৩য় পর্বের অধ্যায় চার-এ সম্মোহন করার পদ্ধতি নিয়ে যথেষ্ট বিস্তৃতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।

যেভাবে সম্মোহন করা হয়, সেভাবেই সম্মোহন করতে হবে, একই পদ্ধতিতে। সম্মোহন করা আর সহজ হয় যদি শরীরের যে যে অঙ্গ শিথিল বলে সাজেশন দেওয়া হচ্ছে সেই সময় সেই সেই সঙ্গে সম্মোহনকারী হালকা করে আঙুল বুলিয়ে দেন।

এই প্রক্রিয়া চলবে কম-বেশি ৩০ মিনিট ধরে।

রোগীকে সম্মোহিত করে তাঁর অবচেতন মনে যে সাজেশন দেওয়া হবে সেই সাজেশন বিষয়ে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা অত্যন্ত জরুরি। পরিকল্পনাহীন উল্টো-পাল্টা সাজেশনে রোগ আরোগ্যের পরিবর্তে নতুন ধরনের রোগলক্ষণ দেখা দিতে পারে।

সাজেশন দেওয়ার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় পৌছানোর আগে প্রয়োজন রোগীর রোগ সমস্যা বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা, তাঁর মানসিক দ্বন্দ্ব, রোগ উৎপত্তির কারণ আবিষ্কার। অনেক সময় অনেক মানসিক রোগের ক্ষেত্রে রোগীর সঙ্গে দীর্ঘ খোলামেলা আলোচনার মধ্য দিয়েই রোগীর ভ্রান্তধারণা থেকে গড়ে ওঠা রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। সেখানে খুব বেশি হলে সম্মোহনের সামান্যতম প্রয়োগই রোগমুক্তির পক্ষে যথেষ্ট হতে পারে।

সম্মোহন চিকিৎসায় ভালো ফল পেতে রোগীকে সবচেয়ে আগে ভালোমতো রিল্যাক্স করাতে হবে। সম্মোহনের সাহায্যে রিল্যাক্স করানোর মতো ভালো আর কোনো পদ্ধতি এখনো পর্যন্ত জানা যায়নি। রিল্যাকসেশানই সম্মোহন চিকিৎসার প্রথম ধাপ।

সম্মোহিত ঘুমে আচ্ছন্ন হওয়ার পর সাজেশনের সাহায্যে নির্দেশ পাঠান। একসময় সপ্তাহে অন্তত দুদিন রোগীকে সাজেশন নিতে চিকিৎসকের কাছে আসতে হত। রেকর্ড যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার পর, বিশেষ করে ছোট রেকর্ড যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার পরে চিকিৎসক তাঁর সুরেলা গলার সাজেশনগুলো ক্যাসেট বন্দি করে দেন। রোগী একটা ফাঁকা ঘরে হালকা আলো জ্বেলে যেন শুনতে থাকেন, পারলে প্রতিদিনই। রোগী হালকা পোশাক পরে শুনবেন । নিজে থেকেই একসময় আধা ঘুমের অবস্থায় চলে যাবেন। আবার নিজে থেকেই ঘুম ভাঙবে।

এবার প্রসঙ্গ সাজেশনে কোন রোগে কী নির্দেশ দেওয়া হবে? এবার সেসব নিয়ে আলোচনায় ঢুকবো।

পর্ব- একঃ উঠে আসা নানা প্রশ্ন

অধ্যায়ঃ এক

♦ সম্মোহন

অধ্যায়ঃ দুই

♦ জন্তুদের সম্মোহন করা ব্যাপারটা কি?

অধ্যায়ঃ তিন

♦ ফোটো-সম্মোহন কি সম্ভব?

অধ্যায়ঃ চার

♦ গণ-সম্মোহনের সাহায্যে কি ট্রেন ভ্যানিশ করা যায়?

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সম্মোহন করে পূর্বজন্মে নিয়ে যাওয়া যায়?

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ জন্মান্তর ও সম্মোহন

অধ্যায়ঃ সাত

♦ সম্মোহন ও নার্কো টেস্ট

অধ্যায়ঃ আট

♦ সম্মোহন করে কথা বলানো যায় ?

অধ্যায়ঃ নয়

♦ প্ল্যানচেটে যে আত্মা আনা হয়, তা কি স্বসম্মোহন বা সম্মোহনের প্রতিক্রিয়া ?

পর্ব- দুইঃ সম্মোহনের ইতিহাস ও নানা মানসিক রোগ

অধ্যায়ঃ এক

♦ সম্মোহনের বিজ্ঞান হয়ে ওঠার ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ মনোরোগ, সম্মোহন জানতে মগজের কাজ জানা জরুরি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ মানসিক রোগের রকমফের

অধ্যায়ঃ চার

♦ Hysterical neurosis – Conversion type

অধ্যায়ঃ চার

♦ সাইকোসিস (Psychosis) উন্মাদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ দেহ-মনজনিত অসুখ (Psycho-somatic disorder)

পর্ব- তিনঃ মনোবিদ ও মনোরোগ চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি

অধ্যায়ঃ এক

♦ মনোবিদ (Psychologist) ) মনোরোগ চিকিৎসক (Phychiatrist)

অধ্যায়ঃ দুই

♦ প্রধান কয়েকটি সাইকোথেরাপি নিয়ে আলোচনায় যাব

অধ্যায়ঃ তিন

♦ টেনশন

অধ্যায়ঃ চার

♦ রিল্যাকসেশান পদ্ধতি

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যৌনতা এবং যৌন-সমস্যা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব

পর্ব- চারঃ বিভিন্ন রোগের সম্মোহনের সাজেশন পদ্ধতি

অধ্যায়ঃ এক

♦ সম্মোহন চিকিৎসা এবং…

অধ্যায়ঃ দুই

♦ রোগীকে সাজেশন দেওয়ার পদ্ধতি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ রকমারি রোগ, রকমারি সাজেশন

অধ্যায়ঃ চার

♦ প্রাচীন আমল থেকেই মানসিক রোগ মানেই অশুভ শক্তির কালো হাত

“সম্মোহনের A to Z” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!