পবিত্র তাঁবু
১. প্রভু মোশিকে বললেন, “পবিত্র তাঁবুটি তৈরী করবে ১০টি পর্দা দিয়ে। পর্দাগুলি তৈরী হবে মসৃণ শনের কাপড়ে এবং নীল, বেগুনী ও লাল সুতোয়। একজন দক্ষ কারিগর পর্দাটি বুনবে এবং তাতে সে করূব দূতের চিত্র সেলাই করবে।
২. প্রত্যেকটি পর্দা একই রকম আকৃতির তৈরী করবে। প্রত্যেকটি পর্দা দৈর্ঘ্যে ২৮ হাত ও প্রস্থে ৪ হাত হবে।
৩. এক ভাগ করবার জন্য ৫টি পর্দাকে যুক্ত করো। পর্দাগুলি সমান দু ভাগে ভাগ করবে।
৪. এক ভাগের শেষ পর্দাটির ধার জুড়ে ফাঁস তৈরী করবার জন্য নীল কাপড় ব্যবহার কর।
৫. দুই ভাগের শেষ পর্দা দুটিতে ৫০টি নীল কাপড়ের ঝালর থাকবে।
৬. পর্দাগুলিকে একত্রে যুক্ত করবার জন্য ৫০টি সোনার আংটা তৈরী কর। এটা পবিত্র তাঁবুটিকে একসঙ্গে যুক্ত করবে একটি অখণ্ড তাঁবু করবার জন্য।
৭. “একটি তাঁবু তৈরী করবার জন্য ছাগলের লোম দিয়ে তৈরী এগারোটি পর্দা ব্যবহার করো। এই তাঁবুটি হবে আগের পবিত্র তাঁবুর আচ্ছাদন।
৮. এই সমস্ত পর্দাগুলি অবশ্যই একই আকৃতির হবে। প্রত্যেকটি পর্দা হবে ৩০ হাত লম্বা এবং ৪ হাত চওড়া।
৯. এগারোটি পর্দা দুভাগে ভাগ করে এক ভাগে পাঁচটা ও অন্য ভাগে ছয়টি পর্দা রাখবে। পবিত্র তাঁবুর সামনে ষষ্ঠ পর্দাটি ভাঁজ করে রাখবে।
১০. প্রতিটি ভাগের শেষে পর্দার নীচে ৫০টি ফাঁস লাগাও।
১১. এবার পর্দাগুলি একত্র করার জন্য ৫০টি পিতলের আংটা তৈরী করবে এবং একসঙ্গে সেগুলি টাঙ্গাবে।
১২. এই তাঁবুর শেষ পর্দাটির অর্ধেক অবশ্যই পবিত্র তাঁবুর পিছন দিকে ঝুলে থাকবে।
১৩. অন্য দিকেও ১ হাত করে পর্দা পবিত্র তাঁবুর ভূমিদেশ থেকে নীচের দিকে ঝুলে থাকবে। এইভাবে পবিত্র তাঁবুকে পরবর্তী তাঁবুটি চারিদিক থেকে আচ্ছাদনের মতো ঘিরে থাকবে।
১৪. ভেতরের তাঁবু থেকে বাইরের তাঁবুতে যাওয়ার জন্য দুখানি চামড়ার ছাদ তৈরী করবে। একটি হবে পুং মেষের পাকা চামড়ায় তৈরী এবং অন্যটি হবে উৎকৃষ্ট চামড়ার।
১৫. “পবিত্র তাঁবুটিকে খাড়া করে রাখার জন্য বাবলা কাঠের একটি কাঠামো তৈরী করবে।
১৬. ঐ কাঠামোটি হবে ১০ হাত উঁচু ও ১.৫ হাত চওড়া।
১৭. প্রত্যেকটি কাঠামোর নীচে দুটো পায়া থাকবে। পবিত্র তাঁবুর প্রত্যেকটি কাঠামো একই আকারের হবে।
১৮. পবিত্র তাঁবুর দক্ষিণ দিকের জন্য ২০টি কাঠামো বানাবে।
১৯. কাঠামোগুলির নীচে লাগানোর জন্য রূপো দিয়ে ৪০টি ভূমিমূল তৈরী করবে। প্রত্যেকটি কাঠামোর গোড়ায় দুটি করে রূপোর পায়া বা ভূমিমূল থাকবে।
২০. উত্তর দিকের জন্য আরও ২০টি কাঠামো তৈরী করবে।
২১. একই রকম ভাবে কুড়িটি কাঠামোর দুটি করে পায়ার জন্য আরও ৪০টি রূপোর পায়া তৈরী করে লাগাবে।
২২. পবিত্র তাঁবুর পিছন দিক অর্থাৎ পশ্চিম দিকের জন্য আরও ছয়খানি কাঠামো বানাবে।
২৩. পবিত্র তাঁবুর পিছন দিকে দুই কোণের জন্য দুখানি কাঠামো বানাবে।
২৪. দুই কোণার কাঠামো দুখানি পরস্পরের সঙ্গে নীচের দিকে যুক্ত থাকবে। ওপরে একটি কড়া এই দুখানি কাঠামোকে একত্রে ধরে রাখবে। দু দিকের কোণাতেই একই রকম হবে।
২৫. এই রকম মোট আটটি কাঠামো থাকবে এবং ১৬টি রূপোর পায়া থাকবে।
২৬. “পবিত্র তাঁবুর কাঠামোগুলি জোড়া লাগানোর জন্য বাবলা কাঠ ব্যবহার করবে। পবিত্র তাঁবুর প্রথম দিকে পাঁচটি জোড়া তক্তা থাকবে।
২৭. অন্যদিকেও পাঁচটি তক্তা জোড়া দেওয়া থাকবে। এবং পিছন দিকেও পাঁচটি জোড়া তক্তা থাকবে।
২৮. তক্তাগুলির মাঝখানে একটি কেন্দ্রস্থিত হুড়কো লাগাতে হবে।
২৯. “কাঠামোগুলি তারপর সোনা দিয়ে মুড়ে দেবে। তক্তাগুলি আটকানোর জন্য আংটা ব্যবহার করবে। আংটাগুলিও অবশ্যই সোনার হবে। কীলকগুলিকে সোনা দিয়ে ঢেকে দাও।
৩০. এইভাবে পর্বতের ওপর দেখানো পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশ্যই তোমাদের পবিত্র তাঁবুটি তৈরী করতে হবে।
পবিত্র তাঁবুর অভ্যন্তর
৩১. “পবিত্র তাঁবুর ভেতর বিভাজনের জন্য মসৃণ শনের কাপড়ের পর্দা বানাবে। ঐ পর্দার ওপর অবশ্যই করূব দূতের চেহারা থাকতে হবে। লাল, নীল, বেগুনী সূতোর কারুকার্যে তা ফুটে উঠবে।
৩২. বাবলা কাঠের চারটি খুঁটি তৈরী করে সোনা দিয়ে তাও মুড়ে দেবে। চারটে খুঁটিতে সোনার আংটা লাগাবে। খুঁটিরে নীচে রূপোর পায়া লাগাবে। এবার পর্দাটি সোনার আংটায় লাগিয়ে টাঙ্গিয়ে দেবে খুঁটির সঙ্গে।
৩৩. পর্দাটি সোনার আংটাগুলির নীচে টাঙিযে দাও। তারপর ঠিক পর্দার পিছনে সাক্ষ্যসিন্দুক রাখবে। টাঙানো পর্দা দিয়ে পবিত্র স্থান এবং অতি পবিত্র স্থানের মধ্যে বিভাজন করবে।
৩৪. অতি পবিত্র স্থান হিসাবে সাক্ষ্যসিন্দুকের ওপর একটি আবরণ রাখবে।
৩৫. “পবিত্র স্থানে পর্দার উল্টো দিকে নির্মিত বিশেষ টেবিলটি রাখবে। টেবিলটি বসানো হবে পবিত্র তাঁবুর উত্তর দিকে। এবার দীপদানটিকে বসাবে দক্ষিণ দিকে টেবিলের থেকে খানিকটা দূরে।
পবিত্র তাঁবুর দরজা
৩৬. “এবারে একটি পর্দা দিয়ে পবিত্র তাঁবুর প্রবেশ পথ ঢেকে দেবে। পর্দাটি বানাবে লাল, নীল, বেগুনী সুতো ও মসৃণ শনের কাপড় দিয়ে। এবং তাতে চিত্র ফুটিয়ে তুলবে।
৩৭. এই পর্দা টাঙানোর জন্য সোনার আংটা বানাবে। এবং বাবলা কাঠের পাঁচটি খুঁটি বানাবে। সেগুলিও সোনার পাতে মোড়া থাকবে। পাঁচটি খুঁটির পায়া পিতল দিয়ে বানাবে।”