“ফরাসি রাজপরিবারে একমুহূর্তে নেমে এল শোকের ছায়া। থেমে গেল আনন্দ উৎসব। একসঙ্গে একজোড়া বিয়ে হচ্ছে রাজ পরিবারে, সেই আনন্দে মেতে উঠেছিল সারা দেশ। ১৫৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জুলাই। দুই রাজপুরুষ, রাজা দ্বিতীয় হেনরি আর গ্যাব্রিয়েল ডে লরজেস । যিনি মনটোগোমারির অধিকর্তা। বিয়ের উৎসব পালনের অঙ্গ হিসেবে পরস্পরের বিরুদ্ধে বন্ধুত্বপূর্ণ তলোয়ার খেলায় নেমে পড়লেন। বিকেলের পড়ন্ত আলোয় মাঝে মাঝেই ঝলসে উঠছে দুই অশ্বারোহীর শিরস্ত্রাণ, দর্শকরা যদিও জানেন এই লড়াইয়ে কোনো রক্তপিপাসা নেই, আছে কেবল হালকা প্রতিযোগিতা—তবু এই যুদ্ধ ক্রীড়ামুগ্ধ করে রেখেছিল তাঁদের অনেকক্ষণ। খেলা শেষ হল। সকলেই বললেন দুজনের কেউই জেতেনি, কেউই হারেনি, আনন্দ দিয়েছে সকলকে। সোনার অলঙ্কারে সুসজ্জিত বাদামি ঘোড়ায় চড়া কিং হেনরি বললেন, আর একদান লড়াই হয়ে যাক। কাউন্ট অব মনটোগোমারির খুব ইচ্ছে ছিল না। তবু হেনরির পীড়াপীড়িতে রাজি হয়ে গেলেন। এই দ্বিতীয় লড়াই শুরু হতে না হতেই ঘটলো দুর্ঘটনা। যুযুধান দুটি তলোয়ার আঘাতে দু’টুকরো হয়ে গেল। মনটোগোমারির তলোয়ারের সামনের অংশটা ছিটকে হেনরির মুখের সোনার মুখবর্ম ভেদ করে বিধে গেল তার চোখের মধ্যে। চোখের পলক পড়তে না পড়তেই রক্তাপ্লুত রাজা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন। চারদিকে বিষাদের ছায়া নেমে এল।

কান্নায় ভেঙে পড়লেন সম্ভ্রান্ত মহিলারা। তখন বেদনায় উদ্বেল হয়ে অ্যানে ডে মনটমোরেনসি বললেন, “অভিশাপ দাও সেই মানুষটিকে, যিনি দৈববলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই দুর্ঘটনার, অশুভ লগ্নের। কী নির্ভুল, কী অভ্রান্ত তাঁর উচ্চারণ।”

যাঁর উদ্দেশ্যে এই অভিশাপ দিয়েছিলেন মনটমোরেনসি, তিনি আর কেউ নন, মানব- ইতিহাসের এক বিস্ময়ব্যক্তিত্ব মিশেল ডে নসট্রেডেম। যিনি চার শতক জুড়ে সারা পৃথিবীর কোণে-কোণে ‘নস্ট্রাডামুস’ নামে খ্যাত। ফরাসি রাজবংশে এই ঘটনা যে ঘটতে চলেছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা তিনি করেছিলেন, ওই দিনের চার বছর আগে, তাঁর প্রকাশিত দশ খণ্ডের ভবিষ্যদ্বাণী সঙ্কলনের প্রথম খণ্ডে। এই খণ্ডে পঁয়ত্রিশ নম্বর ভবিষ্যদ্বাণীতে তিনি লিখেছিলেন ফরাসি দেশের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে এই পক্তিগুলিঃ

তরুণ সিংহ তার বয়স্ক প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাবে

 

যুদ্ধক্ষেত্রে—প্রথমবার নয়, দ্বিতীয়বার

সোনার মুখচ্ছেদ ভেদ করে খুলে আসবে চোখ

 

রক্তাক্ত ক্ষত, হায় কী বীভৎস মৃত্যু রাজার।”

 

কী ? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন নস্ট্রাডামুসের ক্ষমতা অসাধারণ ? এই প্রশ্নও নিশ্চয়ই মাথায় এসেছে যে, কেন আমি নস্ট্রাডামুসের পক্ষে প্রচারে নেমেছি ?

আসলে উপরে লেখার অংশটুকু আমার নয়। অভীক মজুমদারের। বেরিয়েছিল ছোটদের পাক্ষিক পত্রিকা ‘আনন্দমেলা’র ১৪ নভেম্বর, ১৯৯০ সংখ্যায়। লেখক নস্ট্রাডামুসের ক্ষমতার সত্যতা প্রমাণ করার জন্য ভূরি ভূরি প্রমাণ হাজির করার চেষ্টা করেছিলেন।

কিন্তু নস্ট্রাডামুসের উপরের ভবিষ্যদ্বাণীটা সত্যিই কতখানি সত্যি তা একটু বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। নস্ট্রাডামুসের বইয়ের প্রথম খণ্ডের পঁয়ত্রিশ নম্বর ভবিষ্যদ্বাণীটা ছিল এইঃ

Lehon jeune le vieux surmontera, En champ bellique par singulier duelle Dans caige d’or pes yeux pui crevera, Deux classes une, puis mourir, mort cruelle

এই ভবিষ্যদ্বাণীকে অবিকৃত ও অবিকল অনুবাদ করলে দাঁড়ায় এইঃ- “অল্পবয়সী সিংহ তার ব্যস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাবে, যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথমবারের যুদ্ধেইঃ সে সোনার খাঁচায় চোখ গেলে দেবে, একই যায়গায় দুটো ক্ষত, তারপর সে বীভৎসভাবে মরবে।”

স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে অভীকবাবু নির্ভিকভাবে নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণীকে অনুবাদের সময় প্রয়োজনমতো বিকৃত করে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তিনি ইতিহাসকেও বিকৃত করেছেন। আসল ইতিহাসে আছে যে, হেনরির কপালে তলোয়ারের খোঁচা লেগেছিল; চোখে নয়।

ভবিষ্যদ্বাণীতে লেখা ছিল Singuler duelle, অর্থাৎ প্রথম যুদ্ধেই নিহত হবেন রাজা, কিন্তু অভীকবাবু সেটাকে বানালেন – “প্রথমবার নয়, দ্বিতীয়বার।” ভবিষ্যদ্বাণীতে লেখা আছে—সোনার খাঁচায় চোখ গেলে দেবে। এই লাইনটা ইতিহাসের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। কোথায় সোনার খাঁচা ? কোথায় চোখ ? তাই নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণীকে সত্যি প্রমাণিত করার দুরন্ত ইচ্ছায় অভীকবাবু ‘খাঁচাকে’ অনুবাদ করলেন ‘মুখচ্ছেদ’, আর ইতিহাস বদলে দিয়ে হেনরির কপালের আঘাতকে বানিয়ে দিলেন চোখের আঘাত। তার পরের লাইনটা, অর্থাৎ—’একই যায়গায় দুটো ক্ষত’কে অভীকবাবু তাঁর অনুবাদ থেকে বাদ দিয়েই বেরিয়ে গেলেন, কেননা তিনি ভালো করেই জানেন হেনরির কপালে, এক জায়গায় দুটো ক্ষত হয়নি ।

‘তারপর সে বীভৎসভাবে মরবে’–এই লাইনটাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ‘সে’ এখানে অল্পবয়সী সিংহটা, অর্থাৎ মনটোগোমারি। ‘সে বীভৎসভাবে মরবে’ বলতে বোঝা যাচ্ছে মনটোগোমারিই বীভৎসভাবে মরবে। কিন্তু মরেছিল মনটোগোমারি নয়, হেনরি । তাহলে আর ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে ইতিহাসের কী মিললো ? কিছুই না ৷

কিন্তু অভীক মজুমদার ও এরিকা চিটহ্যামের মতো সুবিধাবাদী, অসৎ লেখকদের হাতে নস্ট্রাডামুসের ভবিষ্যদ্বাণীর অনুবাদ ও বিশ্লেষণ করার দায়িত্ব পড়েই হয়েছে মুস্কিল। এঁরা এঁদের নাম ও লেখার বিপুল প্রচার পাওয়ার জন্য এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থাগমের প্রচেষ্টায় ইচ্ছেমতো ভবিষ্যদ্বাণীগুলি, এবং ইতিহাসকে বিকৃত করে নিয়েছেন। তার প্রমাণ এইমাত্র দিলাম ।

এঁদের মতো অনুবাদকেরা ষোড়শ শতকের জ্যোতিষী
নস্ট্রাডামুসের থেকেও বড় মাপের অপরাধী ॥

 

নস্ট্রাডামুসের পরিচয়, ও ‘সেঞ্চুরিস’ প্রসঙ্গেঃ

নস্ট্রাডামুসের জন্ম ১৫০৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর ফ্রান্সের সেন্ট রিমি-ডে-প্রভেন্স-এ। চার ভাই। নস্ট্রাডামুসই সবার বড়। আসল নাম মিশেল-ডে-নস্ট্রেডেম। ছেলেবেলায় শিক্ষাদীক্ষা হয় দাদুর কাছেই । দাদু মারা যাবার পর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল ঠাকুর্দার কাছে বাকি শিক্ষা ওই ঠাকুর্দার কাছেই প্রাপ্ত। ডাক্তারীর ছাত্র নস্ট্রাডামুসের জ্যোতিষের প্রতি টান ছিল অল্প বয়স থেকেই। নস্ট্রাডামুসের প্রথম বিয়ে ১৫৩৪ সালে। এক ছেলে, আর এক মেয়ে হয়েছিল নস্ট্রাডামুসের। কিন্তু প্লেগে নস্ট্রাডামুসের স্ত্রী এবং ছেলেমেয়েরা মারা যান ।

১৯৫৪ সালের নভেম্বর মাসে ‘সালোন’ শহরের এক ধনী বিধবাকে বিয়ে করলেন নস্ট্রাডামুস। বিধবার নাম অ্যানি পোনসাট গেমেলে। গেমেলের বাড়িতেই থাকতেন নস্ট্রাডামুস । এই নতুন বাড়িতে এসে নস্ট্রাডামুস ডাইনিবিদ্যা, এবং জ্যোতিষের বই নিয়ে পড়াশুনো করার অঢেল অবসর পেলেন। শোনা যায় সালোনের এই বাড়ির আগাগোড়াই নস্ট্রাডামুস বইপত্রে ঠেসে ফেলেছিলেন।

নস্ট্রাডামুস লিখেছেন যে, তিনি রাত্রে তাঁর জ্যোতিষ এবং ডাইনিবিদ্যার বইগুলি পড়তেন। এও লিখেছেন যে বইগুলি তাঁর পড়া হয়ে যেত, সে বইগুলি তিনি পুড়িয়ে ফেলতেন। তাঁর লেখা থেকেই আমরা জানতে পারি যে, তাঁর যাদুবিদ্যার সেরা উৎস ছিল একটি বই, যার নাম—’ডে মিষ্টেরীস ইজিপ্টোরাম’।

নস্ট্রাডামুস তাঁর বহু ভবিষ্যদ্বাণীতেই এই বইটা থেকে লাইন হুবহু টুকে গেছেন ।

নস্ট্রাডামুস এরপর নিজে বই লিখতে আরম্ভ করলেন। তাঁর সংকল্প ছিল দশটা বই বার করবেন। প্রত্যেক বইতে থাকবে একশোটা করে ভবিষ্যদ্বাণী। বইগুলির নাম তিনি দিলেন ‘সেঞ্চুরিস’। ‘সেঞ্চুরিস’এর সঙ্গে এখানে একশো বছরের কোনো সম্পর্ক নেই। ‘সেঞ্চুরিস’ নাম এখানে এইজন্য ব্যবহার করা হয়েছে যে, প্রত্যেক ‘সেঞ্চুরি’তে একশোটা কবে ভবিষ্যদ্বাণী থাকত !

ভবিষ্যদ্বাণীগুলি ছিল চার লাইনের কবিতার আকারে। প্রথম সেঞ্চুরি বেরোয় ১৫৫৫ সালে। নস্ট্রাডামুসের কথা অনুযায়ী প্রথম সেঞ্চুরিতেই তাঁর নিজের সময় থেকে পৃথিবী শেষ হবার সময় অবধি ভবিষ্যদ্বাণী ছিল।

নস্ট্রাডামুসের বই খুব একটা বিক্রি হয়নি, কেননা বই ছাপানো তখনকার দিনে ছিল দারুণ খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। ফলে একএকটা বইয়ের দাম হত প্রচুর। অল্প কিছু ধনী পরিবার তাঁর বই কিনলেন। রাজপরিবারেও তাঁর বই কেনা হল। রাজপরিবারে তাঁর নাম পরিচিত হল, এবং ১৫৫৬ সালে রাণী ক্যাথেরিন-ডে-মেডিসি তাঁকে ডেকে পাঠালেন রাজপরিবারের সাতটা বাচ্চার কুষ্ঠি তৈরি করার জন্য। নস্ট্রাডামুস ভবিষ্যদ্বাণী করে বসলেন, রাণীর সাতটা শিশুই ভবিষ্যতে রাজা হবে । কিন্তু এই ভবিষ্যদ্বাণী ফলেনি। সাতজনই রাজা হন নি। একজন তো ছোটবেলাতেই মারা গেছিলেন।

নস্ট্রাডামুস ঠিকুজি, কুষ্ঠি তৈরি করতেন । এটাই সম্ভবত তাঁর জীবনধারণের প্রধান উপায় ছিল। তিনি এরই মধ্যে দশটা সেঞ্চুরি লিখে ফেললেন। কিন্তু দশটা সেঞ্চুরি একসঙ্গে ছেপে বেরুলো ১৫৬৮ সালে, নস্ট্রাডামুসের মৃত্যুর দু’বছর পর। কোনো বিশেষ কারণে নস্ট্রাডামুস তাঁর সপ্তম ‘সেঞ্চুরি’ বইটা শেষ করতে পারেন নি। ফলে সপ্তম ‘সেঞ্চুরি’তে একশোর বদলে কবিতা- ভবিষ্যদ্বাণী আছে মাত্র ৪২টা।

নস্ট্রাডামুস মারা যান ১৫৬৬ সালের ২ জুলাই। নিজের মৃত্যু সম্বন্ধেও একটা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন নস্ট্রাডামুস। ভবিষ্যদ্বাণীটা এইঃ

বেঞ্চে থাকব শুয়ে শেষদিন, বিছানায় নয়….

পরনে থাকবে নীল আলখাল্লা।

পাদ্রী এসে পৌঁছবে দেরিতে…..

রাত্রে নামবে বৃষ্টি। (১৪ নভেম্বর ১৯৯০ আনন্দমেলা)

এই ভবিষ্যদ্বাণীটা ঠিক প্রমাণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন নস্ট্রাডামুস। অসুস্থ অবস্থাতে বিছানা ছেড়ে বেঞ্চে এসে শুয়েছিলেন। কিন্তু না, বৃষ্টি নামেনি সেদিন ॥

কেমন করে ভবিষ্যৎ দেখতেন নস্ট্রাডামুস ?

নস্ট্রাডামুস তাঁর ভবিষ্যৎ-দর্শনের কায়দা লিখে গেছেন প্রথম ‘সেঞ্চুরি’র প্রথম আর দ্বিতীয় কবিতাতে ৷ প্রথম কবিতা হল এই :

Estant assis de nuict secret estude

Seul repose sur la selle d’aerain,

Flambe erigue sortant de solitude

Fait prosperer qui n’est a croire vain

এর অর্থ হল :-

রাত্রে একা গোপন বই পড়তে বসে

এটাকে চাপানো হয় পেতলের তেপায়ার ওপর;

ফাঁকার মধ্যে থেকে একটা মৃদু আলো বেরোয়

আর অবিশ্বাস্য সব তথ্য দিয়ে যায়, যা কষ্ট করেও জানা যায় না।

এই পদ্ধতি নস্ট্রাডামুস স্পষ্টতই জানতে পেরেছেন ‘ডে মিস্টেরীস ইজিপ্টোরাম’ বইটা থেকে। কারণ ওই বইতেও এই পদ্ধতির কথা হুবহু এভাবেই লেখা আছে। নস্ট্রাডামুসের প্রথম সেঞ্চুরির প্রথম কবিতা অনুযায়ী, যিনি ভবিষ্যৎদ্রষ্টা, তিনি রাত্রে, পড়ার ঘরে ডাকিনীবিদ্যার গোপন বইগুলি পড়ার সময়ে একটা পেতলের ভেপায়ার ওপর একবাটি জল রেখে, সেই জলের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকেন। আস্তে আস্তে জলটা ঘোলা হয়ে ওঠে, আর সেই ঘোলা জলের মধ্যেই নাকি দেখা যায় ভবিষ্যতের ঘটনাবলী।

দ্বিতীয় কবিতাতেও নস্ট্রাডামুস ভবিষ্যৎ-দর্শনের পদ্ধতির কথাই বলে গেছেন। প্রথম কবিতার পরিপূরক হল দ্বিতীয় কবিতাটা। কবিতাটা হল এইঃ

La verge en main mise au milieu des BRANCHES

De l’onde il moulle & le limbe & le pied:

Un peur & voix fremissant par les manches •

Splendeur divine. Le divin pres s’assied,

এর মানেঃ

হাতের যাদুদণ্ডটা ঠেকানো হয় ভেপায়া টুলের পায়াতে

বাটির জলে ভিজিয়ে নেওয়া হয় আলখাল্লার হাতা, আর পায়ের পাতাঃ

খুব কাছে একটা কন্ঠস্বর শোনা যায়, ভবিষ্যৎদ্রষ্টা কাঁপেন ভয়েঃ

দৈবশক্তি ভর করে তার শরীরে; দেবতা নিজে এসে বসেন তার পাশে।

 

এই পদ্ধতিতে সত্যিই ভবিষ্যৎ-দর্শন করা যায় কিনা, তা পাঠকরাই একবার বাড়িতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন ।

error: Content is protected !!