আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের এক অখ্যাত লেখক চার্লস বার্লিৎজ ১৯৭৫ সালে একটা বই লিখে প্রায় রাতারাতি পৃথিবী বিখ্যাত হয়ে উঠলেন। বইটির নাম, ‘বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল’। ‘সত্য-ঘটনা’ বলে বর্ণিত এমন রহস্যময়, রোমাঞ্চকর, চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী বই সম্ভবত এর আগে পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনও লেখক লেখেননি। বইটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মুড়ি-মিছিড়ির মতো লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়েছে। অতি দ্রুত পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। অনূদিত গয়েছে বাংলা ভাষাতেও।
‘বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল’ বইটিতে বলা হয়েছে এই বিশেষ অঞ্চলে নাকি রহস্যজনকভাবে বহু জাহাজ ও বিমান যাত্রীসহ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার আগে অভিশপ্ত ওইসব জাহাজ ও বিমান থেকে যে সব বার্তা পাঠানো হয়েছিল তাতে নাকি জানা গেছে তাদের কম্পাসের কাঁটা আশ্চর্যজনকভাবে বনবন করে ঘুরতে আরম্ভ করেছিল এবং একটা অ-প্রাকৃতিক পরিবেশ লক্ষ্য করা গিয়েছিল। এমনি আরও অনেক কথাই বইটিতে লেখা ছিল। বইটির মোদ্দা বক্তব্য -বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল এমন এক অলৌকিক রহস্যময়তার ফাঁদ পেতে বসে রয়েছে, যার রহস্য উদ্ধার করা কোনও মানুষের বা বিজ্ঞানের কর্ম নয়। অর্থাৎ ‘যুক্তিতে যার ব্যাখ্যা মেলে না।‘
বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল বইটি গোটা পৃথিবী জুড়ে এত বেশি আলোড়ন তুলেছিল যে, একাধিক রাষ্ট্র বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের রহস্য অনুসন্ধানে এগিয়ে আসে, এগিয়ে আসেন বহু বিজ্ঞানী। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়। এই বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল রহস্য অনুসন্ধান কর্মসূচীর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘পলিমোড’ প্রোগ্রাম।
পলিমোড প্রোগ্রাম থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে জানা গেছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী ও বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল অঞ্চল দিয়ে জাহাজ চলাচল করে বছরে প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার। প্রতি বছর ওই সব জাহাজ থেকে গড়ে দশ হাজার সাহায্য-বার্তা পাঠানো হয়। সেই অনুপাতে ওই অঞ্চলে নিখোঁজ জাহাজের সংখ্যা বিস্ময়করভাবে কম। অনুসন্ধানকারীভাবে কম। অনুসন্ধানকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে পৃথিবীতে প্রতি বছর দু-তিনটি বড় জাহাজ নিখোঁজ হয়। কয়েক বছরের হিসেব নিয়ে অনুসন্ধানকারীরা এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, যে-সব অঞ্চলে জাহাজ চলাচল অত্যন্ত বেশি সেইসব অঞ্চলের তুলনায় বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলে জাহাজ ডুবির সংখ্যা মোটেই বেশি নয়। যে-সব বিমান সংস্থার বিমান এই অঞ্চল দিয়ে যাতায়াত করে সে-সব বিমান সংস্থার গত বারো বছরের রেকর্ড পরীক্ষা করে অনুসন্ধানকারীরা দেখেছেন, এই বারো বছরের মধ্যে তাদের কারোরই কোনও বিমানই বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলে নিখোঁজ হয়নি।
‘বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল’ বইটির একটি অতি উত্তেজক রহস্য-কাহিনি হল ১৯৬৩ সালে দুটি ‘কে.সি. জেট স্ট্র্যাটোট্যাংকার’ বিমানের অদৃশ্য কাহিনি। লেখক বার্লিৎজ লিখেছেন, বিমান হঠাৎই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয় এবং অনুসন্ধানের পর বিমান দুটির ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় একশো মাইল ব্যবধানে। কি করে এরা ধ্বংস হল? সংঘর্ষে? সংঘর্ষেই যদি হবে, তবে দুটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ একই জায়গায় পাওয়া গেল না কেন? কি সেই রহস্যময় কারণ, যার দরুন দুটি বিমান সংঘর্ষ ছাড়া ধ্বংস হল?
এতো গেল বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল বইয়ের কথা। আসুন, এবার আমরা দেখি, অনুসন্ধানকারীদের অনুসন্ধানে কি সত্য উঠে এলো।
অনুসন্ধানকারীরা যে তথ্য পেয়েছিলেন তা হল (১) দুটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ একই জায়গায় পাওয়া গিয়েছিল। (২) সে-দিনের আবহাওয়া ছিল দুর্যোগপূর্ণ। (৩) দুটো বিমান খুব কাছাকাছি, পাশাপাশি উড়ছিল।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পাশাপাশি উড়তে গিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল বলে সরকারি রিপোর্টও উল্লেখ আছে। অনুসন্ধানকারীরা সেই রিপোর্ট দেখেছেন। সব কিছু বিচার করার পর এ-টুকু অবশ্যই বলা যায় যে, ঘটনাটির মধ্যে কোনও অলৌকিকতার ছোঁয়া ছিল না। বার্লিৎজ তাঁর লেখায় রহস্যময়তা আনার জন্যেই মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছিলেন। স্বেচ্ছাকৃতভাবেই তিনি কিছু তথ্য পরিবেশনে বিরত ছিলেন এবং কিছু মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছিলেন।
‘বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল’ বইয়ের আর একটি ঘটনায় বলা হয়েছে, ১৯৭৬ –এর ডিসেম্বরে শান্ত-শীতল দিনে মিয়ামির উপকূল থেকে মাত্র এক মাইল দূরে ‘কেবিন ক্রুজার উইচক্র্যাফট’ জাহাজ দুটি রহস্যজনক ভাবে হঠাৎ করেই বেপাত্তা হয়ে গেল। শান্ত সমুদ্রে উপকূলের এতো কাছে আচমকা নিখোঁজ হওয়ার পেছনে কোন যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছিল না। তবে কেন নিখোঁজ হল? কি সেই রহস্য?
পলিমোড প্রোগ্রামের অনুসন্ধানকারীরা আমেরিকান নৌবাহিনীর সীমান্তরক্ষীদের রেকর্ড থেকে জানতে পারেন, সে-দিন সামুদ্রিক ঝড়ে সমুদ্র ছিল উত্তাল। ‘কেবিন ক্রুজার’ থেকে এক সময় রেডিও বার্তায় বার-বার ঘোষণা করা হয়ে থাকে ঝড়ে তাদের প্রপেলারটি ক্ষতিগ্রস্থ। জাহাজটি অশান্ত বিক্ষুদ্ধ সমুদ্রে অসহায়ভাবে ভেসে বেড়াচ্ছে। ডুবে যাওয়ার আগে পর্যন্ত জাহাজ থেকে সাহায্যের আবেদন পাঠানো হয়।
সামুদ্রিক ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ জাহাজের ডুবে যাওয়ার মধ্যে অলৌকিক বা রহস্যময় কিছু নেই। বার্লিৎজ তাঁর কাহিনীকে চটকদার করার জন্য বিক্ষুব্ধ সমুদ্রকে শান্ত করেছিলেন। আর, তাইতেই যত রহস্যময়তার সৃষ্টি।
বইটিতে আরও একটি ঘটনায় বলা হয় –জাপানি ট্যাংকার ‘রাইফুকু মারু’ বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল থেকে এস. ও. এস. পাঠিয়ে শান্ত সমুদ্রে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়।
অনুসন্ধানকারীদের অনুসন্ধানে জানা যায় জাপানি ট্যাংকারটি শেষ রেডিও বার্তা পাঠিয়েছিল তা গ্রাহক স্টেশনের রেডিও লগ বইতে লেখা আছে। বার্তাটি ছিল, ‘এখন খুব বিপদ, শীগগির এসো।‘ এস. ও. এস. পাবার পর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ দ্রুত রওয়ানা হয় এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পায় ঝড়ে উত্তাল সমুদ্রে ট্যাংকারটি ডুবে গেছে। উত্তাল সমুদ্রে জাহাজডুবি কোন অলৌকিক ঘটনা নয়।
বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ মাথার চুল খাড়া করা কাহিনী হল – ১৯৪৫ –এর ডিসেম্বরে ছ’টি বিমানের অকস্মাৎ নিরুদ্দেশ। ঘটনাটিকে নিয়ে নাকি সেই সময় পৃথিবী জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
বইটির কাহিনীতে বলা হয়েছে -১৯৮৫-এর আমেরিকার ফোর্ট-লউয়ার এল ন্যাভাল বিমান বন্দর থেকে মার্কিন নৌবাহিনীর পাঁচটি অ্যাডভেঞ্চার বোমারু বিমান চৌদ্দজন আরোহী নিয়ে পরিষ্কার দিনের আলোয় আকাশে ওড়ে। রুটিন মাফিক প্রশিক্ষনে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। দিনের বেলা, আকাশ ছিল সম্পূর্ণ পরিষ্কার। রুটিন ওড়ার শেষে অবতরণের আর মাত্র পনেরো মিনিট বাঁকি। বিমান বন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার চৌদ্দজন বৈমানিকের দলনেতা লেফটেন্যান্ট চার্লস টেলরের কাছ থেকে বিপদ বার্তা পেলেন। টেলরের গলার স্বরে প্রচন্ড আতঙ্ক। তিনি জানালেন, “আমরা বোধহয় পথ থেকে সরে এসেছি। আমরা মাটি দেখতে পাচ্ছি না। জানি না কোনটা কোনদিক। সবকিছু উল্টো পাল্টা লাগছে… এমনকি সমুদ্রটাকেও যেমন দেখাবার কথা সে-রকম লাগছে না… মনে হচ্ছে আমরা যে…” টেলর তার বার্তা পাঠানো সম্পূর্ণ করতে পারেননি। রহস্যজনকভাবে বার্তা প্রেরণ বন্ধ হয়ে গেল। ওই বিমানগুলোর খোঁজে বিমানচালক সমেত তেরোজনের উদ্ধারকারী দল নিয়ে একটি বিমান যাত্রা করে। কিন্তু আগের পাঁচটি নিখোঁজ বিমানের মত এই উদ্ধারকারী বিমানটিও আমেরিকান সেনাবিহিনীকে হতবাক করে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ছ’টি বিমান ও সাতাশজন যাত্রীকে খুঁজে বের করতে মার্কিন নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী ব্যাপক অনুসন্ধান চালায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিখোঁজ বিমানগুলোর কোনও হদিস পায়নি।
এতো গেল বইয়ে কি প্রকাশিত হয়েছিল সে-কথা। এ-বার দেখা যাক অনুসন্ধানকারীরা বাস্তবে কি ঘটেছিল বলে জানতে পেরেছিলেন।
বিমানগুলো পরিষ্কার দিনের আলোয় আকাশে উড়ে অদৃশ্য হয়নি। সে-দিন আবহাওয়া ছিল খারাপ। সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে আসার পরও তারা আকাশে ছিল। ওই সময় সামুদ্রিক ঝড় ওঠে। দলনেতা টেলর ছাড়া সকলেই শিক্ষার্থী। টেলর তাঁর অবস্থান নির্ণয়ে ভুল করেন। সেটা অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। ফ্লোরিডা কী ও বাহামা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে বড় বেশি সাদৃশ্য থাকার জন্য এর আগেও অনেক বৈমানিকই খারাপ আবহাওয়ায় ওই ধরনের ভুল করেছেন। টেলরও বাহামকে ফ্লোরিডা মনে করায় উত্তর-পূর্বে বিমানবন্দর মনে করে বিমানগুলোকে সেই দিকে চালাতে নির্দেশ দেন। বাহামার উত্তর পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর। অবশেষে আটলান্টিকের উপর দিয়ে যেতে যেতে বিমানগুলো এক সময় জ্বালানির অভাবে সমুদ্রে আছড়ে পড়ে। এর বেশি আর কিছুই ঘটেনি। পলিমোড় প্রোগ্রামের অনুসন্ধানকারীদের অন্তত এই মত।
টেলরের পাঠানো বার্তা সরকারি লগ-বুকে লেখা আছে। সেটাতে দেখা যায় টেলর আদৌ অলৌকিক কোন দৃশ্যের বর্ণনা দেননি। বরং বলেছেন, “আমি আমার অবস্থান জানি… ভুল করে বাহামা পেরিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে এসে পড়েছি…”
অনুসন্ধানকারীরা গোটা ঘটনাটার মধ্যে কোন অলৌকিক রহস্যের খোঁজ পাননি। এটা ছিল নেহাতই দুর্ঘটনা।
বার্লিৎজ বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের রহস্যের কথা লিখতে গিয়ে তাঁর আর একটি বই ‘উইদাউট এ ট্রেস’ –এ লিখেছেন, স্যাটেলাইট এম. ও. এ. এ. –কে পাঠানো হয়েছিল মেঘ সম্বন্ধে বেতার সঙ্কেত পাঠানোর জন্য। কিন্তু, বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কোন রহস্যময় কারণে বেতার সঙ্কেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। জায়গাটা অতিক্রম করার পর আবার বার্তা প্রেরণ চালু হয়।
অনুসন্ধানকারীরা যে সত্য উদ্ঘাটন করেছিলেন, তা হল, কৃত্রিম উপগ্রহ এম. ও. এ. এ. মেঘ বিষয়ক যে সঙ্কেত পেত সে-গুলো টেপে ধরে রাখা হতো এবং ভূকেন্দ্রে পাঠানো হতো। টেপের সঙ্কেত প্রচার শেষ হলে টেপটা গুটিয়ে নিয়ে আবার সঙ্কেত প্রেরণ শুরু করা হতো। এই তেপ গোটানোর সময় স্বভাবতই কোন বেতার সঙ্কেত পাঠানো সম্ভব নয়। ঘটনার দিন বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় স্যাটেলাইটটি সঙ্কেত পাঠানো বন্ধ করে টেপ গোটাচ্ছিল। এই স্বাভাবিক ব্যাপারটাকেই অস্বাভাবিক হিসেবে পরিবেশন করেছিলেন চতুর রহস্য-ব্যবসায়ী লেখক।
বার্লিৎজের তৈরি আর একটি আরেকটি গা শিরশিরে রহস্যময় ঘটনা হল- ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান মিয়ামি যাওয়ার পথে বার্মুডা পৌঁছতেই মিয়ামি বিমানবন্দরের র্যাডার থেকে অদৃশ্য হয়। বিমান হয়তো কোন দুর্ঘটনায় পড়েছে, এমন অনুমান করে সমস্ত বিমানবন্দরকে মুহূর্তে সতর্ক করে দেওয়া হয়। অথচ দশ মিনিট পরেই আবার বিমানটি র্যাডারে ধরা পড়ে। মিয়ামি বিমানবন্দরে অবতরণের পর দেখা যায় প্রত্যেক বিমানযাত্রীদের ঘড়ির সময় কোন এক অদৃশ্য কারণে দশ মিনিট করে পিছিয়ে গেছে।
রুশ মার্কিন যৌথ অনুসন্ধানকারী দল অনুসন্ধান করে দেখেন, মিয়ামি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বা ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ এই ধরণের কোন ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না। অর্থাৎ ঘটনাটি অয়াদৌ ঘটেনি।
বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেল নিয়ে এমনি আরও গাদা গাদা তথাকথিত রহস্য নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে অনুসন্ধানকারীরা দেখেছেন, কোনটির পেছনেই সত্য নেই।
কোনও সত্য যদি ঘটনাগুলির পেছনে নাই থাকবে তবে বার্লিৎজ কেন এই ধরনের পাগলের মতো লিখতে গেলেন? অনেকের মনেই এই ধরণের প্রশ্ন দেখা দিতে পারে। এমন পাগলামি করে রাতারাতি কোটিপতি ও বিখ্যাত হতে পারলে সেই সুযোগ অনেক সুযোগসন্ধানীরাই নেন বই কি। তবে, বার্মুডা ট্র্যাঙ্গেলের আসল রহস্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বার্লিৎজ আর বিখ্যাত নন, কুখ্যাত ব্যক্তি।