শুরু থেকে বলি। স্থান বরানগর। মহারাজা নন্দকুমার রোডের একেবারে ভেতর দিকে একটি পোড়ো বাড়ি। ২৩৯ নং। ভূতের গল্পের সিরিয়াল তুলতে এমন বাড়িই পরিচালকেরা খুঁজে থাকেন। বাড়িটি দোতলা।

৩১ অক্টোবর ১৯৯৩ থেকে ঘটনার সূত্রপাত। ওপরে থাকেন বাড়িওলা অরুণ মান্না ও তাঁর পরিবার। কয়েক ঘর ভাড়াটে—পারুলবালা, তাপস, সমর। পারুলবালার সঙ্গে থাকেন তাঁর দুই মেয়ে মীরা আর বেলা।

৩১ অক্টোবর। প্রতিবেশীর ঘড়িতে ঢং ঢং করে রাত বারোটা বাজছে।

পারুলবালার পাশের ঘরের ভাড়াটে তাপস মণ্ডল। ‘বিশ্বাস করুন’ তাপস বলল, ‘হঠাৎ,

জ্যাম্ভভূত শঙ্কর ভৌমিক ছবিঃ অলককুমার মিত্র, আজকাল

জ্যাম্ভভূত শঙ্কর ভৌমিক ছবিঃ অলককুমার মিত্র, আজকাল

ক্যা-অ্যা-চ ! দেখলাম, আমার ঘরের দরজাটা খুলছে। আবার বন্ধ হয়ে গেল। আবার খুলল। এরকম চার বার । ‘

দেখলাম দরজায় হুড়কো নেই।

‘ছিটকিনি দেওয়া ছিল?’

‘ছিল বৈকি। কে যে খুলল!” তাপস বলল, ‘দেখুন…….. এখনও কাঁটা দিচ্ছে গায়ে।’ তাপসের টেলারিংয়ের ব্যবসা ।

এরপর থেকে নিত্য শুরু হল ভূতের উপদ্রব। শুরুর সময় রাত যখন ঠিক বারোটা। কোনও দিন পার্টিশনের ওপার থেকে উড়ে এসে পড়ল জলভর্তি মাটির কলসি। যেন মাধ্যাকর্ষণ-ফর্ষন সব বোগাস। এমনি তার চলন। শূন্যে উঠে চেয়ার-টুল দুলতে দুলতে আছড়ে পড়া হয়ে দাঁড়াল নৈমিত্তিক ঘটনা।

কথা বললাম, বাড়িওলা, ভাড়াটিয়া প্রত্যেকের সঙ্গেই। ভূতুড়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী প্রত্যেকেই। তাদের চোখের সামনেই নাকি এইসব ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকেরই প্রথম ভূতুড়ে ঘটনা দেখার সুযোগ হয়েছে ৩১-এর রাতে।

পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বার বার দেখেছি অলৌকিক ঘটনা বা ভূতুড়ে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাজতে সব বয়সের নারী-পুরুষই নিপাট মিথ্যে বলতে থাকেন। সুতরাং এদের কাছ থেকে শুনে সত্যের ছাঁকুনিতে ছেকে যতটুকু নেওয়ার, ততটুকুই মাথায় রাখছিলাম।

পারুলবালা, মীর ও বেলা আলাদা আলাদা করে একটি কথা বলেছেন, ভূত রাতদুপুরে দরজা আঁচড়ায়। এটা বেশ কয়েকটা রাতে হয়েছে। এক রাতে তো দরজায় দমাদ্দম লাথি মেরে গেছে। অবশ্য তাঁরা এ-কথাও বলেছেন, সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলেও তাঁরা কাউকে দেখতে পাননি।

পারুলবালা, মীরা, বেলা প্রতিবারই এই ঘটনায় সাংঘাতিক রকম ভয় পেয়েছিলেন, জানিয়েছেন। ভয় পাওয়া মানুষ প্রচণ্ড সাহস নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলবে—অসম্ভব। এই অংশটুকু মিথ্যে বলেছেন। আর এক দিক থেকে দেখলেও ব্যাপারটা সম্ভব নয়। সত্যিই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে কাউকে দেখতে না পাওয়ার অস্তিত্ব মেনে নেওয়া, এটা সম্ভব নয়। অতএব ….. আমরা আজকাল পত্রিকার তরফ থেকে সরেজমিন তদন্তে গিয়েছিলাম ৯ নভেম্বর ’৯৩। আমরা মানে আমি, সাংবাদিক রাহুল রায় ও চিত্র সাংবাদিক ভাস্কর পাল।

প্রত্যক্ষদর্শীদের গুল শুনতে শুনতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য যা পেলাম তা হল : (এক) বাড়িওয়ালার বা তাদের পরিবারের সঙ্গে কোনও ভাড়াটেরই ঝগড়া নেই। (দুই) বাড়িটার ওপর কোনও প্রমোটারের নজর পড়েনি। (তিন) টুল, হাঁড়ি, কলসি শূন্যে ভাসার গল্পগুলো নিপাট মিথ্যে হলেও হঠাৎ মাটির কলসি মেঝেতে আছড়ে পড়ে ভেঙেছে। কলসি থাকত একতলার ছোট্ট এক ফালি বারান্দার একটা টুলের ওপর। (চার) বাড়িওয়ালা দোতলায় থাকেন। তাদের পক্ষে ঘটনাগুলো ঘটাতে যেটা সবচেয়ে বড় অসুবিধে, তা হল সিঁড়ি ভেঙে তাকে দোতলায় পালাতে হবে প্রতিবারই। এতে সিঁড়ি ভাঙার আওয়াজ পাওয়ার বা যে কোনও সময় ধরা পড়ে যাওয়ার প্রচণ্ড ঝুঁকি থাকছে। কথা বলে আদৌ মনে হল না, এমন ঝুঁকি তাদের বাড়ির কারও পক্ষে নেওয়ার মতো মানসিক জোর আছে। (পাঁচ) প্রতিদিনই একটি ভাড়াটে পরিবারের ঘড়ে ভূতুড়ে উপদ্রব হয়েছে। পরিবারটি পারুলবালার। ওঁদের ঘরের দরজায় বারবার ভূত আঁচড়ায়, লাথি মারে। (ছয়) একতলায় একচিলতে বারান্দার এপাশে-ওপাশে এক একটি ঘর নিয়ে থাকেন এক একটি ভাড়াটে। যে কোনও ভাড়াটের পক্ষে নিজের ঘরের দরজা খুলে রেখে ভূতুড়ে কান্ড ঘটিয়ে দুটি মাত্র পদক্ষেপে নিরাপদে নিজের ঘরে ঢুকে পড়া সম্ভব। (সাত) বছরখানেক হল পারুলবালার পরিবারের সঙ্গে থাকেন শঙ্কর ভৌমিক—তাঁরই বোনপো। শোবার জায়গায় একটু অভাব তো আছেই। শঙ্কর রাতে শোয় কখন পারুলবালার ঘরে। কখনও শোয় বন্ধু হয়ে ওঠা ভাড়াটে সমরের ঘরে। (আট) পারুলবালার মেয়েরা যুবতী। সংসারের নিয়মিত আয় খুবই সামান্য। (নয়) শঙ্করের বয়স বছর পঁয়তিরিশ। সাধারণ চেহারা। অসাধারণ শক্ত মনের জেদি ছেলে। ফুটপাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জিনিস ফেরি করে পেট চালায়। পিছুটান নেই । বিয়ে করেনি। (দশ) একবার শঙ্করের বন্ধু সমরের ঘরেও ভূতের আবির্ভাব ঘটেছিল। ঘরের দরজায় ভূতের লাথি পড়েছিল। দরজার পাল্লার এক দিকের কাঠ ভেঙে ছিটকে পড়েছিল বারান্দায় । এখনও দরজার পাল্লাটা অমনই ভাঙাই পড়ে রয়েছে।

পাড়ার মানুষদের কাছ থেকে খবরটা পেয়ে ওখানে গিয়েছিলাম। ‘প্রেস’ লেখা গাড়ি দেখে উৎসাহী জনতা কিছু হাজির হয়েছিলেন। আমরা যে যাব, সেটাও বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটেরা আগে থেকে জানাতেন, কথা বলে বুঝেছিলাম, আমার পরিচয়টাও তাঁদের কারুরই অজানা ছিল না।

ভূতের উপদ্রব প্রতিদিন রাত বারোটা থেকে শুরু হয় শুনে জানালাম, এখন ফিরে যাচ্ছি, রাত বারোটার মধ্যে আবার হাজির হব, ভূতুড়ে কাণ্ড দেখতে।’

শঙ্কর হাত-টাত নেড়ে বলল, ‘না না, ভূত তো আজ থেকে আর আসবে না।’

‘কেন?’ আমার প্রশ্নের উত্তরে শঙ্কর জানালেন, ‘ভূতের হাত থেকে বাঁচতে গিয়েছিলাম তান্ত্রিকাচার্য গণেশ মাইতির কাছে। তিনি সর্ষেতে মন্ত্র পড়ে দিয়েছেন। এই দেখুন না’—বলে সুতোয় বাঁধা সর্ষের একটা ছোট্ট পুঁটলি দেখাল। বলল, ‘এই পুঁটলিটা এই ঘরের দরজায় তিনবার রাম নাম জপ করে বেধে দেব, আর ভূত আসবে না।’

শঙ্কর খুবই জেদি। ‘আর সহ্য হয় না। আজই সর্ষে ঝুলিয়ে দেব।’ জেদ ধরল শঙ্কর। শেষ কথাটা শঙ্করকে বলতে গাড়িতে তুলে আমরা নিয়ে গেলাম একটা মিষ্টির দোকানে। ওরই পছন্দমতো অনেক মিষ্টির অর্ডার গেল। খেলাম চারজনেই। খেতে খেতেই কথাটা বললাম, ‘আজ রাতে বারোটার আগেই আবার আসছি। আজ তুমি কিছুতেই সর্ষে ঝোলাবে না। সর্ষে ঝোলানো হলে ভূত আসবে না, তাই তো? তুমি যদি ঝোলাও, আমরা ধরে নিতে বাধ্য হব, ভূতুড়ে কাণ্ড তুমিই ঘটাতে। আমাদের কাছে ধরা পড়ার ভয়ে একটা অজুহাত তৈরি করে ভূতুড়ে কান্ড বন্ধ করতে চাইছ।

রাত বারোটার আগেই আমরা ফের ওই হানাবাড়িতে হাজির হলাম। আমি, রাহুল, ভাস্কর ছাড়াও বাড়তি একজন চিত্রসাংবাদিক সঙ্গী—অলককুমার মিত্র। শ’খানেক পাড়ার ছেলে বাড়ির বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই বাড়িতে ঢুকে ভূত ধরা দেখতে চান । কিন্তু এমনটা হলে সত্যানুসন্ধান চালানো যায় না। থানায় একটা খবর দিয়ে এলাম। বাড়িতে ঢোকার মুখে পুলিশ বসে উৎসাহীদের হাত থেকে আমাদের বাঁচালেন।

গোটা বারান্দায় পাউডার ছড়িয়ে আমরা বসলাম শঙ্করের বন্ধুর ঘরে—যে ঘরের দরজা ভূতের পদাঘাতে ভেঙেছে অন্য ভাড়াটেদের ও বাড়িওয়ালাকে বললাম, আমাদের জানান না দিয়ে যেন একতলার বারান্দায় না আসেন। পাউডার ছড়াবার কারণ, কেউ ভূতুড়ে কান্ড ঘটাতে চাইলে আঁকা থাকবে তার পদচিহ্ন ও গতিপথ।

গল্প করে সময় কাটাচ্ছিলাম। সঙ্গীরা চিলতে বারান্দাটায় নজর রাখছিলেন। আমাদের নিজেদের মধ্যে আড্ডা জমে উঠেছে। আড্ডার বিষয় হিসেবে ফুটবল, ক্রিকেট, সিনেমা, ব্লু-ফিল্ম, রেড লাইট এরিয়া সবই ঘুরে-ফিরে আসছে। শঙ্কর ও বন্ধু সমর দু-জনকে ইনভলভ করে নিয়েছি। ওরা একটু একটু করে আমাদের সঙ্গে সহজ হয়ে গেছে। নিজেদের অভিজ্ঞতার কাহিনি শোনাচ্ছে। একসময় এলো যখন দেখলাম আলোচনার বিষয় বৈচিত্র্যকে আমরা গুটিয়ে নিয়ে মদ আর মেয়েমানুষে এনে ফেলেছি। আমাদের কথার পিঠে পিঠে শঙ্কর শুনিয়েছে একাধিক মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার কথা। কিন্তু সেখানেও অনেক লুকোচুরি। সুস্থ প্রেমের জায়গা কলকাতায় বা মফস্বলে শূন্য। পার্কে একটু বসলেই পুলিশ ও তাদের চামচাদের তোলা আদায়। এই মেয়েগুলো কেউ ধর্ষিত হয়ে চেঁচালে পুলিশের দেখা মিলবে না। কিন্তু আমরা অ্যাডাল্ট ছেলে ও মেয়ে পার্কে বসলে পুলিশের চুলকোয়! শঙ্কর এও জানিয়েছে, বিয়ে করতে ইচ্ছে তো করে, অনেক বছর ধরেই করে, কিন্তু বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। সামান্য অনিশ্চিত আয়। কোথায় বাড়ি ভাড়া দেবে, কী করেই বা সংসার চালাবে? দুধের সাধ ঘোলে মেটায় অন্যভাবে। এইসব খোলা-মেলা কথা কখনই জেরায় আদায় করতে পারতাম না। অথচ খোলা-মেলা ভাবে কথাগুলো না জানলে ভৌতিক ঘটনা ঘটাবার উদ্দেশ্যই খুঁজে পেতাম না। অধরা থেকে যেত অপরাধী। মুখ খোলাতেই তাই ব্লু-ফিল্ম থেকে রেডলাইট এরিয়া এসেছে আমাদের আলোচনায় ।

রাত দুটো বাজল। ভূতের দেখা নেই। তবে থানার মেজবাবু পুলিশ-জিপ নিয়ে দেখা করে গেলেন। মেজবাবু চলে যাওয়ার পর শঙ্করকে বললাম, ‘তাইতেই মীরা আর বেলাকে উত্ত্যক্ত করতে ওদের দরজায় আঁচড়াতে, লাথি মারতে। ‘

শঙ্কর আমার বক্তব্যকে সোজাসুজি নস্যাৎ করে দিয়ে বলল, ‘কী যে উল্টোপাল্টা বলছেন।’

সহানুভূতির সঙ্গে বললাম, ‘শঙ্কর এটা তোমার একটা মানসিক রোগ। তোমার প্রতি আমাদের প্রত্যেকেরই সহানুভূতি আছে। বিয়ে করার বয়েস পেরিয়ে যাচ্ছে। সামনে কোনও আশার আলো নেই। নারী-সঙ্গ চাইছ। আন্তরিকভাবে চাইছ কিন্তু পাচ্ছ না। এমন অবস্থার প্রেক্ষিতে তোমার যে ধরনের যৌন-বিকার দেখা দিয়েছে, তা অনেকেরই দেখা দেয়। তুমি যদি বলো, আমি তোমার মনো-চিকিৎসার ব্যবস্থা করিয়ে দিতে পারি। তুমি তোমার মাসতুতো বোনেদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করতে। কারণ তারা তোমার নাগালের কাছের যুবতী।

হাজারটা কথা হল। ঘড়ির ছোট কাঁটা তিনটের দিকে এগুচ্ছে। আমার অনেক চেষ্টার পরও শঙ্কর কিছু স্বীকার করল না। অতএব বাধ্য হয়েই আমাকে সহানুভূতির রাস্তা ছাড়তে হল। কড়া গলায় সমর ও শঙ্করকে বললাম, ‘এ বাড়িতে ৩১ অক্টোবর থেকে প্রতিটি দিন ভূতের উপদ্রব হয়েছে। কিন্তু আজ ভূত আসবে না। সর্ষে বাঁধা হয়নি, তবুও ভূত আসবে না। কারণ ভূত কোনও দিনই এ-বাড়িতে আসেনি। সন্দেহের হাত থেকে বাঁচতে আপনারা নিজেরাই এ-ঘরের দরজা লাথি মেরে ভেঙেছেন। দরজা বন্ধ করে ভিতর থেকে লাথি মেরেছিলেন বলেই ভাঙা কাঠের তক্তা ছিটকে পড়েছিল বারন্দায় । ভূত বলে কিছুই নেই। এ বাড়িতেও যা হয়েছে তা কোনওটাই ভূতের করা নয়। সেদিন যখন দরজা ভেঙেছিল তখন আপনি নিশ্চয়ই এই ঘরে ছিলেন?’ সমরকে জিজ্ঞেস করলাম আঙুল তুলে।

সমর প্রচণ্ড ঘাবড়ে গেলেন আমার কথা শুনে। প্রায় তোতলাতে তোতলাতে বললেন, ‘শঙ্করও ঘরে ছিল।’

‘লাথিটা কে মেরেছে? আপনি?’ আবারও সমরকে কঠিন স্বরে জিজ্ঞেস করলাম। শঙ্কর হঠাৎ কেঁদে ফেলে পা জড়িয়ে ধরতে এলো, ‘দাদা স্বীকার করছি, আমিই ভূত। আমিই লাথিটা মেরেছিলাম।’

‘সমর সব জানত। তাই তো?”

‘হ্যাঁ।’

‘তাহলে তুমিই বোনেদের দরজায় আঁচড় কাটতে স্বীকার করছ?”

‘করছি।’

‘সেই তো স্বীকার করতে বাধ্য হলেই বাবা। তাহলে এতক্ষণ আমাদের খেলালে কেন? ভেবেছিলে অস্বীকার করেই পার পেয়ে যাবে?”

রাত তিনটে বাজে। পারুলবালার দরজার কড়া নাড়লাম । পারুলবালা দরজা খুললেন। বললাম, ‘চলি ভূত আর আপনাদের বিরক্ত করতে আসবে না। তবে এটুকু জেনে রাখুন—ওই ভূতটি ছিল মানুষ ভূত।’

‘সবই শুনেছি বাবা। আমারই লজ্জা করছে। আপনার জন্য শঙ্কর, সমর এদের নতুন করে চিনলাম।’ পারুলবালা ধীরে ধীরে কথাগুলো বললেন।

আমরা যখন বাইরে এলাম তখন শুধু সারি সারি মাথা। ভূত ধরা পড়ল কি না জানতে অধীর আগ্রহে তাঁরা অপেক্ষা করছেন। দু-আঙুলে ভি দেখিয়ে গাড়িতে উঠলাম পুলিশের সহযোগিতায় ।

সে-দিনই দুপুরে আজকাল দপ্তর থেকে খবর পেলাম, আমরা চলে আসার পর প্রতিবেশীদের কাছে শঙ্কর ও সমরের কীর্তি প্রকাশ হয়ে পড়ে। শুরু হয় গণপ্রহার। পুলিশ শঙ্করকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে গ্রেপ্তার করে। ভূতের দোসর সমর ফেরার।

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!