চাকরি জীবনের প্রথম দিকে আমার প্রধান কাজ ছিল বিভিন্ন কলেজে পরীক্ষা নিয়ে বেড়ানো। রসায়নের পাস কোর্স, অনার্স, এম, এসসি, সব পরীক্ষাতেই আমি হলাম–বহিরাগত পরীক্ষক। ব্যবহারিক পরীক্ষা নেই, ভাইভা নেই। দূরের সব কলেজে যেতে হয়–পটুয়াখালি, চাখার, বরগুনা, ফরিদপুর …। পরীক্ষা নেয়া খুব যে আনন্দের কাজ তা না, তবে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা হয়। অদ্ভুত অদ্ভুত সব পরিবেশ ও পরিস্থিতি।

একবার মফস্বলের এক কলেজে গিয়েছি। আমাকে থাকতে দেয়া হল এক শিক্ষকের বাসায়। ভদ্রলোকের স্ত্রী বাপের বাড়ি গেছেন। খালি বাসা। আমাদের খাওয়া আসে হোটেল থেকে। মোটা মোটা চালের ভাত। আগুনের মত ঝাল তরকারি। খাওয়ার পর অনেকক্ষণ মুখ হা করে বসে থাকতে হয়।

রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর ঘুমুতে গেছি। শিক্ষক ভদ্রলোক মুখ কাচুমাচু করে বললেন–হুমায়ূন সাহেব, আরাম করে ঘুমান, আমি একটা কাজে যাচ্ছি। ফিরতে রাত হবে। তবে দরজা খুলতে হবে না। আমি বাইরে থেকে তালা দিয়ে যাব, যাতে রাতে আপনার ঘুম ভেঙে উঠতে না হয়। আমি বললাম, ফিরতে কত রাত হবে?

‘এই ধরুন, একটা-দুটা।‘

‘কি কাজ এত রাতে?’

‘ইয়ে মানে–একটু তা-টাস খেলি।‘

‘পয়সা দিয়ে খেলেন?”

‘আরে না। পয়সা পাব কোথায়? মাঝে মধ্যে খেলাটা ইন্টারেস্টিং করার জন্যে খুব অল্প স্টেকে খেলা হয়। নিতান্তই নির্দোষ আনন্দ।‘

ভদ্রলোক নির্দোষ আনন্দের সন্ধানে আমাকে তালা দিয়ে চলে গেলেন। বাড়ি থেকে বেরুবার একটি মাত্র দরজা, সেটি তালাবন্ধ। এই অবস্থায় সারাক্ষণ মনে হয় আগুন লেগে গেলে কি হবে? বেরুব কি করে?

দুশ্চিন্তায় অনেক রাত পর্যন্ত ঘুম হল না। তন্দ্রামত আসে, আবার ভেঙে যায়। আমি ঘড়ি দেখি। রাত দুটার সময় শুরু হল ভূতের উপদ্রব। কলঘরে পানি পড়বার শব্দ হচ্ছে। রান্নঘরে হাড়ি-কুড়ি নড়ছে। ঝপাং করে বাড়ির টিনের ছাদে কি যেন লাফিয়ে পড়ল। সারা বাড়ি কেঁপে উঠল। নিজেকে বুঝানোর চেষ্টা করলাম। ছাদে ঝাঁপ দিয়ে যা পড়েছে তা আর কিছুই না, বানর। কিছুক্ষণ পর স্পষ্ট শুনলাম বারান্দায় চটি পায়ে কে। যেন হাঁটছে। একবার এ-মাথায় যাচ্ছে, আরেকবার ও-মাথায়। ঘরের বাতি জ্বালিয়ে বিছানায় বসে রইলাম। প্রচন্ড বাথরুম পেয়েছে, বাথরুমে যাবার সাহস নেই। সেখানে কল থেকে পানি পড়ছে, পানি পড়া বন্ধ হচ্ছে। আবারো পানি পড়ছে। ঘড়িতে রাত বাজে তিনটা। এত ভয় জীবনে পাইনি।

শিক্ষক ভদ্রলোক রাত তিনটার দিকে নির্দোষ আনন্দ শেষ করে ফিরলেন। আমি

তাকে ঘটনাটা বললাম, তিনি নিতান্তই স্বাভাবিকভাবে বললেন, ও কিছু না, জ্বীন।

আমি বললাম, জ্বীন মানে?

‘এ বাড়িতে একটা জ্বীন থাকে। দুষ্ট প্রকৃতির। আমাদের কিছু বলে না তবে বাইরের কেউ একা থাকলে যন্ত্রণা করে। তবে কারো কোন অনিষ্ট করে না।‘

‘এসব কি বলছেন ভাই?’

‘বিশ্বাস করা না করা আপনার ব্যাপার। আমি নিজেও বিশ্বাস করি না। লোকে যা বলে আপনাকে বললাম। আমার স্ত্রী জ্বীনটাকে কয়েকবার দেখেছেন। ছোট সাইজ। গা ভর্তি পশম।

‘জ্বীনের গা ভর্তি পশম?’

‘জি। খুব নরম।‘

‘আপনি হাত দিয়ে দেখেছেন যে নরম?’

‘আমি হাত দেইনি। আমার স্ত্রী হাত দিয়েছেন। বিড়ালের পশমের মত পশম, তবে আরো সফট।‘

বাকি যে ক’রাত ছিলাম, আমিও ভদ্রলোকের সঙ্গে নির্দোষ আনন্দে যেতাম। উনি হাইড্রোজেন নামের একটা খেলা খেলতেন। আমি পাশে বসে ঝিমাতাম।

বরিশাল বি এম কলেজে পরীক্ষা নিতে গিয়েও বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার থাকার জায়গা হয়েছে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের অফিসে। একটা চৌকি পেতে থাকার ব্যবস্থা। রাতের বেলা ক্যাম্পাস ফাঁফা হয়ে যায়–কোথাও জনমানব নেই। আমি একা বাতি জ্বেলে জেগে বসে থাকি, ভয়ে ঘুম আসে না। গভীর রাতে জানালায় টুক করে। শব্দ হল। আমি ভয়ে শক্ত হয়ে গেছি–আস্তে আস্তে জানালা খুলছে। আমি চিৎকার করে বললাম, কে?

জানালা খোলা বন্ধ হল, তবে সামান্য যা ফাঁক হয়েছে সেই ফাঁক দিয়ে লিকলিকে কালো একটা হাত ঘরের ভেতর ঢুকতে লাগল। মনে হল ঘরে একটা সাপ ঢুকছে। সাপের মাথায় পাঁচটা আঙুল। আমার ধারণা হল–এক্ষুনি বোধহয় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাব। একধরনের ঘোরের মধ্যে বললাম, কে?

বাইরে থেকে উত্তর এল–স্যার আমি।

‘আমিটা কে?’

‘হুজুরের কাছে আমার একটা দরখাস্ত।‘

আস্তে আস্তে হাতের মুঠি খুলে গেল। টপ করে হাত থেকে একটা কাগজ পড়ল। হাত উধাও হয়ে গেল। সাহস সঞ্চয় করে কাগজ কুড়িয়ে নিলাম। সত্যি সত্যি দরখাস্ত! কেমিস্ট্রি বিভাগের জনৈক বেয়ারা দরখাস্ত করেছে আমার কাছে। বিভাগের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মত হল। পরের রাতেও একই ব্যাপার। চেয়ারম্যান সাহেবকে জানালাম। তিনি তাকে ডেকে এনে অনেক ধমকাধমকি করলেন। কঠিন গলায় বললেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাও ভাল কথা, কর। দিনের বেলা কর। রাতদুপুরে উনাকে ভয় দেখাচ্ছ কেন? ধমকে কাজ হল না। পরের রাতে সে আবার এল। সব মিলিয়ে পাঁচ রাত ছিলাম। প্রতি রাতেই এই কাণ্ড ঘটেছে।

পরীক্ষা নিতে গিয়ে ভয়ের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে মজার অভিজ্ঞতাও হয়েছে। পটুয়াখালি কলেজে পরীক্ষা নিতে গিয়ে এক গায়কের পাল্লায় পড়েছিলাম। সেই গায়কের গানের গলা ছাড়া আর সবই আছে। হাজার হাজার গান তিনি জানেন, সুর। জানেন শুধু গলাটা বেসুরো। তিনি গানের পর গান গেয়ে যেতেন। আমি একমনে প্রার্থনা করতাম–হে আল্লাহ পাক! এই গানের হাত থেকে আমাকে বাঁচাও। তোমার কাছে। আপাতত আর আমি কিছুই চাই না।

গায়ক ভদ্রলোককে অসংখ্যবার আমার বলার ইচ্ছা হয়েছে, ভাই, আমাকে ক্ষমা করুন। এই অত্যাচার সহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই। তখন বয়স ছিল অল্প, মন ছিল নরম। কঠিন সত্যি কথা বলা সম্ভব হয়নি। পটুয়াখালি থেকে পরীক্ষা শেষ করে চলে আসবার দিন দেখি তিনি গাদা ফুলের একটা মালা হাতে লঞ্চঘাটে উপস্থিত। আমি শুকনো গলায় বললাম, আপনার গান খুব মিস করব। চর্চা রাখবেন। গান-বাজনা চর্চার ব্যাপার।

‘স্যার আপনি কি আমার গান শুনে আনন্দ পেয়েছেন?’

‘জি পেয়েছি।‘

গায়ক ভদ্রলোক শুধু গাদা ফুলের মালা নিয়েই আসেননি। ছোট্ট একটা ফ্লাস্ক এনেছেন। ফ্লাস্ক ভর্তি চা।

‘আপনি চা পছন্দ করেন। বাসা থেকে চা বানিয়ে এনেছি। ফ্লাস্কটাও আপনার জন্যে কিনেছি। সামান্য উপহার। দরিদ্র মানুষ।‘

আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। এটা আশা করিনি। ভদ্রলোককে কেবিনে নিয়ে বসালাম। লঞ্চ ছাড়তে দেরি আছে। কিছুক্ষণ গল্প করা যাক। ভদ্রলোক গল্পের ধার। দিয়ে গেলেন না। গাঢ় গলায় বললেন, চলে যাচ্ছেন মনটা খারাপ হয়ে গেছে। লাস্ট একটা গান শুনিয়ে দেই আপনাকে। আপনাকে গান শুনিয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি। আপনার মত আনন্দ নিয়ে আর কেউ আমার গান শোনে না। কত ফাংশান হয়, অগা, মগা, বগা স্টেজে উঠে গান গায়। আমাকে কেউ ডাকে না। স্যার গাইব?

আমি বিরস গলায় বললাম, গান। ভদ্রলোক গান ধরল–বিদায়ের গান :

“আমার যাবার সময় হল দাও বিদায়।”

গাইতে গাইতে তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে লাগল। আশ্চর্যের ব্যাপার, তিনি গাইলেন খুব সুন্দর করে। চারপাশে লোক জমে গেল। আমার নিজের চোখেও পানি এসে গেল।

পরীক্ষা প্রসঙ্গে আরেকটি স্মৃতির কথা বলি। সঙ্গত কারণেই কলেজের নাম উল্লেখ করছি না।

কেমিস্ট্রির অনার্স ব্যবহারিক পরীক্ষা। পাঁচদিন ধরে চলছে। কঠিন পরীক্ষা। ছাত্র ছাত্রীদের নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। এর মধ্যে একজনকে দেখে খুব মায়া লাগল। অল্প বয়েসী একটি মেয়ে–খুব শিগগিরই মা হবে। শারীরিক অস্বাভাবিকতার কারণে সে লজ্জিত এবং সংকুচিত। অন্যদের মত সে পরিশ্রমও করতে পারছে না। কিছুক্ষণ পর পর টুলে বসে তাকে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। পরীক্ষার কাজগুলিও সে ঠিকমত পারছে বলে মনে হচ্ছে না। আমি কলেজের একজন ডেমনস্ট্রেটরকে বললাম, আপনি ঐ মেয়েটিকে সাহায্য করুন। ওকে বলুন চেয়ারে বসে কাজ করতে। তাকে নিচু একটা টেবিল এনে দিন। যন্ত্রপাতিগুলি টেবিলে রেখে সে কাজ করুক। কোন অসুবিধা নেই।

ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়ে যাবার পর হয় মৌখিক পরীক্ষা। সবাই মৌখিক পরীক্ষা দিল, শুধু মেয়েটি দিল না। ইন্টারন্যাল একজামিনার আমাকে জানালেন–আজই মেয়েটির একটি বাচ্চা হয়েছে বলে সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। ব্যাপারটা বেশ দুঃখজনক। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মে মৌখিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত হলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাস হবে না। ব্যবহারিক পরীক্ষা ফেল মানে অনার্স পরীক্ষায় ফেল।

ভাইভা শেষ হল। রেজাল্ট শীট তৈরি করতে করতে রাত দশটা বেজে গেল। সীল গালা আনা হল। রেজাল্ট শীট খামে ঢুকিয়ে সীল গালা করা হবে। তখন আমি বললাম, এক কাজ করলে কেমন হয়? চলুন, আমরা সবাই মিলে মেয়েটার বাসায় চলে যাই। ভাইভা নিয়ে আসি।

কেমিস্ট্রির চেয়ারম্যান সাহেব অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালেন। হ্যাঁ বা না কিছুই বললেন না। আমি বললাম, মেয়েটার বাসা কোথায় জানেন?

‘বাসা বের করা যাবে তবে শহরে থাকে না। অনেক দূরে থাকে। আপনি কি সত্যি : যেতে চান?’

‘হ্যাঁ চাই।‘

‘ইউনিভার্সিটির কোন সমস্যা যদি হয়!’

‘আমরা অন্যায় তো কিছু করছি না। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে–একজামিনেশন। বোর্ডের সব মেম্বার পরীক্ষার্থীর বাসায় উপস্থিত হচ্ছি।‘

‘এরকম কখনো কি করা হয়েছে?’

‘আমার জানামতে করা হয়নি। তবে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে একজন ছাত্রের ভাইভা নেয়া হয়েছে। চলুন যাই।‘

‘ইউনিভার্সিটি যদি কোন সমস্যা করে?’

‘সেই দায়িত্ব আমার। চলুন যাই।‘

মেয়েটির বাড়ি শহর থেকে নয়-দশ মাইল দূরে। রিকশা করে, ঝাঁকুনি খেতে খেতে যাচ্ছি। রাস্তা কারোর চেনা নেই। জিজ্ঞেস করে করে এগুতে হচ্ছে। রাত বারটার দিকে আমরা চারজন শিক্ষক তার বাসায় উপস্থিত হলাম। চারদিকে হৈচৈ পড়ে গেল। মেয়ের বাবা এবং মা দুজনেই আনন্দে কাঁদছেন। আশেপাশের সব মানুষ খবর পেয়ে উপস্থিত হয়েছে। এমন একটা ব্যাপার যে ঘটতে পারে তা কেউ কল্পনাই করেনি। মেয়ের স্বামী সাইকেল নিয়ে উধ্বশ্বাসে শহরে ছুটেছে। মিষ্টি আনতে হবে।

আমরা ভাইভা নিতে মেয়ের ঘরে ঢুকলাম। মেয়েটি উজ্জ্বল মুখে শুয়ে আছে। তার পাশে ছোট্ট একটি বাচ্চা। আমরা মেয়েটির ভাইভা নিতে এসেছি শোনার পর থেকে সে নাকি খুব কাঁদছিল, এখন চোখ মুছে নিজেকে সামলে নিয়েছে। ভাইভা শুরু হল। মেয়েটা বলল, স্যার, আমার বাচ্চাটাকে আগে একটু দেখুন।

আমি বললাম, তোমার বাচ্চা দেখতে তো আসিনি। ভাইভা নিতে এসেছি। আচ্ছা, ঠিক আছে, দেখি তোমার বাচ্চা!

মেয়েটি বাচ্চার মুখের উপর থেকে চাঁদর সরিয়ে দিল।

বাচ্চা ঘুমুচ্ছে। কি সুন্দর ছোট্ট একটা মুখ। মাথা ভর্তি রেশমী চুল। কি ছোট্ট, কি পাতলা ঠোঁট।

মেয়েটির ভাইভা খুব খারাপ হল। সে অধিকাংশ প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারল না। কিন্তু তাতে সে মোটেও নার্ভাস হল না। সহজ গলায় বলল, স্যার, এবারে অনার্স পরীক্ষা আমি পাস করতে পারব না। থিওরী খুব খারাপ হয়েছে। পড়াশোনা করতে পারিনি। কিন্তু আমার মনে কোন আফসোস নেই। আপনারা পরীক্ষা নিতে বাড়িতে এসেছেন এইটা আমার জন্য অনেক। আমার মত ভাগ্যবতী মেয়ে এই পৃথিবীতে নেই। বলতে বলতে মেয়েটি কাঁদতে লাগল।

ঘটনার বর্ণনা এইখানে শেষ করে দিলে পাঠকরা আমার সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা পাবেন। তাঁরা মনে করবেন–হুমায়ূন আহমেদ মানুষটা খুব হৃদয়বান। একজন। ছাত্রী যেন পরীক্ষায় পাস করতে পারে তার জন্যে রাতদুপুরে কত ঝামেলা করেছেন।

ব্যাপার মোটেই তা নয়। নানান সমস্যার কারণে অনেকেই পরীক্ষা দিতে পারে না, পরের বার পরীক্ষা দেয়। এটা তেমন কোন বড় ব্যাপার না। মেয়েটি পরীক্ষায় পাস। করতে পারবে না এ নিয়ে বিচলিত হয়ে আমি গভীর রাতে তার বাড়িতে উপস্থিত হইনি। এই কাণ্ডটি করেছি সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে। আমরা ভাইভা নিতে গভীর রাতে ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়েছি এই অদ্ভুত ঘটনায় ছাত্রী এবং তার আত্মীয়স্বজনের মনে কি অবস্থার সৃষ্টি হয় তাই আমি দেখতে চেয়েছিলাম। একদল অভিভূত মানুষ দৈখে আমি আনন্দ পেতে চেয়েছিলাম। আমি গিয়েছিলাম সম্পূর্ণ আমার নিজের আনন্দের। জন্যে। মেয়েটি সন্তানের জন্ম দিয়ে আমাকে গাঢ় আনন্দ পাবার একটি সুযোগ করে দিয়েছিল। তাকে এবং তার বাচ্চাটিকে ধন্যবাদ।

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x