আত্ম-উপলব্ধি সম্বন্ধে ভারতের অন্তহীন বিজ্ঞান পাশ্চাত্য জগতে নিয়ে আসার জন্য বহু মনীষী বিগত কয়েক বছর ধরে শ্রীল প্রভুপাদের লেখার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

¤                       ¤                        ¤                        ¤

শ্রীমৎ এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ এক অমূল্য কর্তব্য সম্পাদন করেছেন। মানব-সমাজের মুক্তির জন্য তাঁর রচিত গ্রন্থগুলি এক অনবদ্য অবদান।”

শ্রীলালবাহাদুর শাস্ত্রী

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী

“পাশ্চাত্যের অভ্যন্ত সক্রিয় ও স্থূল জড়বাদ-প্রসূত, সমস্যা জর্জরিত, ধ্বংসোন্মুখ, পারমার্থিক চেতনাবিহীন ও অন্তঃসারশুনা সমাজের কাছে স্বামী ভক্তিবেদান্ত এক মহান বাণী বহন করে নিয়ে এসেছেন। সেই গভীরতা ব্যতীত আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক প্রতিবাদগুলি কতকগুলি অন্তঃসারশূন্য কথা ছাড়া আর কিছুই নয়।”

টমাস মেরটন

ঈশ্বরতত্ববিদ্

‘ভারতের যোগীদের প্রদত্ত ধর্মের বিবিধ পন্থার মধ্যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর দশম অধস্তন শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ প্রদত্ত কৃষ্ণভাবনামৃতের পন্থা হচ্ছে সব চাইতে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। দশ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামী তাঁর ব্যক্তিগত ভক্তি, একনিষ্ঠতা, অদমা শক্তি ও দক্ষতার দ্বারা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ সংগঠন করে যেভাবে হাজার হাজার মানুষকে ভগবদ্ভক্তির মার্গে উদ্বুদ্ধ করেছেন, পৃথিবীর প্রায় সব কয়টি বড় বড় শহরে রাধা-কৃষ্ণের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচেতন মহাপ্রভু প্রদত্ত ভক্তিযোগের ভিত্তিতে অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন, তা অবিশ্বাস্য।”

প্রফেসর মহেশ মেহতা

প্রফেসর অভ্ এশিয়ান স্টাডিস,

ইউনিভার্সিটি অভ্ উইন্ডসর,

অন্টারিও, কানাডা

“এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ হচ্ছেন একজন অত্যন্ত বর্ধিষ্ণু আচার্য এবং এক মহান

সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী।”

জোসেফ জিন লানজো ডেলভাস্টো

বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক ও সাহিত্যিক।

“শ্রীল প্রভুপাদের বিশাল সাহিত্য-সম্ভারের পাণ্ডিত্য ও নিষ্ঠার মাহাত্ম্য ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। শীল প্রপাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভবিষ্যতের মানুষেরা অবশ্যই এক সুন্দরতর পৃথিবীতে বাস করার সুযোগ পাবে। তিনি বিশ্বভ্রাতৃত্ব ও সমস্ত মানব সমাজের ধর্মীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার মহান প্রতীক। ভারতবর্ষের বাইরের জগৎ, বিশেষ করে পাশ্চাত্য ভগৎ শ্রীল প্রভুপাদের কাছে গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ, তিনি অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তাদের ভারতের কৃষ্ণভক্তির শ্রেষ্ঠ সম্পদ প্রদান করেছেন।”

শ্রীবিশ্বনাথ শুক্লা, পি-এইচ. ভি

প্রফেসর অভ্ হিন্দি,

এম, ইউ, আলিগড়,

উত্তরপ্রদেশ।

“পাশ্চাত্যে বসবাসকারী একজন ভারতীয় হিসাবে যখন আমি আমাদের দেশের বহু মানুষকে এখানে এসে ভণ্ড গুরু সেজে বসতে দেখি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। পাশ্চাতো, যেমন যে কোন সাধারণ মানুষ তার জন্ম থেকেই খ্রিস্টান সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়, ভারতবর্ষেও একজন সাধারণ মানুষ তেমনই তার জন্ম থেকেই ধ্যান ও যোগসাধনের সঙ্গে পরিচিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, বর্তমানে বহু অসৎ লোক ভারতবর্ষ থেকে এখানে এসে যোগ সম্বন্ধে তাদের প্রান্ত ধারণা প্রদর্শন করে মন্ত্র দেওয়ার নামে লোক ঠকাচ্ছে এবং নিজেদের ভগবানের অবতার বলে প্রচার করছে। এই ধরনের অনেক প্রবঞ্চক তাদের অন্ধ অনুগামীদের এমনভাবে প্রবঞ্চনা করছে যে, ভারতীয় সংস্কৃতি সম্বন্ধে যাঁদেরই একটু জ্ঞান আছে, তাঁরাই অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছেন। সেই কারণে শ্রীল এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের প্রকাশিত গ্রন্থাবলী পাঠ করে আমি অত্যন্ত উৎসাহিত হয়েছি। সেগুলি ‘গুরু’ ও ‘যোগী’ সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত যে ভয়ঙ্কর প্রবঞ্চনা চলছে, তা বন্ধ করবে এবং সমস্ত মানুষকে প্রাচ্য সংস্কৃতির যথার্থ অর্থ হৃদয়ঙ্গম করার সুযোগ দেবে।”

ডঃ কৈলাস বাজপেয়ী

ডাইরেক্টর অভ্ ইণ্ডিয়ান স্টাডিস

সেন্টার ফর ওরিয়েন্টাল স্টাডিস

দি ইউনিভার্সিটি অভ্ মেক্সিকো।

“এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের রচিত গ্রন্থগুলি কেবল সুন্দরই নয়, তা বর্তমান যুগের পক্ষে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, বিশেষ করে যখন সমগ্র জাতিই জীবনের আসল উদ্দেশ্য সম্পাদনের অন্য এক সাংস্কৃতিক পন্থা খুঁজছে।”

ডঃ সি. এল. স্প্রেডবারি

প্রফেসর অভ্ সোসিওলজি,

স্টিফেন এফ অস্টিন স্টেট ইউনিভার্সিটি।

“ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টের প্রকাশিত গ্রন্থাবলী দেখার সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য বলে মনে করছি। এই গ্রন্থগুলি শিক্ষায়তন ও পাঠাগারগুলির জন্য এক অমূল্য সম্পদ। ভারতীয় দর্শন ও সংস্কৃতির প্রতিটি অধ্যাপক ও ছাত্রদের কাছে আমি বিশেষভাবে সুপারিশ করব শ্রীমদ্ভাগবত পাঠ করার জন্য। মহান পণ্ডিত ও গ্রন্থকার শ্রীমৎ এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী হচ্ছেন এক বিশ্ববিখ্যাত মহাপুরুষ এবং আধুনিক জগতের কাছে বৈদিক দর্শনের বাস্তব প্রয়োগের এক মহান পথপ্রদর্শক। বৈদিক জ্ঞান অধ্যয়ন করার জন্য সারা পৃথিবী জুড়ে তিনি একশটিরও অধিক পারমার্থিক আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৃথিবীর সব কয়টি দেশে বৈদিক জীবনধারা ও সনাতন ধর্ম প্রচারে তাঁর অবদানের কোন তুলনা হয় না। স্বামী ভক্তিবেদাতের মতো গুণী মানুষের দ্বারা যে আজ ভাগবতের বাণী সারা পৃথিবীর মঙ্গলের জন্য প্রচারিত হচ্ছে, সেই জন্য আমি তাঁর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।”

ডঃ আর কালিয়া

প্রেসিডেন্ট

ইণ্ডিয়ান লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশন।

“বৈদিক শাস্ত্রের ইংরেজী অনুবাদ ও ভাষ্য রচনা করে স্বামী ভক্তিবেদান্ত ভগবদ্ভক্তদের উদ্দেশ্যে এক মহান কর্তব্য সম্পাদন করেছেন। এই তত্ত্বদর্শনের বিশ্বজনীন প্রয়োগ আজকের দুর্দশাগ্রস্ত জগতে এক আশীর্বাণী বহন করে এনে এই জ্ঞানের আলোকে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করেছে। বাস্তবিকই এটি এক মহান অনুপ্রেরণা-প্রসূত রচনা, যা প্রতিটি অনুসন্ধিৎসু মানুষের জীবন সম্বন্ধে ‘কেন’, ‘কবে’ ও ‘কোথায়’ প্রভৃতির অনুসন্ধানের সন্ধান দেবে।”

ডঃ জুডিথ এম টাইবার্গ

ফাউন্ডার এন্ড ডিরেক্টর

ইস্ট-ওয়েস্ট কালচারাল সেন্টার

লস্ এঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া।

“…শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর উত্তরাধিকারী রূপে, ভারতীয় সংস্কৃতির কর্ণধাররূপে ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ যথার্থভাবেই ‘কৃষ্ণকৃপাশ্রীমূর্তি’ (His Divine Grace) উপাধি প্রাপ্ত হয়েছেন। স্বামী প্রভুপাদ সংস্কৃত ভাষার উপর পরিপূর্ণ দখল অর্জন করেছেন। আমাদের কাছে তাঁর ভগবদ্‌গীতা- ভাষ্য মহান অনুপ্রেরণা নিয়ে এসেছে, কারণ তা হচ্ছে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কর্তৃক স্বীকৃত ভগবদ্‌গীতা- ভাষ্যের প্রামাণিক বিশ্লেষণ। খ্রিস্টান দার্শনিক ও ভারত তত্ত্ববিদ্ রূপে আমার এই প্রশস্তি ঐকান্তিক বন্ধুত্বের অভিব্যক্তি।”

অলিভিয়ার ল্যাকো

প্রফেসর, ইউনিভার্সিটি দ্যা প্যারিস, সর্বোন

ভূতপূর্ব ডিরেক্টর, ইনস্টিটিউট অভ্ ইণ্ডিয়ান সিভিলাইজেশন, প্যারিস।

“আমি গভীর উৎসাহ, মনোযোগ ও সাবধানতার সঙ্গে শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামীর গ্রন্থগুলি পাঠ করেছি এবং দেখেছি যে, ভারতের পারমার্থিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ সম্বন্ধে উৎসাহী যে-কোন মানুষের কাছে গেগুলির মূল্য অবর্ণনীয়। এই গ্রন্থের গ্রন্থবার গ্রন্থের প্রতিটি পৃষ্ঠায় সেই বিষয় সম্বন্ধে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যের নিদর্শন দিয়ে গেছেন। বৈষ্ণব দর্শনের কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে প্রতিপালিত হওয়া সত্ত্বেও যে সহজ ও সাবলীল ভঙ্গিতে তিনি অত্যন্ত জটিল ভাবধারাগুলি বর্ণনা করেছেন, তা থেকে সহজেই বোঝা যায় যে, তিনি সম্পূর্ণরূপে তার মর্ম উপলব্ধি করেছেন। তিনি অবশ্যই সেই পারমার্থিক জ্ঞানের সর্বোচ্চ আলোক প্রাপ্ত হয়েছেন, যা অতি অল্প কয়েকজন মহাপুরুষই লাভ করেছেন।”

ডঃ এইচ. বি. কুলকানী

প্রফেসর অভ্ ইংলিশ এ্যাণ্ড ফিলসফি

উটা স্টেট ইউনিভার্সিটি, লোগান, উটা।

“আজকের দুর্দশাগ্রস্ত জগতে ভক্তিবেদান্ত স্বামীর এই গ্রন্থগুলি নিঃসন্দেহে এক অতুলনীয়

অবদান।”

ডঃ সুদা এল ডাট

প্রফেসর অত্ ইণ্ডিয়ান ল্যাঙ্গুয়েভোস

বোস্টন ইউনিভার্সিটি, বোস্টন, ম্যাসাচুসেট্স।

“কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী রচিত শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃতের এ. সি. ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ কৃত অনুবাদগুলি ভারত তত্ত্ববিদ ও ভারতের পারমার্থিক জ্ঞান সম্বন্ধে আগ্রহী সাধারণ মানুষ, উভয়ের কাছেই এক মহা আনন্দের বিষয়।

“… গভীর মনোযোগ সহকারে যে-ই তাঁর ভাষাগুলি পাঠ করবে, সে-ই বুঝতে পারবে যে, তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মতো এই গ্রন্থটিও শ্রীল ভক্তিবেদান্ত স্বামীর প্রগাঢ় ভগবন্তক্তি, চিন্তা, আবেগ ও বিশিষ্ট পাণ্ডিত্যপূর্ণ বুদ্ধিমত্তার এর সুষ্ঠু সমন্বয়।”

‘…অত্যন্ত মনোরমভাবে সংকলিত এই গ্রন্থগুলি ভারতীয় অধ্যাত্মবাদ ও ধর্ম সম্বন্ধীয় গ্রন্থে আসক্ত মানুষের পাঠাগারগুলি অলংকৃত করবে তা তিনি পণ্ডিতই হোন, ভক্তই হোন অথবা সাধারণ পাঠকই হোন।”

ডঃ জে. ব্রুস লঙ্গ

ডিপার্টমেন্ট অভ্ এশিয়ান স্টাডিস,

কর্ণেল ইউনিভার্সিটি

error: Content is protected !!