বরিশাল, ১২ মার্চ (নিজস্ব সংবাদদাতা) – গ্রামের কৃষক আরজ আলী মাতুব্বর জনকল্যাণে নিজের যাবতীয় সম্পত্তি তো বটেই, অধিকন্তু জীবনসায়াহ্নে নিজের চক্ষু দুইটি এবং মরদেহ দানের কথা ঘোষণা করিয়া এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করিয়াছেন।
বরিশাল হইতে ৭/৮ মাইল দূরে লামচরি গ্রামে তাঁহার বাড়ি। আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ তাঁহার না থাকায়, ছেলেবেলা হইতে তিনি বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরীতে নিয়মিত হাজির হইতেন জ্ঞানপিপাসা নিবৃত্ত করার জন্য। ফলশ্রুতিতে যথাক্রমে ১৯৭৪ ও ১৯৭৮-এ প্রকাশিত হয় তাঁহার রচিত ‘সত্যের সন্ধান’ ও ‘সৃষ্টি-রহস্য’ নামক গ্রন্থ দুইটি। এজন্য তিনি গত বৎসর হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন।
জীবনের ৬০ বৎসর পর্যন্ত অর্জিত সম্পত্তি তিনি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বন্টন করিয়া দেন। পরবর্তী ২১ বছরে অর্জিত সমস্ত অর্থ ও সম্পত্তি উইল করিয়া জনকল্যাণমূলক কাজে দান করেন। তাঁহার দানের অর্থে ইতিমধ্যেই একটি পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠিত এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা হইয়াছে।
একাশি বছরের বৃদ্ধ আরজ আলী মাতুব্বর এক দলিল সম্পাদন করিয়া মৃত্যুর পর চক্ষু ব্যাংকে তাঁহার চক্ষু দুইটি দান এবং বরিশাল মেডিকেল কলেজের জন্য তাঁহার মরদেহ দানের ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করিয়া ব্যতিক্রমধর্মী ও সংস্কারমুক্ত মনের পরিচয় দিয়াছেন।
অধ্যায়ঃ সত্যের সন্ধান
♦ দ্বিতীয় প্রস্তাবঃ ঈশ্বর বিষয়ক
♦ পঞ্চম প্রস্তাবঃ প্রকৃতি বিষয়ক
অধ্যায়ঃ অনুমান
অধ্যায়ঃ স্মরণিকা
♦ লামচরি গ্রামের অবস্থান ও পরিবেশ
♦ লাইব্রেরী উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও ৭৯ সালের বৃত্তি দান
♦ মানব কল্যাণের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত
♦ ১৯৮০ সালের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠান
♦ পুস্তক প্রদান অনুষ্ঠানের ভাষণ
♦ অবহেলিত একটি প্রতিভার স্বীকৃতি বাকেরগঞ্জ জিলা পরিষদ কর্তৃক বিশেষ পুরস্কার দান
♦ বার্ষিক অধিবেশন ও ৮১ সালের বৃত্তিপ্রদান
♦ আরজ মঞ্জিল পাবলিক লাইব্রেরীর দানপত্র সংক্রান্ত দলিলসমূহের অনুলিপি
♦ কেন আমার মৃতদেহ মেডিক্যালে দান করছি
অধ্যায়ঃ আমার জীবনদর্শন
♦ জগত সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত ধারণা
♦ জীবন সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত ধারণা
“আরজ আলী মাতুব্বর” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ