যৌনতা হল মানুষের জীবনের অন্যতম প্রধান প্রেরণা। যৌনতা বা sex হল অন্যতম প্রধান জৈব আকর্ষণ বা biological tendency যা জীবনের বহু কিছুকেই চালিত করে। মনোরোগীদের মনোসমীক্ষণ করলে দেখা যায় এইসব রোগীদের অনেকেরই যৌনজীবনে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে।
মানুষের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আদিম সমাজে প্রতিটি নারী প্রতিটি পুরুষের এবং প্রতিটি পুরুষ প্রতিটি নারীর যৌনসঙ্গী ছিল। যৌনতাবোধ ও যৌনশক্তি আগমনের সঙ্গে সঙ্গে নারী-পুরুষের এই যৌথ যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। একসময় যৌথ যৌন সম্পর্ক থেকে দ্বন্দ্ব, ঝগড়ার শুরু হল। এল যৌন সম্পর্ক ঘিরে পরিবারের চিন্তা। নারী- পুরুষের সম্পর্ককে পরিবারের পাঁচিল তুলে সমাজে শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা হল ।
এই পাঁচিল ছিল আরোপিত সম্পর্কের পাঁচিল। এরপরও নারী-পুরুষের যৌন সম্পর্ক মাঝে-মধ্যেই সমাজের সম্পর্ক ভেঙেই স্থাপিত হতে লাগল ।
আজো আমাদের সমাজে নারী-পুরুষদের মধ্যে বহুগামিতা আছে। নারী ও পুরুষ দেহব্যবসায়ী আছে। কামের জন্য কাম আছে, অজাচার আছে।
প্রেম চিরন্তন না হতেই পারে। গভীর বন্ধুত্বে প্রেম আসে। প্রেম এলে কাম আসবেই। সেই কাম একগামী হবে—এটাই স্বাভাবিক।
আমাদের সমাজের অবক্ষয়ের জন্য সামাজিক পরিবেশই দায়ী। আমাদের মা-বাবা- আত্মীয়-প্রতিবেশী-শিক্ষক-বন্ধু-ধর্মগুরু-বইপত্তর-সিনেমা-ব্লুফিল্ম, থিয়েটার ইত্যাদি সবই ছোটবেলা থেকে আমাদের প্রভাবিত করতে থাকে, আমাদের শেখাতে থাকে। আমাদের যেমন শেখায় আমরা তেমনই শিখি ৷
আমরা ব্লুফিল্ম দেখবো, কী সমকামী হব, ড্রাগের নেশা করবো, কী সমাজ বিরোধী হব—সবই আমাদের বিশৃঙ্খল-দুর্নীতিপরায়ণ সমাজ ব্যবস্থাই শেখায়।
প্রেম ও যৌনতা নিয়ে ধর্মগুরু রজনীশের প্রবচন থেকে কিছু প্রবচন তুলে দেবার লোভ সামলাতে পারলাম না।
রজনীশের প্রবচন থেকে কিছু নির্যাস
■ সব ধর্ম-ই মুখে প্রেমের কথা বলে। কিন্তু বাস্তবে প্রেমকে জোর করে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শেখায়।
■ ধর্মগুরুরা-ই মনকে বিষময় করেছে। প্রেমকে স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে উৎসারিত হওয়াকে কীভাবে বাঁধ দিয়ে আটকাতে হয়, তা শিখিয়েছে। যে ধর্ম ব্রহ্মচর্য পালনকে জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আদর্শ বলে শেখায়, সে ধর্ম প্রেমের শত্রু। প্রেমের সঙ্গে কাম মিলে-মিশে থাকে। কামকে বাদ দিয়ে প্রেম হয় না। আর, প্রেমহীন কাম লাম্পট্য হতে পারে, প্রেম নয়। সব ধর্মগুরু ও মহাত্মারা কামকে পাপ, অধর্ম, বিষ বলে ঘোষণা করেছেন।
■ কামকে আধ্যাত্মিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার সর্বপ্রথম চেষ্টা তান্ত্রিকরা-ই করেন। তাঁরা-ই প্রথম বলেছিলেন, কাম তৃপ্তিতে যে আনন্দ তা-ই ব্রহ্ম, তা-ই ঈশ্বরের সঙ্গে একাত্ম হওয়া। তথাকথিত হিন্দু ধর্মগুরুরা কি তন্ত্রের এই সার কথাকে মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেবেন?
■ পরমাত্মা কাম শক্তিকে-ই সৃষ্টির মূল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মানুষের জন্ম-ই কামনা থেকে। পরমাত্মা যাকে ‘পাপ’ বলে মনে করেন না, মহাত্মা, ধর্মগুরুরা তাকে ‘পাপ’ বলে থাকেন। এরপর বলতে-ই হয়, যে ধর্মগুরুরা পরমাত্মার বিধান উল্টে দিতে চায়, তাদের চেয়ে পাপী এ’জগতে আর কেউ নেই ।
■ মনে রাখা দরকার, ব্রহ্মচর্য পালন করা সংযমীরা খুব বিপজ্জনক লোক। তাদের ভিতরে রয়েছে কামনার আগুন, বাইরে সংযমের মুখোশ। তাই শত-শত বছর ধরে এইসব মুখোশধারী ধর্মগুরুদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা চলে আসছে এবং আসবে।
■ সমস্ত ধর্ম-ই মৃত্যুবাদী, জীবনমুখী নয়। ধর্মের দৃষ্টিতে-মৃত্যুর পর যা কিছু তা- ই মহত্ত্বপূর্ণ। জীবিত অবস্থার কোনো কিছুই মহত্ত্বপূর্ণ নয় ৷
■ পৃথিবীর একশ জন পাগলের মধ্যে আটানব্বই জন হয়েছে কাম দমনের জন্যে। পৃথিবীর একশ হিস্টিরিক রোগী নারীর মধ্যে নিরানব্বই জনের মূর্ছা রোগের কারণ অবদমিত যৌনতা।
■ বাচ্চারা যখন দেখে মা-বাবারা যৌনতাকে নোংরা বলছেন মুখে এবং সুযোগ পেলেই সেই যৌনতায় মেতে উঠছেন, তখন তারা মা-বাবাকে প্রতারক, ভণ্ড, নোংরা ইত্যাদি মনে করে। শ্রদ্ধা যায় শেষ হয়ে যারা জীবনে প্রেম করার সঙ্গী পায়নি, তারা-ই কামুক। টাকা খরচা করে কাম মেটায়। ভালবাসা এক স্বভাব, ‘রিলেসনশিপ’ বা সম্পর্ক নয় ৷ মনে মনে যৌনক্রিয়া বা স্বমৈথুন বিকৃত মনের লক্ষণ। সম্ভোগ করুন শারীরিকভাবে। এই সম্ভোগ কখন-ই ধর্ষণ হবে না। হবে নারী-পুরুষের মিলিত ইচ্ছায়।
■ যে দেশে প্রেম ছাড়া বিয়ে হয়, সেই দেশে যৌনতা শরীরের স্তরে-ই থেকে যায়। তার বেশি উঠতে পারে না।
■ যে ধরনের ভালবাসার বিয়েতে পণ্ডিত, জ্যোতিষ, জাত, ধর্ম, অর্থের বিচার প্রধান্য পায় না, সেখানে ভালোবাস-ই প্রাধান্য পায় ।
■ বিয়ে কখনই দুটি নারী-পুরুষের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক গড়ার ব্যবস্থা হতে পারে না। কেননা, মন চঞ্চল, রুচি পরিবর্তনশীল। তাই পতি-পত্নীর শারীরিক মিলন কখন- ই চিরস্থায়ীভাবে গভীর হতে পারে না। প্রেম ছাড়া সামাজিক যেসব বিয়ে হয়, তাতে পতিনির্ভর পত্নীর অবস্থা বেশ্যার মতো। তফাত খুব-ই সামান্য। বেশ্যাকে একদিনের জন্যে কেনেন। পত্নীকে সারা জীবনের জন্যে ।
রজনীশের এই প্রবচনগুলো বিকৃতি না ঘটিয়ে তুলে দিলাম।
যৌন সমস্যা
যৌন সমস্যা নিয়ে আলোচনা দুভাবে হতে পারে। (এক) শালীনতা বজায় রেখে, মানে আরকি ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ করে। (দুই) যৌন সমস্যাগুলো নিয়ে সহজ করে আলোচনা করা। এতে অবশ্য কেউ কেউ আলোচনায় যৌনতার আঁশটে গন্ধ পেতে পারেন।
‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ মার্কা আলোচনার একটা বিপদ আছে। এমনটাই বিপদে নাকি পড়েছিল সঞ্জয় গান্ধীর পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি।
উত্তরপ্রদেশের পরিবার পরিকল্পনা-কর্মীরা গ্রামের মানুষদের নিরোধ ব্যবহার নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালালেন এবং ফ্রি নিরোধ বিলি করলেন।
বছর দেড়েক পরে কর্মীরা গ্রামগুলোতে সার্ভে করতে গিয়ে অবাক। জন্মহার একটুও কমেনি। আবার গ্রামে গ্রামে গিয়ে কর্মীরা জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা নিরোধ ব্যবহার করনি? গ্রামের লোকরা সমস্বরে জানালেন, হ্যাঁ, যেভাবে বলেছিলেন সেভাবেই আঙুলে নিরোধ পরে করেছি।
এই হল অস্বচ্ছতা রেখে বোঝাবার বিপদ ।
আমরা সহজ করে স্বচ্ছতার সঙ্গে সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনায় যাবো।
যৌন সমস্যাকে দু’ভাগে ভাগ করতে পারি। (১) যৌন অক্ষমতা (Sexual dysfunc- tion) এবং (২) বিকৃতকাম (Sexual deviation)।
যৌন অক্ষমতা প্রধানত দু’রকম। ছেলেদের ক্ষেত্রে ধ্বজভঙ্গ (লিঙ্গ শক্ত না হওয়া) বা (impotence) অথবা দ্রুত বীর্য পতন এবং মেয়েদের বেলায় কামশীতলতা (frigidity)। ধ্বজভঙ্গ দুটি কারণে হতে পারে। (এক) শারীরিক কারণে, (দুই) মানসিক কারণে।
শারীরিক কারণগুলো হতে পারেঃ
১) ডায়াবিটিস
২) থাইরয়েড সমস্যা ৩) কিডনির সমস্যা ৪) রক্তহীনতা
৫) হার্টের বা লিভারের সমস্যা ৬) হাই ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ খাওয়া ৭) টেনশনের ওষুধ খাওয়া
৮) স্টেরয়েড গ্রহণের অভ্যাস
৯) বার্ধক্যের কারণে
এইসব শারীরিক কারণে ও উল্লিখিত ওষুধ গ্রহণের কারণে ধ্বজভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ রোগীর ।
আর মানসিক কারণে ধ্বজভঙ্গ হয় শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ রোগীর ।
কিছু কিছু স্বামীজি-মার্কা ধর্মগুরুদের লেখাপত্তরে আছে—চল্লিশ দিনে এক ফোঁটা বীর্য তৈরি হয়। হস্তমৈথুন ধ্বজভঙ্গ ঘটায় ইত্যাদি।
এমন ভুল ও মিথ্যে কথায় বিশ্বাস করার কারণে কোনো বিবাহিত যদি বীর্যস্খলনের ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে, তবে তার ধ্বজভঙ্গ হতে পারে।
স্ত্রীর তুলনায় নিজেকে খুব ছোট, হীন মনে করলে স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় লিঙ্গ উত্থিত নাও হতে পারে অথবা দ্রুত পতন হতে পারে।
মিলন স্থায়িত্ব যেখানে ১০-১৫ মিনিট হওয়াটা স্বাভাবিক সেখানে ২-৩ মিনিটে স্খলনকে দ্রুত পতন বলব।
পায়ুমৈথুন প্রিয় পুরুষ স্ত্রীযোনির প্রতি আকর্ষণ অনুভব না করতে পারার কারণে ধ্বজভঙ্গের শিকার হতে পারে ।
পশুদের সঙ্গে সঙ্গম-প্রিয় মানুষ নারীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব না করতেই পারে। বয়স ৫০ বছর পার হলে ধ্বজভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে। ৬০-এর পর এই সম্ভাবনা বাড়ে ৷
নারীর কামশীলতার কারণ
১) পুরুষ সঙ্গীকে কুৎসিৎ-দর্শন মনে করলে
২) মনের মিল এবং রুচির মিল একটুও না থাকলে
৩) মিলনকালে যন্ত্রণার পূর্ব অভিজ্ঞতা
৪) গর্ভবতী হওয়ার ভয়
৫) থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
৬) যোনির প্রদাহ
৭) কিডনি, হার্ট ও লিভারের সমস্যা থাকলে
৮) উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
৯) বিষণ্নতার ওষুধ বেশি খেলে
১০) ড্রাগের নেশা থাকলে
১১) পুরুষসঙ্গী যদি সঙ্গমের এক-দু মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত করে ফেলে প্রতিবারই, তবে নারী সঙ্গম সুখ লাভ থেকে বঞ্চিত হতে হতে কামশীতল হয়ে পড়ে ।
১২) নারী সক্রিয় সঙ্গমে ইচ্ছুক কিন্তু পুরুষসঙ্গী একতরফাভাবে নিজের কাজটি করেই নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে নারী কামশীতল হতে পারে।
১৩) আদর-শৃঙ্গারের আগেই পুরুষ এক তরফা সঙ্গম করতে থাকলে নারী আবেগহীন, কামশীতল হয়ে পড়ে ।
বিকৃতকাম (Sexual Perversion)
প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ ভালোবেসে অথবা দুজনেই যৌন তাড়নায় মিলিত হলে সেটাকে বলবো স্বাভাবিক কাম
কিন্তু এর বাইরে বহুরকম বিকৃতকাম রয়েছে, যেগুলোর খবর আমরা কমবেশি জানি অথবা জানি না। বিকৃতকাম বহু ধরনের হতে পারে। তাদের মধ্যে প্রধানতমগুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনায় যাব।
১) লুকিয়ে যৌনতা দেখে যৌন উত্তেজনা ( Scopophilia) : বাথরুমে বা ঘরে বিপরীত লিঙ্গের স্নান করার সময় অথবা পোশাক পাল্টানোর সময় অথবা সঙ্গমের সময় লুকিয়ে দেখে অনেকেই যৌন উত্তেজনা অনুভব করে এবং স্বমৈথুন করে উত্তেজনা প্রশমিত করে।
সাধারণভাবে মা, বোন, বউদি, ভাই, বাবা-কাকা, মাসি-পিসিদের নগ্নতা দেখে থাকে এই বিকৃতকামীরা। এজন্য তারা বাথরুম বা ঘরের দরজায় গোপনে ফুটোও করে রাখে।
২) যৌনাঙ্গ দেখিয়ে উত্তেজনা (Exhibitionism) : পুরুষ ও নারীদের মধ্যে অনেকেই সুযোগ পেলে বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে স্তন, উরু, লিঙ্গ ইত্যাদি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে।
৩) ধর্ষকাম (Sexual sadism) : এরা ধর্ষকের ভূমিকা নিতে পছন্দ করে। যৌনসঙ্গীর উপর শারীরিক অত্যাচার চালিয়ে ধর্ষকের ভূমিকা নেয় ।
৪) অন্তর্বাসকামী (Fetishism) : নারীদের ব্লাউজ, ব্রেসিয়ার, প্যান্টি ইত্যাদিতে লিঙ্গ ঘষে, চেটে, চুমু খেয়ে কিছু পুরুষ উত্তেজনা অনুভব করে এবং পরিসমাপ্তি ঘটে হস্তমৈথুনে।
৫) শিশুকামী (Paedophilia) : অল্পবয়সি শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন নিপীড়নের মধ্য দিয়ে এই বিকৃতকামীরা কাম চরিতার্থ করে। এই যৌন অপরাধীরা সাধারণভাবে কিশোর, যুবক অথবা বৃদ্ধ এবং অপরাধপ্রবণ। মধ্যবয়স্কদের মধ্যে এই প্রবণতা কম ।
আবার মধ্যবিত্ত পরিবারের কিশোরী কাকা-মামা মেসোদের হাতে কিছু কিছু সময় যৌন-শোষণের শিকার হয়। মা-বাবার নজরহীনতাই এর জন্য দায়ী।
বাড়ির শিশুশ্রমিক মেয়ে হলে ওই বাড়ির পুরুষদের দ্বারা যেমন শোষিত হতে পারে; তেমন বালক-কিশোররাও বাড়ির মেয়েদের যৌন শোষণের শিকার হতে পারে ৷
৬) স্পর্শকামী (Touch – sexual disorder) : ভিড় বাস-ট্রাম-ট্রেন অথবা অন্য কোনো ভিড়ে নারী শরীর স্পর্শ বা নিষ্পেশন করার জন্য সুযোগ-সন্ধানী অনেক পুরুষ আছে। এরা সব বয়সের পুরুষ হতে পারে। আবার নারীদের মধ্যেও কেউ কেউ আছে যারা পুরুষের হাতে নিষ্পেশিত হয়ে অথবা লিঙ্গ স্পর্শ করে উত্তেজনা অনুভব করে।
৭) আত্মীয় মৈথুনকামী (Fimily sexual disorder) : এরা তরুণ-তরুণী। বন্ধুদের সামনে মা বা বোনের শারীরিক বর্ণনা দিতে দিতে হস্তমৈথুন করে যৌন আনন্দ পায় ৷
অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারি কলেজে এবং ইউনিভার্সিটিতে হোস্টেল জীবনে ফাৰ্ষ্ট ইয়ারের ছাত্রদের উপর সিনিয়র ছাত্ররা নানা ধরনের র্যাগিং চালায়। তারই একটি হল মা বা বোনের সঙ্গে নিজের সঙ্গম করার বর্ণনা দিতে দিতে হস্তমৈথুন করা। এই কুৎসিত র্যাগিং কোনো কোনো ছাত্রকে এতটাই প্রভাবিত করে যে একসময় সে বিকৃত কামের শিকার হয়ে পড়ে। আবার সমকামীদের কেউ কেউ গ্রুপের পরিবেশের প্রভাবে কৈশোর থেকেই আত্মীয় মৈথুনকামী ।
সাধারণত এই বিকৃতকামের শিকার ছেলেরা। তবে কম হলেও মেয়েদের মধ্যে এই যৌনবিকৃতির দেখা মেলে। উৎপত্তিস্থল সেই হোস্টেলের র্যাগিং।
(৮) অজাচার (Incest) : ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকে বলে অজাচার ।
ভাই-বোন, বাবা-মেয়ে, মা-ছেলে, কাকা-ভাইঝি, বউদি দেওর, পিসি-ভাইপো, মাসি-বোনপো ইত্যাদি ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে কোনো সমাজই মান্যতা দেয় না। ‘ঘৃণ্য’ ঘটনা বলে চিহ্নিত করে। তারপরও সত্যের খাতিরে বলতেই হয়, অজাচার আমাদের সমাজে কোনো বিরল ঘটনা নয় ।
কেস ডায়েরিঃ ১
বদলির চাকুরে বাবা ট্রান্সফার হয়ে মাকে নিয়ে কুচবিহারে গেলেন। নিজের মফঃস্বলের বাড়িতে রেখে গেলেন ক্লাস এইটের মেয়ে ও সদ্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সরকারি কাজে যোগ দেওয়া ছেলেকে। মেয়েটি লেখা-পড়ায় ভালো ছিল। কিন্তু দাদার তত্ত্বাবধানে থেকে ফেল করল পরপর দু-বছর
বাবা-মা এসে দেখলেন, মেয়ের মাথায় গণ্ডগোল। একজন সাইকোলজিস্ট দেখালেন। কাউন্সিলিং, হিপনোটিক সাজেশন দেওয়া—সবই হল কিন্তু মেয়েটি ঠিক হল না। তারপর রাঁচিতে নিয়ে গিয়ে ওখানে মেন্টাল হসপিটালে রেখে এক বছর চিকিৎসা হল। কিন্তু মেয়েটি যেই-কে-সেই।
মেয়েটির দাদা আমার সঙ্গে দেখা করে সাহায্য প্রার্থনা করে। মেয়েটিকে সম্মোহিত করে যখন জিজ্ঞেস করি, তোমার দাদা তোমাকে ভালোবাসে? আদর-টাদর করে? মেয়েটি জানায়, ও প্রায় প্রতিদিনই বোনকে সঙ্গম করে।
—ভালো লাগে? উত্তেজনা অনুভব কর?
প্রথম প্রথম ভালো লাগতো। এখন একটুও ভালোলাগে না। দাদা আমাকে ভয় দেখায় ও আমার প্রেমিককে সব বলে দেবে, যদি ওকে না দিই ।
–তোমার প্রেমিক কী করে?
—দাদারই বন্ধু। একটা চাকরি করে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে।
আমি মেয়েটিকে শেষ সাজেশনে জানাই, ওর দাদাকে বলে দেবো তোমাকে আর যেন বিরক্ত না করে ।
—ওকে চেনেন না। দাদা তাও করবেই।
—তুমি দাদাকে বলবে, এমন করলে থানায় কমপ্লেন করবে। তাতে দাদার ১০ বছর জেল হবেই। তুমি নিশ্চিন্তে থাক। তোমার দাদার কীর্তি তোমার মা-বাবা বা কেউই জানতে পারবে না ৷
দাদাকে আলাদা করে বলেছি, তোমার বোন সব বলেছে। সব টেপ করেছি। তুমি যদি ভুলেও আর বোনকে বিরক্ত কর তো তোমার জেল হবেই ।
বোন এখন ঠিক। গ্রাজুয়েট হয়েছে। ওর প্রেমিককেই বিয়ে করেছে। সুখী দম্পতি।
কেস ডায়েরিঃ ২
একটি যুবতী। এমএ পাস। সরকারি চাকুরে। সরকার গাড়ি দিয়েছে। পরিবারে আছেন মেয়েটি ছাড়া মা ও বাবা। মা অসুস্থা। দীর্ঘবছর ধরে প্রায় বিছানায় শুয়েই কাটছে। বাবা সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, উচ্চশিক্ষিত, উচ্চপদে কর্মরত।
তিন ঘরের ফ্ল্যাটে মা, বাবা ও মেয়ে তিন ঘরে থাকেন। মেয়েটি আমাকে ফোনে বেশ কয়েকদিন জানান, ও যখন রাতে ঘুমোয় তখন বাবা এসে মেয়েটির শরীরের নানা জায়গায় হাত বোলায়। গালে ও হাতে লিঙ্গ ঘষে দেন ৷
আমার একটাই উত্তর বারবার দিয়ে গেছি—ব্যাপারটা আন্তরিকভাবে অসহ্য মনে হলে মেয়েটির উচিত অন্য কোথাও ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে চলে যাওয়া। বাবার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার ব্যাপারে আমার সমর্থন চাওয়ার চেষ্টায় এইসব গল্প বললে আমি নেই। আর আমার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সংকেত পাঠিয়ে থাকলে জানিয়ে দিচ্ছি—“তুমি ভুল করেছ।”
তারপর এখন বাবা-মেয়ে কয়েক বছর ধরে অজাচার সম্পর্ক স্থাপন করে দিব্বি আছে। সম্পর্ক নেই আমার সঙ্গে। না আর ফোন পাইনি ।
কেস ডায়েরিঃ ৩
প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুনেছিলাম একবছর পঁয়তাল্লিশ বছরের এক মহিলার কাছে। দেখলে পঁয়ত্রিশ মনে হতে পারে। তিনজনের সংসার। মহিলা, বর ও বাইশের জোয়ান ছেলে। কাজে বাবাকে মাঝে-মাঝে বাইরে যেতে হয়। সেই সময় ঘুম ভেঙে গেল একদিন। কে যেন সারা শরীরে হাত বোলাচ্ছে। আবছা আলোয় বুঝতে পারেন হাতের মালিক ছেলে। মা সিঁটিয়ে থাকেন।
তারপর একদিন চূড়ান্ত উত্তেজনার মধ্যে ওর ওটা চেপে ধরতেই পরিসমাপ্তি ঘটে দুরন্ত মিলনে। এই মিলন প্রায়ই চলছে।
মহিলা আমাকে বললেন, উনি এই সম্পর্ক আর টানতে চাইছেন না। আমার সঙ্গে একদিন দেখা করতে চান।
বললাম, সম্পর্কে ছেদ টানতে চাইলে ছেলেকে সে কথা বুঝিয়ে বলুন। যা হয়ে গেছে গেছে আর নয়। জোর করে মিলনে বাধ্য করলে থানায় কমপ্লেন করবেন। ধর্ষণের অভিযোগ আনবেন, ছেলেকে জানান। দেখবেন ছেলে জেলের গন্ধ পেলে গুটিয়ে যাবে।
তারপরও মাঝে-মধ্যে মহিলাটি আমাকে বিরক্ত করায় বললাম, আপনি সত্যি বলুন তো- ছেলের হাত থেকে নিষ্কৃতি চান? নাকি ছেলের প্রক্সি চান? নাকি সেক্স পার্টনার বাড়াতে চান? আর ফোন পাইনি। ফোন থেকে বাঁচতে এই আঘাত দেওয়াটা জরুরি ছিল।
৯) সমকামিতা (Homosexuality) : অবশ্যই এটি একটি কাম-বিকৃতি। নারী- পুরুষের মিলন হল স্বাভাবিক কাম। নারীতে-নারীতে, পুরুষে-পুরুষে যে যৌনাচার— তাকে বলে অস্বাভাবিক-কাম বা বিকৃত-কাম ।
কেউ কেউ মনে করেন ‘সমকামিতা’ সহজাত প্রবৃত্তি। এদের মধ্যে ‘বুদ্ধিজীবী’, বিজ্ঞান পেশার মানুষও আছেন। এ বিষয়ে একটু ওয়েবসাইট ঘাটলে এমন বিজ্ঞানবিরোধী কথা তাঁরা নিশ্চয়ই বলতেন না। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের একটি বড় দোষ হল—অহংভাব যতটা বেশি, জানার আগ্রহ ততটাই কম ৷
সমকামিতা আসে সাধারণভাবে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল থেকে। এইসব হোস্টেলে সাধারণভাবে মদ্যপান, নেশা, ব্লুফিল্ম দেখা ও ফ্রিসেক্স যথেষ্ট বেশি।
হোস্টেলে নারী-পুরুষের মিলন সম্ভব হয় না বলে ছেলেতে ছেলেতে, মেয়েতে- মেয়েতে সমকামে লিপ্ত হয়। জেলখানায়, পুলিশ ব্যারাকে, সেনা ব্যারাকে সমকামের প্রয়োগ যথেষ্টই বেশি।
আবার স্কুলজীবন থেকেই সহপাঠী বন্ধুদের সঙ্গে সমকামী গ্রুপ তৈরি করা নামি স্কুলের কিছু কিছু কিশোরী ও কিশোরদের দেখেছি। এরা পর্নোবই, পর্নো-নেট দেখে উত্তেজনার উন্মাদনায় ভেসেছে। বিপরীত লিঙ্গের যৌনসঙ্গীর অভাব মিনিয়েছে বন্ধুরাই।
সাধারণভাবে এইসব সমকামীরা সমাজজীবনের মূলস্রোতে ফিরে এলেই অর্থাৎ পারিবারিক জীবনে ফিরে এলেই বিপরীত লিঙ্গকামী হয়ে ওঠে। এদের মধ্যে সামান্যই সমকামী থেকে যায়।
যারা সমকামী থেকে যায় তাদের সম্পর্ক হয় খুবই ক্ষণস্থায়ী বা বহুগামী
অনেক সময় শারীরিক আকর্ষণহীন নারী-পুরুষ বিপরীত লিঙ্গের সঙ্গী না পেয়ে সমকামী হয়।
যাঁরা সমকামীতা স্বাভাবিক-কাম মনে করেন, তাঁরা পশুকামীতা থেকে অজাচার— সবকিছুকেই স্বাভাবিক কাম মনে করবেন আশা করি।
১০) লিঙ্গ পরিবর্তনকামীতা (Trans-sexualism) : যৌন-বিকৃতির মধ্যেই পড়ে। শারীরিকভাবে পুরুষ কিন্তু মানসিকভাবে নারী-—এমন মানুষদের বলে লিঙ্গ পরিবর্তনকামী। আবার শারীরিকভাবে নারী, কিন্তু মানসিকভাবে পুরুষের দেখা মেলে।
শিশুপালন পদ্ধতির দোষে এমন হতে পারে। ছোট্ট ছেলেটিকে বাড়ির মহিলারা শাড়ি পরিয়ে, টিপ পরিয়ে মেয়ে সাজিয়ে যে মজার খেলা শুরু করলেন, সেই চলমান খেলাই একটু একটু করে ছোট ছেলেটিকে মননে মেয়ে করে তুললো। এমনটাই ঘটনার ফলে একজন মেয়েও একটু করে মননে পুরুষ হয়ে ওঠে।
বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লিঙ্গ পরিবর্তনের স্পৃহা এতটাই বেড়ে যায় যে কেউ কেউ ডাক্তারের সাহায্য নেয় ।
১১) পশুকামীতা (Zoophilia) : পশুকামীতার প্রচলন বহু প্রাচীন আমল থেকেই চলে আসছে। পশুকামীতার ব্লু-ফিল্মের চাহিদা কম নয়। গৃহপালিত পশুদেরই সঙ্গমের কাজে ব্যবহার করা হয়। স্ত্রী-পশুদের পুরুষরা ও পুরুষ-পশুদের মেয়েরা সঙ্গমের কাজে ব্যবহার করে। কুকুর, বাঁদর, বিড়াল ইত্যাদি পশুদের ব্যবহারই প্রধানত হয়, কারণ এইসব পশুরা সঙ্গমপটু এবং ঘরে পোষ মানে ৷
১২) ধর্ষণ (Rape) : বলপ্রয়োগের সাহায্যে মৈথুন করাকে বলে ধর্ষণ। ধর্ষণ। ‘ধর্ষণ” সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা প্রতারণামূলক প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা নেশা করিয়ে বা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অথবা বলপ্রয়োগ করে একজনের অনুমতি ছাড়া তাকে মৈথুন করাই ধর্ষণ। সাধারণত মেয়েরাই পুরুষদের দ্বারা ধর্ষিত হয়।
একজন নারীকে যখন একাধিক পুরুষ ধর্ষণ করে তখা তাকে বলে গণধর্ষণ। এই ধর্ষকরা সাধারণত অল্পবয়স্ক থেকেই নেশারু, অপরাধপ্রবণ ও বেপরোয়া চরিত্রের হয়।
এটা কোনো মানসিক রোগ নয়। এরা অশিক্ষিত, অমার্জিত এবং প্রভূত ধরনের অধিকারী হতেই পারে। সমাজবিরোধী ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠার পর তাকে সুস্থ সমাজে ফিরিয়ে আনার কোনো মনোচিকিৎসা নেই।
১৩) লাম্পট্য (Hyper-sexual disorder) : বাচবিচারহীনভাবে যৌন সম্পর্ক গড়ার তীব্র লালসা যাদের আছে, তাদের বলে লম্পট। এদের কাছে ‘দেহসূচিতা’ একটা কুসংস্কার। সেক্স হল এনজয় করার ব্যাপার ।
সাধারণভাবে মেধাহীন, কর্মহীন সুন্দরী পুরুষদের মাথা চিবানোর নেশায় বুঁদ থাকে। সন্তান থেকে পিতার বয়সিদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে নেয় দ্রুত। প্রথম আলাপেই বিছানায় শুতে পারে।
বার্ধক্যেও এরা ফোনের মাধ্যমে চুটিয়ে ‘সেক্স’ এনজয় করে অচেনাদের সঙ্গেও।
সংস্কৃতিহীন ধনী অথবা সুদর্শন পুরুষরাও মেয়ে পটানোতে চ্যাম্পিয়ান হয়। এরা বাকপটু, টার্গেট করা মেয়েটির প্রশংসায় বানভাসি করিয়ে দেয়।
আবার পত্রিকা বা টিভির কর্মকর্তা গোছের কেউ হলে, মডেলগার্ল বা মডেলবয় হলে, সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালের অভিনেত্রী-অভিনেতা হলে লম্পট হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। বাড়ে খেলার জগৎ থেকে সঙ্গীত জগতের নক্ষত্র বা আধা-নক্ষত্র হলেও।
যৌন সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে এরা হয় বিচারহীন।
ধর্ষক আর লম্পট ছাড়া প্রথম ১০টি বিকৃত-কামের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সাইকোথেরাপির সাহায্যে বিকৃতকামীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সমস্যার শুরুতেই সাইকোথেরাপির সাহায্য নিলে সুস্থ করে তোলার সম্ভাবনা প্রবল ।
পর্ব- একঃ উঠে আসা নানা প্রশ্ন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
♦ জন্তুদের সম্মোহন করা ব্যাপারটা কি?
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
♦ গণ-সম্মোহনের সাহায্যে কি ট্রেন ভ্যানিশ করা যায়?
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ সম্মোহন করে পূর্বজন্মে নিয়ে যাওয়া যায়?
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
অধ্যায়ঃ নয়
♦ প্ল্যানচেটে যে আত্মা আনা হয়, তা কি স্বসম্মোহন বা সম্মোহনের প্রতিক্রিয়া ?
পর্ব- দুইঃ সম্মোহনের ইতিহাস ও নানা মানসিক রোগ
অধ্যায়ঃ এক
♦ সম্মোহনের বিজ্ঞান হয়ে ওঠার ইতিহাস
অধ্যায়ঃ দুই
♦ মনোরোগ, সম্মোহন জানতে মগজের কাজ জানা জরুরি
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
♦ Hysterical neurosis – Conversion type
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ দেহ-মনজনিত অসুখ (Psycho-somatic disorder)
পর্ব- তিনঃ মনোবিদ ও মনোরোগ চিকিৎসার বিভিন্ন পদ্ধতি
অধ্যায়ঃ এক
♦ মনোবিদ (Psychologist) ) মনোরোগ চিকিৎসক (Phychiatrist)
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রধান কয়েকটি সাইকোথেরাপি নিয়ে আলোচনায় যাব
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
পর্ব- চারঃ বিভিন্ন রোগের সম্মোহনের সাজেশন পদ্ধতি
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
“সম্মোহনের A to Z” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ