প্রাচীন-পন্থীরা যাঁরা আজও প্রামাণ্য গ্রন্থ বলতে প্রাচীন গ্রন্থকেই বোঝেন, তাঁরা ‘যোগ’ বলতে বোঝেন—ঈশ্বরে চিত্ত-সংযোগ-ই যোগ। ঈশ্বরকে বাদ দিয়ে যোগসাধনা অসম্ভব।
যোগের এই ব্যাখ্যা শ্রীভগবান্ গীতায় স্বয়ং শ্রীমুখে বলে গেছেন। আর ‘সমাধি’ কাকে বলে? যোগী শরীর থেকে মনকে আলাদা করে যখন পরমাত্মার সঙ্গে মিলিত হন, তখন সেই অবস্থাকে বলে সমাধি
এই সময়ের মেগাস্টার যোগীরা অবশ্য নিজের নিজের ইচ্ছে মতো ‘যোগ’, ‘সমাধি’, ‘সহজযোগ’, ‘আর্ট অফ লিভিং’-এর ব্যাখ্যা হাজির করে চলেছেন। নিজেদের মধ্যে মত বিনিময় করে একটা ন্যূনতম মান পর্যন্ত তৈরি করতে পারেনি । ফলে নানা যোগীর নানা মত চালু রয়েছে। ওঁদের ঈর্ষা, অন্যকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা, প্রচার পাওয়ার লালসা কখন-ই এককাট্টা হয়ে যোগ নিয়ে ব্যবসা করতে দেয়নি। ওঁরা সব্বাই স্বাতন্ত্র বজায় রাখতে উদগ্রীব। সুযোগ পেলেই বুঝিয়ে দেন, অন্যরা সব ফালতু। সবাই এক একটি ‘ভগবান’ বা ‘মাতাজী’ হয়ে বসেছেন। এইসব ইন্দ্রিয়পরায়নরা-ই ইন্দ্রিয়জয়ী সেজে বসলে দুষ্টু লোকরা তো বলবে-ই,
মেরা দেশ মহান
শ’মে শ’ যোগী বেইমান ৷৷
এইসব যোগীদের মধ্যে একটা বিষয়ে খুব মিল আছে। মানবদেহের ‘অ্যানাটামি’ বা গঠনতন্ত্র সম্পর্কে সব্বাই সম্পূর্ণ অজ্ঞ। তাঁরা প্রাচীন যোগ শাস্ত্রের কথাগুলোকেই সত্য বলে আঁকড়ে ধরে আছেন। ওঁরা মনে করেন, আমাদের মেরুদণ্ডের শেষ ত্রিকোণাকার অস্থিতে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে কুণ্ডলিনী শক্তি। এই কুণ্ডলিনী শক্তিকে জাগ্রত করতে পারলেই পরম ব্রহ্মকে অনুভব করা যায়, তাঁর সঙ্গে একাত্ম হওয়া যায়।
এইসব সর্বজ্ঞ যোগী মহাত্মারা আজও পুরোন ও ভুল ধারণাকে ধরে বসে আছেন যে, পৃথিবীতে মৌল পদার্থ পাঁচটি। যথা : ক্ষিতি, অপ্, তেজঃ, মরুৎ, ব্যোম। এবং মানুষের দেহ এই পাঁচটি মৌল পদার্থ দিয়ে তৈরি। মৃত্যুর পর দেহ ‘পঞ্চভূত’ বা পাঁচটি মৌল পদার্থে বিলীন হয়ে যায়।
কিন্তু এই ধারণাতো সত্যি নয়। প্রকৃতিতে অথবা স্বাভাবিকভাবে যে মৌল পদার্থ পাওয়া যায় তার সংখ্যা ’৯২। মৌল পদার্থ তাকেই বলে, যে পদার্থকে সাধারণ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় সহজে ভাঙা যায় না। মৌল হলো মূল উপাদান, যার থেকে রাসায়নিক সংযোগের সাহায্যে আর সব কিছু-ই সৃষ্টি করা যায়। মানুষ পারমানবিক চুল্লির সাহায্যে বা হাইড্রোজেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১৭টি মৌল পদার্থ আজ পর্যন্ত সৃষ্টি করতে পেরেছে। মানুষের তৈরি এই মৌলগুলো খুব তাড়াতাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।
যাক। এ’বার আমরা ঢুকবো যোগী ভগবান, বাবাজী ও মাতাজীরা কী বলছেন জানতে।
প্রথম পর্বঃ মনের নিয়ন্ত্রণ
অধ্যায়ঃ এক
♦ বুদ্ধি, স্মৃতি, প্রতিভা নিয়ে বিভ্রান্তি বেচে খাচ্ছে অনেকে
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রচুর পড়েন মানে-ই মস্তিষ্কচর্চা করেন?
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্মৃতি-শক্তি ও প্রতিভা এক নয়
অধ্যায়ঃ চার
♦ জ্ঞান (wisdom) ও শিক্ষা (education) এক নয়
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ মস্তিষ্ক ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ পাভলভ-তত্ত্বে মস্তিষ্কের ‘ছক’ বা type
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু পাল্টে যায়
অধ্যায়ঃ নয়
♦ অলজাইমারস সৃষ্টিশীল মেধায় ভয়ঙ্কর অসুখ
অধ্যায়ঃ দশ
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জিন বা বংশগতি-ই ঠিক করে মেধা-বুদ্ধি?
অধ্যায়ঃ বারো
♦ বংশগতি গবেষণা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রগতি
অধ্যায়ঃ তেরো
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ মগজধোলাই-এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে
দ্বিতীয় পর্বঃ ধ্যাণ-যোগ-সমাধি মেডিটেশন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ ‘রজনীশ’ এক শিক্ষিত যোগী, বিতর্কিত নাম
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ সাত
♦ শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবীর সহজযোগ
অধ্যায়ঃ আট
♦ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন নিয়ে বাংলাদেশের যোগী মহাজাতক
অধ্যায়ঃ নয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
অধ্যায়ঃ দশ
♦ ‘মেডিটেশন’, ‘রিলাক্সেশন’, বা ‘স্বসম্মোহন’
অধ্যায়ঃ এগারো
“মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ