এই ঘটনার সূত্রপাত ৮৭-র ২২ আগস্ট, শনিবার বিকেল চারটে। এলেন এক আগন্তুক। ছেলে পিনাকীই দরজা খুলেছিল। আগন্তুককে জানিয়েছিল, ‘বাবা কাজে ব্যস্ত আছেন। কাল সকাল দশটায় আসুন, দেখা হবে।’
আগন্তুক নাছোড়বান্দা। বহুদূর থেকে নাকি অনেক কষ্ট করে এসেছেন। খুবই জরুরি প্রয়োজন । অনুরোধ ঠেলতে পারলাম না, গিলতেই হল। পিনাকী দরজা খুলে তাঁরে বসতে অনুরোধ করল। আমি বৈঠকখানা ঘরে ঢুকতেই সোফায় হেলান দেওয়া মানুষটি উঠে দাঁড়িয়ে উঁচু ও সাদা একরাশ দাঁত ছড়িয়ে একগাল হেসে আমাকেই অভ্যর্থনা জানালেন। তাঁকে বসতে বলে আমিও
বসলাম। সাধারণ চেহারার, সাধারণ উচ্চতার টেলিেেকান কালো মানুষটির কাচা-পাকা চুল আর খোঁচা খোঁচা দাড়ি দেখে অনুমান করেছিলাম বয়স পঞ্চান্ন পেরিয়েছে, পরে জেনেছিলাম, আমার অনুমান ভুল। বিয়াল্লিশ চলছে। নাম জানালেন হরেকৃষ্ণবাবা। এক সময় ছিল সুনীলকুমার সাধুখাঁ। থাকেন হুগলি জেলার পাণ্ডুয়ার কাছে ‘বেলুন’ গ্রামে। কৈশোর থেকেই রাস্তায় ঘাটে চলতে ফিরতে হরিনাম গাইতেন। তাই থেকেই ‘হরেকৃষ্ণবাবা’ নামটা চালু হয়ে যায়। একসময় মগরায় ‘ম্যাজিক শো’ দেখিয়েছেন। ম্যাজিকের প্রতি এখনও আগ্রহ আছে। ‘৭০ সালে শ্রীশ্রীঠাকুর সীতারামদাস ওঙ্কারনাথের কাছে দীক্ষা নেন। ওঙ্গরনাথজির খুবই প্রিয়পাত্র ছিলেন। ওঙ্কারনাথজির একমাত্র পুত্র রঘুনাথজি খুবই ভালোবাসেন। ‘৭৪ থেকে জ্যোতিষচর্চার শুরু। বর্তমানে যোগী জ্যোতিষী হিসেবে খ্যাত। নিজেকে একজন খাঁটি যুক্তিবাদী মানুষ হিসেবে দাবি করলেন। বহু পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্তে এসেছেন জ্যোতিষশাস্ত্র বিজ্ঞান। হাতের রেখা দেখে তিনি গত কয়েক বছরে যেসব ভবিষ্যদবাণী করেছেন, তার প্রতিটিই নাকি সত্যে পরিণত হয়েছে। আমার যুক্তিবাদী মানসিকতার পরিচয় পেয়ে হরেকৃষ্ণবাবাজির খুব ভাল লেগেছে, তাই সত্যের সন্ধান দিতে এখানে এসেছেন। নিজের অভ্রান্ত জ্যোতিষ গণনার দাবির সমর্থনে আমার হাতে তুলে দিলেন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রশংসাপত্র। তার মধ্যে মোহনবাগান ক্লাবের গোবিন্দ দে-র দেওয়া প্রশংসা পত্র যেমন দেখলাম, তেমনই দেখলাম মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির সাংসদ অজিত বাগের দেওয়া প্রশংসাপত্র ।
জিজ্ঞেস করলাম, ‘আপনার প্রশংসাপত্রের ফটোকপিগুলো রাখতে পারি?”
‘সানন্দে।’ স্বভাবসিদ্ধ দু’পাটি চকচকে সাদা দাঁত ছড়িয়ে হাসলেন ।
একটু পরেই আসল প্রসঙ্গে এলেন। জানালেন, আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চান। ‘৮৭-র রিলায়েন্স কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতবে, লিখিতভাবে এই ভবিষ্যদ্বাণী করে প্রমাণ করতে চান, জ্যোতিষশাস্ত্র অভ্রান্ত ও বিজ্ঞান। চ্যালেঞ্জ হেরে গেলে তিনি যে কোনও শাস্তি পেতে নিতে রাজি আছেন।
বললাম, ‘রিলায়েন্স কাপ বিজয়ীর নাম অনুমানের উপর একাধিক সংস্থা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিযোগিতার ফল ঘোষিত হলে দেখবেন সঠিক অনুমানকারীর সংখ্যাই কয়েক হাজার এই সঠিক অনুমানকারীদের মধ্যে আপনিও একজন হতে পারেন। কিন্তু এর দ্বারা আপনার জ্যোতিষশাস্ত্রের অভ্রান্ততা বা জ্যোতিষী হিসেবে সফলতা, কোনওটাই প্রমাণিত হয় না। আপনার এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে আমার অতীত সম্বন্ধে দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হলে আমরা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি।’
বাবাজি বললেন, ‘আনন্দের সঙ্গে রাজি আছি। আসলে আপনি ১৯৮৫-র রেডিও প্রোগ্রামে যে চারজন নামী দামী জ্যোতিষীকে হারিয়ে ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই প্রচারের জোরে এক একটি বাঘ হলেও বাস্তবে ছিলেন কাগুজে বাঘ। জ্যোতিষী হতে গেলে যে জ্যোতি দর্শনের প্রয়োজন তা এঁদের কারুরই হয়নি। এই জ্যোতি দর্শনের জন্যেই দরকার যোগের। যোগী ছাড়া কেউ সত্য দ্রষ্টা জ্যোতিষী হতে পারে না। আমি একজন যোগী-জ্যোতিষী। তাই তো আপনার কাছে এসেছি সত্যের সন্ধান দিতে, পরীক্ষা দিতে এবং আমারই পথের পথিক করতে।”
এমন সুন্দর গুছিয়ে কথা বলতে পারার ক্ষমতাধারী বাবাজিটি এখনও কেন তেমন নাম করতে পারেননি, তার কারণ সম্ভবত বিজ্ঞাপনে বিনিয়োগ করার মত অর্থের অভাব। প্রচারের জন্যে নিশ্চয়ই আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণকেই সেরা উপায় ভেবে নিয়েছেন। বাবাজিকে আরও একটু নাড়াচাড়া করার ইচ্ছেয় জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমাদের এই চ্যালেঞ্জের ব্যাপারটা কি শুধুমাত্র দু-জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমকেও তা জানাতে চান। আমি চাই যা সত্য তা সবাই জানুক। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কনফারেন্স, লন্ডনকেও এই চ্যালেঞ্জের কথা জানাতে চাই।
এমন এক জবরদস্ত আত্মবিশ্বাসে ভরপুর চ্যালেঞ্জারটির কথায় মনে যাই হোক, দাঁত করে হাসতে হল আমাকে। বললাম, ‘বেশ তাই হবে। আপনার যাদের জানাতে মন চায় জানাবেন। যদি আপনি আপনার দাবি প্রমাণ করতে পারেন, খোলা মনের মানুষ হিসেবে নিশ্চয়ই মেনে নেব জ্যোতিষশাস্ত্র ও যোগের ক্ষমতা। সঙ্গে প্রণামী হিসেবে পঞ্চাশ হাজার টাকা তো পাবেনই । এ-বার আসা যাক আমার জীবনের অতীতের প্রশ্নে। আপনি কি ৮৫-তে প্রচারিত ‘জ্যোতিষ বনাম বিজ্ঞান’ শিরোনামের বেতার অনুষ্ঠানটি শুনেছিলেন?”
‘হ্যাঁ শুনেছি। আপনার ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ বইটাও পড়েছি।’
বললাম, ‘তবে তো জানেনই আমি বিবাহিত। তবু আমার বিয়ের বিষয়েই প্রশ্ন রাখছি। এক, আমার কটা বিয়ে? দুই, দ্বিতীয় বিয়ে হয়ে থাকলে প্রথমা কি মৃত? অথবা ডিভোর্স নিয়েছি?’
দীর্ঘ সময় আমার হাত উল্টে-পাল্টে দেখে হাতের রেখার নানা মাপজোক করে শেষপর্যন্ত বললেন, ‘কাল বিকেলে আসব। আমার নাম লেখা রাইটিং প্যাড তাড়াহুড়োতে আনিনি। কাল উত্তরগুলো আমার নাম ছাপানো রাইটিং প্যাডে লিখে স্বাক্ষর করে দেব। তারপরই সুর পাল্টে হালকা চালে বললেন, ‘সেই সকালে বেরিয়েছি। গিয়েছিলাম আপনার ‘অলৌকিক নয়, লৌকিক’ বইটির প্রকাশকের কাছে। তাঁদের কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে গেলাম আমার অফিসে। শুনলাম আপনি বেরিয়ে গেছেন। সেখান থেকে আপনার পিছু ধাওয়া করে এখানে। এক গ্লাস ঠান্ডা জল খাওয়াবেন?’
‘নিশ্চয়। তারপর চা খাবেন না কফি, বলুন।’
‘যা হোক একটা হলেই হল।’
জল ও চায়ের ব্যবস্থা করতে ভিতরে গেলাম। আমি একটু ভিতরে কাজে ব্যস্ত ছিলাম। স্ত্রী সীমা বাড়িতে ছিলেন না। ছেলে পিনাকীই জল দিল পরে চা। আমি ঘরে ঢুকলাম পিনাকীর কথায়, ‘বাবা, উনি যাবেন বলছেন।’
বললাম, ‘দুঃখিত। একটু কাজে ব্যস্ত ছিলাম।’
বাবাজি উদারভাবে হাসলেন, ‘না না দুঃখের কি আছে। আপনারা কাজের মানুষ। এই তো আপনার ছেলের সঙ্গে দিব্যি আলাপ হয়ে গেল। খুব ভাল ছেলে। কাল তাহলে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আসছি।’
২৩ আগস্ট হরেকৃষ্ণবাবা এলেন বিকেল পার করে। তখন ঘরে আমার প্রচুর বন্ধু-বান্ধব ও মধ্যপ্রদেশের এক বিশিষ্ট সন্ন্যাসী। বাবাজির সঙ্গে প্রত্যেকেরই আলাপ করিয়ে দিলাম। বাবাজি আমার হাতে একটা বই তুলে দিয়ে বললেন, ‘বইটা আপনাকে উপহার দেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন শ্রীশ্রীসীতারামদাস ওঙ্কারনাথজি’র ছেলে রঘুনাথ কাব্য-ব্যকরণতীর্থ।’
বইটার নাম ‘শ্রীশ্রী সীতারাম লীলাবিলাস’। হরেকৃষ্ণবাবা এবার ঝোলা থেকে তাঁর রাইটিং প্যাড বের করে সকলের সামনেই তিনটি বিষয়ে লিখিত মতামত প্রকাশ করলেন। এক : প্রবীর ঘোষের দুটি বিয়ে। দুই : প্রথমা স্ত্রীর মৃত্যুর পর ২৬ থেকে ৩৬ বছরের মধ্যে প্রবীরবাবু দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তিন : ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিলায়েন্স কাপ বিজয়ী হবে।
আমার বিয়ে নিয়ে যা লিখেছেন, ঠিক হয়েছে কি না, হরেকৃষ্ণবাবা জিজ্ঞেস করার বিস্ময়ে প্রায় হতবাক্ আমি প্রায় তোতলাতে তোতলাতে বললাম, ‘সত্যিই আপনার অতীত বলার ক্ষমতার যে পরিচয় পেলাম, তাতে অবাক হয়ে গেছি।’ বাবাজি বারবার অনুরোধ করতে লাগলেন, আমার মতামত যেন আমার নাম ছাপানো প্যাডে লিখিতভাবে দিই। বললাম, ‘এখুনি লিখে দিয়ে লাভ কী? শর্ত অনুসারে তিনটি প্রশ্নেরই সঠিক উত্তর না দিতে পারলে আপনি পরাজিত হবেন। রিলায়েন্স কাপ ফাইনালের দিন সন্ধ্যায় আমার বাড়িতেই আমরা মিলিত হব। সেই দিনই ঘোষিত হবে জয়-পরাজয়।’
হরেকৃষ্ণবাবাজি তবু নাছোড়বান্দা, ‘যে দুটো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি, সেই উত্তর দুটির বিষয়ে আপনার মতামত লিখে দিন।’
অতএব লিখে দিলাম ‘আমার বিবাহ সংক্রান্ত আপনার বিচার দুটি আমাকে বিস্মিত করেছে।’ বাবাজি পরম তৃপ্তি ও চূড়ান্ত খুশির সঙ্গে বিদায় নিলেন, তাঁর এই খুশি ও তৃপ্তি মুহূর্তে আতঙ্কে পরিবর্তিত হত, যদি যোগ + জ্যোতিষী ক্ষমতার সাহায্যে জানতে পারতেন, আমার বিস্ময়ের কারণ! এত বোল-চাল, এত হাম্বারবের পর হরেকৃষ্ণবাবার এই ক্ষমতা প্রকাশিত হল? আর সব বাবাজি-মাতাজিদের মত ওঁর ক্ষমতাও যে ভণ্ডামি বই কিছুই নয়।
আমি বিয়ে করেছি একবারই। স্ত্রী জীবিত। আমার বয়স তখন চল্লিশ অতিক্রান্ত অর্থাৎ হরে- কৃষ্ণবাবা-কথিত দ্বিতীয় বিয়ের সময় পেরিয়ে এসেছি। হায়, এই নাকি বাবাজির জ্যোতিষদর্শন? বাস্তবিকই আমি বিস্মিত!
হরেকৃষ্ণবাবা আমাকে পরাজিত করেছেন—এই বক্তব্য নিয়ে একাধিক পত্রিকা দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন। প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছেন আমার লেখা চিরকুট। পত্রিকা দপ্তর থেকে বলেছেন, উনি লিখেছেন বিস্মিত হয়েছেন। আপনি ঠিক বলেছেন, এ-কথা লিখিয়ে আনুন । তখন নিশ্চয়ই এটা একটা বড় খবর হবে। হরেকৃষ্ণবাবা আমার সঙ্গে দেখা করে আমার বক্তব্য স্পষ্ট করে লিখে দিতে অনুরোধ করেছেন। এবং আমার বিস্ময়ের কারণ শুনে মুখ হাঁড়ি ও রঙ বেগুনি করে দ্রুত বিদায় নিয়েছেন।
হরেকৃষ্ণ বাবার ভুল করার কারণ, তিনিও প্রতিটি সফল জ্যোতিষীর মতোই কৌশলে কথা বলে কথা বের করে নিতে সচেষ্ট ছিলেন। সুযোগ পেতেই পিনাকীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি চা নিয়ে এলে? তোমার মা’কে দেখছি না? তিনি কি চাকরি করেন?
পিনাকী ন্যাকা খোকাটি সেজে উত্তর দিয়েছিল, ‘ছোট মা গেছেন গান শেখাতে।’ পিনাকীর ওই ‘ছোট মা’ কথাটিতেই বধ হলেন যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা।
প্রথম খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস
অধ্যায়ঃ দুই
♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !
অধ্যায়ঃ তিন
♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা
অধ্যায়ঃ নয়
অধ্যায়ঃ দশ
♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !
অধ্যায়ঃ বারো
♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়
অধ্যায়ঃ তেরো
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !
অধ্যায়ঃ ষোলো
অধ্যায়ঃ সতেরো
♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন
দ্বিতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ চার
♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
অধ্যায়ঃ নয়
♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…
অধ্যায়ঃ দশ
♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর
অধ্যায়ঃ বারো
♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা
অধ্যায়ঃ তেরো
তৃতীয় খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ
অধ্যায়ঃ দুই
♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন
চতুর্থ খন্ড
অধ্যায়ঃ এক
♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা
অধ্যায়ঃ দুই
♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা
অধ্যায়ঃ তিন
♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল
অধ্যায়ঃ চার
♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ
অধ্যায়ঃ পাঁচ
অধ্যায়ঃ ছয়
অধ্যায়ঃ সাত
♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি
অধ্যায়ঃ আট
♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন
অধ্যায়ঃ নয়
♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’
অধ্যায়ঃ দশ
“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ