শারদীয় পরিবর্তন ১৩৯১-তে (১৯৮৫ সাল) একটি প্রবন্ধে ব্ল্যাক-আর্টের সাহায্যে শূন্যে ভেসে থাকা সেই মহারাজের কাহিনীটি লিখেছিলাম। কলকাতারই জনৈকা ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু উষ্মার সঙ্গে পরিবর্তনে একটি চিঠি দেন।

ব্ল্যাক-আর্টের সাহায্যে শূন্যে ভেসে রয়েছে পিনাকী

চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন যে, ভারত-বিখ্যাত এক সাধিকাকে তিনি নিজের চোখে ব্ল্যাক-আর্টের সাহায্য ছাড়াই শূন্যে ভেসে থাকতে দেখেছেন। সাধিকা ধ্যানে যখন শূন্যে ভেসে ছিলেন, তখন তাঁর পেছনে ছিলো- নেহাতই সাদামাটা চুনকাম করা দেওয়াল। শ্রীমতি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন- এইক্ষেত্রে অলৌকিক তত্ত্বের বিরোধী প্রবীর ঘোষ কই উত্তর দেবেন?

উত্তর আমি দিয়েছিলাম। এবং নিয়মমাফিক পত্র- লেখিকার চিঠি সমেত আমার উত্তর পরিবর্তন পত্রিকার অফিসে জমা দিয়েছিলাম। পত্র-লেখিকার চিঠি এবং আমার উত্তর, কোনওটাই প্রকাশিত হয়নি, তাই শ্রীমতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঠিকানা ও তাঁর লেখা চিঠিটি পুরোপুরি তুলে দিতে পারলাম না।

প্রসঙ্গত জানাই, পরিবর্তনের ওই লেখাটি প্রকাশিত হওয়ার পর যথেষ্ট বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। অভিনন্দন জানিয়ে অনেক চিঠি যেমন পেয়েছি, তেমনি অনেক চিঠি পেয়েছি যাতে পত্র-লেখক বা পত্র-লেখিকারা বিভিন্ন বইতে বা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত অথবা নিজের চোখে দেখা নানা ধরনের অলৌকিক ঘটনার উল্লেখ করে আমাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। চ্যালেঞ্জ জানানো প্রতিটি অলৌকিক ঘটনারই ব্যাখ্যা করে লিখিত উত্তর ও চিঠিপত্রগুলো পরিবর্তনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু যে কোনও কারণে ওই চিঠিগুলো ও তার উত্তর প্রকাশিত হয়নি। যারা ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন এবং পাননি, তাঁরা  নিশ্চয়ই ধরে নিয়েছিলেন আমি ঘটনাগুলো ব্যাখ্যা করতে অক্ষম বলেই চিঠিগুলো প্রকাশিত হয়নি। ১৯৮৬-র জানুয়ারিতে এই গ্রন্থটির ১ম সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে শূন্যে ভেসে থাকার বিভিন্ন কৌশল হাজির করেছিলাম। প্রতিটি প্রশ্নের ব্যাখ্যা ছিল।

আমরা আবার ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় ফিরে যাই। তিনি দেখেছিলেন এক শূন্যে ভাসমান সাধিকার পেছনে ছিল সাদামাটা চুনকাম করা দেওয়াল।

যে পদ্ধতিতে ব্ল্যাক-আর্টের সাহায্য ছাড়া সাদা দেওয়াল পেছনে নিয়ে সাধিকা শূন্যে ভেসে ছিলেন, সেই একই পদ্ধতিতে অনেক জাদুকর সাদা স্ক্রিনের সামনেও অনেক কিছু ভাসিয়ে রাখেন।

পদ্ধতিটা আর কিছুই নয়, স্ক্রিনের পিছনে থেকে একটা ডান্ডা বেরিয়ে এসে শূন্যে ভাসাতে চাওয়া জিনিসটিকে স্টেজের প্ল্যাটফর্ম থেকে তুলে রাখে। ওই একই পদ্ধতিতে সাদা দেওয়াল থেকে বেরিয়ে আসা শক্ত ও সরু একটা লোহার পাতের মাথায় ছোট্ট একটা বসার মতো জায়গা তৈরি করে নিয়ে অনেক সাধক-সাধিকাই ধ্যানে শূন্যে ভাসার ‘অলৌকিক লীলা’ দেখান। ধ্যানে বসা শরীরের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় লোহার পাত। ফলে দর্শকরা মনে করেন সাধক-সাধিকা শূন্যে ভেসে রয়েছেন। ছোটদের জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দমেলার ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৪ সংখ্যায় ‘নিরালম্ববাবা ও আনন্দবাবু’ নামে এই ধরনের ব্ল্যাক-আর্ট ছাড়া শূন্যে ভেসে থাকার ঘটনাকে নির্ভর করে একটি গল্প লিখি।

সাদা দেওয়ালে ভেসে থাকার ব্যাপারটা ছবি এঁকে বোঝাবার চেষ্টা করছি।

ভূমিকা

কিছু কথা

নতুন ‘কিছু কথা’

১. অধ্যায়ঃ এক

১.১ প্রস্তাবনা

১.২ মানুষ ও দেবতা

১.৩ যুক্তিবাদী, মুক্তচিন্তার সেইসব মানুষ

১.৪ আমরা কোথায় আছি

২. অধ্যায়ঃ দুই

২.১ কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান

২.২ শাসক শ্রেণির স্বার্থে কুসংস্কার পুষ্ট হচ্ছে

৩. অধ্যায়ঃ তিন

৩.১ ব্রক্ষ্মচারী বাবা

৩.২ বিখ্যাত মহারাজের শূন্যে ভাসা

৩.৩ ব্ল্যাক আর্ট ছাড়া সাধিকার শূন্যে ভাসা

৩.৪ লাঠিতে হাতকে বিশ্রাম দিয়ে শূন্যে ভাসা

৩.৫ বেদে-বেদেনীদের শূন্যে ভাসা

৩.৬ মন্ত্রে যজ্ঞের আগুন জ্বলে

৩.৭ সাঁই বাবাঃ সাঁইবাবার অলৌকিক ঘড়ি-রহস্য

৩.৮ কেন এমন হয়

৩.৯ সাঁইবাবার ছবিতে জ্যোতি

৩.১০ সাঁইবাবার বিভূতি

৩.১১ শূন্য থেকে হার আনলেন ও হার মানলেন সাঁই

৩.১২ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর!

৩.১৩ ছবি থেকে ছাই

৩.১৪ শূন্য থেকে হিরের আংটি

৩.১৫ কৃষ্ণ অবতার কিট্টি

৩.১৬ যে সাধকরা একই সময়ে একাধিক স্থানে হাজির ছিলেন

৩.১৭ অতিন্দ্রীয় ক্ষমতার তান্ত্রিক ও সন্ন্যাসীরা

৩.১৮ কামদেবপুরের ফকিরবাবা

৩.১৯ আগরতলার ফুলবাবা

৩.২০ অবতারদের নিজদেহে রোগ গ্রহণ

৩.২১ বিশ্বাসে অসুখ সারে

৩.২২ ফুঁ বাবা

৩.২৩ ডাব বাবা

৩.২৫ ডাইনি সম্রাজ্ঞী ইপ্সিতা

৩.২৬ বকনা গরুর অলৌকিক দুধ ও মেহবেব আলি

৩.২৭ বাবা তারক ভোলার মন্দির ও শ্রীশ্রীবাসুদেব

৩.২৮ যোগে বৃষ্টি আনলেন শিববাল যোগী

৩.২৯ চন্দননগরে সাধুর মৃতকে প্রাণ-দান

৩.৩০ ভগবান শ্রীসদানন্দ দেবঠাকুর

৩.৩১ আগুনে হাঁটার অলৌকিক ঘটনা

৪. অধ্যায়ঃ চার

৪.১ সম্মোহন-আত্মসম্মোহন

৪.২ সম্মোহনের ইতিহাস, নানা মত

৪.৩ পাভলভ ফ্রয়েড

৪.৪ সম্মোহন নিয়ে কিছু কথা

৪.৫ ঘুম ও সম্মোহন

৫. অধ্যায় পাঁচ

৫.১ সমব্যথী চিহ্নের মহাপুরুষ

৬. অধ্যায়ঃ ছয়

৬.১ হিস্টিরিয়া, গণ-হিস্টিরিয়া, আত্ম-সম্মোহন, নির্দেশ

৬.২ ফোটো-সম্মোহন কি সম্ভব?

৭. অধ্যায়ঃ সাত

৭.১ সম্মোহন কিভাবে সম্ভব?

৭.২ সম্মোহনে আত্মা এলো ‘সানন্দা’য়

৭.৩ সম্মোহন নিয়ে নানা ভুল ধারণা

৭.৪ প্রাক-সম্মোহন প্রস্তুতি

৮. অধ্যায়ঃ আট

৮.১ Illusion (ভ্রান্ত অনুভূতি)

৮.২ Hallucination (অলীক বিশ্বাস)

৮.৩ Delusion মোহ, অন্ধ ভ্রান্ত ধারণা

৮.৪ Paranoia (প্যারানইয়া)

৯. অধ্যায়ঃ নয়

৯.১ আদ্যা’মা রহস্য

৯.২ ধর্মের নামে লোক ঠকাবার উপদেশ কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে

৯.৩ সোমনাথ মন্দিরের অলৌকিক রহস্য

৯.৪ প্রাচীন মিশরের ধর্মস্থান রহস্য

৯.৫ কলকাতায় জীবন্ত শীতলাদেবী ও মা দুর্গা

৯.৬ কলকাতায় জীবন্ত দুর্গা

৯.৭ খেজুরতলার মাটি সারায় যত রোগ

৯.৮ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

৯.৯ যে গাছ কাটা যায় না

৯.১০ গাইঘাটার অলৌকিক কালী

৯.১১ যে পাথর শূন্যে ভাসে

৯.১২ অলৌকিক প্রদীপে মৃত বাঁচে

৯.১৩ বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য

১০. অধ্যায়ঃ দশ

১০.১ পরামনোবিদ্যা

১১. অধ্যায়ঃ এগারো

১১.১ দূরচিন্তা

১১.২ ডুবোজাহাজে টেলিপ্যাথির পরীক্ষা

১১.৩ টেলিপ্যাথির সাহায্যে নোটের নম্বর বলা

১১.৪ টেলিফোনে টেলিপ্যাথিঃ আয়োজক লন্ডনের ‘সানডে মিরর’

১১.৫ পরীক্ষক হিসেবে কারা ছিল

১১.৬ পরীক্ষা কেমন হল

১১.৭ টেলিফোন টেলিপ্যাথির আর এক আকর্ষণীয় ঘটনা

১১.৮ এমিল উদ্যা ও রবেয়ার উদ্যা’র টেলিপ্যাথি

১১.৯ অতীন্দ্রিয় ইউরি গেলারকে নিয়ে ‘নেচার’ (Nature)-এর রিপোর্ট

১১.১০ আই আই টি-তে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

১১.১১ তবু প্রমাণ করা যায় তেলিপ্যাথি আছে

১২. অধ্যায়ঃ বার

১২.১ ভবিষ্যৎ দৃষ্টি

১২.২ নায়াগ্রা জলপ্রপাত ভেঙ্গে পড়ার ভবিষ্যদ্বাণী

১৩. অধ্যায়ঃ তের

১৩.১ অতীন্দ্রিয় অনুভূতি

১৩.২ সাধু-সন্ন্যাসীদের অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি

১৩.৩ ইউরি গেলারের অতীন্দ্রিয় দৃষ্টি

১৪. অধ্যায়ঃ চোদ্দ

১৪.১ মানসিক শক্তি

১৪.২ মানসিক শক্তিতে রেলগাড়ি থামানো

১৪.৩ খড়্গপুরের সেই পীর

১৪.৪ স্টীমার বন্ধ করেছিলেন পি.সি. সরকার

১৪.৫ সাধুজির স্টীমার খাওয়া

১৪.৬ লিফট ও কেবল-কার দাঁড় করিয়েছিলেন ইউরি গেলার

১৪.৭ মানসিক শক্তি দিয়ে গেলারের চামচ বাঁকানো

১৪.৮ ধাতু বাঁকার আসল রহস্য

১৪.৯ ‘নিউ সায়েন্টিস্ট’ –এর পরীক্ষায় ইউরি এলেন না

১৪.১০ এক ঝলকে ইউরি

১৫. অধ্যায়ঃ পনের

১৫.১ যোগ সমাধিতে নাড়ি-বন্ধ

১৫.২ জলের তলায় বারো ঘণ্টা

১৫.৩ শরীর থেকে বিদ্যুৎ

১৬. অধ্যায়ঃ ষোল

১৬.১ অধ্যায়ঃ ভাববাদ বনাম যুক্তিবাদ বা বস্তুবাদ

১৬.২ মুক্ত চিন্তার বিরোধী ‘মনু সংহিতা’

১৬.৩ আধ্যাত্মবাদ ও যুক্তিবাদের চোখের আত্মা

১৬.৪ আত্মা, পরলোক ও জন্মান্তর বিষয়ে স্বামী অভেদানন্দ

১৬.৫ স্বামী বিবেকানন্দের চোখে আত্মা

১৬.৬ আত্মা নিয়ে আরও কিছু বিশিষ্ট ভাববাদীর মত

১৬.৭ আত্মা প্রসঙ্গে চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন

১৭. অধ্যায়ঃ সতের

১৭.১ জাতিস্মররা হয় মানসিক রোগী, নয় প্রতারক

১৮. অধ্যায়ঃ আঠারো

১৮.১ জাতিস্মর তদন্ত-১: দোলনচাঁপা

১৮.২ জাতিস্মর তদন্ত ২: জ্ঞানতিলক

১৮.৩ জাতিস্মর তদন্ত ৩: ফ্রান্সিস পুনর্জন্ম

১৮.৪ জাতিস্মর তদন্ত ৪: সুনীল দত্ত সাক্সেনা

১৮.৫ জাতিস্মর তদন্ত ৫: প্রদীপ

১৮.৬ জাতিস্মর তদন্ত ৬: কলকাতায় জাতিস্মর

১৯. অধ্যায়ঃ ঊনিশ

১৯.১ প্ল্যানচেট বা প্রেত বৈঠক

১৯.১ মিডিয়াম বনাম জাদুকর

১৯.২ উনিশ শতকের দুই সেরা মিডিয়া ও দুই জাদুকর

১৯.৩ প্ল্যানচেটের ওপর আঘাত হেনেছিল যে বই

১৯.৪ স্বামী অভেদানন্দ ও প্রেত-বৈঠক

১৯.৫ বন্ধনমুক্তির খেলায় ভারতীয় জাদুকর

১৯.৬ রবীন্দ্রনাথের প্ল্যানচেট-চর্চা

১৯.৭ আমার দেখা প্ল্যানচেট

২০. অধ্যায়ঃ বিশ

২০.১ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ১ম খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒অভিযোগ বা মন্তব্য⇐

error: Content is protected !!
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x