শ্রীমতাজী নির্মলা দেবীর’র সেই রমরমা আর নেই। মাতাজী তাঁর গৌরব হারিয়েছেন। দীর্ঘ বছর ধরে লক্ষ্য করে আসছি যে, জ্যোতিষীদের মতো-ই যোগীদের উত্থান-পতন পুরোপুরি প্রচার নির্ভর। গত শতকের সাতের দশকের
মাঝামাঝি থেকে ছিল রজনীশের উত্থানের যুগ। ন’য়ের দশক পর্যন্ত তাঁর রমরমা ছিল অপ্রতিরোধ্য। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতেও তিনি ছিলেন, যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে। তাঁর টার্গেট কনজিউমাররা ছিলেন বেশির ভাগই কোটিপতি ।
‘আস্থা’ চ্যানেল রাজারে নামলো। স্যাটেলাইট চ্যানেল। তাতে রজনীশকে নিয়ে মার্কেটিংয়ে নামলো ‘ওশো কমিউন ইন্টারন্যাশনাল’। পুরোপুরো প্রফেশনাল মেজাজে প্রচারে নামলেও রজনীশের জীবনকালে টিভি-র ফটোগ্রাফি থেকে এডিটিং কোনওটাই এখনকার মতো উন্নত পর্যায়ে পৌঁছোয়নি। তবু ওশো’র কথনভঙ্গী, চেহারা ও চোখ দর্শকদের মনে একটা অদ্ভুত আবেশ বা ভাবাবেগ তৈরি করেছিল। তাঁর যোগের নাম দিয়েছিলেন, ‘আর্ট অফ লিভিং’।
মাত্র বছর তিন-চার হলো প্রচারে এলেন স্বামী রামদেব। তিনি ওশোর মতো হাই-ফাই ভক্ত বা কনজিউমারদের দিকে হাত বাড়াবার চেষ্টা না করে, চেষ্টা করলেন ১১০ কোটি ভারতীয়দের মধ্যে ১০কোটি ভারতীয়কে ধরতে। তাঁর টার্গেট কনজিউমার হলো গোবলয়ের মানুষ ও বাঙালি মধ্যবিত্ত মানুষ যাঁরা টিভি দেখেন, আবেগ প্রবণ, ঈশ্বর-ঐশ্বরীক ক্ষমতা-যোগের ক্ষমতায় বিশ্বাসী প্রশ্ন তুলতে জানেন। না, নিজের মতামতকে প্রতিষ্ঠা করতে নির্বিকারভাবে গুল মারেন। পাপ-পূণ্যে বিশ্বাস করেন। পাপবোধে ভোগেন। তাঁদের গেঁথে তুলতে ওশোর মত সফিস্টিকেটেড ব্যাপার-স্যাপার অচল। লাল রঙের কাপড় মালকোচা মেড়ে পরে আর গলায় একটা স্বল্প দৈর্ঘ্যের লাল কাপড় ঝুলিয়ে ঘোষণা করলেন, যোগে সব রোগ ঠিক করতে পারেন। ভগ্নস্বাস্থ্যের মধ্যবিত্ত মানুষ অবাক হলো তাঁর হেভি চেল্লামেল্লিতে। তিন-চার বছরে বড় মার্কেট ধরে ফেললেন। এইসব দেখে স্বল্পশিক্ষিত, পাপবোধে কাতর বেওসায়ীরাও ভিড় জমালেন। তিরুপতির মন্দিরের মতো মন্দিরগুলোতে যাঁরা ব্ল্যাকে-সাদায় লক্ষ-কোটি টাকা ভেট চড়াতো পাপমুক্তির জন্যে, বিপদ মুক্তির জন্যে, রোগ মুক্তির জন্যে, তাঁদেরও অনেকে ভিড়ে গেলেন রামদেবের প্রচারে। এখন বহু চ্যানেল খুললেই দেখবেন রামদেবের বিজ্ঞাপন।
ওশো আর রামদেবের মাঝখানের সময়টা জমজমাট করে ভরিয়ে রেখেছিলেন শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবী। তিনি সারা দেশে ঘুরে ঘুরে বিশাল বিশাল অনুষ্ঠান করেছেন সহজযোগ নিয়ে। লেখক, বুদ্ধিজীবী, সংগীতশিল্পীরা পর্যন্ত যথেষ্ট সংখ্যায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।
মাতাজী নির্মলা দেবী প্রাচীন যোগে অনেকটাই বিশ্বাসী। মনে করেন আমাদের মেরুদণ্ডের নীচের শেষ অংশের অস্থিতে এই শক্তি সাড়ে তিন পাকে কুণ্ডল পাকিয়ে থাকে, তাই এর নাম ‘কুণ্ডলিনী’। কুণ্ডলিনী যখন ছটি শক্তিকেন্দ্রকে ভেদ করে ব্রহ্মচৈতন্যের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন আমরা ব্রহ্মচৈতন্যকে অনুভব করি।
সহজযোগ শ্রী মাতাজী নির্মলা দেবীর এক অভিনব আবিষ্কার। ‘সহজ’ অর্থাৎ ‘সহ’ + ‘জ’। ‘সহ’ কথার অর্থ ‘সাথে’ এবং জ’ অর্থাৎ ‘জাত’ (জন্ম)। ‘যোগ’ শব্দের অর্থ হলো ঈশ্বরের সর্বব্যাপী প্রেমশক্তির সাথে সংযোগ স্থাপন। তাই এই যোগ ঘটে স্বাভাবিক ভাবেই। সচেতনার এক উচ্চ স্তরে একে উপলব্ধি ও প্রমাণ করা যায়। মাটিতে বীজ পুঁতলে জলের সাহায্য পেলে যেমন বীজ থেকে অঙ্কুর ও গাছ জাগরিত হয়, তেমনই স্বতঃস্ফুর্তভাবে সহজযোগের মাধ্যমে কুণ্ডলিনী জাগরিত হয়। এই জাগরণ শ্বাস-প্রশ্বাসের মতই সহজ ও স্বাভাবিক।
চক্র (শক্তিকেন্দ্র)
১। মূলাধান চক্রঃ আমাদের দেহের ত্রিকোণাকার অস্থির নীচে মেরুদণ্ডের সামান্য বাইরে অবস্থিত। ত্রিকোণাকার অস্থিতে অবস্থিত মূলাধার। মূলাধারে কুণ্ডলিনী মাতার বাসস্থান।
১। মূলাধার চক্র
১ (ক) মূলাধার
২। স্বাধিষ্ঠান চক্র
৩। নাভীচক্র
৩(ক) ভবসাগর
8 হৃদয় চক্র
৫ বিশুদ্ধি চক্র
৬ আজ্ঞাচক্র
৭ সহস্রার চক্র
২। স্বাধিকার চক্রঃ নাভির নীচে এই দ্বিতীয় চক্রটি অবস্থিত। এই চক্র পেটের চর্বিকে ভেঙে মস্তিষ্কের পুষ্টি সাধন করে।
৩। মনিপুর চক্রঃ দেহের এই তৃতীয় চক্রটি নাভির পিছনে অবস্থিত। ৩। (ক) ভবসাগর : স্বাধিষ্ঠান ও মণিপুর চক্রকে বেষ্টন করে যে শূন্যগর্ভটি আমাদের দেহে অবস্থান করে, তাকে ‘ভবসাগর’ বলে।
৪। অনাহত চক্র বা হৃদয় চক্রঃ নির্মল প্রেমের দেবতা এই চক্রে অবস্থান করেন।
৫। বিশুদ্ধ চক্রঃ বিশুদ্ধ চক্র আমাদের দেহে ছাকনির কাজ করে। বাইরের সব দূষিত পদার্থ ও জীবাণু দেহে প্রবেশ করা থেকে বাঁচায় ।
৬। আজ্ঞা চক্রঃ মস্তিষ্কের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে আজ্ঞা চক্র। একে তৃতীয় নয়ন বলেও অবিহিত করা হয়।
৭। সহস্রাব (শীর্ষস্থ) চক্রঃ আমাদের দেহের সব চক্র-ই সহস্রাবে এসে মিলেছে। এখানে প্রত্যেক চক্রের-ই নির্দিষ্ট স্থান আছে।
কুণ্ডলিনী জাগরণের ফলে মানুষের আত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন ঘটে। এই মিলন-ই মানুষের জীবনের লক্ষ্য, পরম প্রাপ্তি
ধ্যান
কুণ্ডলিনীকে উত্তরণের জন্য ঘরে বসে ধ্যান করুন। ধ্যান করুন মাতাজী নির্মলা দেবীর আবিষ্কৃত ‘সহজ যোগ’-এর পথে ৷
শ্রীমাতাজীর একটা আলোকচিত্র সংগ্রহ করুন। কাঠের ফ্রেমে ছবিটি বাঁধান । তবে দেখবেন, ফ্রেমটি যেন কালো রঙের না হয়। একটা পরিষ্কার উঁচু জায়গায় ছবিটিকে রাখুন। এটি আপনার ধ্যানের ঘর। এ ঘরে ধ্যানে বসার আগে ঘরের বাইরে জুতো ছেড়ে আসুন। ঘড়ি ও চশমা খুলে রাখুন। পরিধেয় বস্ত্রাদি শিথিল করে দিন। ছবির সামনে বসুন। ছবির সামনে প্রদীপ বা মোমবাতি এবং ধূপ জ্বালিয়ে দিন। ফুল নিবেদন করুন। গাঁদা ফুল দেবীকে দেবেন না।
বসুন মেঝেতে বা চেয়ারে। ছবি থাকবে আপনার ‘আই লেভেলে’। টেবিলের উপর রাখলে ভাল-ই হয়। প্রদীপ বা মোমবাতি এবং ফুল টেবিলে রাখুন। দেখবেন, চেয়ারে বসলেও যেন পা মেঝে স্পর্শ করে।
বসবেন মেরুদণ্ড সোজা করে। হাত দুটো হাঁটুর উপর এমন ভাবে স্পর্শ করে রাখুন যাতে হাতের তালু থেকে আঙুল মাতাজীর ছবির দিকে প্রসারিত থাকে।
এবার মাতাজীর কাছে প্রার্থনা করুন, “মা কৃপা করে আপনার প্রেমশক্তি আমার মধ্যে প্রবাহিত করুন।”
আপনি অনুভব করতে থাকবেন, হাতের তালু থেকে মাথায় শীতল বায়ু প্রবাহিত হচ্ছে। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে ১০-১৫ মিনিট ধ্যানের শান্তিকে উপভোগ করুন। একই নিয়মে সকাল ও সন্ধ্যায় ধ্যানে বসুন। ধ্যান করতে করতে-ই এক দিন অনুভবে পৌঁছবেন ব্রহ্মতালু দপদপ করছে। অর্থাৎ কুণ্ডলিনী ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করেছে।
রাতে শোবার আগে ধ্যান করতে একটা কাজ করুন। এক গামলা জলে ৪-৫
চামচ নুন দিন। জল এমন দেবেন যেন, গোড়ালির উপরিভাগ পর্যন্ত ডুবে যায় । মাতাজীর ছবির সামনে আগের নিয়মে বসুন। পা গামলার জলে ডুবিয়ে রাখুন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট বসুন।
(আবার যোগে দূরারোগ্য রোগ সারাবার গপ্পো শুরু হলো)
সহজযোগের ফল
প্রতিদিন সহজযোগ অভ্যাস করলে শারীরিক ও মানসিক উন্নতি হয়। যে কোনও ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধিও দূর হয়।
গুরু নির্বাচনের আগে প্রশ্ন করুন
মাতাজী বলছেন, কোনও গুরু ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কাছে দীক্ষা নেওয়ার আগে এগুলো জেনে নেওয়া জরুরিঃ
১। কখনও কি আপনি এদের টাকা দিয়েছেন? ‘সত্য’ এমন-ই যার কেনা-বেচা চলে না। তাকে নিজ সম্পত্তি করে নেওয়ার অধিকার কারও নেই ।
২। আপনার নির্বাচিত আধ্যাত্মিক গুরু কি কখনও দোকানদার বা ফেরীওয়ালার মতো কোন বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে? তাদের প্রদর্শিত পথের যথার্থ মূল্যায়ন করুন আপনার আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে—কটা বই পড়েছেন কটা ক্লাসে হাজির থেকেছেন কিংবা কতগুলি নীতিবাক্য পাঠ করেছেন তার দ্বারা নয় ।
৩। তাদের কাজের ধারা ও কৌশলের কোন ফল অনুভব করেছেন কি?
৪। আপনার নির্বাচিত গুরু ও তার সম্প্রদায়, ভবিষ্যতে আপনাকে কখনও তাদের অভ্যন্তরের বিশিষ্ট সদস্য করবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে কি?
৫। সচরাচর দেখতে পাওয়া যায় না, এমন কোনও পরিচ্ছদ আপনাকে পরতে হয় নি? আপনাকে অদ্ভুত কোন বিশেষ ভঙ্গিতে কি বসতে হয় বা অর্থহীন কোন মন্ত্র আবৃত্তি করতে হয়? ‘সত্যলাভ’ এমন কোন বিষয় না, যা কঠোর পরিশ্রম করে লাভ করতে হয়। এখানে আপনার ইচ্ছাশক্তির দৃঢ়তাই গণ্য হয়, তাদের পরীক্ষার কঠোরতা নয় ।
৬। যে পথ আপনি গ্রহণ করেছেন, তা কি পূর্বতন সাধু-সন্ত-ঋষিদের প্রদর্শিত ভারসাম্য যুক্ত সুষম পথ? নাকি এই পথ কোনও অবচেতন বা অধিচেতন মনের ভীতিজনক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করছে আপনাকে?
৭। ঐ সংগঠনের গুরু বা নেতাকে আপনি কি বিশ্বাস করেন? তাদের সঙ্গ আপনার আরামদায়ক মনে হয় কি? তারা কি আপনার প্রতি ভালবাসা ও আনন্দ প্রকাশ করে? তাদের দৃষ্টিতে কি তাদের প্রদত্ত শিক্ষার অন্তর্নিহিত গুণ প্রকাশ পায় ?
৮। আপনার কি তাদের সংস্রব ত্যাগ করার স্বাধীনতা আছে? অহঙ্কার দিয়ে পরিচালিত না হয়ে হৃদয়কে অনুসরণ করুন। কোন সন্দেহ মনে জাগলে বা ভয় পেলে অথবা কোন জোর জুলুম হলে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করবেন, কোন রকম হুমকি সহ্য করবেন না।
‘সহজ যোগ’ প্রকৃত সত্য লাভের একমাত্র উপায়—“কেবল মাতাই সন্তানকে আপন গুরুতে পরিণত করতে পারেন। শুধুমাত্র মাতাই প্রকৃত সত্যের রহস্য প্রকাশ করতে পারেন । ”
এই প্রসঙ্গে জানাই, স্বামী রামদেবের যোগপীঠের সদস্য চাঁদা এই প্রকারঃ
১। সংস্থাপক সদস্যঃ পাঁচ লাখ টাকা।
২। সংরক্ষক সদস্যঃ দু লাখ একান্ন হাজার টাকা।
৩। আজীবন সদস্যঃ এক লাখ টাকা ।
৪। বিশিষ্ট সদস্যঃ একান্ন হাজার টাকা।
৫। সম্মানিত সদস্যঃ একুশ হাজার টাকা ।
৬। সাধারণ সদস্যঃ এগারো হাজার টাকা।
মাতাজী নির্মলা দেবী তাঁর সহজযোগে এইসব গুরুদেব সম্বন্ধে সাবধান করেছেন। এঁদেরকেই ব্যবসায়ী বলেছেন। আপনি কী বলেন?
প্রথম পর্বঃ মনের নিয়ন্ত্রণ
অধ্যায়ঃ এক
♦ বুদ্ধি, স্মৃতি, প্রতিভা নিয়ে বিভ্রান্তি বেচে খাচ্ছে অনেকে
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রচুর পড়েন মানে-ই মস্তিষ্কচর্চা করেন?
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্মৃতি-শক্তি ও প্রতিভা এক নয়
অধ্যায়ঃ চার
♦ জ্ঞান (wisdom) ও শিক্ষা (education) এক নয়
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ মস্তিষ্ক ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ পাভলভ-তত্ত্বে মস্তিষ্কের ‘ছক’ বা type
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু পাল্টে যায়
অধ্যায়ঃ নয়
♦ অলজাইমারস সৃষ্টিশীল মেধায় ভয়ঙ্কর অসুখ
অধ্যায়ঃ দশ
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জিন বা বংশগতি-ই ঠিক করে মেধা-বুদ্ধি?
অধ্যায়ঃ বারো
♦ বংশগতি গবেষণা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রগতি
অধ্যায়ঃ তেরো
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ মগজধোলাই-এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে
দ্বিতীয় পর্বঃ ধ্যাণ-যোগ-সমাধি মেডিটেশন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ ‘রজনীশ’ এক শিক্ষিত যোগী, বিতর্কিত নাম
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ সাত
♦ শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবীর সহজযোগ
অধ্যায়ঃ আট
♦ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন নিয়ে বাংলাদেশের যোগী মহাজাতক
অধ্যায়ঃ নয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
অধ্যায়ঃ দশ
♦ ‘মেডিটেশন’, ‘রিলাক্সেশন’, বা ‘স্বসম্মোহন’
অধ্যায়ঃ এগারো
“মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ