শ্লোকঃ ৪

ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ ।

অহঙ্কার ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা ।। ৪ ।।

ভূমিঃ—মাটি; আপঃ — জল; অনলঃ — অগ্নি, বায়ুঃ—বায়ু: খম্—আকাশ; মনঃ— মন; বুদ্ধিঃ—বুদ্ধি; এব- অবশ্যই; চ–এবং অহঙ্কার — অহঙ্কার; ইতি—এভাবে, ইয়ম্—এই সমস্ত; যে—আমার, ভিয়া — ভিন্ন; প্রকৃতিঃ—প্রকৃতি, অষ্টধা— অষ্টবিধ ।

গীতার গান

ভূমি জল অগ্নি বায়ু বুদ্ধি যে আকাশ ।

আর অহঙ্কার মন বুদ্ধির প্রকাশ ৷।

এই সব অষ্ট প্রকারের হয় যে প্রকৃতি ।

ভিন্না সেই আমা হতে বাহির বিভূতি ।।

অনুবাদঃ ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার— এই আট প্রকারে আমার ভিন্না জড়া প্রকৃতি বিভক্ত ।

তাৎপর্যঃ ভগবৎ-বিজ্ঞান ভগবানের স্বরূপ এবং তাঁর বিভিন্ন শক্তির তত্ত্ব বিশ্লেষণ করে। ভৌতিক শক্তিকে প্রকৃতি বা ভগবানের বিভিন্ন পুরুষাবতারের শক্তি বলা হয়। সেই সম্বন্ধে সাতে-তন্ত্রে বলা হয়েছে—

বিক্ষোত্ত্ব ত্রীণি রূপানি পুরুষাখ্যানাথো বিদুঃ ।

একন্তু মহতঃ অঙ্ক দ্বিতীয়ং ত্বগুসংস্থিতম্ ।

তৃতীয়ং সর্বভুতস্থং তানি আত্বা বিমুচ্যতে ॥

“প্রাকৃত সৃষ্টির নিমিত্ত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের স্বাংশ তিনজন বিষ্ণুরূপে প্রকট হন। প্রথম মহাবিষ্ণু মহৎ-তত্ত্ব নামে সম্পূর্ণ ভৌতিক শক্তির সৃজন করেন। দ্বিতীয়, গর্ভোদকশায়ী বিষ্ণু সমস্ত ব্ৰহ্মাণ্ডে নানাবিধ সৃষ্টি করবার জন্য তাদের মধ্যে প্রবেশ। করেন। তৃতীয়, ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণু পরমাত্মারূপে সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে পরিব্যাপ্ত হন। এমন কি, তিনি পরমাণুগুলির মধ্যেও বিরাজ করেন। এই তিন বিষ্ণুতত্ত্ব সম্বন্ধে যিনি অবগত, তিনি জড় বন্ধন থেকে মুক্তি লাভের যোগ্য।”

এই জড় জগৎ ভগবানের অনন্ত শক্তির একটির সাময়িক প্রকাশ। জড় জগতের প্রতিটি কার্যকলাপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আংশিক প্রকাশ এই তিন বিষ্ণুর পরিচালনায় সাধিত হয়। তাঁদের বলা হয় ভগবানের পুরুষ অবতার। সাধারণত যারা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের তত্ত্ব সম্বন্ধে অবগত নয়, তারা মনে করে যে, এই জড় জগৎটি জীনের ভোগের জন্য এবং জীবই হচ্ছে পুরুষ— প্রকৃতির কারণ, নিয়ন্তা ও ভোক্তা। ভগবদ্‌গীতা অনুসারে এই নিরীশ্বরবাদী সিদ্ধান্তকে ভ্রান্ত বলে প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আলোচ্য শ্লোকটিতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন জড় সৃষ্টির আদি কারণ। শ্রীমদ্ভাগবতেও এই কথা প্রমাণিত হয়েছে। জড়া সৃষ্টির যে সমস্ত উপাদান তা হচ্ছে ভগবানেরই ভিন্না শক্তি। এমন কি নির্বিশেষবাদীদের পরম লক্ষ্য সমাজ্যোতিত হচ্ছে পরব্যোমে অভিব্যক্ত ভগবানেরই একটি চিন্ময় শক্তি। বৈকুণ্ঠলোকের মতো ব্রহ্মজ্যোতিতে চিন্ময় বৈচিত্র্য নেই এবং নির্বিশেষবাদীরা এই ব্রহ্মজ্যোতিকেই তাদের পরম লক্ষ্য বলে মনে করে। পরমাত্মার প্রকাশ ও ক্ষীরোদকশায়ী বিষ্ণুর অস্থায়ী সর্বব্যাপক রূপ। চিন্ময় জগতে পরমাত্মা রূপের অভিব্যক্তি নিত্য শাশ্বত নয়। সুতরাং, যথার্থ পরমতত্ত্ব হচ্ছেন পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনিই পূর্ণ শক্তিমান পুরুষ এবং তিনি বিভিন্ন অন্তরঙ্গা ও বহিরঙ্গা শক্তি সমন্বিত।

পূর্বের উল্লেখ অনুসারে জড়। প্রকৃতি প্রধান আটটিরূপে অভিব্যক্ত হয়। সেগুলির মধ্যে প্রথম পাঁচটি—মাটি, জল, অগ্নি, বায়ু ও আকাশকে বলা হয় পঞ্চমহাভূত বা স্থূল সৃষ্টি। তাদের মধ্যে নিহিত আছে পাঁচটি ইন্দ্রিয়-বিষয়- ভৌত জগতের শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস ও গন্ধ। জড় বিজ্ঞানে এই দশটি তত্ত্বই আছে, আর কিছুই নেই। কিন্তু অন্য তিনটি তত্ত্ব—মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার সম্পর্কে জড়বাদীরা কোন গুরুত্ব দেয় না। সব কিছুর পরম উৎস শ্রীকৃষ্ণকে না জানার ফলে মনোধর্মী দার্শনিকেরা কখনই পূর্ণজ্ঞানী হতে পারে না। ‘আমি’ ও ‘আমার’ —এই মিথ্যা অহঙ্কারই জড় অস্তিত্বের মূল কারণ এবং এর মধ্যে বিষয় ভোগের জন্য দশটি ইন্দ্রিয়ের সমাবেশ হয়। বুদ্ধি বলতে মহৎ-তত্ত্ব নামক সমগ্র প্রাকৃত সৃষ্টিকে বোঝায়। এভাবেই ভগবানের ভিন্না আটটি শক্তি থেকে জড় জগতের চব্বিশটি তত্ত্বের প্রকাশ হয়, যা নিরীশ্বর সাংখ্য-দর্শনের বিষয়বস্তু। এই ভিন্ন তত্ত্ব প্রকৃতপক্ষে শ্রীকৃষ্ণেরই শক্তি থেকে উৎপন্ন হয়। কিন্তু অল্পজ্ঞ নিরীশ্বরবাদী সাংখ্য দার্শনিকেরা শ্রীকৃষ্ণকে সর্ব কারণের পরম কারণ বলে জানতে পারে না। শ্রীকৃষ্ণের বহিরঙ্গা শক্তিই সাংখ্য-দর্শনের বিষয়বস্তু যা ভগবদ্‌গীতাতেই বর্ণনা করা হয়েছে।

শ্লোকঃ ৫

অপরেয়মিতস্তন্যাং প্রকৃতিং বিদ্ধি মে পরাম্ ।

জীবভূতাং মহাবাহো যয়েদং ধার্যতে জগৎ ।। ৫ ।।

অপরা—নিকৃষ্টা; ইয়ম্—এই; ইতঃ – ইহা ব্যতীত; তু—কিন্তু; অন্যাম্—আর একটি; প্রকৃতি—প্রকৃতি; বিদ্ধি — অবগত হয়; মে— আমার; পরাম্—উৎকৃষ্টা; জীবভূতান—জীবস্বরূপা, মহাবাহো – হে মহাবীর, যয়া—যার দ্বারা: ইদম্—এই ধার্যতে— ধারণ করে আছে, জগৎ— জড় জগৎ।

গীতার গান

অনুৎকৃষ্টা তারা সহ উৎকৃষ্টা তা হতে ৷

প্রকৃতি আর এক যে আছয়ে আমাতে ৷।

জীবভূতা সে প্রকৃতি শুন মহাবাহো ৷

জীব দ্বারা ধার্য জড়া জান অহরহ ॥

অনুবাদঃ হে মহাবাহো ! এই নিকৃষ্টা প্রকৃতি ব্যতীত আমার আর একটি উৎকৃষ্টা প্রকৃতি রয়েছে। সেই প্রকৃতি চৈতন্য-স্বরূপা ও জীবভূতা সেই শক্তি থেকে সমস্ত জীব নিঃসৃত হয়ে এই জড় জগৎকে ধারণ করে আছে।

তাৎপর্যঃ এখানে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করা হয়েছে যে, জীব ভগবানের পরা প্রকৃতি বা উৎকৃষ্টা শক্তির অন্তর্গত। ভগবানের অনুৎকৃষ্টা শক্তিই হচ্ছে জড় জগৎ, যা ভূমি, জল, অগ্নি, বায়ু ও আকাশ এবং মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার নামক উপাদানগুলির দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে। জড় জগতে স্থূল পদার্থ— ভূমি, জল, বায়ু, অগ্নি ও আকাশ এবং সূক্ষ্ম পদার্থ—মন, বুদ্ধি ও অহঙ্কার এই সবগুলিই ভগবানের অনুৎকৃষ্টা শক্তি থেকে উৎপন্ন হয়ে থাকে। এই অনুৎকৃষ্টা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে তার অভীষ্ট সিদ্ধির চেষ্টা করছে যে জীব, সে হচ্ছে ভগবানের উৎকৃষ্টা শক্তি এবং এই শক্তির প্রভাবেই সমস্ত জড় জগৎ সক্রিয় হয়ে আছে। ভগবানের উৎকৃষ্টা শক্তি জীবের দ্বারা সক্রিয় না হলে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে কোন কর্মই সাধিত হয় না। শক্তি সব সময়ই শক্তিমানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তাই, জীব সর্বদাই ভগবানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে— তাদের স্বাধীন অস্তিত্ব নেই। কিছু নির্বোধ লোক মনে করে যে, জীব ভগবানের মতোই শক্তিশালী। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি যে, জীব কখনই ভগবানের সমকক্ষ হতে পারে না। জীব ও ভগবানের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করে শ্রীমদ্ভাগবতে (১০/৮৭/৩০) বলা হয়েছে—

অপরিমিতা ধ্রু বাগুনভৃতো যদি সর্বাতা-

ঊর্হি ন শাস্যভেতি নিয়মে ধ্রুব নেতরথা ।

অজনি চ যন্ময়ং তদবিচা নিয়ন্ত্র ভবেৎ

সমমনুজানতাং যদমতং মতদুষ্টতয়া ।।

“হে শাশ্বত পরমেশ্বর। দেহধারী জীব যদি তোমার মতোই শাশ্বত ও সর্বব্যাপক হত, তা হলে তারা কখনই তোমার নিয়ন্ত্রণাধীন হত না। কিন্তু তারা যদি তোমার অনন্ত শক্তির অণুসদৃশ অংশ হয়, তা হলে তারা সর্বতোভাবে তোমার পরম নিয়ন্ত্রণের অধীন। তাই, তোমার শরণাগত হওয়াই হচ্ছে জীবের প্রকৃত মুক্তি এবং এই শরণাগতি জীবকে প্রকৃত আনন্দ দান করে। সেই স্বরূপে অবস্থান করলে তবেই তারা নিয়তা হতে পারে। সুতরাং, যে সমস্ত মূর্খ মানুষ অদ্বৈতবাদের প্রচার করে বলে যে, ভগবান ও জীব সর্বতোভাবে সমান, তারা প্রকৃতপক্ষে ভ্রান্ত ও কলুষিত চিন্তাধারা নিয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছে এবং অন্যদেরও বিপথে পরিচালিত করছে।”

ভগবান শ্রীকৃষ্ণই হচ্ছেন প্রকৃত নিয়ন্তা এবং সমস্ত জীবেরা তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন। এই সব জীবেরা ভগবানের উৎকৃষ্ট। শক্তি, কারণ গুণগতভাবে তার অস্তিত্ব ভগবানের সঙ্গে এক, কিন্তু ক্ষমতার বিচারে তারা কখনই ভগবানের সমকক্ষ নয়। ভগবানের উৎকৃষ্টা শক্তি জীব যখন সূক্ষ্ম ও স্থূল অনুৎকৃষ্টটা শক্তিকে ভোগ করে, তখন সে তার প্রকৃত চিন্ময় মন ও বুদ্ধিকে ভুলে যায়। জড়া প্রকৃতির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ার ফলে জীবের এই বিস্মরণ ঘটে। কিন্তু জীব যখন মায়ার মোহময় জড়া শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়, তখন সে মুক্তি লাভের পর্যায়ে উপনীত হয়। জড়া শক্তির দ্বারা আচ্ছাদিত হয়ে অহঙ্কারের প্রভাবে জীব মনে করে যে, সে তার দেহ এবং এই দেহকে কেন্দ্র করে যা কিছু, তা সবই তার। যখনই সে তার অজ্ঞতা-জনিত জড়া শক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়, তখনই সে তার স্বরূপ সম্বন্ধে সচেতন হয়। আবার ভগবানের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার যে দুরভিসন্ধি, সেটিও একটি মস্ত বড় বন্ধন। প্রকৃতপক্ষে, এটিই হচ্ছে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বন্ধন। তাই, জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হতে হলে ভগবানের সঙ্গে এক হয়ে যাওয়ার দুরভিসন্ধি ত্যাগ করতে হয়। এখানে গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, জীব হচ্ছে তাঁর অনন্ত শক্তির একটি শক্তিমাত্র; এই শক্তি যখন জড় জগতের কলুষ থেকে মুক্ত হয়ে পূর্ণভাবে কৃষ্ণচেতনা লাভ করে, তখন সে তার স্বরূপ উপলব্ধি করে মুক্তি লাভ করতে পারে।

শ্লোকঃ ৬

এতোদযোনীনি ভূতানি সর্বাণীত্যুপধারয়

অহং কৃৎস্নস্য জগতঃ প্রভবঃ প্রলয়স্তথা ॥ ৬॥

এতৎ—এই দুটি প্রকৃতি থেকে; যোনীনি — উৎপন্ন হয়েছে, ভূতানি — জড় ও চেতন সব কিছু সর্বাণি — সমস্ত; ইতি—এভাবে; উপধারায় — জ্ঞাত হত; অহম্—আমি: কৃৎস্নসা — সমগ্র: জগতঃ — জগতের প্রভবঃ — উৎপত্তির কারণ, প্রনয়ঃ — প্রলয়, তথা—এবং।

গীতার গান

এই দুই প্রকৃতি সে নাম পরাপরা ।

সর্বভূত যোনি তারা জান পরস্পরা ॥

যেহেতু প্রকৃতি দুই আমা হতে হয় ৷

জগতের উৎপত্তি লয় আমি সে নিশ্চয় ॥

অনুবাদঃ আমার এই উভয় প্রকৃতি থেকে জড় ও চেতন সব কিছু উৎপন্ন হয়েছে। অতএব নিশ্চিতভাবে জেনে রেখো যে, আনিই সমস্ত জগতের উৎপত্তি ও প্রলয়ের মূল কারণ।

তাৎপর্যঃ বিশ্বচরাচরে যা কিছু বর্তমান তা সবই জড় ও চেতন থেকে উৎপন্ন। চেতন হচ্ছে সৃষ্টির আধার এবং জড় বস্তু এই চেতনতর দ্বারা রচিত। এমন নয় যে, জড়ের বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় কোন এক পর্যায়ে চেতনার সৃষ্টি হয়েছে। পক্ষান্তরে, এই চিন্ময় শক্তি থেকেই জড় জগতের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের এই জড় দেহটিতে চিৎ- শক্তি বা আত্মা আছে বলেই এই দেহটির বৃদ্ধি হয়, বিকাশ হয়; একটি শিশু ধীরে ধীরে বাণকে পরিণত হয়, তারপরে সে যুবকে পরিণত হয়, কারণ ভগবানের উৎকৃষ্টা শক্তি আত্মা সেই দেহতে রয়েছে। ঠিক তেমনই, এই বিরাট বিশ্ব- ব্রহ্মাণ্ডেরও বিকাশ হয় পরমাত্মা বিষ্ণুর অবস্থিতির ফলে। তাই চেতন ও জড়, যাদের সমন্বয়ের ফলে এই বিরাট বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের প্রকাশ হয়, তারা হচ্ছে মূলত ভগবানেরই দুটি শক্তি। সুতরাং, ভগবানই হচ্ছেন সমস্ত সৃষ্টির মূল কারণ। ভগবানের অণুসদৃশ অংশ জীব একটি গগনচুম্বী অট্টালিকা, একটি বৃহৎ কারখানা অথবা একটি বড় শহর গড়ে তুলতে পারে, কিন্তু সে কখনও একটি বিশাল ব্রহ্মাণ্ড গড়তে পারে না। এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের পরম কারণ হচ্ছেন বৃহৎ আত্মা বা পরমাত্মা। আর পরম পুরুষ শ্রীকৃষ্ণ বৃহৎ ও ক্ষুদ্র উভয় আত্মার কারণ। তাই, তিনি হচ্ছেন সর্ব কারণের মূল কারণ। সেই কথা প্রতিপন্ন করে কন্ঠ উপনিষদে (২/২/১৩) বলা হয়েছে— নিতে নিতানাং চেতনশ্চেতনানাম্।

error: Content is protected !!