যুক্তি দশঃ জ্যোতিষীরা অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই মিলিয়ে দিচ্ছেন। আর মিলিয়ে দিচ্ছেন বলেই জ্যোতিষশাস্ত্র সংখ্যাগুরু মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে। জ্যোতিষীরা বিশ্বাস অর্জন করতে না পারলে, সাধারণ মানুষ জ্যোতিষীদের কাছে আরও বেশি বেশি করে হাজির হবেন কেন ? জ্যোতিষীরা যে অনেক ভবিষ্যদ্বাণীই মেলান, এবং এটা যে কোনও মিথ্যে প্রচার বা দাবি নয়, তার সাক্ষ্য দিতে মিলবে প্রচুর প্রত্যক্ষদর্শী বা প্রত্যক্ষভোগী ৷
বিরুদ্ধ যুক্তিঃ এর আগে আলোচনা করেছিলাম, জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বাণীর কিছু মেলে, আবার কিছু মেলে না; কেন মেলে, কেন মেলে না। পরবর্তী আলোচনায় মাঝে-মধ্যে আবারও এই প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন নতুন কিছু তথ্য শোনাব। এখনই আবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন দেখি না। তবে “সংখ্যাগুরু মানুষদের জ্যোতিষে বিশ্বাসের কারণ জ্যোতিষীদের অভ্রান্ত ভবিষ্যদ্বাণী” জ্যোতিষীদের এমন দাবিকে মেনে নেওয়ার পক্ষে কোনও যুক্তি দেখি না ।
কিছু কিছু মানুষ অবশ্যই জ্যোতিষীদের কিছু কিছু সঠিক ভবিষ্যদ্বাণীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে জ্যোতিষ-বিশ্বাসী হয়েছেন। কিন্তু সকলের বিশ্বাসই অভিজ্ঞতা সঞ্চিত, এমনটা ভাবলে ভুলই হবে। জ্যোতিষ-বিশ্বাসের পেছনে অনেক কারণই ক্রিয়াশীল। পুরোন কথার পুনরুক্তি সব সময় প্রীতিকর হয় না; অথচ বার বার সে কথা মনে না করিয়ে দিলে অনেক সময়ই সম্যক ফল পাওয়া যায় না। তাই আর একবার আমরা ফিরে তাকাতে চাই জ্যোতিষ- বিশ্বাসের জন্য ক্রীয়াশীল কারণগুলোর দিকে।
মানুষ জ্যোতিষীদের কাছে হাজির হন অনেক কারণে। কেউ জ্যোতিষীদের মুখোমুখি হন কৌতুহল মেটাতে। বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের ঊর্ধ্বে থেকে স্রেফ কৌতূহল মেটাতেই কেউ বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় বা পরিচিত জ্যোতিষচর্চা করা মানুষদের কাছে হাতটি মেলে দেখ, অথবা জন্ম সময়টি জানায়। অনেকে আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্যে বাস্তবিকই যুক্তিগ্রাহ্য কিছু আছে কিনা জানতে জ্যোতিষীদের দ্বারস্থ হয়।
অনেকেই জ্যোতিষীদের কাছে হাজির হন বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে। ‘বহু রাজনৈতিক ঘটনার সফল ভবিষ্যদ্ববক্তা’, ‘বহু আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান মানুষদের পরম বিশ্বাসভাজন জ্যোতিষী’, ‘অলৌকিক ক্ষমতাবান জ্যোতিষী’, ইত্যাদি নানা বিশেষণে নিজেদের বিশেষিত করে বহু মানুষের বিশ্বাস অর্জনের মাধ্যমে মানুষকে আকর্ষণ করার কাজও এইসব জ্যোতিষীরা কবে থাকে বলেই বহু মানুষ ওদের ফাঁদে পা দেখ, প্রতারিত হয়; যেভাবে বহু মানুষ প্রতিদিনই প্রতারিত হচ্ছে বিজ্ঞাপনে বিশ্বাস করে — সিনেমার নায়ক হওয়ার লোভে সিনেমা কোম্পানীর অংশীদার হয়ে, বিদেশে চাকরি পেতে গিয়ে— জমি ও ফ্ল্যাট কিনতে গিয়ে, বে-সরকারী বিভিন্ন লগ্নি সংস্থায় টাকা রাখতে গিয়ে, বিজ্ঞাপনে এমনি হাজারো ঠকবাজ হাজারো ফন্দিতে মানুষ টেনে আনছে। ঠকার মত মানুষের কখনই অভাব হয় না বলেই ঠকবাজেরা আজও ভালোভাবেই করে খাচ্ছে। আজও এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়, যারা প্রতারক অলৌকিক বাবার হাতে মোটা অর্থ বা গহনা তুলে দেয়— দ্বিগুন বা আরো বেশি পাবার আশায়। ওরা ঠকে, তবু ঠকে যাবার জন্য তৈরি লোভী লোকের অভাব হয় না। এইসব প্রতারকদের কাছে মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হতে আসে বলে কী এই প্রমাণ হয় যে, প্রতারকরা আসলে প্রতারক নয়? এক একটি যুধিষ্ঠিরের সন্তান?
যে সমাজে অনিশ্চয়তা বেশি, সেই সমাজ-ব্যবস্থায় ঈশ্বর, জ্যোতিষ, ইত্যাদির ওপর নির্ভরশীলতা বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। বিপদগ্রস্ত, দিশা না পাওয়া, বাস্তব কোনও কিছুর উপর ভরসা রাখতে না পারা মানুষ শেষ ভরসা হিসেবে অনেক সময়ই নিজেকে ভাগ্যের বা ঈশ্বরের হাতে সঁপে দেয়। মানুষের জীবনে অনিশ্চয়তা যত বাড়তে থাকে, ভাগ্যের ওপর নির্ভরশীলতাও ততই বাড়তে থাকে। অনিশ্চয়তা থেকেই প্রধানত ভাগ্য-বিশ্বাসের সৃষ্টি । একটা সময় ছিল, স্কুলের গণ্ডি পেরুলেই চাকরি জুটতো। এখনকার মত মাস্টার ডিগ্রি নিয়ে বেকার বসে থাকতে হতো না। তাই কর্মভাগ্যের তেমন কোনও গুরুত্বই ছিল না। যে সমাজ- ব্যবস্থায় বেকার মানুষের সংখ্যা প্রায় শূণ্যের কোঠায়, সেখানকার মানুষগুলোর দশমপতি অর্থাৎ কর্মপতি নেহাৎই বেকার। যে সমাজে মানুষের মাথা গোঁজার ঠাই আছে, তাঁদের চতুর্থপতি নেহাৎই অসহায়। ধনবান দেশের মানুষদের দ্বিতীয়পতির গুরুত্বই নেই। সে বিরূপ বা নিম্নস্থ হলেও জাতকের ধনসম্পদ সামান্যতম কমবে না।
সমাজে যখন ন্যায়নীতির অভাব ও অসাম্য দেখা যায়, তখন সুযোগ পাওয়া ও সুযোগ না পাওয়া প্রতিটি মানুষ ভাগ্যে বিশ্বাসী হয়ে পড়ে ৷
দেশে বেকারের সংখ্যা যদি হয় ১০ কোটি ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হয় ১ লক্ষ তবে স্বভাবতই আসে দূর্নীতি, অসম প্রতিদ্বন্দিতা ইত্যাদি। যোগ্যতা থাকতেও বহুকেই বেকার থাকতে হয়। অযোগ্যও বেকারত্ব ঘুচায় মামা দাদার কৃপায়। মন্ত্রীর ছেলেকে ধরে অসংস্কৃতিসম্পন্ন মানুষ সাংস্কৃতিক বিনিময়ের কল্যাণে বিদেশ ঘুরে আসে। কেউ বা রাজনৈতিক দলের বিরাগভাজন হযে দূরদর্শনের কালো তালিকাভুক্ত হয়। এইসব অনিশ্চয়তা ও ডামাডোলে সুবিধাভোগী ও বঞ্চিত, উভয়েই এর পিছনে ভাগ্যের ভূমিকাকে খুঁজে পায় ৷ যে গোষ্ঠির মধ্যে অনিশ্চয়তা বেশি, ভাগ্যের উপর নির্ভরশীলতাও তাদের বেশি । শিল্পী, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়, আইনজীবী ইত্যাদির মধ্যে পেশাগত অনিশ্চয়তা বেশি বলে এঁদের মধ্যে ভাগ্য-নির্ভরতাও বেশি। তাঁদের হাতে গ্রহরত্নের উপস্থিতিই এই কথার সত্যতা প্রমাণ করে। আমাদের দেশে অনিশ্চয়তা, সামাজিক ন্যায়নীতির অভাব, অসাম্য, বঞ্চনা ইত্যাদি উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে, ফলে ভাগ্য-নির্ভরতাও বেড়েছে। এই সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তিও চায় না বঞ্চিত মানুষের দল জানুক তাদের প্রতিটি বঞ্চনার পিছনে রয়েছে কিছু মানুষ, কিছু বঞ্চনাকারী মানুষ, আকাশের গ্রহ বা স্বর্গের দেবতা নয়। ভাগ্যকে বঞ্চনার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারলে, বিশ্বাস উৎপাদন করতে পারলে প্রতিবাদের কণ্ঠকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে স্তব্ধ করে রেখে বঞ্চনা ও শোষণের গতি অব্যাবহ রাখা যায়। তাই রাষ্ট্রশক্তি ও শোষক শ্রেণী নানাভাবে সচেষ্ট রয়েছে ভাগ্যবিশ্বাস ও জ্যোতিষ-বিশ্বাসকে পালন করতে, পুষ্ট করতে।
পরিবেশগতভাবেও জ্যোতিষে বিশ্বাস আমাদের চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। জ্ঞান হওয়া থেকে মা-বাবা, আত্মীয়, প্রতিবেশী, বন্ধু, শিক্ষক প্রত্যেকের একান্ত জোতিষ-বিশ্বাস আমাদের প্রভাবিত করেই চলে। এই প্রভাব অনেক সময় এতই দৃঢ়বদ্ধ হয় যে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করলেও, বিজ্ঞানকে পেশা হিসেবে নিলেও বিজ্ঞানের যুক্তিগুলোকে নিজেদের জীবনচর্চায় আমরা গ্রহণ করি না। বিজ্ঞান পেশা প্রায়শই আমাদের কাছে আলুর কাবারি, জমির দালালির মতই একটা পেশা মাত্র, এর বেশি কিছু নয়।
শিক্ষার সুযোগ না পাওয়া অথবা সামান্য শিক্ষার সুযোগ পাওয়া মানুষই আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ, শতকরা পঁচানব্বই ভাগ। এঁদের অনেকেরই অজানা ‘যুক্তিভিত্তিক চিন্তা’, ‘বিজ্ঞানমনস্কতা’ ইত্যাদি ব্যাপারগুলো। এঁরা জন্ম থেকেই কুসংস্কারের ঘেরাটোপের মধ্যেই মানুষ হচ্ছেন। ছোটবেলা থেকেই কোমরে দুলছে লোহা, তামা, কড়ি. গলায, হাতে শোভা পাচ্ছে শনিথান, শীতলা থান, পাঁচু-ঠাকুর, বনবিবি, ওলাইচণ্ডী, মানিকপীর কি ধর্মঠাকুরের তাবিজ, কবজ, মাদুলী। অসুখ হলে জলপড়া, তেলপড়া, ঝাড়ফুকের দ্বারস্থ হন এখনও। এঁরা জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সংস্কারকে সঙ্গী করেন। সংস্কারগুলোর পিছনে বাস্তবিকই কোনও যুক্তি আছে কিনা বিচার করার প্রয়োজন বোধ করেন না। বরং বহু ক্ষেত্রেই এইসব মূল্যহীন সংস্কাবকেই ‘প্রাচীন ঐতিহ্য’,’ পারিবারিক ঐতিহ্য’, ‘প্রাচীন মূল্যবোধ’ ইত্যাদি মনে করে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরেন। এঁদের পরিবারে নবজাতকের জন্ম-পত্রিকা আগেও তৈরি হতো, এখনও সেই ঐতিহ্য বজায় রেখেই জন্ম-পত্রিকা তৈরি হচ্ছে; করছেন জ্যোতিষীরা । ঐতিহ্য ও সংস্কারের বশে আজও পাত্র-পাত্রীর মিলন সুখের হবে কি না জানতে জ্যোতিষীদেরই দ্বারস্থ হন পাত্র-পাত্রীর পক্ষেরা।
আমাদের দেশে জ্যোতিষ-বিশ্বাসের নানা কারণের মধ্যে একটি প্রধান কারণ প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রত্যক্ষভোগীর প্রাচুর্য। জ্যোতিষীরা মানুষের বাহ্যিক আচরণ দেখে কিছু কিছু বিষয়ে তাঁদের খদ্দেরদের সন্তুষ্ট করে থাকেন। কীভাবে এগুলো হয় সে নিয়েও এর আগে যেহেতু বিস্তৃত আলোচনা করেছি, তাই আবার ওই প্রসঙ্গে টেনে এনে পাঠক-পাঠিকাদের ধৈর্যের ওপর অচ্যাচার করলাম না। জ্যোতিষীরা যেহেতু খদ্দেরদের সহানুভূতি পাওয়ার মত অনেক সুন্দর সুন্দর মন রাখা কথা বলেন, তাই খদ্দেররাও অনেক সময়ই কিছুটা আপ্লুত হন। আপ্লুত খদ্দের স্বাভাবিক নিয়মেই চেষ্টা করেন, যে জ্যোতিষী তাঁর সম্বন্ধে অনেক ভাল ভাল কথা বলেছেন, সেই জ্যোতিষী সম্বন্ধে পরিচিতজনের মধ্যে ভাল ধারণা সৃষ্টি করতে। আর এমন ধারণা সৃষ্টি করতে জ্যোতিষীর যে সব কথা মেলেনি সে সব বিষয়ে নীরবতা পালন করে মিলে যাওয়া বিষয় নিয়ে সরব হন। এ-সব ক্ষেত্রে আপ্লুত মানুষ স্বভাবতই তাঁদের কাহিনী- বিন্যাসে আরও রঙ মেশান। তাঁরা চান, তাঁদের বিশ্বাস, তাঁদের আপ্লুত ভাব পরিচিতদের মধ্যেও প্রকাশিক হোক ।
এ-ছাড়া আরও একটি কারণে প্রত্যক্ষদর্শীর ভীড় বড় বেশি। আমরা চমক লাগান ঘটনার গল্প বলতে ভালবাসি। পরের মুখে শোনা চমক লাগান ঘটনাকে নিজের চোখে দেখা বলতে ভালবাসি । বিশিষ্ট মানুষদের বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িত করে প্রচার করতে ভালবাসি । বিশিষ্ট মানুষদের সঙ্গে তেমনভাবে পরিচিত না হয়েও তাঁদের সঙ্গে কতটা ঘনিষ্টভাবে পরিচিত, এ কথা প্রমাণ করতে গল্প ফাঁদি। পরিচিত মানুষদের চমকে দিতে আমরা অনেক সময় সৃষ্টি করি অতিরঞ্জিত কাহিনীর। আবার অনেক সময় কোনও ঘটনা বহু কথিত হওয়ার ফলে আমরা বিশ্বাসও করে ফেলি। আমাদের সেই বিশ্বাসকে অন্যদের মধ্যে সংক্রামিত করতে ভালবাসি বলে প্রয়োজনে নিজেকে প্রত্যক্ষদর্শী বলে বর্ণনা করি। এখনও জাদুসম্রাট পি সি সরকারের ঘড়ির সময় পাল্টে ফেলার অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎ মেলে। আর এইসব সাক্ষীরা আমাদেরই আপনজন, আমাদেরই মা, বাবা, জ্যেঠা, কাকা, মামা, মাসি ইত্যাদি । আমরা স্বাভাবিকভাবেই ভাবতে ভালবাসি না আমাদের এই শ্রদ্ধেয় মানুষরা মিথ্যাশ্রয়ী । অথচ এটাও বাস্তব সত্য, জাদুসম্রাট পি. সি. সরকার কোনও দিনই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে দেখান নি। দেখান সম্ভবও ছিল না। অনেকেই প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যখন মা-বাবার মত পরম শ্রদ্ধেয়দের নাম উচ্চারণ করেন, তখন বলেন, “আমার বাবা-মা কী তবে মিথ্যে কথা বলেছেন ? তাঁরা কী মিথ্যেবাদী? এমন মিথ্যে কথা বলার পিছনে তাঁদের কী স্বার্থ থাকতে পারে ?” ইত্যাদি ইত্যাদি। এই পরিস্থিতিতে একজন যুক্তিবাদী অথবা ঠোঁটকাটা মানুষও যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েন। তাঁরা সাধারণত পরিচিত মানুষটির এই প্রশ্নের উত্তরে রুঢ় সত্য বলে সুসম্পর্ক নষ্ট করতে চান না। প্রশ্নকর্তা কিন্তু সেই সময় একবারের জন্যেও ভাবেন না, মিথ্যাচারীরাও কারো না কারো মা-বাবা, পরমাত্মীয় বা বন্ধু ।
অতএব যাঁরা নিজেদের প্রত্যক্ষদর্শী বলে দাবি করছেন, প্রমাণহীন তাঁদের দাবি বা সাক্ষ্য কখনই জ্যোতিষশাস্ত্রের অভ্রান্ততার প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হতে পারে না। আর, যুক্তির কাছে ‘সংখ্যাগুরুর মতামত’ শুধুমাত্র এই কারণে কোনও কিছু গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করে না । আমবা বহু সংখ্যাগুরুর মতামত বারবার বাতিল হতে দেখেছি। বিজ্ঞানের কাছে, যুক্তির কাছে, সত্যের কাছে।