নাকালির দৈব পুকুর নিয়ে হুজুগের শুরু ২০১০-এর ১২ জানুয়ারি। নাকালি গ্রামের এক কৃষক পরিবার রাজ পরিবার। পরিবারের একটি ছোট্ট পুকুর আছে। এই কৃষক পরিবারের বলাই বছর চল্লিশের প্রবীণ মানুষ। ১২ জানুয়ারি গ্রামের লোকদের কাছে গল্প করে, ওর ক্যানসার হয়েছিল গলায়। কলকাতার হাসপাতালে অনেক চিকিৎসা করিয়েছে। ডাক্তাররা জবাব দিতে গ্রামে ফিরে আসে। তারপর স্বপ্নে মা মনসা দেখা দিয়ে বলেন, তোদের পুকুরেই তো আমি বিষহরি মা মনসা থাকি। ওই পুকুরে তিন দিন চান করলেই তোর রোগবালাই সেরে যাবে।

তারপর বিশ্বাস নিয়ে তিন দিন পুকুরে ডুব দিতেই কোথায় গলা ব্যথা, কোথায় কী ! হাসপাতালে আবার দেখাতে যেতে ডাক্তার বললো— এ তো অবাক কাণ্ড! ক্যানসার নেই।

নাকালির মা মনসা মন্দির

বলাইয়ের দাদা তারিণী মা মনসার নামে দিব্বি গেলে বলল, বলাই-এর কথা ধ্রুব সত্য।

গুজবের গতি বাতাসের চেয়েও তীব্র মোবাইল ফোনের দৌলতে।

মাস ঘুরতে না ঘুরতেই পুকুর পাড়ে মা মনসার মাটির মূর্তি বসল চারটে খুঁটি আর টিনের ছাদের তলায়। মা মনসা পুজো কমিটি হল। ওই কমিটিই আবার ‘দৈব পুকুর কমিটি’-ও। কমিটিতে প্রাথমিক ভাবে রইল ১০ জন। (১) তারিণী রাজ, (২) দিবাকর রাজ, (৩) প্রভাত মান্না, (৪) নিমাই মান্না (৫) চন্দ্ৰকান্ত প্রামাণিক (৬) গৌতম মান্না (৭) প্রদীপ হালদার (৮) বিরাট মান্না, (৯) প্রবীর হালদার, (১০) প্রতুল মণ্ডল।

মার্চ মাসেই ভিড়ের সুনামি আছড়ে পড়ল ।

দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রত্যন্ত গ্রাম নাকালি রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেল। মিডিয়ার প্রচারে আরও ভিড় বাড়তে লাগল।

শিয়লদা সাউথ স্টেশন থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরে লক্ষ্মীকান্তপুর স্টেশন। সেখান থেকে মোটর লাগানো ভ্যানরিক্সো দেড় ঘন্টা যেতে হবে। নাকালি যাব বললেই আর চিন্তা নেই । ভ্যানের ভাড়া মাথাপিছু ২০ টাকা।

তারপর মোটর ভ্যানরিক্সো বা বাস নামিয়ে দিলে হাঁটা পথ ছাড়া উপায় নেই। হেঁটে আধ ঘন্টা গেলে দেখা মিলবে দৈব পুকুরের। পুকুর না বলে হেজে যাওয়া ডোবা বলাই ভালো। এক-হাঁটু কাদা জল। তাতেই ডুব দেয় ভক্তরা। তিনবার ডুব দিতে হবে তিন দিনে। তাহলেই নিশ্চিত রোগমুক্তি। অবশ্য মা মনসার থানে ধূপ, মোম জ্বেলে দিতে হবে। পুজোয় দিতে হবে ফুল, কলা, দুধ, বাতাসা। পুজোর সব কিছুই মিলবে দোকানগুলোতে। ইতিমধ্যেই লাখো ভক্তের চাহিদা মেটাতে কয়েক’শ দোকান বসে আছে।

পুজোর জিনিসপত্তর থেকে মনসার ছবি, খেলনাপাতি থেকে খাবার-দাবারের দোকান সবই আছে। খাবারের দোকানে ঘুগনি, মুড়ি, পেটা পরোটাই প্রধান। গজা, গাঢ় রঙের দানাদার টাইপের মিষ্টিও মিলছে। পাওয়া যাচ্ছে ‘ফটাফট্’ জল।

দোকানগুলো সপ্তাহে শনি মঙ্গলবার বসে। ভাড়া দিতে হয় দৈনিক তিরিশ টাকা। ভাড়া আদায় করে এই অঞ্চলেরই কিছু যুবক। ওরা নাকি ভলেনটিয়র।

পুজোর প্রণামী পড়ে নাকি এক একদিনে দু-তিন লাখ টাকা। ভলেনটিয়ারদের দৈনিক ভাতা পাঁচশ টাকা। এই টাকা দেয় মন্দির কমিটি।

যুক্তিবাদী সমিতির মথুরাপুর শাখা শুরু থেকেই নাকালি দৈব পুকুরের ঘটনার ওপর নজরদারি করছিল। এই শাখার প্রণয়, মাধব, শুভঙ্কর এবং সঞ্জয় আমাদের সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটিকে অনবরত রিপোর্ট পাঠাচ্ছিল।

পরিকল্পনা মাফিক ১৩ মার্চ শনিবার রাত থেকে ব্যাপক পোস্টারিং শুরু করল মথুরাপুর, ক্যানিং, জয়নগর ও সোনারপুর শাখা। দক্ষিণের ডায়মন্ডহারবার থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর, কুলপি সর্বত্র ছেয়ে ফেলা হল পোস্টারে।

পোস্টারের তলায় যেহেতু আমার সেল ফোন নম্বর দেওয়া ছিল, তাই বহু ফোন পেতে লাগলাম। অনেকে জানতে চান গুজবটা কতটা সত্যি? অনেকেই জানালেন, আমরা চাই এই বুজরুকি বন্ধ হোক। আমরা আপনাদের পাশে আছি। এই পাশে থাকার অঙ্গীকার করা মানুষদের মধ্যে ডাক্তার,

নাকালির পুকুর

শিক্ষক, বিজ্ঞানকর্মী, সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমজীবী প্রত্যেক শ্রেণির মানুষই আছেন ।

১৮ মার্চ এবং ২০ মার্চ দু’দিন আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সুমন, জয়ব্রত, শংকর, অভিজিৎ মানসী এবং মথুরাপুর শাখার সঞ্জয় ও প্রণয় নাকালি যান। সঞ্জয় ও প্রণয়ের ভূমিকা ছিল লোকালের গাইডের।

মানসী মুভিতে ছবি তোলেন দু’দিনই স্থানীয় কিছু মানুষের অভিযোগ ছিল কিছু বিষয়ে। এত বিশাল সংখ্যক মানুষ আসছেন, তারা যেখানে-সেখানে হাগু-মুতু করে একেবারে নরক করে যাচ্ছেন। কাদাগোলা পুকুরে চান করে অসুখ হলে কে দায়ি হবে? যত দুনিয়ার রোগীরা ওই কাদায় ডুব মারছে, এতে রোগ তো ছড়াবেই। আরও অভিযোগ, স্থানীয় মানুষদের শান্তি, কাজকর্ম মাথায় উঠেছে। পুলিশ-প্রশাসন সবাই দৈব পুকুর কমিটি থেকে হিস্সা পাচ্ছে, অতএব চুপচাপ।

লরি বা টাটা সুমোতে করে বহু মানুষ আসছেন। গাড়িগুলো হাঁটাপথ শুরু হবার আগেই দাঁড় করিয়ে রাখতে হচ্ছে। লরি পিছু ৫০ টাকা ও মোটর গাড়ি পিছু ২৫ টাকা করে তোলা আদায় করছে স্থানীয় কিছু ছেলেরা। সাইকেল পিছু ৫ টাকা।

ঢোলা থানায় ঢুকেছিলেন মানসী ও জয়ব্রত। থানার ওসি ফারুক সাহেব জানালেন, ক্যামেরা বন্ধ করুন। তারপর যে কোনও প্রশ্নের একটাই উত্তর, আমরা জানি না। যা বলবেন, সবই ওপরওয়ালা।

পঞ্চায়েত প্রধান রাইনা,বিবি’র বাড়ি যেতেই তিনি মোবাইল ফোনে ডেকে পাঠালেন কাউকে।

রাইনা বিবি দশাসই মধ্যবয়স্কা। যিনি এলেন, তাঁর বয়স বছর পঞ্চান্ন হবে। গ্রামের রাজনীতিতে চোস্ত। কিছুতেই নিজের পরিচয় দিলেন না। বললেন, আপনাদের কিছু জিজ্ঞেস করার আছে। রাইনা বিবি ব্যস্ত মানুষ। তাঁকে সাহায্য করতে আমার আসা। আমি যা বলব, তা সবই রাইনা বিবির কথা।

বিবিকে প্রশ্ন করেছিলেন শংকর ও জয়ব্রত। আপনি তো সিপিআইএম করেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চেরও সদস্য বলে জানিয়েছেন। আপনার কি মনে হয় না দৈব পুকুর নিয়ে বুজরুকি চলছে? বিবি-ই উত্তর দিলেন। এত লোক বিশ্বাস করে আসছে। আমরা তো কারো বিশ্বাসে হাত দিতে পারি না।

প্রশ্ন— স্থানীয় মানুষ অভিযোগ তুলেছেন, আপনারা অর্থাৎ প্রশাসন এবং পুলিশ দৈব পুকুর কমিটির কাছ থেকে টাকা পাচ্ছেন, তাই স্থানীয় মানুষদের কথা একটুও ভাবছেন না ।

বিবির সহায়ক ছাগল দাড়ি তড়বড় করে উঠলেন, কোনও স্থানীয় লোককে আনুন তো, যে আমাদেরে বিরুদ্দে এমন অভিযোগ করবে?

উত্তর— ভয়ে আপনাদের সামনে হয় তো মুখ খুলবে না। কিন্তু আমাদের ক্যামেরার সামনে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ অনেক। ভক্তেরা হেগে-মুতে জায়গাটা নরক করে তুলছে, আপনারা কিচ্ছু করছেন না।

বিবির সহায়ক উত্তর দিলেন— আমরা তো দৈব পুকুর কমিটিকে বলেছি। ওরা যাত্রী-নিবাস করে দেবে। পায়খানা, বাথরুম সব করে দেবে।

-আপনারা তবে দৈব পুকুর কমিটির সঙ্গে সহযোগিতা করে চলেছেন? আপনারা বিশ্বাস করেন যে দৈব পুকুরে তিন বার ডুব দিলে যে কোনও অসুখ সেরে যাবে?

না, মানে… আমতা-আমতা করলেন বিবির সহায়ক। বিবির মুখেও কথা সরে না। বলাই রাজের দাদা তারিণী ক্যামেরার সামনে উত্তর দিতে গিয়ে কথা হারিয়ে ফেললেন। প্রশ্ন ছিল, কলকাতার কোন হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা করিয়ে ছিলেন। আপনার ভাই ?

কবে থেকে করে পর্যন্ত চিকিৎসা হয়ে ছিল? প্রেসক্রিপসনগুলো দেখান। শেষ পর্যন্ত মরলেন কেন ?

তারিণী হাসপাতালের নাম ঠিক মনে করতে পারলেন না। সাল তারিখ মনে নেই। প্রেসক্রিপসন কোথায় রেখেছেন, খুঁজে দেখতে হবে বলে জানালেন। বলাই যে পুকুরে স্নানের পরেও মারা গেছেন মানলেন।

দৈব পুকুরের দোকানদার থেকে কাদা মাখামাখি ভক্ত অনেকরেই ইন্টারভিউ নেওয়া হল। ভক্তদের মধ্যে প্রায় সকলেই অশিক্ষিত মানুষ। গাড়িওয়ালারও বেশিরভাগই অশিক্ষিত ব্যবসায়ী । বুঝতে অসুবিধে হয় না, শিক্ষার অভাবেই অলৌকিক ব্যবসার এই রমরমা।

২৪ মার্চ দৈব পুকুরের বুজরুকি বন্ধ করতে যুক্তিবাদী সমিতির তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসককে ।

১৬ এপ্রিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিডিও অফিসে জেলা শাসকের নেতৃত্বে মিটিং হয়। আলোচ্য বিষয় : নাকালি দৈব পুকুর নিয়ে আসা অভিযোগ ও গড়ে ওঠা ব্যাপক পোস্টারিং-এর মাধ্যমে গড়ে ওঠা আন্দোলন। মিটিং-এ হাজির ছিলেন জেলাশাসক ছাড়াও বিডিও, স্বাস্থ্যদপ্তরের জেলা অধিকর্তা, ঢোলা থানার অফিসার ইনচার্জ, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ইত্যাদিরা।

শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় পুলিশ ও প্রশাসন দৈব পুকুরে স্নান বন্ধ করতে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

১৮ এপ্রিল যুক্তিবাদী সমিতির তরফ থেকে আবার একটি টিম যায়। এতে ছিলেন মানসী, জয়ব্রত, শংকর, প্রণয় এবং মাধব। বর্তমান পরিস্থিতি ক্যামেরাবন্দি করে নিয়ে আসে।

আমরা থানা, বিডিও এবং জেলাশাসকের কাছে জানতে চাই, হুজুগ ও বুজরুকি বন্ধ করতে ওরা কবে থেকে তৎপর হবেন ?

ঠিক পরের দিন থেকেই পুলিশ ও প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যায়। মাইক বাজিয়ে বিস্তৃীর্ণ এলাকায় ঘোষণা করা হয়— দৈব পুকুরে স্নান বে-আইনি। ‘দৈব পুকুরে স্নান করলে অসুখ সারে’— কেউ গুজব ছড়ালে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

২০ তারিখ মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজ্য-পুলিশে ছয়লাপ লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে নাকালি পর্যন্ত। মটর ভ্যান ও বাসে ভক্ত বলে সন্দেহ করলেই চড়তে দেওয়া হচ্চে না। পাহারা এড়িয়ে যেতে পেরেছে শুধু কিছু সাইকেল ভক্তরা।

এদিন ভক্ত সংখ্যা গোনার দায়িত্বে ছিলেন যুক্তিবাদী সমিতির প্রণয়, মাধব, সঞ্জয় ও শুভঙ্কর। এদিন দু’তিন লাখ ভক্তদের সংখ্যা এসে দাঁড়ায় দু-তিন’শতে।

২০ তারিখ আমাকে ফোন করলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী। বললেন, নাকালির কাণ্ড সব শুনেছেন তো? আগামী কাল রবিবার দুপুরে ঢোলা থানার সামনে একটা কুসংস্কার বিরোধী অনুষ্ঠান করব। আপনার বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে দেব। আপনার টিম নিয়ে চলে আসুন । একটা জমজমাটা অনুষ্ঠান করুন। মঞ্চে অনেক বুদ্ধিজীবীদের হাজির করব।

বললাম, আমার কাছে খবর আছে আজ থেকে নাকালি দৈব পুকুরের কাদা মাখা বন্ধ হয়ে গেছে। তিন লাখ ভক্ত সংখ্যা আজ দু-তিন’শ-তে নেমেছে। পরের দিন থেকে তাও থাকবে না। সুন্দরবনের মানুষের কাছের মানুষ কান্তি গাঙ্গুলির এই প্রচেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বললাম, আজকের অবস্থার খবর নিন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন, কাল সভা করার প্রয়োজন আছে কিনা ? না। আর প্রয়োজন হয়নি। দৈব পুকুর দেহ রাখল।

♦ কিছু কথা

প্রথম খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ মার্কিন গডম্যান মরিস সেরুলোঃ একটি ইতিহাস

অধ্যায়ঃ দুই

♦ যোগী-জ্যোতিষী হরেকৃষ্ণবাবা !

অধ্যায়ঃ তিন

♦ পঞ্চাশ বছর আগের বালক ব্রহ্মচারী এবং…

অধ্যায়ঃ চার

♦ মেঠাইবাবার রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ হাড় ভাঙ্গার দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ কাকদ্বীপের দৈব-পুকুর

অধ্যায়ঃ সাত

♦ আগরপাড়ায় ‘ভূতুরে’ আগুন

অধ্যায়ঃ আট

♦ প্রদীপ আগরওয়ালের সম্মোহনে ‘পূর্বজন্মে’ যাত্রা

অধ্যায়ঃ নয়

♦ কামধেনু নিয়ে ধর্মব্যবসা

অধ্যায়ঃ দশ

♦ বরানগরের হানাবাড়িঃ গ্রেপ্তার মানুষ- ভূত

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ এফিডেভিট করে ডাক্তারের প্রশংসাপত্র নিয়ে ওঝাগিরি !

অধ্যায়ঃ বারো

♦ ‘গ্যারান্টি চিকিৎসা’র নামে হত্যাকারীর ভূমিকায় সর্পবিদ হীরেন রায়

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ চলো যাই ফকিরবাড়ি

অধ্যায়ঃ চোদ্দ

♦ সাঁইবাবার চ্যালেঞ্জঃ পেটে হবে মোহর !

অধ্যায়ঃ পনেরো

♦ হুজুর সাইদাবাদীঃ মন্তরে সন্তান লাভ !

অধ্যায়ঃ ষোলো

♦ জলাতঙ্ক ও দৈব-চিকিৎসা

অধ্যায়ঃ সতেরো

♦ বিশ্বাসের ব্যবসায়ীরা ও নপুংসক আইন

দ্বিতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ খেজুর তলার মাটি সারায় সব রোগ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ পক্ষিতীর্থমের অমর পাখি

অধ্যায়ঃ তিন

♦ স্বামী রামদেবঃ সন্ন্যাসী, সর্বযোগসিদ্ধ যোগী, যোগচিকিৎসক !

অধ্যায়ঃ চার

♦ নাকালের দৈব-পুকুরঃ হুজুগের সুনামী

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ সায়েব যখন রেইকি করে রাঘব বোয়াল চামচা ঘোরে

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ লক্ষ্মীমূর্তি কালি হলেন আপন খেয়ালে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ পাথর যখন কথা বলে

অধ্যায়ঃ আট

♦ ফাঁদে পড়ে জ্যোতিষী শ্রীঘরে

অধ্যায়ঃ নয়

♦ বিশ্বের বিস্ময় অলৌকিক মাতা জয়া গাংগুলী’র বিস্ময়কর পরাজয় এবং…

অধ্যায়ঃ দশ

♦ আই আই টিতে টেলিপ্যাথি দেখালেন দীপক রাও

অধ্যায়ঃ এগারো

♦ জন্ডিস সারাবার পীঠস্থান ইছাপুর

অধ্যায়ঃ বারো

♦ মালপাড়ার পেশা দাঁতের পোকা বের করা

অধ্যায়ঃ তেরো

♦ নিমপীঠের গুগি মা

তৃতীয় খন্ড

♦ কিছু কথা

অধ্যায়ঃ এক

♦ ওঝার ঝাড়ফুঁক আর টেরিজার লকেটে মণিহার রোগমুক্তিঃ কুসংস্কারের দু’পিঠ

অধ্যায়ঃ দুই

♦ ‘মেমারিম্যান’ বিশ্বরূপ-এর একটি বিশুদ্ধ প্রতারণা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ কোটিপতি জ্যোতিষী গ্রেপ্তার হলেন

চতুর্থ খন্ড

অধ্যায়ঃ এক

♦ কিস্যা অক্টোপাস পল বিশ্বকাপ ফুটবলের ভবিষ্যৎ বক্তা

অধ্যায়ঃ দুই

♦ কিস্যা জ্যোতিষী বেজান দারওয়ালা

অধ্যায়ঃ তিন

♦ সাধারণ নির্বাচন ২০০৯ নিয়ে সব জ্যোতিষী ফেল

অধ্যায়ঃ চার

♦ মা শীতলার পায়ের ছাপ পুকুরঘাটেঃ রহস্যভেদ

অধ্যায়ঃ পাঁচ

♦ যিশুর মূর্তি থেকে রক্তপাত

অধ্যায়ঃ ছয়

♦ সত্য সাঁই-এর সত্যি-মিথ্যে

অধ্যায়ঃ সাত

♦ অলৌকিক উপায়ে সন্তান দেন ডা. বারসি

অধ্যায়ঃ আট

♦ জ্যোতিষীর বাড়িতে অলৌকিক আগুন

অধ্যায়ঃ নয়

♦ সম্মিলিত দুর্নীতির ফসল ‘মোবাইলবাবা’

অধ্যায়ঃ দশ

♦ জাতিস্মরঃ রাজেশ কুমার

♦ অলৌকিক শক্তিধরদের প্রতি চ্যালেঞ্জ

“যুক্তিবাদীর চ্যালেঞ্জাররা” বই সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ

⇒ মন্তব্য করুন⇐

error: Content is protected !!