ্র মানব-সমাজের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল হওয়াটাই স্বাভাবিক।
৯. পঞ্চম অধ্যায়ঃ কর্মসন্ন্যাস-যোগ
১২. অষ্টম অধ্যায়ঃ অক্ষরব্রক্ষ্ম-যোগ
১৫. একাদশ অধ্যায়ঃ বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ
১৭. ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ প্রকৃতি-পুরুষ-বিবেকযোগ
১৮. চতুর্দশ অধ্যায়ঃ গুণত্রয়-বিভাগ-যোগ
১৯. পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষত্তম-যোগ
২০. ষোড়শ অধ্যায়ঃ দৈবাসুর- সম্পদ-বিভাগযোগ
২১. সপ্তদশ অধ্যায়ঃ শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ
২৪. বর্তমান সংস্করণ সম্পর্কে টীকা
শ্রীমদ্ভগভদ গীতা সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ