মীখার মূর্তিসমূহ
১. পাহাড়ের দেশ ইফ্ৰয়িমে মীখা নামে একজন লোক ছিল।
২. মীখা তার মাকে বলল, “মা তোমার কি মনে পড়ে কেউ একজন তোমার ২৮ পাউণ্ড রূপো চুরি করেছিল? আমি শুনলাম তুমি এই নিয়ে অভিশাপ দিয়েছিলে। দেখ, আমার কাছেই সেই রূপো আছে। আমিই ত৷ চুরি করেছিলাম।” তার মা বলল, “বৎস, প্রভু তোমার মঙ্গল করুন।”
৩. মায়ের কাছে মীখা ২৮ পাউণ্ড রূপো ফেরত দিয়ে দিল। মা বলল, “প্রভুর কাছে আমার এই রূপো হবে বিশেষ একটা উপহার। আমার পুত্রকে এটা দেব। সে একটা মূৰ্ত্তি গড়ে সেটা রূপো দিয়ে মুড়ে দেবে। তাই বলছি বাছা, এখন এই রূপো তোমার হাতেই ফিরিয়ে দিচ্ছি।”
৪. কিন্তু মীখা সেট৷ মায়ের কাছে দিয়ে দিল। মা তখন তা থেকে প্রায় ৫ পাউণ্ড রূপো নিয়ে একজন স্বর্ণকারকে দিল। স্বর্ণকার সেই রূপো দিয়ে একটা মূৰ্ত্তি গড়ল। মূর্ত্তিটা রাখা হল মীখার বাড়িতে।
৫. মীখার একটা মন্দির ছিল। সেখানে বিভিন্ন মূর্ত্তির পূজা হোত। মীখা একটা এফোদ তৈরী করেছিল। সে আরও কয়েকটা পারিবারিক মূর্ত্তি তৈরী করেছিল। তারপর মীখা তার একজন পুত্রকে তার যাজক হিসেবে নির্বাচন করল।
৬. (সেইসময় ইস্রায়েলীয়দের কোন রাজা ছিল না। তাই প্রত্যেকেই খেয়াল খুশি মতো যা ভাল মনে করত তাই করত।)
৭. যিহুদার বৈৎলেহম শহরে একজন লেবীয় ছিল। সে যিহুদার পরিবারগোষ্ঠীতে থাকত।
৮. সে বৈৎলেহম ছেড়ে অন্য একটি জায়গায় থাকবে বলে চলে গেল। যেতে যেতে সে এসে পড়ল মীখার বাড়িতে। ওর বাড়ি পাহাড়ি দেশ ইফ্রয়িমে।
৯. মীখা তাকে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কোথা থেকে আসছ?” যুবকটি বলল, “আমি একজন লেবীয়, বৈৎলেহম যিহূদা থেকে আসছি। বসবাসের জন্য জায়গা খুঁজছি।”
১০. মীখা বলল, “তুমি আমার কাছেই থাকো। তুমি আমার পিতা হয়ে, যাজক হয়ে এখানে থাকো। প্রতি বছর আমি তোমাকে ৪ পাউণ্ড রূপো দেবো। তাছাড়া খাওয়া-পরা তো দেবই।” লেবীয় যুবকটি মীখার কথামত কাজ করল।
১১. সে মীখার সঙ্গে থাকতে রাজি হল। মীখার নিজের পুত্রদের মতই সে থেকে গেল।
১২. সে হল মীখার যাজক। সে মীখার বাড়ীতেই থেকে গেল।
১৩. মীখা বলল, “আজ বুঝলাম প্রভু আমার ওপর প্রসন্ন হয়েছেন ; কারণ আমরা যাজক হিসেবে এমন একজনকে পেয়েছি যে লেবি পরিবারগোষ্ঠী থেকে এসেছে।”