আদিল মাহমুদ
অভিজিত রায়। ছেলেটাকে মনে হয় জীবনে কোনদিন এই পোষাকী নামে ডাকিনি। এমনকি কোন বন্ধু বান্ধবকেও ডাকতে শুনেছি বলে মনে পড়ে না। দুই যুগেরও আগ থেকে পরিচিত ছেলেটা আমার কাছে গুল্লু হয়েই থেকে যাবে সারা জীবন, ছোটবেলার অন্য বন্ধুবান্ধবদের কাছেও মনে হয় গুলু নামেই থেকে যাবে। ব্যাক্তি অভিজিতকে নিয়ে স্মৃতিচারনা অবশ্য এই লেখার প্রাসংগিকতা নয়। ব্লগার হওয়া আসলে কোন ব্যাপার না। ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী যে কেউই ব্লগার হতে পারে। আমি কিভাবে ব্লগার হলাম সেটা বর্ননা করা তাই উৎসাহ ব্যাঞ্জক কিছু হবার কথা নয়, বিশেষ করে আমার মত নন-সেলিব্রিটি ব্লগারের উত্থান। আমার উত্থান পর্বে আছে সেই বাল্যবন্ধু গুল্লুর উৎসাহ দেবার প্রবল ভূমিকা।
২০০৮ সালের মাঝামাঝি দিক থেকে ব্লগ জগতে ঢুঁ মারা শুরু করি। সদালাপে সে বছর দুয়েকটা লেখা দেই, অবশ্য স্বতন্ত্র কোন লেখা নয়, বলা ভাল লেখার প্রত্যুত্তর। এর কিছুদিন পর থেকেই মুক্তমনার সন্ধান পাই এবং খুলে যায় এক ভিন্ন জগৎ। আলোকিত হওয়া বলতে আমি অন্তত ঘোষনা দিয়ে ’আমি নাস্তিক হয়ে গেলাম’ বা ‘অমূক ধর্ম গ্রহন করলাম এমন কিছু বুঝি না। আলোকিত হওয়া বলতে আমি বুঝি নিরপেক্ষভাবে তথ্য যুক্তিনির্ভর ভাবে গ্রহন বর্জনের স্বভাব অর্জন করা। এর সাথে আস্তিকতা নাস্তিকতার সম্পর্ক আমি দেখি না। মুক্তমনার নেশায় বুঁদ হয়ে বহু সময় ব্যায় হয়েছে, বিনিময়ে পেয়েছি যুক্তি তথ্যনির্ভর আলোচনা গড়ে তোলার মানসিকতা। অবাক হয়ে দেখতাম অভিজিত রায় (তখনো সেইই যে আমার বাল্যবন্ধু সেটা জানি না) কি নিদারুন ধৈর্য্যের সাথে সব পুরোপুরি ভিন্ন মেরুর লোকজনের সাথেও আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন। আরো বিস্ময়ের সাথে দেখতাম ভদ্রলোক জানেন না এমন কোন বিষয় সম্ভবত আসলেই নেই। সাথে আছে চমৎকার রসবোধ।
এভাবে মাস ছয়েক কেটে যাবার পর একদিন সাহসে ভর করে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম আমি যাকে মনে করছি উনিই তিনি কিনা। জবাবটা ৬ বছর আগেকার পুরনো ই-মেইল ঘেঁটে বার করলাম ।
Hya ami-i sheil amake “Tui korei bol.
Blog e lekha kono edit charai dite parbi. Ami ekhon out of town…tal details response dite parlaam na. but ami eshe tor shathe jogajog korbo. What e surprise…ebhabe je purono bondhu khuje pawa jay taai jantam na.
You are a very good writer. I am not exagerrating it! Please keep on writing.
Bhalo thakish.
Avijit
কোথায় যেন তখন বেড়াতে গিয়েছিল, বাংলিশে জবাব দিয়েছিল। এরপর বাড়ি ফিরে ফোনে যোগাযোগ করে। তার মত লোকে লেখালেখিতে উৎসাহ দেওয়াতে মনোবল বেড়ে যায় বহুগুন। নইলে আমার দ্বারা ফেসবুকিং এর বেশী কিছু হত বলে মনে হয় না। ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিতান্তই ছাপোষা মানুষ, কোনদিন স্কুল ম্যাগাজিন বা দেওয়াল পত্রিকাতেও কিছু লিখিনি। এমনিভাবে আরো অনেককেই উৎসাহ দিয়ে লেখক বানিয়ে ছেড়েছে অভিজিত। যার সাথে দীর্ঘ ২ যুগের চিন পরিচয়, তুই তোকারি সম্পর্ক তাকেই ব্লগে আপনি আপনি করতে হত, সে ছিল এক বাড়তি যন্ত্রনা।
লেখক বা ব্লগার হিসেবে বাংলা ব্লগে অভিজিত রায়ের ভূমিকা কতটা? বাল্যবন্ধু হলেও নিরপেক্ষভাবেই মূল্যায়নের চেষ্টা করবো।
অভিজিত রায় বাংলা ব্লগে তৈরী করে গেছে এক নুতন মাত্রার। হরেক রকম বিষয়ের ওপর উচ্চমান সম্পন্ন লেখা, এবং তদোপরি চমৎকার আলোচনা মুক্তমনাকে নিয়ে গেছিল এক ভিন্ন মাত্রায়। সম্ভবত বাংলা ব্লগ জগতে প্রথাগত ধর্মগুলির নানান দিন সমালোচনা করার ধারাও তৈরী করে গেছে অভিজিতই। এটা অবশ্যম্ভাবী হলেও শুধু এই কারনেই অভিজিত বহুজনের তীব্র মর্মবেদনার কারন হয়েছে। কাউকে কাউকে মনে হয়েছে অভিজিতের পেছু ধাওয়া করতে করতে রীতিমত মানসিক রোগীতে পরিনত হয়ে গেছে।
বাংলাদেশের মৌলিক সমস্যা কি? অশিক্ষা, দূর্নীতি……অযোগ্য/দূর্নীতিবাজ নেতারা……অধিক জনসংখ্যা…তার তূলনায় সম্পদের অভাব……ইত্যাদী ইত্যাদী। আমার ধারনা সব সমস্যা থেকে এক ষ্টেপ করে এগুলে থাকলে মূল সমস্যা হিসেবে বেরিয়ে আসবে আমাদের আবেগ-নির্ভর যুক্তিহীন মানসিকতা। দেশে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যুক্তি নির্ভর সমাজ গড়ে তোলা। যুক্তি নির্ভর সমাজ গড়ে তোলা গেলে সেই সমাজে উপরোক্ত সমস্যাগুলি দীর্ঘমেয়াদে কমে আসবে শূন্যের কোঠায়। সেটা করা সম্ভব না হলে শুধু কাগুজে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জাতীয় কিছু পরিসংখ্যান নিয়েই পরিতৃপ্ত থাকতে হবে । কাজেই যুক্তিবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখা উচিত সকলের নিজ স্বার্থেই।
যুক্তিবাদী দাবী করা যতটা সোজা কাজে ততটা সহজ নয়। বিশেষ করে ভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির মাঝে আজন্ম বসবাস করে আসলে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখানেই। অভিজিত মুক্তমনা শুরু করেছিল মূলত এই চ্যালেঞ্জকে মাথায় রেখে। সে স্বপ্ন দেখতো একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক যুক্তিবাদী সমাজের। যুক্তিবাদী সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য চিন্তার স্বাধীনতা, যার প্রকাশ ঘটে বাক স্বাধীনতায়। এটা চিন্তাই করা যাবে না, ওটা বলা যাবে না, দীর্ঘকালের কোন কালচার সে যতই অযৌক্তিক উদ্ভট মানবিক হোক তার সমালোচনা করা যাবে না কারন তাতে কিছু মানুষের অনিভূতি আহত হবে এই ধরনের মানসিকতা প্রশ্রয় দিলে যুক্তিবাদী সমাজ গঠন করা যাবে না।
অভিজিত রায়ের মূল্যায়ন কিভাবে করা যায়? জরীপ চালানো হলে এই প্রশ্নের দেখা যাবে দুটো সুপষ্ট মেরুকরন। একদিকে জবাব আসবে অভিজিত রায় মহা ধর্মবিদ্বেষী লোক ছিল, কারন বাংলা ব্লগে ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখির ধারা সেইই চালু করে গেছে, এই গ্রুপের কাছে তার আর অন্য কোন পরিচয় নেই, ভাবখানা এমন যে অভিজিত রায় কোনদিন ধর্ম, তাও আবার ধর্মবিদ্বেষ ছাড়া আর কিছুই লেখেনি। এটা যে কত বড় ডাহা মিথ্যা বা সম্পূর্ন বিদ্বেষ প্রসূত কথা তা ব্যাখ্যা করারও দরকার পড়ে না। বস্তুত ব্লগার, লেখক অনেকেই হতে পারে, কিন্তু অভিজিতের মত এমন বহু বিষয় নিয়ে উচ্চমানের লেখালেখি করার মত আর দ্বিতীয় কেউ আছে বলে আমার এ পর্যন্ত চোখে পড়েনি। বাক স্বাধীনতা শব্দটা আজকাল ভাল রকমের প্যাঁচানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগারদের হত্যাকান্ডের পর আগে যারা বাক স্বাধীনতার স্বপক্ষে ছিলেন তাদেরও অনেকে ভোল পালটে ফেলেছেন। রিয়েল লাইফ সেলিব্রিটি হতে সাধারন ফেসবুকার সকলেই মোটামুটি একমত হচ্ছেন যে বাক স্বাধীনতার সীমা থাকা দরকার, বাক স্বাধীনতা মানেই যা ইচ্ছে তা বলার অধিকার নয়। কথাটা অবশ্যই মিথ্যা নয়। বাক স্বাধীনতার কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা না থাকলেও এর যে অপপ্রয়োগ হতে পারে এবং হয় তা অবশ্যই মানা যায়। বাক স্বাধীনতা মানে নিশ্চয়ই কাউকে যাচ্ছেতাই গালিগালাজ করার অধিকার পাওয়া নয় কিংবা যাকে হেট স্পীচ বলা হয় তা প্রচারনার অধিকার দাবী করা নয়। বাক স্বাধীনতার পশ্চীমেও বাক স্বাধীনতার সীমারেখা শতভাগ সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব নয়, কিছুটা গ্ৰে এরিয়া থেকেই যায়। ভাষাগত, পরিবেশগত অনেক ব্যাপার বিতর্কে চলে আসে।
আমাদের সমাজে যারা বাক স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ সম্পর্কে ইদানীং সচেতন হয়েছেন তারা অবশ্য ঠিক এই দৃষ্টিকোন থেকে সচেতন হননি। তারা মূলত ধর্মানুভূতিতে (যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মানুভূতি, ভদ্রতা করে সংখ্যাগরিষ্ঠ শব্দটা উল্লেখ করেন ন, কেউ কেউ অবশ্য সরাসরিই সংখ্যাগরিষ্ঠ উল্লেখ করেন) আঘাত জনিত সমস্যার কারনে বাক স্বাধীনতার বিরোধীতা করেন। অকাট্য যুক্তি হিসেবে এই দলের প্রায় সকলেই এক সময়ে কিছু পশ্চীমা দেশের হলোকাষ্ট ডিনাইয়াল ল’র রেফারেন্স টানেন।
এদের বোঝানো কোনদিনই যায় না যে (আসলে বুঝেও না বোঝার ভান করলে কারো পক্ষেই বোঝানো সম্ভব নয়) পশ্চীমে ধর্ম নিয়ে কোন রকম মাথা না ঘামিয়েও দিব্ব্যি দিন কাটানো যায়, তাতে কারো কিছু তেমন যায় আসে না। কিন্তু আমাদের দেশে তার উপায় নেই, ধর্মকে এমনভাবে দৈনন্দিন জীবন যাত্রার সাথে জড়িয়ে রাখা হয়েছে যাতে ধর্ম সম্পর্কে উদাসীন থাকার কোন উপায় নেই। ধর্ম জগতে যারা বুঁদ হয়ে বসে থাকেন বা বসে থাকার ভান করেন তারা ধর্মকে এমন মাত্রায় নিয়ে যান যে এখানে পদে পদে ধর্ম এবং ধর্মীয় মহাপুরুষগন সমালোচনার মধ্যে পড়বেন।
একটি উদাহরন দেই। মাসখানেক আগে মাত্র সরকারী দলের অংগ সংগঠন দাবীদার ওলামা লীগ দাবী তুলেছে মেয়েদের বিবাহের কোন বয়সসীমা রাখা যাবে না, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধের কুফরি আইন বাতিল করতে হবে। কারন? ওনাদের দাবী অনুযায়ী ইসলামী শরিয়তে বিবাহের কোন বয়স নেই। নবী মোহাম্মদ বিবি আয়েশাকে ৬ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন। এখন ওনাদের দাবীর বিরোধীতা ওনাদের ধর্মানুভূতি কোনভাবে আহত না করে কিভাবে করা যেতে পারে কেউ ব্যাখ্যা করতে পারেন? ওনাদের ধর্মানুভূতি অক্ষুন্ন রাখার একমাত্র উপায় হল ওনাদের দাবী মেনে নেওয়া। নয় কি? আর ভিন্ন কোন পথ আছে কি? এই ধরনের প্রশ্ন করলে হলোকাষ্ট ডিনাইয়াল রেফারেন্স দেনেওয়ালারা সাধারনত উগ্র নাস্তিক, হাল আমলে খাঁসী গাল দিয়ে কেটে পড়েন। ওনাদের ধর্মীয় আইনে যা নেই, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং চির আদর্শ বলে ওনারা যাকে মানেন (শুধু ওনারাই নন, দলমত নির্বিশেষে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর সকলেই অন্তত মৌখিকভাবে মানে) তিনি যা করে দেখিয়ে গেছেন সে প্রথায় আপত্তিকর কিছু থাকতে পারে তা শ্রবন করলে ওনাদের ধর্মানুভূতি আহত হবে না? অবশ্যই হবে। এখন সেই অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারের উচিত হবে দাবী মেনে নেওয়া?
একটি উদাহরন শুধু দিলাম। এ কারনেই বলেছিলাম যে আমাদের দেশে ধর্ম এড়িয়ে মুক্তচিন্তা, বাক স্বাধীনতার চর্চা কোনদিন সম্ভব নয়। আপনি চান আর না চান ধর্মকে জীবন যাত্রার মুখোমুখি দাঁড় করানো হবেই নানান ভাবে, ধর্মবিদ্বেষী না হয়ে কারোই সে পরিস্থিতি এড়ানোর উপায় থাকে না। মৌলবাদীরা যে দয়া করে এই জাতীয় আরো নানান ধর্মীয় দাবী তোলে না সে কারনে তাদের কাছে মডারেট ধার্মিকগনের উচিত কৃতজ্ঞ থাকা। জীবনযাত্রার সাথে ধর্মকে না জড়ানোর প্রবনতা যতদিন না বন্ধ হবে ততদিনই ধর্মানুভূতি আহত হবে, নবী রসূলের অপমানও হতে থাকব; এবং সবচেয়ে দূঃখজনক সত্য এই ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেবার কাজ মুসলমানদের নিজেদেরই করতে হবে। আমার এ জাতীয় কথাবার্তা লোকে সাধারনত ঋষিসূলভ উদাসীনতার সাথে শ্রবন করে।
এটাও মানতে হয় যে উলটো দিকে ধর্মবিরোধী লেখার অধিকারের যৌক্তিকতাও খুব কম লোকেই সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন। বিরুদ্ধ মতের লোকরা এমন আর্গুমেন্ট দাঁড়া করান যাতে চুড়ান্তভাবে মনে হয় যে ধর্মবিরোধী লেখা তাদের বাক স্বাধীনতার অন্তর্ভুক্ত; তাই তারা লিখে যাবেনই। এই এপ্রোচ আসলে ভুল, এভাবে লোকের কাছে ভুল ম্যাসেজ যেতে পারে। বাক স্বাধীনতার দোহাই পেড়ে গোয়াতূমি বা জোর জবরদস্তির চাইতে কেন তথাকথিত ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখির অধিকার দরকার সেটা ব্যাখ্যা করা অনেক বেশী জরুরী এবং কার্যকরী।
ধর্মের মত একটি বিষয় নিয়ে পড়ে থাকা খুব সুখকর কিছু নয় আমি নিজেই এখন টের পাই। অভিজিত নিজেও ধর্ম সম্পর্কে লেখালেখি পরের দিকে একেবারেই কমিয়ে দিয়েছিল। ব্লগে অনেক সময়ই পরামর্শ দিত ধর্ম ছাড়া অন্য বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে। সে যে সময়ে ধর্ম সম্পর্কে উতসাহ হারিয়ে ফেলেছিল তখনো আমার উতসাহ ছিল তীব্র, তাই অবাক হতাম এমন যুক্তিবাদী একজন লোকে কিভাবে উতসাহ হারায়। আজ কয়েক বছর পর আমিও স্পষ্ট টের পাই কিভাবে উৎসাহ হারানোর ব্যাপারটা ঘটে।
আমার ধারনা ফেসবুক আবির্ভাবের পর বাংলা ব্লগ জগতে সরব বিপ্লব ঘটে গেছে, এবং সেই বিপ্লব ক্ষতিকর দিকে। অভিজিতের মানের লেখকও ফেসবুকে পরের দিকে প্রচুর সময় দিত, তার চাইতেও দূঃখজনক হল ফেসবুকের নেশায় পড়ে এমন সব লোকজনের সাথে তর্কে জড়াতো যাদের বেহুদা তর্ক করা ছাড়া অন্য কোন গুন নেই। কয়েকবার ভেবেছিলাম মানা করি ফেসবুকে বেশী সময় না দিতে, কখনো আর বলা হয়নি। এখান থেকে সম্ভবত আমাদের সবারই শিক্ষনীয় আছে।
বিদ্যা, জ্ঞানের একটি আলাদা শক্তি আছে। দেরীতে হলেও এর বিচ্ছুরন এক সময় না এক সময় ঘটেই। এক সময় অভিজিতও আর বিতর্কিত কোন লেখক হিসেবে পরিচিত হবে না এটা নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, হয়ত আমরা তখন থাকবো না। তাতে জগত সংসারের কিছু যাবে আসবে না। লেখার টপিকের সাথে লেখার তেমন কোন মিল নেই। ব্যাক্তিগত স্মৃতিচারনের চাইতে অভিজিতের দর্শন আলোচনাই ভাল মনে করলাম, শুধু বার বার অভিজিত এবং গুল্লুকে গুলিয়ে ফেলছিলাম। অভিজিত অনেক বড় লেখক, লেখক অভিজিতের মূল্যায়ন আসলে আমার আয়ত্বের বাইরে। গুল্লু আমার বন্ধু, যেখানেই থাকিস, ভাল থাকিস।
আদিল মাহমুদ
উত্তর আমেরিকা প্রবাসী।