‘যোগ’ হল তন্ত্র সাধনার এক রহস্যময় পথ। যোগী পতঞ্জলি যোগের প্রণেতা। ঋষি বেদব্যাস এই যোগের ভাষ্যকার। এইসব যোগীরা অনাদিনাথ বা শিবকেই যোগ বিদ্যায় উপদেশ দানকারী বলে উল্লেখ করেছেন। শিবই চুরাশি রকমের আসনের শিক্ষা দিয়েছিলেন। শ্রীমদ্ভাগবতের একাদশ স্কন্ধে শ্রীভগবান যোগসাধনের গুণগান গেয়েছেন। গীতায় যোগ মাহাত্ম আছে। অতএব, হিন্দু-উপাসনা’ ধর্মে বিশ্বাসীদের কাছে প্রশ্নাতীত পরম সত্য হল ‘যোগ’।

মানবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার সংযোগের উপায়ের নাম যোগ। এইজন্য কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত করার কথা বলা হয়েছে যোগে।

যোগ মতে ‘কুণ্ডলিনী’ শক্তিকে জাগ্রত করতে যোগীকে ‘ষটচক্র’ ভেদ করতে হয়। যোগ বা তন্ত্রশাস্ত্র বিশ্বাস করে প্রতিটি মানব দেহে ছটি চক্র আছে। চক্র ছটির অবস্থান গুহ্যে, লিঙ্গমূলে, নাভিতে, হৃদয়ে, কণ্ঠে ও ভ্রূদ্বয়ের মাঝখানে। ছ’টি চক্রের নাম গুহ্যে মূলাধারচক্র থেকে পর্যায়ক্রমে স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, অনাহত, বিশুদ্ধ ও জ্ঞানচক্র। মস্তিষ্কে আছে সহস্রদল পদ্ম। যোগের বিশেষ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মূলাধারচক্র কে একের পর এক ছটি চক্র ভেদ করে কুণ্ডলিনী শক্তিকে মস্তিষ্কে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মাথার খুলির নীচে রয়েছে সহস্রদল পদ্ম কুঁড়ি। কুঁড়ির

ওপর ফণা মেলে থাকে সাপ। যার লেজ রয়েছে গুহ্যে যোগ প্রক্রিয়ার সাহায্যে, বা বলতে পারি তন্ত্র প্রক্রিয়ার সাহায্যে সাপের ফণাটি সরিয়ে দিতে সক্ষম হলেই মস্তিষ্কে হাজারটা রঙিন পাপড়ি মেলে ফুটে উঠবে পদ্ম। এই যে সাপ বা মহাশঙ্খিনীশক্তি, ইনিই মহামায়া, মহাশক্তি। পদ্মের কর্ণিকা বা বীজকোষে রয়েছেন ব্রহ্মস্বরূপ শিব।

ষট্চক্র ভেদ করে সাপের ফণা সরিয়ে মস্তিষ্কের সহস্রদল পদ্মকে ফুটিয়ে তুলতে পারলেই নাকি ঘটবে ব্রহ্মদর্শন, মিলবে চির আনন্দ, মিলবে মোক্ষ।

প্রাক্-আর্য বা প্রাক্-বৈদিক যুগে হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো থেকে যে সব সিল ও মূর্তি পাওয়া যায় তাতে সে সময় যে যোগসাধনা ছিল, তা বোঝা যায়। বৈদিক যুগে প্রথম দিকে যোগের প্রতি বিরূপতা থাকলেও পরবর্তীকালে যোগসাধনা বা যোগদর্শন বৈদিক শাস্ত্রে গৃহীত হয়। পতঞ্জলির ‘যোগসূত্র’ ষড়দর্শনের অন্যতম দর্শন হিসেবে গণ্য হয়। পতঞ্জলি তাঁর সূত্রে যোগ শক্তির মহিমা কীর্তন করেছেন। যোগ সিদ্ধিতে বা যোগ বিভূতিতে নাকি পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর ভাষা-জ্ঞান লাভ হয়, নিজেকে অদৃশ্য করা যায়, খিদে ও তৃষ্ণা নিবারণ করা যায়, আকাশে ভ্রমণ করা যায়, অন্যের দেহে প্রবিষ্ট হওয়া যায়, সর্বজ্ঞ হওয়া যায়, ইষ্ট-দেবতার সঙ্গে মিলিত হওয়া যায় । পতঞ্জলির যোগে বৌদ্ধতন্ত্রের যে প্রভাব দেখা যায়, সে কথা আগেই বলেছি। হিন্দু তন্ত্রশাস্ত্রই হোক, হিন্দু যোগশাস্ত্রই হোক অথবা বৌদ্ধ তন্ত্রশাস্ত্রই হোক—এরা প্রত্যেকেই যোগ সাধনায় মানবদেহের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে।

হিন্দু তন্ত্রশাস্ত্র ও বৌদ্ধ তন্ত্রশাস্ত্রের অন্যতম মূল কথা

‘যা আছে দেহভাণ্ডে, তাই আছে ব্রহ্মাণ্ডে।’

এইসব শাস্ত্র মনে করতো যে, ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোম নিয়ে ব্ৰহ্মাণ্ড তাই নিয়েই এই দেহভাণ্ড। দেহরহস্যের মধ্যেই রয়েছে ব্রহ্মাণ্ড রহস্যের মূল সূত্র। ব্রহ্মাণ্ডের তাবৎ সৃষ্টির মধ্যে খুঁজে পেলো পুরুষ ও প্রকৃতির মিলনকে। পুরুষ ও নারীর মিলনের মধ্যে ওঁরা পেলেও সৃষ্টি রহস্যের মূল সূত্র। ফলে ‘দেহ’ ও ‘মৈথুন’ তন্ত্র-শাস্ত্রে ও যোগ-শাস্ত্রে বিশেষ গুরুত্ব পেলো।

একটা সময় মানুষের কাছে মানুষের দেহ ছিল এক পরম-বিস্ময়। এক অজানা বিস্ময়। শুরুতে বৈদিক যুগের মানুষ শব দেহকে অপবিত্র, অস্পৃশ্য মনে করতো। শব কবর দিত। পরবর্তী কালে শব দাহ করার পর বা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হতো। শবদেহের সংস্পর্শে আসা মানব শরীরকে পবিত্র ও শুদ্ধ করার নানা পদ্ধতি, প্রকরণ, সংস্কার ছিল। এখনও যার তলানি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসীদের মধ্যে বহমান। সে সময় শবদেহ দাহ করত অস্পৃশ্য শ্রেণীর মানুষ। শব ব্যবচ্ছেদ করে মানব শরীরের গঠনতন্ত্র বা anatomy জানার কথা মানুষ কল্পনাতেই আনতে পারত না।

মানবদেহের ‘অ্যানাটমি’ বর্ণনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ঋষি ও যোগীরা। তাঁরা নাকি যোগবলে মানব শরীরের ভিতরে ঢুকে ‘অ্যানাটমি’ দেখে এসে, শরীরে ছটি চক্রের অবস্থান ও সেই চক্রগুলির মধ্যে নানা দেব-দেবীদের অবস্থান, মাথার খুলির নীচে হাজার পাপড়ির পদ্মফুল এবং একটা সাপের অবস্থান বর্ণনা করেছিলেন। কেউ এই ‘অ্যানাটমি’ বর্ণনার মধ্যে রূপক আবিষ্কারের চেষ্টা করলে তাকে আমরা অবশ্যই যোগের অ-আ-ক-খ না জানা মূর্খ বলে চিহ্নিত করে করুণা প্রদর্শন করতে পারি মাত্র। কারণ তন্ত্রশাস্ত্রের যে কোনও বই গভীরভাবে পড়লেই দেখা যাবে মানব শরীরে অ্যানাটমি বলে তাঁরা যা বলে গেছেন বা লিখেছিলেন, সেগুলো সত্যি বলেই বিশ্বাস করতেন এবং এখনও করেন। এর মধ্যে রূপক সৃষ্টির কোনও চেষ্টা আদৌ ছিল না। তাঁদের এই বিশ্বাস এসেছিল অসম্পূর্ণ জ্ঞান বা অজ্ঞতা থেকে। তাঁরা হয়তো বা কোনওভাবে মানুষের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষ বা ঘিলু দেখেছিলেন এবং ঘিলু দেখে হাজার পাপড়ির পদ্মের ‘অস্তিত্ব’ খুঁজে পেয়েছিলেন। তাঁরা হয়তো মৃত মানুষের অস্ত্র নিয়ে কুকুর বা শিয়ালের টানাটানি দেখেছিলেন। অন্ত্রের সঙ্গে সাপের চেহারাগত মিল থাকায় মানব দেহে সাপের অবস্থান আছে—এমনটাই বিশ্বাস করেছিলেন।

‘যোগ’ দর্শনটাই দাঁড়িয়ে আছে মানবদেহের সম্পূর্ণ ভুল গঠনতন্ত্র বা

‘অ্যানাটামি’ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে। নারী-পুরুষের দীর্ঘ দেহ

মিলনের মধ্য দিয়ে মোক্ষ বা সাধনসিদ্ধি ঘটার অদ্ভুতুড়ে

কল্পনা মানুষকে চূড়ান্ত যৌনভোগের নেশা ধরাতে

পারে, কিন্তু কোনও অলৌকিক ক্ষমতার

অধিকারী করতে পারে না।

যোগদর্শনে নারী পুরুষের দীর্ঘ মিলনের নানা উদ্ভট তত্ত্ব দেওয়া আছে। বলা

আছে-

“পুংসো বিন্দুং সমাকুঞ্চ্য সম্যগভ্যাসপাটবৎ।

যদি নারী রজো রক্ষে বজ্রোল্যা সাপি যোগিনী।।”

(‘নারীনাং, ব্রজাসাধনফলম্‌’, হটযোগ) অর্থাৎ কোনও নারী ঠিকঠাক পটুতার সঙ্গে বজ্রোলীর (বিশেষ একটি মুদ্রা বা আসন) সাহায্যে পুরুষের বিন্দুকে (বীর্যকে) টেনে নিয়ে নিজের রজঃ রক্ষা করতে পারেন, তবে তিনি যোগিনী (বলে গণ্যা) হন ।

সেই বৈদিক যুগে মনে করা হত শুক্রের সঙ্গে রজঃ মিলিত হলে সন্তান হয়। শুক্রকীটের সঙ্গে ডিম্বকোষের মিলন থেকে জন্ম—এই বিজ্ঞান ছিল অজানা। ওই সূত্রের পরবর্তীতে আছে—

“স বিন্দুস্তদ্রজশ্চৈব একীভূয় স্বদেহগৌ।

বজ্রোল্যভাসযোগেন সৰ্ব্বসিদ্ধিং প্রযচ্ছতঃ।।”

অর্থাৎ বিন্দু ও রজঃ এক হয়ে সর্বপ্রকার সিদ্ধি দান করে।

পরবর্তী শ্লোকে বলা হয়ে পুরুষের সঙ্গে দীর্ঘ-মিলন দ্বারা পুরুষের বীর্য ধারণ করে একজন যোগিনী যে কোনও মানুষের ভূত-ভবিষ্যৎ দর্শনমাত্র জানতে পারে।

কুণ্ডলিনী আয়ত্ত করার আরও একটি পদ্ধতির উল্লেখ আমরা পাচ্ছি। সেখানে বলা হয়েছে

“কুণ্ডলিনীপ্রবোধাৎ জীবপ্রকৃত্যোঃ সঙ্গমঃ।

গঙ্গাযমুনয়োমধ্যে বালরণ্ডাং তপস্বিনীম্।

বলাৎকারেণ গৃহ্নীয়াত্তদ্বিষ্ণোঃ পরমং বদম্।।

ইড়া ভগবতী গঙ্গা পিঙ্গলা যমুনা দনী।

ইরাপিঙ্গলয়োমধ্যে বালরণ্ডাং চ কুণ্ডলী।।

(হটযোগ-প্রদীপিকা, পৃষ্ঠা ১৩১)

অর্থাৎ গঙ্গা যমুনার মধ্যে এক কুমারী রয়েছেন। তিনি কুমারী স্বভাবসুলভ সঙ্কোচবশত পুরুষ সহবাসে কুণ্ঠিতা। সঙ্গম প্রয়াসী হয়ে তাকে বলাৎকার দ্বারা গ্রহণ করলে কুণ্ডলিনী জাগ্রতা হবে। শেষ দুটি লাইনে বলা হয়েছে ইড়া-ই ভগবতী গঙ্গ 1 এবং পিঙ্গলা-ই যমুনা। এই দুয়ের সংযোগস্থলে (মূলাধারস্থ সুষুম্নাদ্বারে) রয়েছেন সেই কুমারী, যাকে ধর্ষণ করতে হবে। অর্থাৎ সোজা বাংলায় লিঙ্গ মূলে কুমারী, কল্পনা করে, ধর্ষণ করতে হবে। যাকে বলে ধর্ষণ কল্পনায় হস্তমৈথুন। হস্তমৈথুন করার কথা অবশ্য সোজাসুজি ভাবে তন্ত্রে আছে। নারীকে পাওয়া না গেলে বিকল্প হিসেবে নারীকে সঙ্গম করছে কল্পনা করে হস্তমৈথুনের কথা বলা হয়েছে।

উ-ফ ! কী ভয়ংকর! ধর্মে ধর্ষণ-সমর্থন? এ’জন্যেই এদেশে এত ধৰ্ষণ হয়।

 
যোগের চার বিভাগ

যোগকে চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। (১) লয়যোগ, (২) রাজযোগ, (৩) হঠযোগ (৪) মন্ত্রযোগ।

  • লয়যোগ

ব্যাসদেব লয়যোগের প্রথম সাধক। লয়যোগীরা মনে করেন মাথার খুলির নীচে রয়েছে সহস্রদলপদ্ম। এই সহস্রদলপদ্মে চিত্তের লয় বা মিলন ঘটিয়ে মোক্ষলাভ বা ব্রহ্মলাভ হয়। অর্থাৎ, মনে মনে নারীর সঙ্গে মিলন কল্পনা করে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ। ‘ব্যাস’ বেদ বিভাগকর্তা। পুরাণে বলা হয়েছে, পুরাণসকল “ব্যাসাদিমুনিভিঃ রচিতম্”। অর্থাৎ পুরাণ সকল ব্যাসমুনিগণের দ্বারা রচিত। পুরাণে আঠাশ জন ব্যাস-এর পরিচয় পাই। তাতে মনে হয় আঠাশজন মুনি ও ঋষি ‘ব্যাস’ উপাধি পেয়েছিলেন। এবং এই ব্যাসগণ শ্রীকৃষ্ণের অংশ।

  • রাজযোগ

ভগবান পতঞ্জলি, মহর্ষি দত্তাত্রেয় প্রভৃতি যোগীরা রাজযোগের প্রথম সাধক। এঁরা নানা আসন ও মুদ্রার সাহায্যে বায়ু গ্রহণ না করে থাকতে পারতেন। এই যোগসিদ্ধরা ইচ্ছেমতো আকাশে উড়তে পারতেন, অদৃশ্য হতে পারতেন, যে কোনও পশু-পাখির ভাষা বুঝতে পারতেন। যে কোনও অলৌকিক ঘটনা ছিল করায়ত্ত

  • হটযোগ

গোরক্ষ মুনি, মার্কণ্ডেয় মুনি হটযোগের সাহায্যে যে কোনও অলৌকিক ঘটনা ঘটাতে পারতেন। গোরক্ষ মুনির মতে যোগাঙ্গ ছয় প্রকারের। (১) আসন, (২) প্রাণায়ম, (৩) প্রত্যাহার, (৪) ধারণা, (৫) ধ্যান, (৬) সমাধি।

মার্কণ্ডেয় মুনির মতে যোগাঙ্গ অষ্টবিধ। যোগী যাজ্ঞবাল্ক্য মুনি অষ্টাঙ্গ যোগবিধির কথা বলেছেন। ছয়টি যোগাঙ্গের সঙ্গে আরও দুটি যোগবিধি তাঁরা যুক্ত করেছিলেন। বিধি দুটি হলো (১) যম, (২) নিয়ম ।

  • মন্ত্ৰযোগ

মন্ত্রযোগের প্রণেতা ভৃগু, কাশ্যপ, প্রচেতা, মহাত্যাগী, প্রবর, দধীচি, জমদগ্নি ইত্যাদি ঋষিরা প্রধান। এরা যোগ ও মুদ্রার সঙ্গে মন্ত্র-প্রয়োগের কথা বলেছেন। বৈদিক যুগে যাগযজ্ঞে যোগমুদ্রার পাশাপাশি বিভিন্ন মন্ত্র উচ্চারণ করা হত। দু’য়ের ফলে শত্রু দমন, মারণ-উচ্চাটন, রোগ নিবারণ ইত্যাদি অনেক কিছুই করা যেত বলে মনে করা হত।

গীতায় ভগবান কৃষ্ণ বলেছেন—পাপী, তাপী, বিলাসী, সন্ন্যাসী, ভোগী, ত্যাগী, সকলেই যোগের অধিকারী।

ছেলেবেলায় পথের পাঁচালীতে দেখেছি, অপু শূন্যে ওড়ার ক্ষমতা পেতে শকুনের ডিম, পারদ আর কীসব হিজিবিজি যোগাড় করেছিল অনেক কষ্ট করে। আমার বালক মনও অপুর সঙ্গী হয়েছিল। ভাবতাম যদি অদৃশ্য হওয়ার বা ওড়ার ক্ষমতা এমনি করে আমিও পেয়ে যাই….। ও সব ছেলেমানুষী ভাবনা আজ আর আমাকে রোমাঞ্চিত করে না, বরং এমন শিশুসুলভ ভাবনার কথা ভাবলে হাসি পায়। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানসিকভাবে নাবালক রয়েছেন, যাঁরা এখনও ছোট্ট অপুর বিশ্বাসকে ‘পরম সত্য’ বলে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। বিশ্বাস করেন যোগের হিজিবিজি পাগলামিতে ।

আর যা-ই হোক, ‘যোগ’ কোনওভাবেই ‘দর্শন’ নয়, যত-ই কেউ যোগ’কে ‘দৰ্শন’ বলে গলা ফাটাক না কেন।

error: Content is protected !!