আমি বাঙালি, বড়োই গরিব। পূর্বপুরুষেরা–পিতা, পিতামহ
ভিক্ষাই করেছে; শতাব্দী, বর্ষ, মাস, সপ্তাহ, প্রত্যহ।
এমন সৌন্দর্য নেই তুমি সব কিছু ফেলে
ছুটে আসবে আমার উদ্দেশে দুই বাহু মেলে।
এত শৌর্যবীর্য নেই যে সদম্ভে ফেলবো চরণ
আর দিনদুপুরে সকলের চোখের সামনে তোমাকে করবো হরণ।
হে সৌন্দর্য হে স্বপ্ন হে ক্ষুধা হে তৃষ্ণার বারি,
আমি শুধু দুই হাত মেলে দিয়ে ভিক্ষা চাইতে পারি।
তুমি শুধু দেখবে দিনরাত,
সব কিছু পেরিয়ে তোমার সামনে মেলে আছি এক জোড়া ভিক্ষুকের হাত।
বই খুলতে গেলে
দেখবে তুমি বই হয়ে আছি আমি দুই হাত মেলে।
প্লেয়ারে রেকর্ড চাপিয়ে যদি তুমি গান শুনতে চাও,
চমকে উঠে শুনবে তুমি সব রেকর্ডে বাজে একই গান—’আমাকে ভিক্ষা দাও।‘
ফুল তুলতে গিয়ে বাগানের গাছে
দেখবে আমার ভিক্ষুক হাত গোলাপ চামেলি হয়ে চার দিকে ফুটে আছে।
অন্ধকার নেমে এলে ঘুমে গাঢ় হলে রাত
স্বপ্নে দেখবে তুমি দশদিগন্ত ঢেকে দিয়ে মেলে আছি ভিখারির হাত।
হে স্বপ্ন হে সৌন্দর্য হে ক্ষুধা হে আমার নারী,
তোমাকেই ঘিরে আছি আমি–বাঙালি, বড়োই গরিব, আর একান্ত ভিখারি।
“যতোই গভীরে যাই মধু, যতোই ওপরে যাই নীল” কবিতা সমগ্র সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
♦ নষ্ট হৃৎপিণ্ডের মতো বাংলাদেশ
♦ পুত্রকন্যাদের প্রতি, মনে মনে
♦ যদি ওর মতো আমারও সব কিছু ভালো লাগতো