লেখক মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মহান মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে যাওয়া মানে মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়া। মুক্তিযুদ্ধের সময় নবম শ্রেণীর ছাত্র হয়েও লেখক যুদ্ধ করে আমাদের দেশ স্বাধীন করেছেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি আমাদের অহংকার, আমাদের গর্ব। সম্ভবত তিনিই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা যার প্রবাসী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দেয়া সনদ “মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে” সংরক্ষিত আছে । ব্রিগেডিয়ার আমীন আহাম্মেদ চৌধুরী ১৯৮৮ সালে ভারত সরকার-এর কাছ থেকে ‘৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা সংগ্রহ করে এবং পরবর্তী পর্যায়ে সেনানিবাস (ক্যান্টনমেন্ট) এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে মুক্তিযোদ্ধার যে তালিকা সংরক্ষিত হয় ভারতীয় সেই তালিকার ১নং ভলিউম-এর ৪৬২ নং নামটি লেখকের । তার পরবর্তী পর্যায়ে ১৯৯৮/৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দপ্তরে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) ঐতালিকার ১টি সংরক্ষণ করেন এবং এই ভারতীয় তালিকা অনুযায়ী দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রতিস্বাক্ষর করে মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রতি স্বাক্ষরকৃত ০৪২৭৬ নং মুক্তিযোদ্ধা সনদটি লেখকের।
লেখক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার প্রতিবাদে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধক্ষেত্রে বন্দী হন। কারাবরণ করেন।
১৯৮১ সালের ১৭ই মে শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর লেখক শেখ হাসিনার অলিখিত কনসালটেন্ট থাকেন। লেখকের স্ত্রী নাজমা আক্তারী ময়না ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত প্রায় ৯ বছর শেখ হাসিনার অবৈতনিক হাউজ সেক্রেটারী থাকেন।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারী ভাবে লেখক এবং তার স্ত্রীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। লেখক ও তার স্ত্রী আইনজীবী ছাড়া নিজেরাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঐ অবাঞ্ছিত ঘোষণা বে-আইনী দাবী করে হাইকোর্টে মামলা করেন।
১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে লেখক রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ‘৭১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দীর্ঘ ২৭/২৮ বছর তিনি রাজনীতির সাথে সরাসরি ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছেন। ২৭/২৮ বছরের বাংলাদেশের রাজনীতির নেপথ্যের অনেক কাহিনী লেখকের জানা আছে এবং এই দীর্ঘ সময়ের অনেক নেপথ্য কাহিনীর সাথে লেখক নিজেই জড়িত । ২৭/২৮ বছরের রাজনীতির নেপথ্যের কাহিনীর উপরই ভিত্তি করে “আমার ফাঁসি চাই” গ্রন্থটি রচিত।
বিশেষত ‘৮১ সালের ১৭ই মে শেখ হাসিনা দেশে আসার পর থেকে ‘৯৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতির নেপথ্যের অনেক কাহিনী লেখক তার এই গ্রন্থে ফাঁস করে দিয়েছেন।
এ কথা নিশ্চিত বলা যায় যে, “আমার ফাঁসি চাই” বইটি পড়লে যে কেউ বিশেষত তরুণ- যুবক-ছাত্র সম্প্রদায় রাজনৈতিক প্রতারণার হাত থেকে বেঁচে যাবেন।
-স্বর্ণলতা ও বনলতা, প্ৰকাশক
“আমার ফাঁসি চাই” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ