সমাজ ও রাষ্ট্র চরিত্র যতই জটিল হচ্ছে ততই মগজধোলাইয়ের প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে। মগজধোলাইয়ের পদ্ধতিগত জটিলতাও বাড়ছে। রাষ্ট্র কাকে বলে? এ বিষয়ে দুটি সংজ্ঞা প্রচলিত।
একঃ রাষ্ট্রের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড থাকতে হবে। থাকবে জনসমষ্টি। একটি সরকার এবং সার্বভৌমত্ব। ‘সার্বভৌমত্ব’ শব্দের অর্থ বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়া অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি নির্ধারণ ও কার্যকর করার স্বাধীনতা। অর্থনৈতিক নীতি থেকে শিক্ষানীতি সবই অভ্যন্তরীণ নীতির অন্তর্ভুক্ত। এই চারটির উপস্থিতি থাকলে তবেই তাকে রাষ্ট্র বলা যায়। একটির অনুপস্থিতিই ‘রাষ্ট্র’ সংজ্ঞা কেড়ে নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
যেমন ধরুন পশ্চিমবঙ্গের কথা। পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট ভূখণ্ড আছে, জনসমষ্টি আছে, সরকারও হাজির। নেই শুধু সার্বভৌমত্ব। তাই পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্র নয়।
দুইঃ শ্রেণী বিভক্ত সমাজে রাজনৈতিক ক্ষমতার হাতিয়ার হল রাষ্ট্র বা স্বাধীন দেশ। রাষ্ট্র পরিচালনার রূপ নানা রকমের হতে পারে। যেমন—রাজতন্ত্র, ডিক্টেটরের স্বৈরাচারী শাসন, বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্র, সমাজতন্ত্র।
‘রাজতন্ত্র’ ও ‘ডিক্টেটরের স্বেচ্ছাচারী শাসন’ আমরা প্রত্যেকেই বুঝি। ‘বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্র’ বলতে বুঝি যেখানে সরকার ‘জনগণের মধ্য থেকে, জনগণের দ্বারা, জনগণের জন্য’ গঠিত। কিন্তু বাস্তবে যে সরকার দেশের পুঁজিপতির শ্রেণীর টাকায়, পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষার জন্য নির্বাচিত।
‘সমাজতন্ত্র’ কাকে বলে? মার্কসবাদ অনুসারে-শ্রমিকশ্রেণীর একনায়কত্বের রাষ্ট্রকে বলে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনও শ্রেণী বিভাজন থাকবে না। ‘শোষক’ও ‘শোষিত’ এই দুটি শ্রেণীর বিলোপ ঘটবে। ফলে যে কোনও ধরনের শোষণ ও নিপীড়নের অবসান ঘটবে। পুঁজিপতি বা শিল্পপতি বলে কোনও গোষ্ঠী থাকবে না। এই মত অনুসারে রাষ্ট্রের মানুষই হবে উৎপাদিত সামগ্রীর ও রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পদের মালিক। খাদ্য-বস্ত্র-মাথার ছাদ-চিকিৎসা-শিক্ষার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের প্রতিটি শ্রেণীর মানুষের মধ্যে সাম্য-বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবে।
প্রথম মতটি দ্বিতীয় মতের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়। এক নম্বর সংজ্ঞা অনুসারে ভারতকে কি রাষ্ট্র বলা যায়? শতকরা প্রায় একশো ভাগই বলবেন ভারত একটি রাষ্ট্র। ‘স্বাধীন রাষ্ট্র’ বলার দরকার নেই। কারণ রাষ্ট্র হতে গেলে স্বাধীন হতেই হবে। অর্থাৎ ভারতের শাসক দলই ঠিক করবে দেশের প্রতিটি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি।
কিন্তু কেউ যদি বলে বসেন-ভারত ‘রাষ্ট্র’ নয়। তাকে আমরা নিশ্চয়ই পাগল বলবো। কিন্তু তিনি যদি বুঝিয়ে দেন, প্রমাণ করে দেন, ভারতের বৈদেশিক নীতি থেকে অর্থনৈতিক নীতি ঠিক করে দেয় আমেরিকা – তখন কী বলবেন? বাস্তব সত্যিটা কিন্তু তাই। আমাদের দেশ কার্গিল যুদ্ধের কখন সমাপ্তি ঘটাবে? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফোঁস ছেড়ে কবে গলাগলি করে শান্তির পায়রা ওড়াবে? কৃষি ভর্তুকি কমাবে কিনা? সংস্কৃতিতে ভোগবাদ ও ভাববাদের প্রচার তীব্র থেকে তীব্রতর কখন করতে হবে? কখন বেয়াদপ দরিদ্রগোষ্ঠীকে ‘নকশাল’ বা ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে ঝাড়ে-বংশে শেষ করতে হবে—সবই ঠিক করে দেয় আমাদের দাদা দেশ আমেরিকা। আমাদের ক্রিকেট টিমে কে কে খেলবে, তা ঠিক করে দেয় পেপসি-কোক-হোল্ডার মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো। তাদের ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর কনুই ভেঙে খেলতে না পারলেও খেলাতে হবে। স্পনসরদের কাছে সিলেকশন কমিটি থেকে ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত সবই নির্ভেজাল নপুংসক।
এত কিছুর পর কোনওভাবেই আমরা বলতে পারি না যে, ভারত সত্যিই একটি ‘রাষ্ট্র’।
এ’বার চলুন দ্বিতীয় মতটি নিয়ে আলোচনায় যাই। দ্বিতীয় মত অনুসারে ভারতকে কি রাষ্ট্র বলা যায়? একগুচ্ছের মার্কসবাদী সাংসদ-বিধায়করা চেঁচিয়ে উঠবেন—ভারত অবশ্যই একটি রাষ্ট্র বা স্বাধীন দেশ। রাষ্ট্র পরিচালনার রূপটি হল ‘বুর্জোয়া প্রজাতন্ত্র’।
কিন্তু এ দাবি তো সত্যি নয়। আক্ষরিক অর্থেই ভারত স্বাধীন এবং সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী নয়। ভারতে যে রাজনৈতিক দল-ই নির্বাচনে জিতে গদিতে বসে, সে শুধুমাত্র ভারতের পুঁজিপতিদের টাকায়, পুঁজিপতিদের স্বার্থরক্ষার কাজ করে না। গদিতে টিকে থাকার স্বার্থে, দলের ও নিজের শ্রীবৃদ্ধির স্বার্থে দাদা দেশের ইচ্ছেয় চালিত হয়। অতএব, শতকরা ৭০ ভাগ গরীবদের ভুল বোঝাতে মগজধোলাই করতেই হয়।
কয়েক বছর আগের ঘটনা। পেপসি-কোকে পোকা-মাকড় পাওয়া যাচ্ছে বলে দেশ জুড়ে হৈ-হৈ। পানীয় দুটির বিক্রি পড়ল হুড়মুড়িয়ে। কেন্দ্রীয় সরকার ও কিছু রাজ্য সরকার পানীয় দুটির কারখানা জনস্বার্থে বন্ধ করে দেবে—জানিয়ে দিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা পেপসি-কোকের বিরুদ্ধে আন্দোলন, পেপসি-কোকের দোকানে ভাঙচুড় করে সংবাদের শিরোনামে। শেষপর্যন্ত কী হল! আমেরিকা সরকার ভারতকে ছোট্ট করে একটা হুমকি দিল, পেপসি-কোকের বিরুদ্ধে আন্দোলন বন্ধ কর। ওদের ফ্যাক্টরি বন্ধ করলে তোমাদের অ্যাইসা। বাক্যটি শেষ করার আগেই লেজ গুটিয়ে চোঁ-চো দৌড় লাগালো রাজনৈতিক পার্টিগুলো। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ক্লিন চিট দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকার থুতু ফেলে সে থুতু চাটলো।
ভারত এখন শুধুমাত্র দেশী পুঁজিপতিদের স্বার্থ-রক্ষার মহান দায়িত্ব সামলায় না, বিদেশী পুঁজিপতিদের স্বার্থ-রক্ষায় নিবেদিত প্রাণ।
এরপর ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনার রূপটি ‘বুর্জোয়া গণতন্ত্র’ বললে, তা হবে হয় অতি সরলীকরণ; নতুবা তোতাপাখির শেখা বুলি কপ্চে দেওয়া। সত্যিকে চাপাতে মগজধোলাই করে।
১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকর হলো। সংবিধানের মুখবন্ধে (Preamble) ঘোষণা রাখা হলো, ভারত ‘সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’। ‘সার্বভৌম’ শব্দের ব্যাখ্যা এবং ভারত কতটা সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী – সে বিষয়ে আগেই আমরা আলোচনা সেরেছি। এবার আসি ‘গণতান্ত্রিক’ ও ‘প্রজাতন্ত্র’ শব্দ দুটির প্রসঙ্গে।
১৯৪৬-এর ৯ নভেম্বর সংবিধান রচনাকারী সভায় ভারতীয় সংবিধানের মূল উদ্দেশ্য নিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেন জওহরলাল নেহেরু। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়। প্রস্তাবে শ্রীনেহেরু বলেছিলেন, ভারতের সংবিধানের মুখবন্ধে ঘোষণা রাখা হবে ভারত সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ভারত রাষ্ট্র সার্বভৌম। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতিসমূহ ভারতের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা নির্ধারণ ও পরিচালনা করবে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের জনগণের মতানুসারে তাদের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা রাষ্ট্র ও রাজ্যগুলির শাসন পরিচালনা করবে। ‘প্রজাতন্ত্র’ প্রতিটি প্রজার লিঙ্গ-জাতি-বর্ণ-ভাষা নির্বিশেষে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা করবে। প্রত্যেকটি প্রজা রাষ্ট্রের কাছে পাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ন্যায় বিচার।
ভারত যে ‘গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র’ এবিষয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানো পার্টিগুলোর কোনও সন্দেহই নেই। সন্দেহ প্রকাশ করে শুধু বেয়াদপ মানুষগুলো। এদেশে একজন ফুটপাতের ভিখারি আর রাষ্ট্রপতি—সবার সমান অধিকার।
তাই কি? এদেশের আইন অনুসারেই সেনাদের রাখা হয়েছে আইনের উর্ধ্বে। তারা ধর্ষণ করুক, গুণ্ডামী করুক, হত্যা করুক-কিচ্ছুটি করতে পারবে না এদেশের আইন-আদালত। এদেশের কোনও আদালতের ক্ষমতাই নেই অপরাধী সেনাদের বিচার করে শাস্তি দেওয়ার। এ দেশের সেনা-আদালন একজনও অপরাধীকে ধর্ষণ, হত্যা বা লুটপাটের জন্য শাস্তি দিয়েছে—এমন কোনও দৃষ্টান্ত নেই। সেনা-আদালত আছে অপরাধী সেনাদের নিরপরাধ বলে ঘোষণা করার জন্যে।
এরপর রয়েছে লালু যাদব, পাপ্পু যাদবের মতো হেভিওয়েট রাজনীতিক, সঞ্জয় দত্ত, সলমন খানের মতো সিনেমার নায়করা, কাঞ্চির শংকরাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতীর মতো ধর্মগুরুরা। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে ঢুকলেন লালু। লালুর জেলখানা রাতারাতি ফাইভ স্টার হোটেল হয়ে গেল। পাপ্পুর বিরুদ্ধে গাদা-গুচ্ছের খুনের অভিযোগ। জেলখানার মধ্যেই প্রতিদিন বসে পাপ্পুর আমদরবার। দরবারে শ’খানেক করে পাপ্পুর অপরাধ জগতের সঙ্গী-সাথী ও কৃপাপ্রার্থীরা ভিড় জমায়। ভিড় সামাল দেয় পাপ্পুর চাকরবাকর জেলারও জেলকর্মীরা।
আপনার-আমার মত আম-আদমির বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে একে ৪৭-এর মতো শক্তিশালী বেআইনি অস্ত্র ও মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীকে পেলে কী হতো? জীবনে আর সূর্যের আলো দেখতে হতো না।
সঞ্জয় দত্তের ফ্ল্যাট থেকে একে ৪৭ মিললো। সঞ্জয় মেগাস্টার ছিলেন, মেগাস্টার-ই রইলেন। তাঁর স্ট্রেচ করা একটা চুলও কেউ বাঁকা করতে পারলো না। স্টার ফুটবলার ষষ্ঠি দুলের বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করলো মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনালকে। আমাদের এই মহান দেশে মুড়ি-মিছড়ির এক দর হতে নেই। তাই ষষ্ঠি বহাল তবিয়তে ফুটবলে লাথি মেরে, আইনকে লাথি মেরে দিব্বি ভালোই আছেন। সলমান খান সুপারস্টার হিরো। হিরোইনদের নিয়ে মস্তির মেজাজে বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ মারলেন। এই অপরাধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তার এবং অপরাধ প্রমাণ হলে সাত বছরের জেল হওয়ার কথা আইনের বইতে লেখা আছে। ওসব লেখা আছে আপনার আমার মতো আম-আদমিদের জন্যে। সলমান! আ-ই-বা-স? সলমান তারপর বিনা লাইসেন্সে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে চাপা দিয়ে মানুষ মারলেন। মানুষের মৃত্যু তো আর সলমানের মতো কিমতি নয়! তাই ওঁর এবারও কি-স-সু হলো না।
১২ ডিসেম্বর ২০০৫, আমাদের জাতীয় জীবনে সবচেয়ে কলঙ্কের দিন। ১১ জন সাংসদ ঘুষ নিতে গিয়ে ক্যামেরা বন্দি হলেন। সংসদে প্রশ্ন তুলতে লাখ খানেক টাকা ঘুষ নিয়ে থাকেন প্রায় সব সাংসদ। এটাই দীর্ঘ বছরের চালু নিয়ম। ‘আজতক’ নিউজ চ্যানেল বিষয়টা ক্যামেরা বন্দি করে দু’দিন দেখানোয় সংসদে তুমুল তোলপাড় হলো। তদন্তকারী সংসদীয় কমিটি গড়া হলো। কমিটি সংসদে রিপোর্ট পেশ করে ওই সাংসদদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করলেন। সব দলই জানেন তাঁদের সাংসাদদের দুর্নীতির হাল হাকিকত। তাই সুপারিশ কার্যকর করতে সাংসদরা টালবাহানা করছেন। তাঁরা চান না ওইসব মিটে উপনির্বাচন লড়তে।
এই সুপারিশ আসার আগেই ‘স্টার-নিউজ’ দেখাল ৫ সাংসদের দুর্নীতি । সাংসদ তহবিলে প্রতি সাংসদ প্রতি বছর উন্নতির জন্য ২ কোটি টাকা পেয়ে থাকেন। খরচও করেন। স্টার দেখাল, সাহায্য হাতে হাতে করে দিচ্ছেন সাংসদরা বিনিময়ে নিচ্ছেন ৪০% থেকে ৫০% টাকা। সরকার পক্ষের ও বিরোধী পক্ষের নেতারা আলোচনা করে সহমত হলেন, সাংসদ তহবিল তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু বাদ সাধলো বিদ্রোহী সাংসদরা। এই বিদ্রোহী সাংসদদের সংখ্যা শতকরা ৯৯%। অনেক সাংসদই লোকসভায় মিডিয়ার বিরুদ্ধে সরাসরি কামান দাগলেন। এইসব মিডিয়া লুকোন ক্যামেরা নিয়ে ঘুষের প্রলোভন দেখিয়ে যে সব ছবি তুলেছে ও দেখাচ্ছে তাতে দেশের সম্মান মাটিতে মিশে গেছে। এইসব ফাঁদ পাতা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এই বঙ্গের এক সাংসদ জানিয়েছেন, দুর্নীতি যখন সর্বগ্রাসী, দেশ যখন কালো টাকায় ডুবে, তখন কালো টাকার মালিকরা সাংসদদের দিয়ে এমন কাজ করিয়ে নিতেই পারে। (যেন সাংসদরা বাচ্চা ছেলে, ভুলিয়ে ভালিয়ে ঘুষের লাড্ডু হাতে ধরিয়ে দিয়েছে দুষ্টু লোকেরা)। এই বঙ্গেরই আর এক প্রাক্তন সাংসদ একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে জানালেন, সাংসদদের এমন ঘুষ খাওয়া রোগটা বহু পুরোন। তাঁর সময়ও দেখতেন, অনেক সাংসদই প্রশ্ন তুলতে টাকা নিচ্ছেন। প্রশ্নগুলো অতি সাধারণ। যেমন বিদেশী ব্যাঙ্ক ভারতে কতগুলো শাখা খুলেছে ইত্যাদি।
কিন্তু এইসব ঘুষখোর সাংসদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো না? কেন ‘লোকপাল বিল’ পাশ হওয়া নিয়ে সংসদে এত বছর ধরে টালবাহানা চলছে? আমাদের সচেতন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ-ই পারে সাংসদের ঘাড় ধরে আইনের আওতায় আনতে। আমরা চাই আর সময় নষ্ট না করে দ্রুততার সঙ্গে ‘লোকপাল বিল’ পাশ করা হোক ।
একাধিক বিখ্যাত ও সৎ সাংবাদিক এমন কথাও বলেছেন, সাংসদদের ব্যাপক ঘুষ কাণ্ডকে চাপা দিতেই সব রাজনৈতিক দলই সৌরভ গাঙ্গুলিকে ক্রিকেট দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে দেশব্যাপী হৈ-চৈ বাঁধিয়ে ছিল দেশবাসীর দৃষ্টি সরাতে। দেশের নীতি-নির্ধারক সর্বোচ্চ পদাধিকারী দেশের সাংসদরা। তাঁদের এমন আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা চেহারা বে-আব্রু হওয়ার পর বলতেই হয়, লড়ির গায়ে লিখে রাখা সেই কথাগুলো বড় বেশি সত্যি
“মেরা দেশ মহান
শ’মে নিরানব্বই বেইমান।”
আমরাই পারি গ্রামগুলোকে স্বয়ম্ভর করে গড়ে তুলতে। স্বয়ম্ভর গ্রাম মানেই সবার সমান অধিকার, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা এবং দুর্ণীতির কবর। শুধু নজরদারির জন্য চাই সাংস্কৃতিক আন্দোলন।
প্রথম পর্বঃ মনের নিয়ন্ত্রণ
অধ্যায়ঃ এক
♦ বুদ্ধি, স্মৃতি, প্রতিভা নিয়ে বিভ্রান্তি বেচে খাচ্ছে অনেকে
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রচুর পড়েন মানে-ই মস্তিষ্কচর্চা করেন?
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্মৃতি-শক্তি ও প্রতিভা এক নয়
অধ্যায়ঃ চার
♦ জ্ঞান (wisdom) ও শিক্ষা (education) এক নয়
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ মস্তিষ্ক ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ পাভলভ-তত্ত্বে মস্তিষ্কের ‘ছক’ বা type
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু পাল্টে যায়
অধ্যায়ঃ নয়
♦ অলজাইমারস সৃষ্টিশীল মেধায় ভয়ঙ্কর অসুখ
অধ্যায়ঃ দশ
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জিন বা বংশগতি-ই ঠিক করে মেধা-বুদ্ধি?
অধ্যায়ঃ বারো
♦ বংশগতি গবেষণা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রগতি
অধ্যায়ঃ তেরো
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ মগজধোলাই-এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে
দ্বিতীয় পর্বঃ ধ্যাণ-যোগ-সমাধি মেডিটেশন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ ‘রজনীশ’ এক শিক্ষিত যোগী, বিতর্কিত নাম
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ সাত
♦ শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবীর সহজযোগ
অধ্যায়ঃ আট
♦ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন নিয়ে বাংলাদেশের যোগী মহাজাতক
অধ্যায়ঃ নয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
অধ্যায়ঃ দশ
♦ ‘মেডিটেশন’, ‘রিলাক্সেশন’, বা ‘স্বসম্মোহন’
অধ্যায়ঃ এগারো
“মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ