আইভান পাভলভের (Ivan Pavlov) মনোবিজ্ঞান-তত্ত্বে আস্থাশীলেরা মনে করেন, মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষের বিশেষ কয়েকটা ‘ছক’ বা ‘টাইপ’ আছে।
এই ছক বা ‘টাইপ’ বুঝতে গেলে আগে বুঝতে হবে মস্তিষ্ককোষের স্নায়ুক্রিয়ার ‘ধর্ম’। স্নাযুক্রিয়ার ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য তিনটি। (১) শক্তি (Strength), (২) গতিময়তা (mobility) ও (৩) ভারসাম্য (balance)।
‘শক্তি’ হলো মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষের সহ্য করার ক্ষমতা। মাফিয়া ডন আবু সালেম আর বেলেঘাটার স্টেশনারি দোকানের কর্মী জীতেনের মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের সহা ক্ষমতা সমান নয়। টাডা কোর্ট, সি বি আই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরার পরও আবু সালেমের মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষ সতেজ, একই রকম কর্মক্ষম।
আর জীতেন? পোলিও রোগী। শান্ত, সরল তার দোকানের উল্টোদিকের এক প্রাসাদ বাসিনীর এক তরফা প্রেমে পড়লো। মেয়েটি ব্যবসা করেন। আর মাস গেলে আয় তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার। মাঝে-মধ্যে এটা-সেটা কিনতে জীতেনের দোকানে আসেন। জীতেনের পোলিও রোগ এবং সুন্দর ব্যবহারের কারণে জীতেনের প্রতি করুণা ও সহানুভূতি আছে। জীতেনকে জীতু’দা বলে সম্বোধন করেন। ভালো ব্যবহারের করেন। এই করুণাকেই ভালোবাসা বলে ধরে নিল জীতেন। জীতেনের মাস মাইনে সাত শো। থাকে খালপারের বস্তিতে। প্রেমের কথা মেয়েটিকে জানাতে পারেনি কোনও দিন। কিন্তু ওর দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েটি ওকে ভালোবাসে। জীতেন এখন মানসিক রোগী। বিষয়টা এভাবে বিশ্লেষণ করা যায়—জীতেনের দুর্বল টাইপের মস্তিষ্ক। সহ্য ক্ষমতা খুব-ই দুর্বল। ফলে তার মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। সাদা-মাটা কথায় পাগল।
‘গতিময়তা’ হলো মস্তিষ্ক কোষের সেই গুণ, যা থাকলে একটি মানুষ দ্রুত একটি থেকে আরও একটি বিষয়ে মনোসংযোগ করতে পারে। এ দেশের রাজনীতিকদের দিকে তাকান। এদের বেশিরভাগ-ই একই সঙ্গে সাংসদ, বিধায়ক অথবা মন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন। পাবলিক রিলেশন, ক্যাডার রিলেশন, তাঁর এরিয়ায় ব্যক্তিগত ও দলীয় প্রভাব বাড়াতে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম কাজ, ম্যাসলম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ, তোলা আদায়ের ভাগ নেওয়া, ক্যাডারদের খুশি রাখতে স্কুল-কলেজ হাসপাতালে অ্যাডমিশনের ব্যবস্থা করা। খেলার জগতে কোনও দিন পা না রেখেও খেলার সর্বময়-কর্তা হতে হয়। স্টেডিয়ামে মাঝে মধ্যে ফাংশন করতে হয়। মুম্বাই-চেন্নাই-কলকাতার সিনেমার স্টার-মেগাস্টার ও গায়ক-গায়িকা, নাচক-নাচিকাদের ধরে আনতে হয়। এমনি হাজারো ঝক্কি-ঝামেলা সামলে বই লেখেন, নাটক করেন ইত্যাদি, ইত্যাদি। এঁদের মস্তিষ্ক কোষের গতিময়তা সাধারণ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। বড় ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, বহুজাতিক সংস্থার বড় এক্সিকিউটিভ থেকে দাউদ, তেলগির মতো অপরাধ জগতের বাদশাদেরও মস্তিষ্ককোষের গতিময়তা খুব-ই বেশি।
সব মস্তিষ্কের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা সমান নয়। কেউ আবেগে গা ভাসান, উত্তেজনায় মাত্রাবোধ হারান, দুঃখে ভেঙে পড়েন, নিস্তেজনার শিকার হয়ে পড়েন। একমাত্র সন্তানের মৃত্যুতে বা প্রেমে ব্যর্থতায় মানসিক ভারসাম্য হারানো মানুষের সংখ্যা কম নয়। আবার আনন্দের আতিশয্যে আবেগতাড়িত মানুষও আমরা দেখেছি। দেশের ফুটবল টিমের জয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে সমর্থকরা এলোপাথারি গুলি চালিয়েছে, দুরন্ত বেগে মোটর চালিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেছে। ওদের আনন্দের আতিশয্যে মরেছে বহু মানুষ। ওদের সবার-ই মস্তিষ্কের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা কম।
শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর স্বপ্ন ছিল পুত্র সঞ্জয়কে নিয়ে। তাঁকেই দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের গদিতে বসাবার চিন্তায় যখন মশগুল, তখন-ই সঞ্জয়ের মৃত্যু হল। এত বড় আঘাতের পরও শ্রীমতি গান্ধী শ্রীমতি গান্ধী-ই ছিলেন। তাঁর মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতা ছিল অসম্ভব রকমের বেশি।
মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষের এই তিন ‘ধর্ম’ বা বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণে তৈরি হয় বিভিন্ন টাইপ বা ছকের। এই টাইপ বা ছককে প্রধান চারটি ভাগে ভাগ করেছেন পাভলভ। (১) মেলানকলিক (Melancholic), (২) কোলেরিক (Choleric), (৩) ফ্লোগমাটিক (Phlegmatic) ও (৪) সাংগুইন ( Sanguine) ।
মেলানকলিক বা বিষাদগ্রস্ত টাইপ। ব্যাঙ্কের কেরানি বিনোদবাবু। ঘষটে স্কুল ফাইনাল পাশ করতেই কাকা ব্যাঙ্কে কেরানি পদে ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। কাজে প্রচুর ভুল করেন। চুরি না করলে ব্যাঙ্কের চাকরি যায় না। বিনোদবাবুরও যায়নি। ভালো মাইনে। ব্যাঙ্ক লোনে বাড়ি করেছেন। বিয়ে করেছেন। সংসার বলতে বউ আর ছেলে। ব্যাঙ্ক কো-অপারেটিভে বাড়ি না করলেই ভালো হতো—এটা প্রতিদিনই মনে হয় বিনোদবাবুর। অফিসে যাঁদের কাছে অবজ্ঞার পাত্র হয়ে থাকতে হয়, অফিসের পর বাড়ি ফিরে আবার তাদের মুখ-ই দেখতে হয় । মনটা সব সময় বিষণ্ণ। বাড়ি থেকে অফিস, অফিস থেকে বাড়ি -সব সময় মন খারাপ।
কেমন আছেন? জিজ্ঞেস করলে একটাই উত্তর, ‘আর….চলছে, জিনিসপত্রের যা দাম? বাড়িতে অসুখ-বিসুখ লেগেই আছে। ভালো আর কোথায়? ভালো থাকার উপায় আছে?
লাগাতার বিষণ্ণতা এসেছে অফিসের কাজে আত্মবিশ্বাসের অভাব থেকে। লাগাতর বিষণ্ণতা থেকে এসেছে সব কাজেই আত্মবিশ্বাসের অভাব। প্যারেন্টস মিটিং-এ ডাক পড়লে কী করবেন, কী বলবেন ঠিক করতে না পেরে ছেলের সহপাঠীদের মা-বাবার কাছে দৌড়ে বেড়ান। ক্লাশটিচারের রুমে ঢোকার আগে অন্তত একবার টয়লেটে ঢুকতেই হয়। পরিবেশের সামান্য চাপেই বিনোদ উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ফলে সহকর্মীদের কাছে বিনোদ ‘খোরাক’।
বিনোদ ‘মেলানকলিক’ টাইপের একটি উদাহরণ। ছা-পোষা আত্মবিশ্বাসহীন, মধ্যবিত্ত মানসিকতার মানুষদের মধ্যে এই ধরনের টাইপ বেশি দেখা যায়।
কোলেরিক অসুহিষ্ণু টাইপ। এরা অতিমাত্রায় উৎসাহী, অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী, অসহিষ্ণু, প্রাণশক্তি টগবগ করে ফুটছে। অস্থিরমতি, অসংযত, হঠকারি, ডিক্টেটর মানসিকতা থেকে বে-হিসেবি ঝুঁকি নিতে পারে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রবল। হিটলার থেকে ইন্দিরা গান্ধী কোলেরিক টাইপের সুন্দর উদাহরণ।
ফ্লোগমাটিক বা শান্ত, ধীর টাইপের মানুষরা অচঞ্চল, অধ্যবসায়ী, আঘাত সহ্য করতে পারেন উদাসীনতার সঙ্গে। এঁরা অক্লান্ত পরিশ্রমে। ধীর-স্থির। ভেবে চিন্তে কাজ করেন। গভীর গবেষণায় আন্তরিকতার সঙ্গে দীর্ঘকাল লেগে থাকতে পারেন । বিফল হলেও ভেঙে পড়েন না। নতুন করে আবার কাজে মনোসংযোগ করেন। আবার কাজে মনসংযোগ করেন। গবেষক, দার্শনিক ও চিন্তাবিদরা এই টাইপের স্নায়ুতন্ত্রের অধিকারী।
‘স্যংগুইন’ বা ‘প্রত্যয়ী’ টাইপ মানুষরা একই সঙ্গে অনেক ধরনের কাজে মন বসাতে পারে। দ্রুত এক বিষয় থেকে আর একটি বিষয়ে গভীরভাবে মনসংযোগ করতে পারে। রেগে গেলেও বাইরে প্রকাশ করে না। আনন্দে সংযত থাকতে পারে। দ্রুত বিচার করার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এইসব গুণের সমাহার সাধারণভাবে একজন প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিকদের মধ্যে তাকে।
* মস্তিষ্কের বিশেষ ধর্মের এই যে চারটি শ্রেণি বিভাজন বা টাইপ বিভাজন করেছিলেন পাভলভ, তাকে চূড়ান্ত বা অভ্রান্ত ধরে নিলে ভুল হবে।
কুড়ি বছর আগে ‘অলৌলিক নয়, লৌকিক’ গ্রন্থের প্রথম খণ্ডে পাভলভের এমন বিভাজনের পক্ষে মত পোষণ করেছিলাম। সেটাকে সর্বশেষ তত্ত্ব ধরে নিয়ে। মনে রাখতে হবে—একজন যুক্তিবাদী সর্বশেষ সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে কোনও মত প্রকাশ করেন। পরবর্তী কালে ঈশ্বরের অস্তিত্ব, জ্যোতিষশাস্ত্রের অভ্রান্ততা অথবা ঘোড়ার ডিমের অস্তিত্বও তো প্রমাণ হতে পারে, এমন নির্বোধ ভাবনার দ্বারা পরিচালিত হন না।
এক সময় ফ্রয়েডের তথ্য বিশ্বকে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছিল। কিন্তু আজ সিগমুন্ড ফ্রয়েড (Sigmund Freud)-এর অতি যৌনতা (Pan-sexualism) তত্ত্ব বাতিল হয়ে গেছে। তাঁর তত্ত্ব এখন স্থান পেয়েছে মনোবিজ্ঞানে নয়, মনোবিজ্ঞানের ইতিহাসে।
সর্বশেষ পাওয়া তত্ত্ব ও তথ্যের ভিত্তিতে একটা বলতেই পারি -পাভলভের করা মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষের ‘টাইপ’ অনুসারে এক একটা মানুষকে এক একটা খোপে ঢুকিয়ে দিলে ভুল হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ (১) মানুষের জীবনের উত্থান-পতন, পরিবর্তিত পরিবেশ সব-ই তার টাইপ’ বা ছক পাল্টে দিতে পারে। (২) এক একটি ঘটনাও মস্তিষ্ক স্নায়ুকোষকে সাময়িকভাবে পাল্টে দিতে পারে, যাতে আপনার ‘টাইপ’ ক্যালকুলেশন ভুল হবে। ২০০৪-এর নভেম্বরে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার এক দিনের ক্রিকেট ম্যাচের কথা ভাবুন। সৌরভ টিম থেকে বাদ। দল নির্বাচক থেকে কোচ সবাই মনে করছেন সৌরভের বর্তমান ফর্ম খারাপ । বাঙালিদের আবেগ সেই বাস্তবতা মানতে নারাজ। ফলে তারা নির্ভেজাল সৌরভ প্রেমে ও বাঙালি প্রেমে মাতোয়ারা হলেন। খাঁটি বাঙালিত্ব তাঁদের খাঁটি সাম্প্রদায়িক করে তুললো। ভারতীয় দলকে হারাতে কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন পিচ নির্মাণের দায়িত্বে থাকা মানুষটি থেকে সিনেমা স্টার, মন্ত্রী থেকে দর্শক ‘বিশুদ্ধ’ বাঙালিরা। ভারতীয় ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে গলা ফাটালেন, ভারতীয় ক্রিকেটার দিকে জুতো দেখালেন। এঁরা কারা? ‘কোলারিক’ টাইপের ‘অসহিষ্ণু’ ‘অসংযত’ মানুষ । (৩) পাভলভ যে সময় মানুষের মস্তিষ্ক-স্নায়ুকোষকে চারটি টাইপে ভাগ করেছিলেন, সময়টা সেখানে আটকে নেই। যে সমাজে যত বেশি জটিলতা দেখা দেবে, ততই আরও বহু ও বিচিত্র সব টাইপের উদ্ভব হতে থাকবে। (৪) মানসিকতা, আচরণ, ব্যক্তিত্ব পাল্টাতে অনেকেই ‘বিহেবিয়ারাল থেরাপি’ ( Behavioural Therapy), গ্রুপ থেরাপি’ ( group therapy), ব্যক্তিত্ব তৈরির ক্লাশে ভর্তি হচ্ছেন, কেউবা যাচ্ছেন ম্যারিটাল কাউন্সেলিং সেশনে।
এরপর আর টাইপের অচলায়তনে আস্থা রাখি কী করে !
প্রথম পর্বঃ মনের নিয়ন্ত্রণ
অধ্যায়ঃ এক
♦ বুদ্ধি, স্মৃতি, প্রতিভা নিয়ে বিভ্রান্তি বেচে খাচ্ছে অনেকে
অধ্যায়ঃ দুই
♦ প্রচুর পড়েন মানে-ই মস্তিষ্কচর্চা করেন?
অধ্যায়ঃ তিন
♦ স্মৃতি-শক্তি ও প্রতিভা এক নয়
অধ্যায়ঃ চার
♦ জ্ঞান (wisdom) ও শিক্ষা (education) এক নয়
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ মস্তিষ্ক ও তার কিছু বৈশিষ্ট্য
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ পাভলভ-তত্ত্বে মস্তিষ্কের ‘ছক’ বা type
অধ্যায়ঃ সাত
অধ্যায়ঃ আট
♦ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু পাল্টে যায়
অধ্যায়ঃ নয়
♦ অলজাইমারস সৃষ্টিশীল মেধায় ভয়ঙ্কর অসুখ
অধ্যায়ঃ দশ
অধ্যায়ঃ এগারো
♦ জিন বা বংশগতি-ই ঠিক করে মেধা-বুদ্ধি?
অধ্যায়ঃ বারো
♦ বংশগতি গবেষণা ও স্নায়ুবিজ্ঞানের অগ্রগতি
অধ্যায়ঃ তেরো
♦ মানবগুণ বিকাশে পরিবেশের প্রভাব
অধ্যায়ঃ চোদ্দ
অধ্যায়ঃ পনেরো
♦ মগজধোলাই-এর প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে
দ্বিতীয় পর্বঃ ধ্যাণ-যোগ-সমাধি মেডিটেশন
অধ্যায়ঃ এক
অধ্যায়ঃ দুই
অধ্যায়ঃ তিন
অধ্যায়ঃ চার
অধ্যায়ঃ পাঁচ
♦ ‘রজনীশ’ এক শিক্ষিত যোগী, বিতর্কিত নাম
অধ্যায়ঃ ছয়
♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !
অধ্যায়ঃ সাত
♦ শ্রীমাতাজী নির্মলা দেবীর সহজযোগ
অধ্যায়ঃ আট
♦ রিল্যাক্সেশন, মেডিটেশন নিয়ে বাংলাদেশের যোগী মহাজাতক
অধ্যায়ঃ নয়
♦ ‘যোগ’ মস্তিষ্ক-চর্চা বিরোধী এক স্থবীর তত্ত্ব
অধ্যায়ঃ দশ
♦ ‘মেডিটেশন’, ‘রিলাক্সেশন’, বা ‘স্বসম্মোহন’
অধ্যায়ঃ এগারো
“মনের নিয়ন্ত্রণ যোগ-মেডিটেশন” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ