শ্লোক ১০
তমুবাচ হৃষীকেশঃ প্রহসন্নিব ভারত।
সেনয়োরুভয়োর্মধ্যে বিষীদন্তমিদং বচঃ ।। ১০ ।।
তম- তাঁকে; উবাচ- বললেন; হৃষীকেশঃ- ইন্দ্রিয়সমূহের অধিপতি শ্রীকৃষ্ণ; প্রহসন- হেসে; ইব- এভাবে; ভারত- হে ভরতবংশজ ধৃতরাষ্ট্র; সেনয়োঃ- সৈন্যদের; উভয়োঃ- উভয় পক্ষের; মধ্যে- মাঝখানে; বিষীদন্তম- বিষাদগ্রস্থ; ইদম- এই; বচঃ- বাক্য।
গীতার গান
স্নিগ্ধ হাসি মনোহর হৃষীকেশ বলে।
হে ভারত! অর্জুনের শুনিয়া সকলে।।
যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যমধ্যে হাসিয়া হাসিয়া।
উপদেশ করেন গীতা বিষণ্ণ দেখিয়া।।
অনুবাদঃ হে ভরতবংশীয় ধৃতরাষ্ট্র। সেই সময় স্মৃত হেসে, শ্রীকৃষ্ণ উভয় পক্ষের সৈন্যদের মাঝখানে বিষাদগ্রস্থ অর্জুনকে এই কথা বললেন।
তাৎপর্যঃ দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু হৃষীকেশ ও গুড়াকেশের মধ্যে কথোপকথন হচ্ছিল। বন্ধু হিসাবে তাঁরা দুজনেই ছিলেন সমপর্যায়ভুক্ত, কিন্তু তাঁদের মধ্যে একজন স্বেচ্ছাকৃতভাবে অপরের শিষ্যত্ব বরণ করলেন। শ্রীকৃষ্ণ সেই সময় হাসছিলেন, কারণ তাঁর বন্ধু তাঁর শিষ্য হতে মনস্থ করেছিলেন। তিনি পরমেশ্বর, তাই প্রভুরূপে তিনি সকলেরই নিয়ন্তা, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তাঁর ভক্তের বাসনা অনুযায়ী তাঁদের বন্ধু, পুত্র ও প্রেমিক হতে সম্মত হন। কিন্তু তাঁর ভক্ত যখন তাঁর শিষ্যত্ব বরণ করে তাঁকে গুরু হিসাবে গ্রহণ করেন, তখন তিনি তৎক্ষণাৎ গুরুর ভূমিকা গ্রহণ করে গুরুবৎ গাম্ভীর্য সহকারে উপদেশ দেন। এখানে আমরা দেখতে পাই, গুরু ও শিষ্যের মধ্যে কথোপকথন হয়েছিল প্রকাশ্যভাবে যুদ্ধক্ষেত্রে দুই সেনানীর মাঝখানে, যার ফলে সেই কথা শ্রবণ করে সকলেই লাভবান হতে প্রেছিল। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, ভগবদগীতার বাণী কোন বিশেষ ব্যক্তি, সমাজ অথবা সম্প্রদায়ের জন্য নয়। এই বাণী সকলের জন্য এবং শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সকলেই এর যথার্থ মর্ম হৃদয়ঙ্গম করে ভগবানের চরণে শরণাগতি লাভ করতে পারে।
শ্লোকঃ ১১
শ্রীভগবানুবাচ
অশোচ্যানন্বশোচস্তং প্রজ্ঞাবাদাংশ্চ ভাষসে।
গতাসূনগতাসূংশ্চ নানুশোচন্তি পণ্ডিতাঃ ।। ১১ ।।
শ্রীভগবান উবাচ- পরমেশ্বর ভগবান বললেন; অশোচ্যান- যে বিষয়ে শোক করা উচিত নয়; অন্বশোচঃ- তুমি শোক করছ; ত্বম- তুমি; প্রজ্ঞাবাদান- প্রাজ্ঞ বচন; চ- ও; ভাষসে- বলছ; গত- বিগত; অসূন- জীবন; অগত- যা গত হয়নি; অসুন- জীবন; চ- ও; ন- না; অনুশোচন্তি- অনুশোচনা করেন; পণ্ডিতাঃ- পণ্ডিতগণ।
গীতার গান
শ্রীভগবান কহিলেনঃ
অশোচ্য বিষয়ে শোক কর তুমি বীর।
প্রজ্ঞাবাদ ভাষ্যকার যেন কোন ধীর।।
পণ্ডিত যে জন হয় শোক নাহি তার।
মৃত দেহ নিত্য আত্মা সে জানে বিচার।।
অনুবাদঃ পরমেশ্বর ভগবান বললেন- তুমি প্রাজ্ঞের মতো কথা বলছ, অথচ যে বিষয়ে শোক করা উচিত নয়, সেই বিষয়ে শোক করছ। যারা যথার্থই পণ্ডিত তাঁরা কখনো জীবিত অথবা মৃত কারও জন্যই শোক করেন না।
তাৎপর্যঃ শিষ্যরূপে ভগবানের কাছে আত্মসমর্পণ করা মাত্রই ভগবান আচার্যের ভূমিকা গ্রহণ করে, অর্জুনের ভুল সংশোধন করার জন্য পরোক্ষভাবে তাঁকে মহামূর্খ বলে শাসন করতে লাগলেন। ভগবান তাঁকে বললেন, “তুমি প্রাজ্ঞের মতো কথা বলছ, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান তোমার নেই। যিনি জ্ঞানী তিনি জানেন দেহ কি ও আত্মা কি, তাই তিনি জীবিত অথবা মৃত কোন অবস্থাতেই দেহের জন্য শোক করেন না। পরবর্তী অধ্যায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, প্রকৃত জ্ঞান হচ্ছে সেই জ্ঞান যা জড় দেহ ও চেতন আত্মার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করে এবং পরম নিয়ন্তা ভগবানের সঙ্গে আমাদের নিত্য সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেয়। অর্জুন যুক্তি দেখাচ্ছিলেন যে, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রয়োজনীয়তার থেকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান অধিক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তিনি জানতেন না, জড় পদার্থ, আত্মা ও ভগবৎ-সম্বন্ধীয় জ্ঞান ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করার চাইতেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর যেহেতু তাঁর সেই জ্ঞান ছিল না, তাই তাঁর পক্ষে পান্ডিত্যপূর্ণ যুক্তি দেখানো অনুচিত। যেহেতু তিনি পরম জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না, তাই তিনি অনর্থক শোক করছিলেন। জড় দেহের জন্ম হয় এবং এক সময় না এক সময় তার বিনাশ হবার ভয়ে শোক করা নিতান্তই মূর্খতা। এই সত্য সম্বন্ধে যিনি অবগত তিনিই হচ্ছেন প্রকৃত জ্ঞানী এবং তিনি কোন অবস্থাতেই জড় দেহের জন্য শোক করেন না।
শ্লোকঃ ১২
ন ত্বেবাহং জাতু নাসং ন ত্বং নেমে জনাধিপাঃ।
ন চৈব ন ভবিষ্যামঃ সর্বে বয়মতঃপরম ।। ১২ ।।
ন- না; তু- কিন্তু; এব- অবশ্যই; অহম- আমি; জাতু- কোনও সময়; ন- না; আসম- অস্তিত্ব; ন- এমন নয়; ত্বম- তুমি; ন- না; ইমে- এই সমস্ত; জনাধিপাঃ- নৃপতিগণ; ন- না; চ- ও; এব- অবশ্যই; ন- তেমন নয়; ভবিষ্যামঃ- অস্তিত্ব থাকবে; সর্বে- সকলের; বয়ম- আমাদের; অতঃপরম- তারপর।
গীতার গান
তুমি আমি যত রাজা সম্মুখে তোমার।
এরা সব চিরনিত্য করহ বিচার।।
পূর্বে এরা নাহি ছিল পরে না থাকিবে।
মূর্খের বিচার এই নিশ্চয়ই জানিবে।।
অনুবাদঃ এমন কোন সময় ছিল না যখন আমি, তুমি ও এই সমস্ত রাজারা ছিলেন না এবং ভবিষ্যতেও কখনো আমাদের অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে না।
তাৎপর্যঃ বেদ, কঠ উপনিষদ ও শ্বেতাশ্বতর উপনিষদে বলা হয়েছে, কৃত কর্ম এবং তার ফল অনুসারে জীব যদিও বিভিন্ন অবস্থায় পতিত হয়, কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান সর্ব অবস্থাতেই তাদের পালন করেন। সেই পরমেশ্বর ভগবান পরমাত্মারূপে সকলের হৃদয়ে বিরাজ করেন। যে সমস্ত মহাত্মা অন্তরে ও বাইরে সেই একই পরমেশ্বর ভগবানকে দেখতে পান, তাঁরাই কেবল পূর্ণতা লাভ করে শাশ্বত শান্তি লাভ করতে পারেন।
নিত্যো নিত্যানাং চেতনশ্চেতনানাম
একো বহুনাং যো বিদধাতি কামান।
তমাত্মস্থং যেহনুপশ্যন্তি ধীরাস
তেষাং শান্তিঃ শাশ্বতী নেতরেষাম।।
(কঠ উপনিষদ ২/২/১৩)
“যিনি নিত্যের মধ্যে পরম নিত্য, চেতনের মধ্যে পরম চেতন এবং যিনি এক হয়েও সকলের কামনা পূর্ণ করেন, যারা ধীর তাঁরা অন্তরের অন্তস্থলে সর্বদাই তাঁকে দর্শন করেন এবং শাশ্বত শান্তি অনুভব করেন। কিন্তু যারা তাঁর ভজন করে না, তারা কখনোই তা লাভ করতে পারে না।”
এই বৈদিক তত্ত্বজ্ঞান যা ভগবান অর্জুনকে দান করলেন, তা তিনি পৃথিবীর প্রতিটি মানুষকে দান করলেন, যারা নিজেদের মহাপণ্ডিত বলে জাহির করতে চায়, কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে যারা এক-একজন মহামূর্খ। ভগবান স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি, অর্জুন ও সেই যুদ্ধক্ষেত্রে সমবেত সমস্ত রাজারা সকলেই শাশ্বত স্বতন্ত্র জীব এবং ভগবান সমস্ত জীবকে তাদের বদ্ধ ও মুক্ত উভয় অবস্থাতেই প্রতিপালন করেন। পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন পরম স্বতন্ত্র পুরুষ এবং ভগবানের নিত্য পার্ষদ অর্জুন এবং সেখানে সমবেত সমস্ত রাজারা হচ্ছেন স্বতন্ত্র শাশ্বত ব্যক্তি। এমন নয় যে, পূর্বে তাঁরা ছিলেন না এবং ভবিষ্যতে থাকবেন না। তাঁদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্র পূর্বে বর্তমান ছিল এবং ভবিষ্যতেও নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকবে। তাই, কারও জন্য শোক করা নিতান্তই নিরর্থক।
মায়াবাদীরা বলে থাকে যে, মুক্তির পর স্বতন্ত্র আত্মা মায়ার আবরণ মুক্ত হয়ে নির্বিশেষ ব্রক্ষ্মে বিলীন হয়ে যায় এবং তখন আর আত্মার নিজস্ব সত্ত্বা থাকে না- এই মতবাদ পরম শাস্ত্রজ্ঞ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে অনুমোদন করেন নি। তাছাড়া কেবল বদ্ধদশায় আমরা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অনুভব করি, সেই মতবাদও ভগবান এখানে অনুমোদন করেন নি। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে স্পষ্টভাবে বলেছেন, ভগবানের নিজের এবং অন্য সকলের অস্তিত্ব শাশ্বত, কারও স্বতন্ত্র সত্তার বিনাশ কখনোই হয় না- এই কথা উপনিষদেও বলা হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত এই সমস্ত কথা প্রামাণিক, কারণ তিনি কখনোই মায়ার দ্বারা প্রভাবিত হন না। জীবের ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য যদি সর্ব অবস্থায় বজায় না থাকত, তবে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কখনই বলতেন না যে, ভবিষ্যতেও কখনো এর বিনাশ হবে না। মায়াবাদী তার্কিকেরা বলতে পারে, শ্রীকৃষ্ণ যে ব্যক্তি-স্বাতন্ত্র্যের কথা বলেছেন, তা চিন্ময় স্বাতন্ত্র্য নয়, তা হচ্ছে জড় স্বাতন্ত্র্য। কিন্তু এই যুক্তি মেনে নিলেও প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নিজের সম্বন্ধে যে স্বাতন্ত্র্যের কথা বলেছেন, সেটি কি ধরণের স্বাতন্ত্র্য? শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, তিনি অতীতেও ছিলেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। তিনি নানাভাবে তাঁর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য প্রতিপন্ন করেছেন এবং তিনি ঘোষণা করেছেন, ব্রক্ষ্মজ্যোতি হচ্ছে তাঁর অঙ্গকান্তি। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অপ্রাকৃত স্বাতন্ত্র্য সব সময়ই বজায় রেকহে গেছেন; যদি তাঁকেও সীমিত সাধারণ চেতনাবিশিষ্ট বদ্ধ জীবাত্মা বলে মনে করা হয়, তবে ভগবদগীতাকে কখনোই পরম তত্ত্বজ্ঞান সমন্বিত শাস্ত্র হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। সীমিত জ্ঞানবিশিষ্ট, ভ্রান্তিপূর্ণ সাধারণ মানুষ কখনোই পরম তত্ত্বজ্ঞানের শিক্ষা দিতে পারে না। ভগবদগীতা সাধারণ কাব্যগ্রন্থ নয়। সাধারণ মানুষের লেখা কোন বইয়ের সঙ্গেই ভগবদগীতার তুলনা করা চলে না। শ্রীকৃষ্ণকে যদি কেউ সাধারণ মানুষ বলে মনে করে, তবে তার কাছে ভগবদগীতার কোনই তাৎপর্য থাকতে পারে না। মায়াবাদী তার্কিকেরা বলে থাকে, প্রচলিত রীতি অনুসারে এই শ্লোকে বহুবচনের ব্যবহার করা হয়েছে এবং তা জড় দেহটিকে বোঝাচ্ছে। কিন্তু পূর্ববর্তী শ্লোকে জড় দেহগত পরিচয়কেই আবার অনুমোদন করা শ্রীকৃষ্ণের পক্ষে কি করে সম্ভব? তাই স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, অপ্রাকৃত স্তরেও জীব স্বতন্ত্র আত্মারূপে বর্তমান থাকে। এই কথা রামানুজাচার্য আদি মহৎ আচার্যেরা স্বীকার করে গেছেন। ভগবদগীতাতে বহু জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই অপ্রাকৃত স্বাতন্ত্র্য ভগবদ্ভক্তেরা উপলব্ধি করতে পারেন। যারা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ, ভগবদগীতার মতো মহৎ শাস্ত্রকে উপলব্ধি করার ক্ষমতা তাদের নেই। ভগবদ্ভক্তিহীন মানুষের ভগবদগীতা পাঠ করা মৌমাছির মধুর বোতল চাটার মতোই নিরর্থক। বোতল না খুললে যেমন মধুর স্বাদ পাওয়া যায় না তেমনই ভগবানের ভক্ত না হলে ভগবদগীতার অন্তর্নিহিত তত্ত্ব উপলব্ধি করা যায় না। এই কথা চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে। ভগবানের অস্তিত্বে যে অবিশ্বাস করে, তার পক্ষে ভগবদগীতা স্পর্শ করাও সম্ভব নয়। তাই, মায়াবাদীরা গীতার যে ভাষ্য দিয়ে থাকে, তা সম্পূর্ণরূপে ভ্রান্ত এবং তা মানুষকে বিপথগামী করে। তাই, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু মায়াবাদীদের ভাষ্য পড়তে অথবা শুনতে নিষেধ করে গেছেন। কারণ, মায়াবাদী-ভাষ্যের দ্বারা একবার প্রভাবিত হলে গীতার অন্তর্নিহিত তত্ত্বকে আর উপলব্ধি করতে পারা যায় না। যদি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অভিজ্ঞতালব্ধ বিশ্বব্রক্ষ্মান্ডকে উল্লেখ করে, তা হলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশের কোন আবশ্যকতা থাকে না। স্বতন্ত্র আত্মার বহুবচন ও ভগবান চিরন্তন সত্য এবং তা বেদে প্রতিপন্ন হয়েছে, যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
৯. পঞ্চম অধ্যায়ঃ কর্মসন্ন্যাস-যোগ
১২. অষ্টম অধ্যায়ঃ অক্ষরব্রক্ষ্ম-যোগ
১৫. একাদশ অধ্যায়ঃ বিশ্বরূপ-দর্শন-যোগ
১৭. ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ প্রকৃতি-পুরুষ-বিবেকযোগ
১৮. চতুর্দশ অধ্যায়ঃ গুণত্রয়-বিভাগ-যোগ
১৯. পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষত্তম-যোগ
২০. ষোড়শ অধ্যায়ঃ দৈবাসুর- সম্পদ-বিভাগযোগ
২১. সপ্তদশ অধ্যায়ঃ শ্রদ্ধাত্রয়-বিভাগ-যোগ
২৪. বর্তমান সংস্করণ সম্পর্কে টীকা
শ্রীমদ্ভগভদ গীতা সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ