“১ ডিসেম্বর, ২০১১। পুকুরের জলে ডোবা সিঁড়িতে একজোড়া পায়ের ছাপ। পুকুরঘাটের উল্টোদিকেই শীতলার মন্দির। অতএব ‘মা শীতলার পদচিহ্ন’ নিয়ে ভোর থেকে রাত হুলস্থুল বালির ঘোষপাড়ায়।”

আনন্দবাজার পত্রিকায় ২ ডিসেম্বর প্রথম পৃষ্ঠায় ছবিসহ বিশাল খবর।

হুজুগের ঝড় উঠেছিল ১ ডিসেম্বরেই বিভিন্ন চ্যানেলের দৌলতে। বিকেল চারটে। ‘কলকাতা টিভি’ আমাকে ফোনে ধরল। হাওড়ার বালির ঘোষপাড়ার সরখেকল বাগানের শীতলা পুকুরের ঘাটের ইঞ্চিখানেক জলে ডোবা সিঁড়িতে সাদা রঙের পদচিহ্ন। ভক্ত এবং কৌতূহলীদের বিশাল ভিড়। পদচিহ্ন ঘিরে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। ফুল-মালা নিবেদনে ভক্তরা যেন বঞ্চিত না হন, তার জন্য পদচিহ্নের হাত দুয়েক দূরে জলের উপর বাঁশের বেড়ার উপর খড় বিছানো মাচা। মাচায় ফুল-মালার স্তূপ।

আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল-ভক্তরা আজ সকালেই ‘আবিষ্কার’ করেন মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটে। পুজো শুরু হয়ে গেছে। পুকুরের জলে ডোবা সিঁড়িতে পদচিহ্ন দেখে ভক্তরা মনে করছেন, এটা অলৌকিক ঘটনা। আপনি তো দেখলেন, আপনার কী মনে হচ্ছে?

পায়ের ছাপের যে ছবি টিভিতে দেখতে পাচ্ছি, তা দেখে বলা সম্ভব নয়, ঠিক কীভাবে এই পায়ের ছাপ ঘাটে এলো। তবে এটা নিশ্চিত যে, কেউ এই ছাপ তৈরি করেছেন। কীভাবে এটা তৈরি করা হয়েছে, এটা জানতে আপনারা আন্তরিক হলে আপনাদের চ্যানেলের সঙ্গে যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে আমি যাব। তারপর অবশ্যই রহস্য উন্মোচন করব।

বহু মানুষ আজও বিশ্বাস করেন, সংক্রামক রোগ যেমন, জলবসন্ত, কলেরা ইত্যাদির কারণ মা শীতলা। তাঁর পুজো করলে রোগ সারে। একসময় গুটিবসন্ত রোগের কারণও মনে করা হত শীতলাকে। গুটি বসন্ত রোগ পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ায় শীতলার গুটিবসন্ত দেওয়ার ক্ষমতা শেষ। আসলে সংক্রামক রোগের কারণ ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া । এইসব রোগ সারাতে পারে আধুনিক চিকিৎসা। মা শীতলা নন।

আজও শিক্ষায়-সংস্কৃতিতে পিছিয়ে থাকা মানুষ ভগবানে বিশ্বাস করেন, রোগের কারণ হিসেবে বিষহরি শীতলাকে বিশ্বাস করেন। পশ্চিম দিনাজপুর, বীরভূম জেলায় মা মনসাই শীতলা হিসেবে নিয়জিত হন। এ সম্ভবত আনিয়ায় মনসা ও শীতলা একই দেবী ‘বিষহরি ছিলেন। এক সময় অসুখ হলেই শীতলাকে পুজো দেওয়া হত ।

যাই হোক, শীতলার পায়ের ছাপ একদম বুজরুকি। শীতলা পুকুরের ভক্তরা বা পুরোহিত চাইলে দুজন রোগী নিয়ে যাব। তিন মাসের মধ্যে সারিয়ে দিলে ২৫ লক্ষ টাকা প্রণামী দেব।

সেদিন-ই বিকেল ৬ টায় ‘স্টার আনন্দ’-র পক্ষ থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হল। ‘কুসংস্কারের পদচিহ্ন’ শিরোনামের LIVE অনুষ্ঠানে অ্যাঙ্কার বললেন, ‘আমাদের সঙ্গে ফোন লাইনে রয়েছেন ভারতীয় বিজয়ান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি প্রবীর ঘোষ । প্রবীরবাবু আপনি তো গোটা ঘটনাটা শুনলেন। শীতলা মন্দির লাগোয়া ওই পুকুরের ঘাঁটে একজোড়া পায়ের ছাপ দেখে এলাকার মানুষজন বিশ্বাস করতে শুরু করেন ওই পায়ের ছাপ শীতলা মায়ের। আপনি কী বলবেন ?

বললাম, ‘পায়ের ছাপ মা শীতলার! শুনে এতো হাসি পাচ্ছে যে কী বলবো। শীতলা যে কোনও অসুখ-বিসুখ তৈরির দেবী বলে অন্ত্যজ, শিক্ষার সুযোগ না পাওয়া মানুষরা বিশ্বাস করেন। কিন্তু বহু বছর আগেই আবিষ্কৃত হয়েছে নানা রোগের কারণ। কিছু রোগের কারণ আবিষ্কারের নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। শীতলা পুজো করে কোনও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা জীনঘটিত রোগ সারিয়ে তোলা অসম্ভব। মন্দির-কর্তৃপক্ষকে বলছি, আমরা দুরকার হলে কালকেই ‘স্টার আনন্দে’র সঙ্গে এক বা দুজন রোগী নিয়ে

যাব শীতলা মন্দিরে। শীতলা মা-র কৃপায় রোগী সারিয়ে দিন। সেরে গেলে দেব ২৫ লক্ষ টাকা প্রণামী। আমি শীতলা মা-র শিষ্য হয়ে যাব ।

‘ঘাটে শীতলার পায়ের ছাপ—এটা হয় নাকি? কখনই হয় না। এই পায়ের ছাপ নানারকম ভাবে হতে পারে। রং দিয়ে হতে পারে। অ্যাসিড দিয়ে হতে পারে। কী করে হয়েছে, ওখানে না গিয়ে বলতে পারছি না।

‘শিক্ষার সুযোগ না পাওয়া পিছিয়ে থাকা মানুষদের মধ্যেই যে শুধু কুসংস্কার থাকে, তা নয়। পরিবেশগত ভাবে অনেকেই ঠাকুর-দেবতা-অবতারে বিশ্বাস করে। তাঁরা লেখাপড়ায় ভালো হয়ে হয়তো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি বিজ্ঞান শাখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন, কিন্তু চিন্তার গভীরে কুসংস্কার রয়েই গেছে। বিজ্ঞানে বিশ্বাস করে নিজেকে কুসংস্কার মুক্ত করতে পারেননি। এরাই তো ডাক্তার হয়ে রোগীর বাড়ির লোককে বলবেন—এবার ঠাকুরকে ডাকুন।

‘আমাদের দেশে সরকারি প্রচেষ্টাতে যদি নানারকম পুজো-আর্চা হয়, অমুক বাবাজির জন্মদিনে ছুটি, অমুক মাতাজির জন্মদিনে ছুটি, অমুক ধর্মগুরুর মাজারে ও মাতাজির বাড়ির দোড়গোড়ায় রেলস্টেশন করতে থাকেন, তবে এই ধরনের কুসংস্কার বাড়বে। ঝাঁক-ঝাঁক পুজো উদ্‌বোধনে ঝাঁকে-ঝাঁকে মন্ত্রীরা সব কাজ ছেড়ে দৌড়োন, তবে দেশ তো আরও কুসংস্কারে ডুববেই।’

‘কুসংস্কারের বিপদচিহ্ন’ খবরটি তুলে ধরার জন্য ‘স্টার আনন্দ’কে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যে কোনও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে আমরা যুক্তিবাদী সমিতি আছি। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে রাজি। আবারও বলছি, যদি দেবী মাহাত্ম্যে রোগ সেরে যায় তাহলে দেব ২৫ লক্ষ টাকা প্রণামী। এবং আমাদের সমিতি বন্ধ করে দেবো।’

২ ডিসেম্বর শুক্রবার, ২০১১। সকাল ৭ টায় বেরলাম। একটা গাড়িতে আমি ও যুক্তিবাদী সমিতির সহসভাপতি অভিজিৎ সাধুখাঁ। সঙ্গে নিয়েছি ‘ওয়াটার শিরীষ’ কাগজ, এক বোতল অ্যাসিড, কেরসিন তেল ও একটা ব্রাশ।

আর একটা গাড়িতে স্টার আনন্দের সাংবাদিক অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও চিত্র-সাংবাদিক। স্পটে হাজির হলাম ৯টা নাগাদ। কয়েকশো নারী-পুরুষের ভিড়। আমার মনে হল—প্রায়, সকলেই ভক্ত। আমি আসছি জেনে তাঁরা সব এককাট্টা ।

পদচিহ. দেখলাম, সাদা দুটি পায়ের ছাপ। প্রাথমিকভাবে মনে হল সাদা ‘প্লাসটিক ইমালসন’ নিয়ে পায়ের ছাপ ফেলা হয়েছে। ছাপের উপর ইঞ্চি খানেক জল। কাছেই হুগলী নদী। পুকুরটা বড়। পদচিহ্নের বিপরীতে শীতলা মন্দির। মন্দির বড়-ই, ঝাঁ চকচকে।

আমি জলে নেমে ‘ওয়াটার শিরীষ’ দিয়ে ঘসে দাগ তোলার চেষ্টা করব কী, জলে পা দিতেই দিলেন না কিছু দাপুটে ভক্ত। আমাকে নিয়ে যাওয়া হল শীতলা মন্দিরে। সেখানেও উদ্ধার নেই। বহু নারী-পুরুষ কন্ঠ আমাকে শাপ-শাপান্ত করে ছাড়লেন। ‘যান তারকেশ্বর মন্দিরে বা তারাপীঠের মন্দিরে গিয়ে ওদের বিরুদ্ধে কিছু বলুন তো! খুন করে ফেলবে।’

কেউ বললেন, ‘এমন পায়ের দাগ করতে পারবেন?’ বললাম, ‘হ্যাঁ, তা পারবো। মনে রাখবেন, বড় পুকুরে, বিশেষ করে কাছে নদী থাকলে সেই পুকুরের জলে জোয়ার-ভাটা হয়। ভাটার সময় ‘প্লাসটিক ইমালসন’ পায়ে লাগিয়ে ছাপ দিলে দু-তিন মিনিট পরে জল উঠলেও রঙের ছাপ থেকেই যাবে।’

অমনি চিৎকার-চেঁচামেচি বাড়ল। একজন বললেন, ‘রঙের ছাপ লাগিয়ে ঘাটে উঠতে গেলে তো সেইসব সিঁড়িতেও ছাপ থাকবে। আর কোথাও ছাপ নেই কেন?’

বললাম, ‘খুব সোজা। কেউ দুষ্টুমি করে বা কোনও বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে এমন পদচিহ্ন আঁকলে সঙ্গে কেরোসিন ও কাপড় নিয়ে আসবেন। ঘাটে বসে কাপড়ে কেরোসিন ঢেলে পায়ের দাগ তুলে দেবেন।’

না, আমাকে আর কথা বলতে না দিয়ে আমাদের একরকম জোর করেই তাড়িয়ে দিলেন ওখান থেকে। বালি থানার পুলিশ আমাদের উদ্ধার করলেন।

‘এরপর কী করি?’ অর্ণব বললেন ।

আমরা গেলাম উত্তরপাড়ার হুগলী নদীর ঘাটে। একটা দোকান থেকে ‘প্লাসটিক ইমালসন’ কিনে আনা হল।

ছবি তোলা শুরু হল। আমাদের ড্রাইভারের পায়ের তলায় রং লাগাচ্ছি। অর্ণব বলে চলেছেন, ‘হোয়াইট প্লাস্টিক ইমালসন’ নিয়ে এসেছি রং-এর দোকান থেকে। এই রং প্রবীরদার হাতে তুলে দিয়েছি। প্রবীরদা এখন ড্রাইভার ভাইয়ের পায়ের তলায় রং লাগাচ্ছেন। উনি প্রমাণ করে দেখাবেন ঠিক কী ভাবে শীতলার পদচিহ্ন তৈরি হয়েছিল। সেই পদচিহ্ন ফেলা হল একটা ইঁটে ।

‘মিনিট দেড়েক সময় পার করেছি আমরা ছাপটা ফেলার পর। এবার ইটটা জলে ডুবিয়ে দিচ্ছেন প্রবীরদা। ইঁটের ফেলা পায়ের দাগ ঠিকঠাক রয়ে গেছে। জলে ধুয়ে যায়নি। এবার আমি হাতে ঘষে ইঁটের দাগ তোলার চেষ্টা করবো। চেষ্টা করছি, দেখছেন। কিন্তু রং উঠছে না।’

৩ ডিসেম্বর, শনিবার ২০১১। রাত ১১ টায় ‘স্টার আনন্দ’-তে দেখান হল ‘শীতলার অন্তর্ধান রহস্য’।

৪ ডিসেম্বর সকাল থেকেই শীতলা ভক্তদের ভিড় বিলকুল ফাঁকা।

সব ‘অলৌকিক’ রহস্যই শেষ পর্যন্ত এ-ভাবেই মিলিয়ে যায়। পালিয়ে যায় সত্যের আলোয়।

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!