হুমাম হইতে ধারাবাহিকভাবে হাজ্জাজ ইব্‌ন মিনহাল, কাযী ইসমাঈল ইব্‌ন ইসহাক ও আবূ বকর ইব্‌ন আম্বারী বর্ণনা করেনঃ “কাতাদাহ বলিয়াছেন, হিজরতের পর অবতীর্ণ (মাদানী) সূরাসমূহ হইতেছে— বাকারা, আলে-ইমরান, নিসা, মায়িদা, বারাআহ্ (তাওবা), রা‘আদ, নাহ্ল, হুজ্জ, নূর, আহযাব, মুহাম্মদ, ফাত্হ, হুজুরাত, আর-রহমান, হাদীদ, মুজাদালা, হাশর, মুমতাহিনা, সফ, জুমুআ, মুনাফিকূন, তাগাবুন, তালাক, সূরা তাহরীমের প্রথম দশ আয়াত, সূরা যিল্যাল ও নম্র। অবশিষ্ট সূরাসমূহ হিজরতের পূর্বে (মক্কী) অবতীর্ণ হইয়াছে।”

কুরআন মজীদের আয়াতের সংখ্যা সর্বসম্মতভাবে অন্যুন ছয় হাজার। তবে উহার সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের ভিতর মতভেদ রহিয়াছে। কেহ বলেন, ছয় হাজার। কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত চারিটি। কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত চৌদ্দটি। কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত ঊনিশটি। কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত পঁচিশটি। কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত ছাব্বিশটি। আবার কেহ বলেন, ছয় হাজার দুইশত ছত্রিশটি।

আবূ আমর আদ্দানী স্বীয় গ্রন্থ ‘আল-বয়ান’ এ উপরোক্ত তথ্য প্রদান করিয়াছেন।

আতা ইবন ইয়াসার হইতে ফযল ইব্‌ন শাযান কর্তৃক বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী কুরআন মজীদের শব্দ সংখ্যা হইতেছে সাতাত্তর হাজার চারিশত ঊনচল্লিশ।

মুজাহিদ হইতে আবদুল্লাহ্ ইব্‌ন কাছীরের বর্ণিত তথ্য অনুযায়ী কুরআন মজীদের অক্ষরের সংখ্যা হইতেছে তিন লক্ষ একুশ হাজার একশত আশি। ফযল ইব্‌ন আতা ইব্‌ন ইয়াসারের মতে উহার সংখ্যা হইতেছে তিন লক্ষ তেইশ হাজার পনের।

সালাম আবূ মুহাম্মদ আল হাম্মানী বলেন- একদা হাজ্জাজ ইব্‌ন ইউসুফ কুরআন মজীদের কারী, হাফিজ এবং লেখকবৃন্দকে একত্রিত করিয়া বলিলেন, ‘কুরআনে কতগুলি অক্ষর আছে তাহা হিসাব করিয়া তোমরা আমাকে বল।’ আমরা তাঁহার আদেশক্রমে হিসাব করিয়া দেখিলাম, উহাদের সংখ্যা হইতেছে তিন লক্ষ চল্লিশ হাজার সাতশত চল্লিশ। হাজ্জাজ বলিলেন, ‘উহার মধ্যস্থল কোটি তাহা আমাকে জানাও।’ হিসাব করিয়া দেখা গেল, উহার ঠিক মধ্যস্থল হইতেছে সূরা কাহাফের অন্তর্গত و ليتلطف শব্দটির শেষ অক্ষর ‘ফা’ ও তৎপরবর্তী و لايشعرن শব্দটির প্রথম অক্ষর ‘ওয়াও’ এর মধ্যবর্তী স্থান। কুরআন মজীদের প্রথম এক-তৃতীয়াংশ হইতেছে সূরা বারাআতের প্রথম একশত আয়াতের শেষ পর্যন্ত, দ্বিতীয় এক-তৃতীয়াংশ হইতেছে সূরা শু’আরার প্রথম একশত বা একশত এক আয়াতের শেষ পর্যন্ত এবং শেষ তৃতীয়াংশ হইতেছে অবশিষ্টাংশ । কুরআন মজীদের প্রথম এক সপ্তমাংশ হইতেছে فمتهم من امن ومثهم ضدا আয়াতাংশের শেষ অক্ষর ‘দাল’ পর্যন্ত। উহার দ্বিতীয় এক সপ্তমাংশ হইতেছে তাহার পর হইতে সূরা আ’রাফের অন্তর্গত أولمك حَبِطَت আয়াতাংশের শেষ অক্ষরে ‘তা’ পর্যন্ত। উহার তৃতীয় এক সপ্তমাংশ হইতেছে সূরা রা’আদের অন্তগর্ত أكُلَهَا শব্দের শেষ ‘আলিফ’ পর্যন্ত। উহার চতুর্থ এক সপ্তমাংশ হইতেছে তাহার পর হইতে সূরা হজ্জের অন্তর্গত جَعلنًا منسكا আয়াতাংশের শেষ ‘আলিফ’ পর্যন্ত। উহার পঞ্চম এক-সপ্তমাংশ হইতেছে তাহার পর হইতে সূরা আহযাবের অন্তর্গত وَمَا كَانَ لمُؤّمن ولا

مُرمنَّة আয়াতাংশের শেষ অক্ষর ‘গোল তা’ পর্যন্ত । উহার ষষ্ঠ সপ্তমাংশ হইতেছে তাহার পর হইতে সূরা ফাহের অন্তর্গত ألظَْابَّيْنَ باللّه ظَرُ السوء আয়াতাংশের ‘ওয়াও’ পর্যন্ত। উহার সপ্তমাংশ হইতেছে অবশিষ্টাংশ। পরিশেষে সালাম আবূ মুহাম্মদ বলেন, আমি চারি মাস সময় ব্যয় করিয়া উপরোক্ত তথ্য লাভ করি।

কথিত আছে, হাজ্জাজ প্রতি রাত্রে কুরআন মজীদের এক-চতুর্থাংশ তিলাওয়াত করিতেন। তাঁহার তিলাওয়াতের প্রথম এক-চতুর্থাংশ ছিল সূরা আন’আমের শেষ পর্যন্ত। দ্বিতীয় এক চতুর্থাংশ তাহার পর হইতে সূরা কাহাফের و ليتلطف শব্দ পর্যন্ত। তৃতীয় এক-চতুর্থাংশ ছিল তাহার পর হইতে সূরা যুমারের সমাপ্তি পর্যন্ত। চতুর্থ এক-চতুর্থাংশ ছিল তাহার পর হইতে কুরআন মজীদের অবশিষ্টাংশ।

শায়খ আবূ আমর আদ্দানী স্বীয় গ্রন্থ ‘আল-বয়ান’-এ এইগুলি সবিস্তারে আলোচনা করিয়াছেন। আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।

উপরে কুরআনের অক্ষর ভিত্তিক বিভক্তির কথা আলোচিত হইয়াছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিলাওয়াত প্রশিক্ষণের জন্য উহাকে ত্রিশ পারায় (খণ্ডে) বিভক্ত করা হইয়াছে। প্রতি খণ্ডকে আবার চারিভাগে বিভক্ত করা হইয়াছে। ইতিপূর্বে আমি কুরআন মজীদকে সাহাবা কর্তৃক বিভক্তিকরণ সম্পর্কিত হাদীসের উল্লেখ করিয়াছি। এতদ্ব্যতীত হযরত আওস ইব্‌ন হুযায়ফা হইতে মুসনাদে ইমাম আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ, সুনানে ইব্‌ন মাজাহ প্রভৃতি হাদীস সংকলনে বর্ণিত নিম্ন হাদীসটিও উল্লেখ করিতেছি।

হযরত আওস ইব্‌ন হুযায়ফা নবী করীম (সাঃ)-এর জীবদ্দশায় সাহাবাদের নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন, আপনারা তিলাওয়াতের জন্য কুরআন মজীদকে কিভাবে ভাগ করেন? তাঁহারা বলিলেন— প্রথম মনযিলে প্রথম তিনটি সূরা, দ্বিতীয় মনযিলে পরবর্তী পাঁচ সূরা, তৃতীয় মনযিলে পরবর্তী সাত সূরা, চতুর্থ মনযিলে পরবর্তী নয় সূরা, পঞ্চম মনযিলে পরবর্তী এগার সূরা, ষষ্ঠ মনযিলে পরবর্তী তের সূরা এবং সপ্তম মনযিলে সূরা কাহাফ হইতে অবশিষ্টাংশ।

সূরা শব্দের অর্থ সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। কেহ কেহ বলেন, উহার অর্থ পৃথক ও উন্নত বিষয়। কুরআন পাকের পাঠক যেহেতু এক সূরা শেষ করিয়া আরেক সূরায় যাইতে এক স্তর হইতে অন্য স্তরে উন্নীত হয়, তাই এই স্তরগুলিকে সূরা বলা হয়। আরব কবি নাবিগার নিম্নোক্ত পংক্তি হইতে সূরার অনুরূপ অর্থের সমর্থন পাওয়া যায়।

الم ترى ان الله اعطاك سورة – ترى كل ملك دونها يتذبذب

‘তুমি কি ভাবিয়া দেখ নাই যে, আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে এইরূপ একটি সূরা দান করিয়াছেন যাহার সম্মুখে প্রত্যেক রাজা প্রকম্পিত হয়?’

কেহ কেহ বলেন, সূরা অর্থ উঁচু বস্তু। যেমন নগর প্রাচীরকে سور البلد (শহর রক্ষার্থে নির্মিত উঁচু দেয়াল) বলা হয়। কুরআন পাকের প্রতিটি সূরার বিষয় বস্তুই যেহেতু অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ তাই উহা সূরা নামে অভিহিত হইয়াছে। কেহ কেহ বলেন, সূরা অর্থ খণ্ড, টুকরা, অংশ। যেমন পেয়ালায় অবস্থিত কোন দ্রব্যের অবিশষ্টাংশকে اسار الانااس বলা হয়। কুরআন শরীফের প্রত্যেকটি সূরা যেহেতু উহার অংশ বা টুকরা, তাই উহা সূরা নামে অভিহিত।

সূরা শব্দের শেষোক্ত অর্থের ভিত্তিতে উহার ধাতু হইতেছে ‘সীন’ ‘হামযাহ’ ও ‘রা’। শব্দটি سورة মূলত سؤرة ছিল। হামযার পূর্ববর্তী সীনের উপর পেশ থাকায় সহজ উচ্চারণের প্রয়োজনে হামযার স্থলে ওয়াও আসিয়াছে। (এরূপক্ষেত্রে আরবী শব্দ গঠনরীতিতে যদিও হামযার স্থলে ওয়াও আসা জরুরী নহে, তবে আনা যাইতে পারে।)

আবার কেহ কেহ বলেন, সূরা শব্দের অর্থ পরিপূর্ণ বস্তু। বয়স্কা উষ্ট্রীকে سورة  বলা হয়। কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরা যেহেতু বিষয়বস্তুর বিচারে পরিপূর্ণ ও স্বয়ংসম্পূর্ণ। তাই উহা সূরা নামে অভিহিত হইয়াছে।

আমি (ইবন কাছীর) বলিতেছি, সূরা শব্দের অন্যতম অর্থ পরিবেষ্টনকারী ও একত্রকারী বস্তু । নগর প্রাচীর যেহেতু নগরের ঘর-বাড়ী বেষ্টন করিয়া রাখে তাই হয়তো উহাকে سورالبلد বলা হয়। যেহেতু কুরআন মজীদের প্রত্যেকটি সূরা উহার আয়াতসমূহকে পরিবেষ্টিত ও একত্রিত করিয়া রাখে, তাই উহা সূরা নামে অভিহিত হইয়াছে। سورة শব্দের বহুবচন হইতেছে অর্থাৎ سور  ‘ওয়াও’ অক্ষরে যবর ও ‘রা’ অক্ষরে দুই পেশ দিয়া ‘গোল তা’ হযফ – করা হয়। কখনও উহার বহুবচন سورات আবার কখনও سورات হয়।

আয়াত (أية) শব্দের অর্থ চিহ্ন, নিদর্শন । কুরআন পাকের প্রত্যেকটি বাক্য যেহেতু উহার পূর্বাপর বাক্য হইতে পৃথক হইবার চিহ্ন বহন করে, তাই উহাকে আয়াত নামে অভিহিত করা হইয়াছে। (أية) শব্দটি কুরআন মজীদের নিম্নোক্ত বাক্যে চিহ্ন অর্থে ব্যবহৃত হইয়াছে।

أن آيَة ملكه أن يَأْتَيكُم الحّابُوت ‘তাহার রাজ্যাধিকারী হইবার চিহ্ন এই যে, সেই সিন্দুকটি তোমাদের কাছে পৌঁছিবে।’

কবি নাবিগার নিম্নোক্ত পংক্তিতে উক্ত অর্থ প্রকাশ পায়ঃ

توهمت ايات لها فعرفتها – لستة اعوام وذا العام سابع

“তাহার কতগুলি চিহ্নকে আমি চিনিয়া লইয়াছিলাম । গত ছয় বছর ধরিয়া আমি সেইগুলি জানিয়া আসিয়া এখন সপ্তম বছরে উপনীত হইয়াছি।’

কেহ কেহ বলেন, আয়াত (أية) শব্দের অপর অর্থ দল বা বস্তুসমষ্টি। কুরআন মজীদের এক একটি বাক্য যেহেতু কতগুলি অক্ষরের সমষ্টি, তাই উহাকে আয়াত বলা হয়। দল বা সংঘ অর্থে আয়াত শব্দের ব্যবহার আরবী ভাষায় মিলে। যেমন—

خرج القوم باياتهم

‘গোত্রটি সদলবলে বাহির হইয়াছে।’ অন্য উদাহরণঃ

خرجنا من النقيل لاحى مثلنا – باياتنا نزجي للقاح المطافلا

“আমরা বৎস বিশিষ্ট দুগ্ধবতী উষ্ট্রীগুলিকে ধীরে ধীরে চালনা করিতে করিতে সদলবলে গিরিবর্তদ্বয় হইতে বহির্গত হইলাম । কোন গোত্রই তখন আমাদের সমকক্ষ ছিল না। ”

কেহ কেহ বলেন, আয়াত অর্থ বিস্ময়কর বস্তু। কুরআন মজীদের প্রতিটি বাক্য যেহেতু বিস্ময়কর এবং অনুরূপ দৃঢ় ভাবব্যঞ্জক বক্তব্য, শব্দবিন্যাস ও রচনা নৈপুণ্য সম্বলিত বাক্য রচনা করা মানুষের সাধ্যাতীত, তাই উহা আয়াত নামে অভিহিত হইয়াছে।

বিখ্যাত ব্যাকরণ শাস্ত্রবিদ সিবওয়াইর মতে, (أية) শব্দটি মূলত أيَيَةٌ ছিল। উহা شجرة শব্দের সমওযনের। হরকত বিশিষ্ট দুই ‘ইয়া’র পূর্বে যবর বিশিষ্ট হামযাহ আসায় যে উচ্চারণগত জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহা দূর করার জন্য এক ‘ইয়া’ আলিফে রূপান্তরিত হইয়া হামযার সহিত সংযুক্ত হইয়াছে। ফলে أيَيَةٌ  এখন أية হইয়াছে।

প্রসিদ্ধ ব্যাকরণবিদ কাসাইর মতে أية শব্দটি মূলত اممْةٌ ওযনে أيَيَةٌ ছিল। উচ্চারণের সুবিধার্থে প্রথম ‘ইয়া’কে আলিফে পরিবর্তন করিয়া দুই আলিফের সমন্বয়ের কারণে এক আলিফ বাদ দেওয়া হইয়াছে। এইভাবে أيَيَةٌ শব্দ অবশেষে أية  হইয়াছে।

খ্যাতনামা ব্যাকরণবিদ ফার্রার মতে أية শব্দটির মূলত أيَيَةٌ  ছিল। তাশদীদযুক্ত ‘ইয়া’ উচ্চারণে জটিলতার কারণে লুপ্ত হইয়া اية হইয়াছে। শব্দের বহুবচনে اياى -ايات -اى ব্যবহৃত হয়।

كلمة -এর অর্থ হইতেছে শব্দ। উহা দুই বা ততোধিক অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত হয় ৷ শব্দের সর্বোচ্চ অক্ষর সংখ্যা হল দশ। দুই অক্ষরে গঠিত শব্দের উদাহরণ হইল ما ও لا এবং দশ অক্ষরের শব্দের উদাহরণ হইলঃ

لَيَسْتَخْلفَتُهُمْ ও أَنْلْرْمُكُمُوْهًَا কিংবা فَأسْقَيْنَاكُمُوْهُ একটি মাত্র শব্দ কখনো একটি আয়াত হয়। যেমন وَالْعَصَرٍ ‏ والضحى ‏ وَالْفَجَْرٍ ইত্যাদি।

কূফার ব্যাকরণবিদদের মতে حم – يلس – طه – الم প্রভৃতির প্রত্যেকটি এক একটি আয়াত। তাহারা এমনকি حلم ও عسق -কে দুইটি পৃথক আয়াত মনে করেন। অন্যান্য ব্যাকরণবেত্তাদের মতে শেষোক্ত শব্দগুলি আয়াত নহে; বরং সূরার পূর্বে অবস্থিত অক্ষর সমষ্টি মাত্র।

আবূ আমর আদ্দানী বলেনঃ সূরা আর-রহমানের অন্তর্গত مدْهامٌّنَان শব্দটি ভিন্ন অন্য কোন শব্দ আয়াতের মর্যাদা পাইয়াছে বলিয়া আমার জানা নাই।

কুরতুবী বলেন, বিশেষজ্ঞগণের সর্বসম্মত অভিমত এই যে, কুরআন মজীদে অনারবীয় ভাষার ব্যাকরণের নিয়মে একাধিক শব্দের সমাবেশ ও বিন্যাস নাই। তবে আরবীতে অনারবীয় কিছু নামবাচক বিশেষ্য রহিয়াছে। যেমন- لوط نوح ‏ ابر اهيم ইত্যাদি। এই তিন শব্দ ভিন্ন অন্য কোন অনারবীয় শব্দ আরবীতে আছে কিনা তাহা লইয়া বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। ইমাম বাকিল্লানী ও ইমাম তাবারীর মতে আরবীতে উহা ভিন্ন অন্য কোন আজমী শব্দ নাই। তাঁহাদের মতে উহা ছাড়া যেসব শব্দ কুরআন মজীদে আজমী বলিয়া চিহ্নিত হইতেছে, মূলত উহা আরব-আজম উভয় অঞ্চলেই ব্যবহৃত হয়।

error: Content is protected !!