যাজক ও লেবীয়দের জন্য নগরসমূহ

১. লেবীয় পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানেরা যাজক ইলিয়াসর নূনের পুত্র যিহোশূয় এবং ইস্রায়েলের অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর প্রধানদের কাছে কথা বলতে গেলো।

২. কনান দেশের শীলো শহরে এই আলোচনা বৈঠক হল। লেবীয় শাসকরা তাদের বলল, “প্রভু মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন যে তিনি যেন আমাদের থাকার জন্যে কিছু শহরের ব্যবস্থা করেন। প্রভু আরও বলেছিলেন আমাদের পশুরা যাতে চরে খেতে পারে সে রকম কিছু মাঠও যেন তিনি আমাদের দেন।”

৩. সুতরাং ইস্রায়েলবাসীরা প্রভুর এই নির্দেশ পালন করলো। তারা লেবীয়দের এইসব শহর ও পশুদের জন্য মাঠঘাট দিল।

৪. লেবি পরিবারগোষ্ঠীর যাজক হারোণের উত্তর- পুরুষরা হল এই কহাৎ পরিবার। কহাৎ পরিবারের একট৷ অংশকে দেওয়৷ হল ১৩টি শহর। সেই ১৩টি শহর ছিল যিহুদা, শিমিয়োন আর বিন্যামীনদের।

৫. বাকী কহাত পরিবারদের দশটি শহর দেওয়া হল, সেই অঞ্চলে যেখানে ইফ্রয়িম, দান এবং মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অর্ধেকের অধীনে ছিল।

৬. গেশোন পরিবারের লোকদের দেওয়া হল ১৩টি শহর। এই শহরগুলি ছিল সেই অঞ্চল, যেগুলি বাশনে বসবাসকারী ইষাখর, আশের, নপ্তালি এবং অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠীর অধীনে ছিল।

৭. মরারি পরিবারের লোকের৷ পেল ১২টি শহর। রূবেণ, গাদ এবং সবূলূনদের অঞ্চলে ছিল এইসব শহর।

৮. ইস্রায়েলের অধিবাসীরা তাদের চারপাশের এইসব শহর ও মাঠঘাট লেবীয়দের দিয়েছিল। প্রভু যেভাবে মোশিকে আদেশ দিয়েছিলেন, তা পালন করতেই তারা তাদের এইসব মাঠঘাট ও শহর দিয়েছিল।

৯. যিহূদা এবং শিমিয়োনের অঞ্চলে যে সব শহর ছিল এই হল সেগুলোর নাম।

১০. “কহাৎ পরিবারভুক্ত লেবীয়দের প্রথম শ্রেণীর শহরগুলি দেওয়া হল।

১১. তারা ওদের দিয়েছিল কিরিয়ৎ-অর্ব (এটা হচ্ছে হিরোণ। অনাকের পিতা অর্বের নামেই এর নামকরণ হয়েছিল।) পশুদের জন্যে তারা শহরের কাছাকাছি কিছু মাঠও দিয়েছিল।

১২. কিন্তু কিরিয়ৎ-অর্বর চারপাশের ছোটছোট শহর আর মাঠগুলো ছিল যিফুন্নির পুত্র কালেবের।

১৩. সেইজন্যে তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের হিরোণ শহরটা দিয়ে দিয়েছিল। (হিরোণ ছিল নিরাপদে বাস করার শহর।) এছাড়াও তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের দিয়েছিল লিনার অন্তর্গত শহরগুলো,

১৪. যত্তীর, ইষ্টমোয়,

১৫. হোলোন, দবীর,

১৬. “ঐন, যুট৷ এবং বৈৎ-শেমশ। তারা তাদের পশুদের জন্যে এইসব শহরগুলোর আশেপাশের কিছু মাঠও দিয়েছিল। এই দুটি সম্প্রদায়ের জন্যে ৯টি শহর দিয়েছিল।

১৭. “বিন্যামীন পরিবারগোষ্ঠীর শহরগুলোও তারা হারোণের উত্তরপুরুষদের দিয়েছিল। শহরগুলি হচ্ছেঃ গিবিয়োন, গেবা,

১৮.  অনাথোৎ এবং অমোন। তারা তাদের এই চারটি শহর এবং তাদের পশুদের জন্য শহরের আশপাশের মাঠঘাট দিল।

১৯. “মোট ১৩টি শহর তারা যাজকদের দান করেছিল। (যাজকরা সকলেই হারোণের উত্তরপুরুষ।) তারা পশুদের জন্যে প্রত্যেক শহরের লাগোয়া মাঠও দিয়েছিল।

২০. কহাৎ গোষ্ঠীর অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছিল ইফ্ৰয়িম পরিবারগোষ্ঠীর এলাকার শহরগুলো। তারা পেয়েছিল এইসব শহরঃ 

২১. পাহাড়ী দেশ ইফ্রয়িমের শিখিম শহর (একটি আশ্রয় দেবার শহর)। তারা গেষরও পেল।

২২. কিবসয়িম এবং বৈৎ-হোরোণও পেল। ইফ্রয়িমরা তাদের দিয়েছিল চারটে শহর এবং পশুদের জন্যে চারপাশের কিছু মাঠ।

২৩. দান পরিবারগোষ্ঠী দিয়েছিল ইলতকী, গিব্বথোন,

২৪. অয়ালোন এবং গাৎ-রিম্মোণ। মোট চারটে শহর এবং শহরের লাগোয়া মাঠ দানগোষ্ঠী তাদের দিয়েছিল।

২৫. অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী তাদের দিয়েছিল তানক এবং গাৎ-রিম্মোণ। এই অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী তাদের মোট দুটি শহর এবং পশুদের জন্য শহরের চারপাশের মাঠঘাট দিয়েছিল।

২৬. তারপর, কহাৎ পরিবারের বাকী লোকেরা পেয়েছিল মোট দশটি শহর এবং পশুদের জন্যে শহরের লাগোয়া মাঠগুলো।

২৭. গের্শোন পরিবারও লেবি পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছে। তারা পেয়েছিল এইসব শহরঃ অর্ধেক মনঃশি পরিবারগোষ্ঠী থেকে বাশনের অন্তর্গত গোলন। (গোলন ছিল নিরাপত্তার শহর) তারা তাদের বীষ্টরা শহরও দিয়েছিল। সব মিলিয়ে মনঃশির এই অর্ধেক পরিবারগোষ্ঠী তাদের মোট দুটি শহর এবং পশুদের জন্যে কিছু মাঠ দিয়েছিল।

২৮. ইষাখর পরিবারগোষ্ঠী দিয়েছিল কিশিয়োন, দাবরৎ 

২৯. যর্মুৎ এবং ঐন-গন্নীম। মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্যে মাঠ।

৩০. আশের পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল মিশাল, আব্দোন, হিলকৎ এবং

৩১. ‘রহোব। মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্যে শহরের লাগোয়া মাঠ।

৩২. নপ্তালি পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল গালীলের অন্তর্গত কেদশ। (কেদশ ছিল নিরাপত্তার শহর।) তাছাড়৷ হম্মেৎ-দোর, কর্ত্তন, মোট তিনটি শহর এবং পশুদের জন্যে মাঠ।

৩৩. গের্শোন পরিবার পেয়েছিল মোট ১৩টি শহর এবং পশুদের জন্যে শহরগুলোর লাগোয়া মাঠগুলো।

৩৪. লেবীয় গোষ্ঠীর অন্য শাখা হচ্ছে মরারি পরিবার। তারা পেয়েছিল এইসব শহরঃ সবূলূন পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল যক্বিয়াম, কাৰ্ত্তা,

৩৫. দিম্না এবং নহলোল। সবূলূন মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্যে মাঠ দিয়েছিল।

৩৬. রুবেণ পরিবারগোষ্ঠী থেকে পেয়েছিল বেৎসর, যহস,

৩৭. কদেমোৎ, মেফাৎ। রূবেণ মোট চারটি শহর এবং পশুদের জন্যে মাঠ দিয়েছিল।

৩৮. গাদ পরিবারগোষ্ঠীর কাছ থেকে পাওয়া গেল গিলিয়দের অন্তর্গত রামোৎ। (রামোৎ ছিল নিরাপত্তার শহর।) তাছাড়৷ মহনয়িম, 

৩৯. হিষবোণ এবং যাসের। গাদ মোট চারটি শহর আর পশুদের জন্য শহরের লাগোয়া মাঠ দিয়েছিল।

৪০. লেবীয়দের শেষ পরিবার, মরারি পরিবার মোট ১২টি শহর পেয়েছিল।

৪১. সুতরাং লেবীয় গোষ্ঠী পেয়েছিল মোট ৪৮টি শহর এবং প্রতিটি শহরের লাগোয়া পশুদের জন্য মাঠ। এইসব ছিল অন্যান্য পরিবারগোষ্ঠীর।

৪২. প্রত্যেক শহরেই পশুদের জন্য কিছু মাঠ ছিল।

৪৩. ইস্রায়েলবাসীদের কাছে প্রভু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা তিনি পালন করলেন। তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি মতোই সব জমিজায়গা দিয়েছিলেন এবং লোকেরা সেসব জায়গায় বসবাস করতে লাগল।

৪৪. “প্রভু তাদের আশেপাশের সমস্ত দেশগুলিতে তাদের পূর্বপুরুষদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুসারে শান্তি বজায় রাখলেন। কোন শত্রুই তাদের পরাজিত করতে পারেনি। প্রত্যেক শত্রুকে হারাবার মতো ক্ষমতা প্রভু তাদের দিয়েছিলেন। 

৪৫. ইস্রায়েলবাসীদের কাছে প্ৰভু যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সবই তিনি রেখেছিলেন। কোনো প্রতিশ্রুতিই ব্যর্থ হয় নি। প্রত্যেক প্রতিশ্রুতিই বাস্তবে পরিণত হয়েছিল।

error: Content is protected !!