যাজক অহীমেলকের সঙ্গে দায়ূদ দেখা করতে গেলেন

১. দায়ূদ চলে গেলেন। যোনাথন শহরে ফিরে এলো।

২. দায়ূদ নোব শহরে যাজক অহীমেলকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। অহীমেলক দায়ূদের সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে এলেন। তিনি তো ভয়ে কাঁপছিলেন। তিনি দায়ূদকে জিজ্ঞেস করলেন, “কি ব্যাপার, তুমি একা কেন? তোমার সঙ্গে কাউকে দেখছি না কেন?”

৩. দায়ূদ বললেন, “রাজা আমাকে একটি বিশেষ আদেশ দিয়েছেন। তিনি আমাকে বলেছেন, ‘এই আসার উদ্দেশ্য নিয়ে তুমি কাউকে কিছু জানাবে না। আমি তোমাকে কি বলছি কেউ যেন জানতে না পারে।’ আমার লোকেদের বলছি কোথায় ওরা আমার সঙ্গে দেখা করবে।

৪. এখন বলো, তোমার সঙ্গে কি খাবার আছে? তোমার কাছে থাকলে পাঁচটি গোটা রুটি আমাকে দাও, না হলে অন্য কিছু খেতে দাও।”

৫. যাজক বললেন, “আমার কাছে তো সাধারণ কোন রুটি নেই, কিন্তু পবিত্র রুটি আছে। তোমার লোকেরা তা খেতে পারে, অবশ্য যদি কোন নারীর সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্ক না থেকে থাকে।”

৬. দায়ূদ যাজককে বললেন, “না, এরকম কোন ব্যাপার নেই।” যুদ্ধে যাবার সময় এবং সাধারণ কাজের সময়ও তারা তাদের দেহগুলিকে শুদ্ধ রাখে। তাছাড়া এখন আমরা একটি বিশেষ কাজে এসেছি, সুতরাং অশুদ্ধ থাকার প্রশ্নই ওঠে না।”

৭. পবিত্র রুটি ছাড়া সেখানে অন্য কোন রুটি ছিল না। যাজক দায়ূদকে তা-ই দিলেন। এই রুটিই তার প্রভুর সামনে পবিত্র টেবিলে রেখে দিত। প্রতিদিন তারা এগুলে৷ বদলে টাটকা রুটি রেখে দিত।

৮. সেদিন সেখানে শৌলের একজন অনুচর উপস্থিত ছিল। সে ছিল ইদোম বংশীয়, তার নাম দোয়েগ। সে ছিল শৌলের প্রধান মেষপালক। দোয়েগকে সেখানে প্রভুর সামনে রাখা হয়েছিল।

৯. দায়ূদ অহীমেলককে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার কাছে কি বল্লম বা তরবারি কিছু একটা আছে? রাজার কাজটা জরুরি তাই তাড়াতাড়িতে আমি সঙ্গে কোনো তরবারি বা অস্ত্রশস্ত্ৰ আনি নি।”

১০. যাজক বললেন, “এখানে তো মাত্র একটাই তরবারি আছে, সেটা পলেষ্টীয় গলিয়াতের তরবারি। তুমি এলা উপত্যকায় তাকে হত্যা করার সময় ওর হাত থেকেই এটা কেড়ে নিয়েছিলে। ওটা কাপড়ে মুড়ে এফোদের পেছনে রাখা আছে। ইচ্ছা হলে এটা তুমি নিয়ে যেতে পারো।” দায়ূদ বললেন, “ওটাই তুমি আমাকে দাও। গলিয়াতের তরবারির মতেআ তরবারি আর কোথাও পাওয়া যাবে না ।”

দায়ূদ এক শত্রুর কাছ থেকে পালিয়ে গাতে গেলেন

১১. সেদিন শৌলের কাছ থেকে দায়ূদ পালিয়ে গেলেন। তিনি গাতের রাজআ আখীশের কাছে গেলেন।

১২. আখীশের অনুচররা এটা ভাল মনে করলেআ না। তারা বলল, “ইনি হচ্ছেন দায়ূদ, ইস্রায়েলের রাজা। এঁকে নিয়েই ওদের লোকেরা গান গায়। ওরা নেচে নেচে এই গানট৷ করেঃ “দায়ূদ মেরেছে শত্রু অযুতে অযুতে শৌল তো বলনি যে আমার পুত্র যোনাথন দায়ূদকে উৎসাহিত কেবল হাজারে হাজারে।”

১৩. তাদের কথাগুলে৷ দায়ূদ বেশ মন দিয়ে শুনলেন। গাতের রাজা আখীশকে তিনি ভয় করতে লাগলেন।

১৪. শেষে আখীশ ও তার অনুচরদের সামনে দায়ূদ পাগলের ভান করলেন। ওদের কাছে তিনি ইচ্ছে করে পাগলামি করতে লাগলেন। তিনি দরজায় থুতু ছিটাতে লাগলেন। তাঁর দাড়ি দিয়ে থুতু গড়াতে দিলেন।

১৫. আখীশ তার অনুচরদের বলল, “আরে লোকটাকে দেখো, সত্যি মাথা খারাপ। একে আমার কাছে এনেছ কেন?

১৬. আমার আশপাশে যথেষ্ট পাগল রয়েছে। আমার কাছে ঐ জাতীয় লোক আর বেশী আনার দরকার নেই। এটাকে আবার আমার বাড়িতে ঢুকিও না।”

error: Content is protected !!