কালি লিনাক্স যেহেতু একটি হ্যাকিং পরিচালনা করার অপারেটিং সিস্টেম, সেহেতু হ্যাকিং এর অনেক টুলস ডিফল্ট ভাবেই পাওয়া যায়। তন্মধ্যে সবাই সব রকম টুলস ব্যবহার করে না। যে হ্যাকারের নিকট যে টুলস বেশি ভালো লাগে, সে সেটাই ব্যবহার করে। একেক টুলস হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে একেক রকম ভূমিকা পালন করে এবং ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। আমি এখানে ওয়াইফাই হ্যাকিং এর জন্য ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার এবং বিবিধ পদ্ধতি আলোচনা করবো। আপনার নিকট যে পদ্ধতি উত্তম এবং সহজ মনে হবে, আমি সেটাই প্রয়োগ করতে পারেন। তবে অনেক ক্ষেত্রে একটি মাত্র টুলসের মাধ্যমে হ্যাকিং সম্ভব হয় না, সেক্ষত্রে ভিন্ন ভিন্ন টুলসের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিও প্রয়োগ শেখাটা জরুরি।
ওয়াইফাই হ্যাকিং এর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
ওয়াইফাই হ্যাকিং এর জন্য সর্বপ্রথম অবশ্য প্রয়োজনীয় উপকরণ হচ্ছে ওয়াইফাই এডোপটার। আপনি যদি ডেস্কটপ কম্পিউটার ব্যবহারকারী হোন, তাহলে আপনাকে বাজার থেকে “মনিটর মুড সাপোর্টেড” ওয়াইফাই এডোপটার কিনে আপনার পিসিতে লাগাতে হবে। অন্যথা সম্ভব নয়। বাজারে ওয়াইফাই এডোপটারের অভাব নেই, কিন্তু আপনাকে “মনিটর মুড” সাপোর্ট করে, এমন এডোপটার কিনতে হবে।
আপনি যদি ল্যাপটপ ইউজার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ল্যাপটপে ডিফল্টভাবেই ওয়াইফাই এডোপটার থাকবে।
যেসব পদ্ধতিতে ওয়াইফাই হ্যাক হয়ে থাকেঃ
আমার জানা মতে, ওয়াইফাই হ্যাকিং প্রধানত তিনটি পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়ে থাকে। প্রথমত Handshake Capture -এর মাধ্যমে, দ্বিতীয়ত Pixie-dust Attack -এর মাধ্যমে এবং তৃতীয়ত Pin-Attack এর মাধ্যমে। ওয়াইফাই হ্যাকিং পরিচালনার জন্য Aircrack-ng টুলস শুধুমাত্র ওয়াইফাই হ্যান্ডসেক ক্যাপচারের জন্যই বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর বাহিরে আর অন্য কোন ধরণের এ্যাটাক পরিচালনায় অক্ষম। অন্যদিকে Wifite, Airgeddon, Reaver, Bully ইত্যাদি টুলসগুলোতে তিন ধরনের হ্যাকিং এ্যাটাক-ই পরিচালনা করা যায়।