“আমি বিশ্বাস করি না যে, প্রেমের যে রহস্যময়তা রয়েছে যুগের পর যুগ ধরে, কালের পর কাল ধরে, তা কোনও বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার দ্বারা, (a + b)2-এর ফর্মুলার দ্বারা ব্যাখ্যা করা সম্ভব।” এই বক্তব্য বাংলা নাট্যজগতের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব চন্দন সেনের।
‘প্রেম’ নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বা মূল্যবোধ প্রতিনিয়ত ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হচ্ছে। মূল্যবোধ ব্যাপারটাই পরিবর্তনশীল। এক সময় বাঙালি হিন্দুরা মনে করতেন, সহমরণ একটা মহান কিছু, একটা গর্ব করার মত ব্যাপার। এক সময় হিন্দু বিধবা কদমছাঁট চুল রাখতেন। থান পরতেন। গয়না পরার প্রশ্নই ছিল না। নিরামিষ খেতেন। আমরা এটাই বিধবার আদর্শ ভাবতাম। এক সময় বনেদী ধনী পরিবারের বধূরা স্বামীর রক্ষিতা-সংখ্যা বাড়লে গর্ব অনুভব করতেন। এইসব প্রাচীন মূল্যবোধকে ত্যাগ করেছে মানুষ। কারণ খারাপ মনে করেছে, তাই ত্যাগ করেছে। নতুন মূল্যবোধ গড়ে উঠেছে, লাগাতার চিন্তা-ভাবনার ফসল হিসেবে। আরও একটু স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, সমাজের এগিয়ে থাকা মানুষদের চিন্তা- ভাবনার ফসল হিসেবেই সমাজে নতুন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়।
আমার স্কুল-কলেজের জীবনে দেখেছি, বন্ধুরা প্রেমে পড়তো। পরিচিতা মেয়েরাও প্রেমে পড়তো। ‘প্রেমে পড়া’ শব্দটা আমরা ব্যবহার করতাম। এখনও শব্দটা বহুল- ব্যবহৃত। ‘বন্ধুত্বে পড়েছে’ শব্দটা ব্যবহৃত হতে শুনেছেন? না শোনেননি। বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে, ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। প্রেমে পড়াটা তেমনভাবে গড়ে উঠতো না, এখনও গড়ে ওঠে না। আমাদের সময় অনেকেই একটি মেয়েকে দেখেই প্রেমে পড়ে যেতো। তাকে শুধু দেখবে বলে সাইকেলে চক্কর-কাটা, জানালার দিকে চোখ রেখে দীর্ঘ প্রতীক্ষা—কখন শাড়ির আঁচলটা একটু দেখা যাবে। এমন গভীর প্রেমে মগ্ন প্রেমিক দেখেছি, যে একবারের জন্যে প্রেমিকার সঙ্গে কথা না বলেই একতরফা প্রেমিক ।
সে ‘সময় ‘প্রেম’ ছিল হঠাৎ হানাদার। হঠাৎ করেই হানা দিত মনে ।
কার চোখে কে যে কখন দিলীপকুমার বা মধুবালা হয়ে উঠবে,
আগাম বলা ছিল অসম্ভব। ওইসব হিজিবিজি
আবেগকে ‘প্রেম’ মনে করতাম ভেবে
এখন লজ্জা পাই।
কিন্তু তারপরও বলতে হচ্ছে, তখন ওইসব প্রেমে পড়ার মধ্যেও একটা প্রচলিত ছাঁচ ছিল। একটা ব্যাকরণ ছিল। একটা যুক্তি-শৃঙ্খলা ছিল। সেইসব ছেলে-মেয়েরাই এমন দুম-দাম প্রেমে পড়তো, যাদের ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ার সুযোগ ছিল না। এই সুযোগের অভাবে নারীর কাছে পুরুষ ও পুরুষের কাছে নারী ছিল রহস্যময় জগতের মানুষ। একটু তাকানো, বা একটা চিঠি এতই উত্তেজনার সৃষ্টি করতো যে, অনেক সময় রাতের ঘুমটুকুকে পর্যন্ত বিদায় দিতে হতো। অন্ধকার রাতে চোখ ঘরের ছাতের দিকে মেলে শুধু প্রেমের রাজ্যে বিচরণ। প্রেমের কষ্ট ছিল রোমান্টিক ব্যাপার। আমার এক কলেজের বন্ধু আত্মহত্যা করেছিল, প্রেমিকার বিয়ে আটকাতে পারছে না বলে। বন্ধু তার প্রেমিকার সঙ্গে রেলগাড়ির তলায় ঝাঁপিয়ে ছিল। অথচ দু’জনের প্রেমটা ছিল সর্বগ্রাসী। প্রেমিকা কোনও তরুণের সঙ্গে কথা বললে বন্ধুটি সহ্য করতে পারতো না। বন্ধুটি কোনও মেয়ের সঙ্গে কথা বললে বরদাস্ত করতে পারতো না তার প্রেমিকা। আজ বুঝি, ওদের মধ্যে কোনও প্রেম ছিল না, ছিল আবেগ। এত অবিশ্বাসের মধ্য দিয়ে কখনই বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে পারে না। প্রেমের ক্ষেত্রে ‘বন্ধুত্ব’ হল আবশ্যিক ও প্রাথমিক শর্ত। আজ এ’সব ভাবি, সে’দিন এমনটা ভাবতাম না। এ’সব-ই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধ পরিবর্তনের ফল।
আজ যে সব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বের
সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, স্বাভাবিকভাবে মেলা-মেশা করছে, তারা
হঠাৎ করে প্রেমে পড়ার মত অস্বাভাবিক
আচরণ করে না।
যাকে চিনলাম না, জানলাম না, বন্ধুত্ব-ই গড়ে উঠলো না, তার প্রেমে পড়লে সেখানেও একটা ছক বাঁধা ব্যাপার থাকে। যার প্রেমে পড়েছি, তাকে প্রেমে ফেলার জন্য নিজেকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করে দেখাবার চেষ্টাও থাকবে। আমাদের যুক্তিবোধই এ’সব শেখায়, এ’ভাবেই পটাতে হয়।
পত্রিকায় মাঝে-মাঝেই পড়ি—প্রেমিকাকে খুন করেছে ব্যর্থ প্রেমিক। এখানে ‘প্রেম’ শব্দটা এলো কেন? বুঝলাম না। আমাদের অনেকের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সব পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে শেষ দিন পর্যন্ত সম্পর্ক থাকে না। কখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, কখনও ভুল বোঝাবুঝি, কখনও বা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা রুচির পার্থক্যের জন্য বন্ধুরা হারিয়ে যায়। এই বন্ধু বিচ্ছেদ হলে আমরা যদি বন্ধুকে খুন করি— সেটা কতটা মানবিক হবে? এখনও দেখি, প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন হলে, অনেকে বলেন, “ঠিক হয়েছে।” এমন খবরও কাগজে পড়েছি, প্রেমিকার কাছে পাত্তা না পেয়ে অভিমানে ব্যর্থ প্রেমিক আত্মহত্যা করেছে। উত্তেজিত প্রতিবেশীরা প্রেমিকার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, মারধর করেছে। বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ ঘটলে কেন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে না? এইসব আত্মহননকারী দেবদাস মার্কা চরিত্রগুলো সিনেমা সাহিত্যের আবেগে কাঁপা অপদার্থ। নারী-পুরুষ সম্পর্ক নিয়ে বোধের অভাবে হামলাকারীরা এমন হিস্টিরিক হয়েছে।
এমন অনেককে জানি, যাঁরা বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও দেখা হলে কথা বলেন, সৌজন্য বিনিময় করেন। এই যে মূল্যবোধের পার্থক্য, এটা একটা হয়ে ওঠার ব্যাপার । দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠার ব্যাপার। এই যে দু’ধরনের মূল্যবোধ গড়ে উঠেছে, একেও যুক্তি দিয়েই আমরা ব্যাখ্যা করতে পারি। দুই মূল্যবোধ গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে দু’ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশের প্রভাব।
শিল্পী-সাহিত্যিকদের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ—এঁদের অনেকেই বিয়ের পরও অন্য নারী বা পুরুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন বা বহুজনের সঙ্গে ‘অনৈতিক’ সম্পর্ক রাখেন। অনেকে মনে করেন—এটা হল বুদ্ধিজীবীদের বজ্জাতি। এর পিছনেও কিন্তু কারণ থাকে। এমন হতে পারে, শিল্পী যখন বিয়ে করেছিলেন, তখন ছিলেন অপরিণতমনস্ক, প্রতিভা তখনও বিকশিত হয়নি। একটু একটু করে প্রতিভা ও মননের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পেরেছেন তাঁর জীবনে আসা মানুষটির সঙ্গে গড়ে উঠছে একটা পার্থক্য। এটা মননের পার্থক্য, সাংস্কৃতিক চেতনার পার্থক্য । এমন সময় সমমনস্ক, মননশীল কারও সঙ্গে পরিচয়, ঘনিষ্ঠতা, বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠতে-ই পারে। বহু শিল্পী-সাহিত্যিকের জীবনে এমনটা ঘটেছে। এটাকে ফর্মুলা বললে ফর্মুলা। প্রতিভাধরদের গুণমুগ্ধের অভাব হয় না। এইসব গুণমুগ্ধদের অনেকে ক্ষণিকের নিকট সম্পর্ক গড়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বা সহযোগিতা করেন। আবার ক্ষমতার সুযোগ নিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ার মত শিল্পী সাহিত্যিকও আমাদের সমাজে আছেন। শেষেরটির বেলায় সাধারণভাবে একটা দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে সম্পর্ক।
এই সম্পর্কগুলোর ক্ষেত্রে কোন সম্পর্ক আমাদের সহানুভূতি কুড়োবে, কোন সম্পর্ককে আমরা আঁস্তাকুড়ে ফেলবো, সেটা আমাদের মূল্যবোধের ব্যাপার। কোটিকে ‘প্রেম’ বলবো, কোনটিকে ‘বজ্জাতি’—সেটা বিচারের ভার পাঠক- পাঠিকাদের যুক্তিবুদ্ধির কাছে তুলে দিলাম।
এখন এ’টুকু আমরা নিশ্চয়ই বলতে পারি, বিজ্ঞানমনস্কতা (যার আর এক নাম যুক্তিবাদ) দিয়েই আমরা প্রেমের যে কোনও রহস্য ও রসায়ন ভেদ করতে পারি।
কবি কৃষ্ণা বসুর বাড়িতে রবিবারের সকালের এক আড্ডায় আমাকে পেড়ে ফেলতে এক তরুণ কবি প্রশ্ন ছুড়লেন, “জয় গোস্বামীর কবিতা, বা বিকাশ ভট্টাচার্যের পেইনটিং, এই যে অসাধারণ সব শিল্পসৃষ্টি, একে কি আপনি যুক্তি দিয়ে আদৌ ব্যাখ্যা করতে পারেন ?”
আমি মুখ খোলার আগে কৃষ্ণা বললেন,
“একটা পরিশীলনের মধ্যে দিয়ে, একটা চর্চা ও যুক্তিবিন্যস্ত পদ্ধতির
মধ্যে দিয়ে যে কোনও শিল্পের দক্ষতায় পৌঁছতে হয়। কবিতা,
সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতির সর্বক্ষেত্রে এ কথা প্রযোজ্য
বলে গভীরভাবেই মনে করি।”
এত সুন্দর করে বোঝানোর পর আমার আর কিছু বলার নেই।
সমকালীন যুক্তিবাদ’ (Contemporary Rationalism)
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ (Contemporary Rationalism) প্রথমত একটা দর্শন। দ্বিতীয়ত একটা খণ্ডিত দর্শন নয়, সম্পূর্ণ দর্শন। তৃতীয়ত চিরকালীন, চির আধুনিক দর্শন। কারণ এই দর্শন ‘সমকালীন দর্শন’, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পা মিলিয়ে এগোয়। শিখতে শিখতে পাল্টায়, পাল্টাতে পাল্টাতে শেখে।
আমরা ইতিমধ্যে নানা প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় গিয়েছি। বুঝেছি যুক্তির পথ ধরে-ই সব কিছুকে ঠিকঠাক বোঝা সম্ভব, দেখা সম্ভব। যুক্তিই আমাদের খোঁজ দেয় ইন্দ্রিয়ের নানা ভ্রান্তির, কার্য-কারণ সম্পর্কের। বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে, সমাজের বিবর্তনের প্রতিটি স্তরে আমাদের যুক্তিবোধ পাল্টায়, পাল্টায় নীতিবোধ। যুক্তিবাদ একটি অনড়দর্শন নয়। যুক্তিবাদ শিখতে শিখতে পাল্টায়, পাল্টাতে পাল্টাতে শেখে ৷
‘দর্শন’ হল জীবন ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে দেখার পদ্ধতি, দৃষ্টিভঙ্গি। যুক্তিবাদ এমন-ই এক দৃষ্টিভঙ্গি যার সাহায্যে আমরা জীবন ও বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সব কিছুকেই দেখতে পাই, বুঝতে পারি। এগিয়ে থাকা মানুষরা যুক্তিবাদকে ‘দর্শন’ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সমাজ বিবর্তনের শেষ পর্যন্ত অনিবার্য অগ্রগতির কথা মাথায় রাখলে বলতে হয়, যুক্তিবাদের এই স্বীকৃতি অনিবার্য ছিল।
যুক্তিবাদ দর্শনের অন্যতম প্রধান নীতি হল, পরীক্ষা পর্যবেক্ষণের পরই আমাদের সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত। কোনও কিছুকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেওয়ার অর্থ— আত্মবিনাশের পথ পরিষ্কার করা।
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ (Contemporary Rationalism) তর্কশাস্ত্র’ (Ligic) নয়। এতদিনকার পাশ্চাত্য চিন্তার দ্বারা সংজ্ঞায়িত ‘যুক্তিবাদ’ (Rationalism) বা ‘নয়া যুক্তিবাদ’ (New Rationalism) নয়। ‘যুক্তিবাদ’ ও ‘নয়া যুক্তিবাদ’-এর সঙ্গে বাড়তি কিছু। (আমরা একটু পরেই ‘তর্কশাস্ত্র’ পাশ্চাত্ব্যের ‘যুক্তিবাদ’ ও ‘নয়া যুক্তিবাদ’ নিয়ে যখন আলোচনায় যাব, তখন বিষয়গুলো ও পার্থক্যগুলো পরিষ্কার হবে।) ‘নব্য যুক্তিবাদ’ হলো ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’-এর আগের ধাপ। ‘নব্য যুক্তিবাদ’-এর সীমাবদ্ধতা আছে। সীমাবদ্ধতার কারণে এই মতবাদ শেষ পর্যন্ত সমস্ত কিছুকে দেখা ও বিশ্লেষণ করার দর্শন-ই হয়ে উঠতে পারেনি, ‘দর্শন’ হিসেবে সর্বকালের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া তো দূরের কথা।
যুক্তিবাদী সমিতির কলকাতার স্টাডি ক্লাসের একটি সন্ধ্যা। ‘ভারতের মানবতাবাদী সমিতি’র (Humanists’ Association of India) সাধারণ সম্পাদক সুমিত্ৰা বক্তব্য রাখছিলেন। বিষয়-যুক্তিবাদ। কথাগুলো ভালো লেগেছিল। তাই এখানে তুলে দিলাম—
‘যুক্তিবাদ’ ছিল, আছে, থাকবে। যেমন ‘বিজ্ঞান’ ছিল, আছে, থাকবে। যুক্তিবাদের আরেক নাম তাই বিজ্ঞানমনস্কতা। নিউটন মাধ্যাকর্ষণ আবিষ্কার করার আগেও গাছ থেকে আপেল পড়ত। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি ছিল। মানুষ শুধু তাকে আবিষ্কার করেছে। তাকে সূত্রবদ্ধ করেছে। তার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। প্রয়োজনে তাকে কাজে লাগিয়েছে। প্রতিটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ক্ষেত্রেই এ কথা প্রযোজ্য। ঠিক তেমনই যখন গুহামানব প্রথম আগুন জ্বালতে শিখল, চাষ করতে শিখল, নিজের প্রয়োজনে পশুপালন করতে শুরু করল, তখন থেকেই তো, সভ্যতার সেই প্রথম লগ্ন থেকেই তো যুক্তিবাদের জয় দেখতে পাচ্ছি।
এখন এই ধর্মোন্মাদনার যুগে শুধু আমরা ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’-কে একটা বিষয় হিসাবে, একটা সর্বাঙ্গীণ দৃষ্টিভঙ্গি বা দর্শন হিসাবে বুঝতে চাইছি। এবং বোঝাতে চাইছি—যার কোনও বিকল্প নেই। ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ চিরকাল-ই সমকালীন, চিরকাল-ই আধুনিক বিশ্ব-নিরীক্ষণ পদ্ধতি ।
“অলৌকিক নয়,লৌকিক- ৫ম খন্ড ” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ
অধ্যায়ঃ এক
ধর্মঃ সংজ্ঞায় গোলমাল
অধ্যায়ঃ দুই
উপাসনা ধর্মঃ প্রাচীন মত
♦ উপাসনা- ধর্মের (religion) উৎপত্তি
♦ একঃ দৈব-প্রত্যাদেশ বা অপৌরুষেয় প্রত্যাদেশ
♦ দুইঃ ঈশ্বরে বিশ্বাস; সহজাত প্রবৃত্তি
♦ তিনঃ ধর্মীয় আচরণ বাদে ঈশ্বর বিশ্বাস
♦ আধুনিক নাস্তিক্যবাদ ‘মার্কসবাদ’
অধ্যায়ঃ তিন
‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ নাস্তিক্যবাদের সঙ্গে বাড়তি কিছু
♦ ‘সমকালীন যুক্তিবাদ’ চির নতুন
♦ তোমার আমার দুই চেতনার ভালো-খারাপ
♦ মারাদোনার পায়ের জাদু ও যুক্তিবাদ
♦ প্রেমের রহস্যময়তা ও যুক্তিবাদ
♦ ‘ঈশ্বরে বিশ্বাস’, ‘বিজ্ঞানের বিশ্বাস’ : আকাশ-পাতাল
অধ্যায়ঃ চার
উপাসনা ধর্মঃ আধুনিক মত
♦ উপাসনা-ধর্ম : নৃতত্ত্ব ও সমাজতত্ত্বের দৃষ্টিতে
অধ্যায়ঃ পাঁচ
ভারতবর্ষের জাদু সংস্কৃতি
♦ আদিম উপজাতি, আধুনিক উপজাতিঃ একই কথা
♦ ধর্মীয় জাদু বিশ্বাস ও ম্যাজিক শোঃ দুই পৃথিবী
অধ্যায়ঃ ছয়
তন্ত্রের প্রথম ধাপ যোগ, তারপর…
অধ্যায়ঃ সাত
বৈদিক সাহিত্য, জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞে যৌনাচার
♦ সত্য খোঁজে মুক্তমন, হিসেব কষে ভন্ড
♦ বৈদিক সাহিত্যের গপ্পো ও দুই ডাক্তার
♦ বৈদিক সাহিত্যে জাদু-বিশ্বাস, যজ্ঞের নামে যৌনাচার
অধ্যায়ঃ আট
হিন্দু উপাসনা-ধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ নয়
শক্তিধর্মে তন্ত্র
অধ্যায়ঃ দশ
রেইকি গ্রাণ্ডমাষ্টার, ফেং শুই ক্ষমতার দাবিদার, জ্যোতিষী ও অলৌকিক ক্ষমতার দাবিদারদের প্রতি