যুক্তি নয়ঃ বিশ্বের বহু বরণ্যে বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রেই তাঁদের নবতম আবিষ্কারকে, তাঁদের দেওয়া নবতম তত্ত্বকে বিজ্ঞানীরাই সবচেযে বেশি সন্দেহের চোখে দেখেছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে। সন্দিগ্ধ বিজ্ঞানীরা ওইসব বরেণ্যদের মতামতকে শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। আজ কিছু বিজ্ঞানীদের জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি সন্দেহে আদৌ প্রমাণিত হয় না যে জ্যোতিষশাস্ত্র অপবিজ্ঞান, বিজ্ঞানীদের সন্দেহই যদি শেষ কথা হতো, তবে নিউটন থেকে শুরু করে বহু বিজ্ঞানীই চূড়ান্ত শ্রদ্ধা অর্জন করতে পারতেন না ।

বিরুদ্ধ যুক্তিঃ বিজ্ঞান যেহেতু পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়েই সিদ্ধান্তে পৌঁছোয়, তাই প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আসে পরীক্ষার প্রশ্ন, জিজ্ঞাসার প্রশ্ন, সন্দেহের প্রশ্ন। এ-সবের পরিবর্তে ব্যক্তি-বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে গেলে, ব্যক্তি-বিশ্বাস বা ব্যক্তির দাবিকে বিনা প্রশ্নে মেনে নিলে বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান থাকতো না,. পরীক্ষিত সত্যকে বিজ্ঞান মর্যাদা দেয়। জ্যোতিষশাস্ত্র যেদিন তাদের দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হবে, সেদিন নিশ্চয়ই বিজ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্রকেও মর্যাদা দেবে ।

কোনও দাবিকে পরীক্ষা না কবেই সন্দেহাতীতভাবে মেনে নেওয়া কী সুযুক্তির লক্ষণ বলে জ্যোতিষীরা মনে করেন ? আমিই যদি আজ দাবি জানাই, রাত ঠিক বারোটায় আমার হাত দুটো ডানা হয়ে যায়, আমি তখন আকাশে উড়ে বেড়াই। রাত একটায় ডানা দুটো আবার হাত হয়ে যায়, তার আগেই আমি নেমে আসি মাটিব পৃথিবীতে; আমার এই দাবি কি বিনা সন্দেহে বিনা প্রশ্নে, বিনা পরীক্ষায় জ্যোতিষীরা মেনে নেবেন? তেমনটা যদি কোনও জ্যোতিষী মেনে নেন, তবে তাঁর মানসিক সুস্থতা সম্বন্ধে যুক্তিবাদীরা কিন্তু সন্দেহ প্রকাশ করবেনই।

error: Content is protected !!