মঙ্গল নৈবেদ্যসমূহ

১. “মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে যখন কেউ ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গ দেয় তখন প্রাণীটি একটি পুরুষ বা স্ত্রী গরু হতে পারে। কিন্তু প্রাণীটির অবশ্যই যেন কোন দোষ না৷ থাকে।

২. লোকটি প্রাণীটির মাথায় হাত রাখবে এবং সমাগম তাঁবুতে ঢোকার মুখে প্রাণীটিকে হত্যা করবে, তারপর বেদীর ওপরে আর তার চারপাশে হারোণের পুত্রের৷ অর্থাৎ যাজকরা রক্ত ছিটাবে।

৩. মঙ্গল নৈবেদ্য হল প্রভুর প্রতি আগুনে প্রস্তুত এক নৈবেদ্য। প্রাণীটির দেহের ভিতরে ও বাইরে যে চর্বি আছে, যাজক ত৷ অবশ্যই উৎসর্গ করবে।

৪. লোকটি দুটি বৃক্ক এবং যে চর্বি নিতম্বের নীচে তাদের ঢেকে রেখেছে সেগুলে৷ উৎসর্গ করবে। সে যে চর্বি যকৃৎকে ঢেকে রেখেছে সেটিও উৎসর্গ করবে এবং বৃক্কের সঙ্গে এটিকে সরিয়ে রাখবে।

৫. তারপর হারোণের বেদীর ওপর চর্বি পোড়াবে। আগুনের ওপরকার কাঠে রাখা জ্বলন্ত নৈবেদ্য। এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করে।

৬. যখন কোন লোক প্রভুর প্রতি মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে একটি মেষ বা একটি ছাগল দান করে, তখন প্রাণীটি পুরুষ অথবা স্ত্রী জাতীয় হতে পারে; কিন্তু তাতে যেন অবশ্যই কোন দোষ না থাকে।

৭. যদি সে তার নৈবেদ্য হিসেবে একটি মেষশাবক আনে তবে সে তা প্রভুর সামনে আনবে।

৮. সে অবশ্যই তার হাত প্রাণীটির মাথার ওপর রাখবে আর সমাগম তাঁবুর সামনে প্রাণীটিকে হত্যা করবে। তারপর হারোণের  পুত্রের৷ বেদীর চারপাশে প্রাণীটির রক্ত ছিটাবে।

৯. আগুনে প্রস্তুত নৈবেদ্যর মত করে লোকটি মঙ্গল নৈবেদ্যর একটা অংশ প্রভুর প্রতি উৎসর্গ করবে। লোকটি অবশ্যই চর্বি, সমগ্র চর্বিযুক্ত লেজ এবং যে চর্বি প্রাণীটির ভিতর অংশের সমস্ত অঙ্গ গুলোকে ঢেকে রাখে তা উৎসর্গ করবে। (পিছনের হাড়ের একেবারে লাগোয়া অংশ থেকে লেজটা সে কেটে দেবে।)

১০.  “কটির কাছের দুটি বৃক্ক ও তাদের ঢেকে রাখ৷ চর্বিকে লোকটি যেন দান করে। সে অবশ্যই যকৃতের চর্বি অংশটুকুও দান করবে। সে অবশ্যই বৃক্ক সমেত সেটিকে সরিয়ে নেবে।

১১. তারপর বেদীর ওপর যাজক সেগুলিকে পোড়াবে। প্রভুর প্রতি আগুনের নৈবেদ্যই হল মঙ্গল নৈবেদ্য কিন্তু এট৷ সাধারণ মানুষ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে।

মঙ্গল নৈবেদ্য হিসেবে একটি ছাগল

১২. “যদি নৈবেদ্যটি একটি ছাগল হয় তা হলে লোকটি তাকে প্রভুর সামনে আনবে।

১৩. লোকটি ছাগলটির মাথায় তার হাত রাখবে এবং তাকে সমাগম তাঁবুর সামনে হত্যা করবে। তারপর হারোণের পুত্র বেদীর চারপাশে ছাগলের সে রক্ত ছিটাবে।

১৪. “প্রভুর প্রতি আগুনের নৈবেদ্য হিসেবে লোকটি মঙ্গল নৈবেদ্যর কিছু অংশ অবশ্যই দান করবে। প্রাণীটির ভিতরের অংশগুলির ওপরের ও চারপাশের চর্বি লোকটি অবশ্যই উৎসর্গ করবে।

১৫. লোকটি নীচের পিছনের দিকের মাংসপেশীর কাছাকাছি দুটি বৃক্ক ও তাদের চর্বির আচ্ছাদন অবশ্যই উৎসর্গ করবে। সে যকৃতের চর্বি অংশও দেবে। সে অবশ্যই এটাকে বৃক্কসহ সরিয়ে দেবে।

১৬. “এরপর যাজক অবশ্যই এগুলি বেদীর পর পোড়াবে। মঙ্গল নৈবেদ্য হল আগুনে প্রস্তুত এক নৈবেদ্য। এর সুগন্ধ প্রভুকে খুশী করে। এটিও সাধারণ মানুষ খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করতে পারে; কিন্তু শ্রেষ্ঠ অংশগুলি অর্থাৎ চর্বি প্রভুর জন্য নির্দিষ্ট।

১৭. বংশপরম্পরায় এই নিয়ম চিরকালের জন্য তোমাদের মধ্যে চলতে থাকবে। যেখানেই তোমর৷ থাক তোমরা অবশ্যই কখনও চর্বি বা রক্ত খাবে না।”

error: Content is protected !!