বোয়স ও অন্য আত্মীয়টি

১. শহরের ফটকের কাছে যেখানে লোকেরা সব জড়ো হয়েছে সেখানে বোয়স গেল। সেখানে সে বসে রইল যতক্ষণ না সেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়টি আসে। এর কথাই সে রূতকে বলেছিল। তারপর একসময় সেই লোকটি তার সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছিল। বোয়স তাকে ডাকল, “বন্ধু এই যে শোনো, এখানে বসো ! ”

২. তারপর বোয়স কয়েকজন সাথী জোগাড় করল। শহরের দশজন প্রবীণ লোককে সে ডাকল। তাদের বলল, “বসো !” তারা বসল।

৩. তারপর বোয়স সেই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়টিকে বলল, “পাহাড়ি দেশ মোয়াব থেকে নয়মী ফিরে এসেছে। আমাদের আত্মীয় ইলীমেলকের জমি সে বিক্রি করছে।

৪. এই শহরের লোকদের ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সামনে আমি তোমাকে এই কথা বলছি। যদি তুমি সেই জমি কিনে নিতে চাও, কেনো। আর যদি জমিট৷ ছাড়িয়ে নিতে না চাও, তাও বলো। তুমি না পারলে আমিই ছাড়িয়ে নেব।”

৫. তখন বোয়স আরও বলল, “নয়মীর জমি কিনে নিলে তুমি মোয়াবীয়া বিধবা রূতকেও পেয়ে যাবে। যদি মোয়াবীয়া রূতের সন্তান হয় সেই হবে জমির মালিক। এইভাবে জমিট৷ ওদের পরিবারেরই থেকে যাবে।”

৬. আত্মীয়টি বলল, “আমি ঐ জমি কিনবো না। ওটা তো আমারই হওয়ার কথা। কিনলে আমার নিজের জমিই খোয়াব। ও তুমিই কেনো।”

৭. (বহুকাল আগে ইস্রায়েলে কেউ কোনো সম্পত্তি কিনলে বা ছাড়িয়ে নিলে একজন লোক তার জুতো খুলে খদ্দেরকে দিয়ে দিত। এটাই ছিল বেচা-কেনার প্রমাণ।)

৮. সেইমতো ঘনিষ্ঠ আত্মীয়টি বলল, “জমি তুমি কিনে নাও।” তারপর সে তার জুতো খুলে বোয়সকে দিল।

৯. তখন বোয়স সমবেত লোকেদের এবং প্রবীণ ব্যক্তিদের বলল, “তোমরা সকলে সাক্ষী রইলে যে আমি ইলীমেলক, কিলিয়োন এবং মহলোনের এই সমস্ত জমিজমা নয়মীর কাছ থেকে কিনে নিলাম।

১০. সেইসঙ্গে রূতকেও আমার স্ত্রী হিসেবে কিনে নিলাম। এর ফলে মৃত স্বামীর সব সম্পত্তির অধিকার হবে তারই পরিবারের লোকেরা। এভাবেই তার নাম তার জমির ও পরিবার থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে না। তোমরা আজ সকলেই সাক্ষী থাকলে।”

১১. সকলেই সাক্ষী থেকে গেল। তারা বলল, ইস্রায়েলের গৃহ যারা তৈরী* করেছিল সেই রাহেল এবং লেয়ার মত করে প্রভু যেন গড়ে তোলেন এই নারীকে যে তোমার বাড়ীতে আসছে। তুমি ইফ্রাথাতে শক্তিশালী হও। তুমি বৈৎলেহমেও বিখ্যাত হও।

১২. তামর যিহুদার পুত্র পেরসকে জন্ম দিয়েছিল এবং তার পরিবার মহান হয়েছিল। প্রভু যেন তেমনি করেই তোমাকেও রূতের গর্ভজাত বহু সন্তান দেন। এবং তোমার পরিবারও পেরসের মতোই মহান হয়ে ওঠে।

১৩. বোয়স রূতকে বিয়ে করলো। প্রভুর আশীর্বাদে রূৎ গর্ভবতী হল। সে একটি পুত্রের জন্ম দিল।

১৪. শহরের রমনীরা নয়মীকে বলল, প্রশংসা করো প্রভুকে যিনি তোমাকে উপহার হিসেবে এই মহান পুত্র দিলেন। সে ইস্রায়েলে বিখ্যাত হবে।

১৫. এই তোমাকে পুনর্জীবিত করবে এবং তোমার বৃদ্ধ বয়সে দেখাশোনা করবে। তোমার পুত্রবধূর সুবাদেই তাকে পেলে। তোমারই জন্য সে এই ছেলেকে জন্ম দিয়েছিল। সে তোমায় ভালবাসে এবং সে তোমায় সাতটি ছেলের চেয়ে ঢের বেশি ভালবাসে।”

১৬. নয়মী ছেলেকে কোলে তুলে নিলো এবং তাকে আদর-যত্ন করল।

১৭. পাড়া প্রতিবেশীরা তার একটা নাম দিল। এই স্ত্রীলোকেরা বলল, “এখন নয়মীর একটি পুত্র আছে !” তারা পুত্রটির নাম রাখল ওবেদ। ওবেদের পুত্রের নাম যিশয়। যিশয়ের পুত্রের নাম দায়ূদ।

রূৎ ও বোয়সের পরিবার

১৮. এই হচ্ছে পেরসের পরিবারের বংশপরিচয়ঃ পেরসের পুত্র হিস্রোণ ।

১৯. হিস্রোণের পুত্র রাম। রামের পুত্র অম্মীনাদব।

২০. অম্মীনাদবের পুত্র নহশোন। নহশোনের পুত্র সলমোন।

২১. সলমোনের পুত্র বোয়স। বোয়সের পুত্র ওবেদ।

২২. ওবেদের পুত্র যিশয়। যিশয়ের পুত্র দায়ূদ।

error: Content is protected !!