জাহিদ রাসেল

সভ্যতার উষালগ্ন থেকে বিভিন্ন সময় মানুষের ভয়, অজ্ঞানতা ও কুসংস্কারের কারণে বহু ধর্মীয় মতবাদের উদ্ভব হয়েছে। এর অনেকগুলোই সময়ের সাথে বিলীন হয়ে গেছে আবার এর কোন কোনটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মূলধারার ধর্মীয় বিশ্বাস হিসাবে টিকে রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে এ ধরনের আরো বহু ধর্মীয় মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে। উন্নত বিশ্বে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে এই প্রবন্ধে।

বিশ শতকে উন্নত বিশ্বের মানুষেরা মূল ধারার ধর্মগুলো থেকে ক্রমশ দূরে সরে যেতে থাকে। বস্তুবাদের বিকাশের ফলে মানুষ জীবনের ব্যাপক অর্থের অন্বেষায় প্রতিষ্ঠা করতে থাকে নতুন ধর্ম। যার ফলে বিগত দশকের ষাট ও সত্তুরের দশকে নাটকীয়ভাবে বেগ পায় নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের (NRM)। কখনও কখনও মূল ধারার ধর্ম যেমন খ্রিষ্টান, জুডিজ্যম ও ইসলাম ধর্ম থেকে বের হয়ে এর কিছু অনুসারী সকল ধর্মগুলোর মূল শিক্ষার আংশিক বা সম্পূর্ণ পরিবর্তনের মাধ্যমে আবার কখনো প্রাচ্যের আধ্যাত্মিকতা, দর্শন, প্যাগানিজম (Paganism) অথবা বৈজ্ঞানিক কল্প কাহিনী দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মানুষ নতুন ধর্মীয় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকাতে প্রায় ১৫০০-২০০০, ব্রিটেনে ৫০০ এবং আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকার উপজাতিদের মধ্যে প্রায় ১০,০০০ নতুন ধর্মীয় মতবাদ প্রচলিত। এক্ষেত্রে লক্ষ্যণীয় যে আমেরিকা, জাপান, কানাডা, পশ্চিম জার্মানি, নেদারল্যান্ড ও ফ্রান্সের মতো যে সকল দেশে মূলধারার ধর্মের প্রভাব কম সেখানেই নতুন ধর্মগুলোর বিস্তার বেশি লক্ষ্য করা যায়, অন্যদিকে ইতালি, গ্রিস, স্পেন, অস্ট্রিয়া ও আয়ারল্যান্ডের মতো দেশ যেখানে মূল ধারার ধর্মের প্রভাব বেশি সেখানে নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের প্রভাব কম। এখানে এদের কয়েকটি সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

খ্রীষ্টান সম্প্রদায় বা উপদল (Christian Sect) : এ ধরনের সম্প্রদায়গুলো দুটি কারণে গতানুগতিক মূলধারার খ্রীষ্টান সম্প্রদায়গুলো থেকে আলাদা ৷ প্ৰথমত, এরা বাইবেলের যে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে তা চার্চের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন। দ্বিতীয়ত, এদের কোন কোন গ্রুপ অন্য গ্রন্থকে বাইবেলের সমমর্যাদা দিয়ে থাকে। যেমন The Church of Jesus Christ of latter day Saints, Mormon হিসেবে পরিচিত, তারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ Book of Mormon কে বাইবেলের মতো পবিত্র মনে করে। অসংখ্য খ্রিষ্টান উপসম্প্রদায়সমূহের মধ্যে Jehovah’s Witness, the Salvation Army, Seventh Day Adventist Church সুপরিচিত । বিশ্বাসগত পার্থক্যের জন্যে বিভিন্ন সময় খ্রিষ্টান চার্চের সাথে এদের দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যেমন Eternal flame foundation-এর সদস্যরা মনে করে তারা দৈহিকভাবে অবিনশ্বর থেকে যাবে, আবার এদের কোন কোন গ্রুপ মনে করতো “Messiah” ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি পৃথিবীতে আসবেন এবং পৃথিবী ধ্বংস হবে। ২০০০ সালের ১লা জানুয়ারি www.olivertree.com নামক কটি ওয়েব সাইটে “Messiah cam”র নামে একটি লিংকের মাধ্যমে জেরুজালেমের গোলডেন গেইটে স্থাপিত ক্যামেরার মাধ্যমে Messiah’র আগমন সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়। যদিও তিনি নির্ধারিত তারিখে আসেননি, কিন্তু ক্যামেরাটি এখনও পর্যন্ত অপেক্ষা করছে!!

একত্রীকরণ চার্চ (The Unification church) : একত্রীকরণ চার্চ সম্ভবত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনের স্রোতে সবচেয়ে সুপরিচিত নাম। এটির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন উত্তর কোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী রেভারেন্ড সুন ম্যুং মুন (The Reverend Sun Myung Moon)। এই ধর্মের অনুসারিরা মুনপন্থি (Moonies) নামে পরিচিত । এদের মূল বিশ্বাসগুলো লিপিবদ্ধ আছে স্বর্গীয় নীতি (Devine Principle) নামক বইয়ে। যাতে প্রাচ্যের দর্শনের সাথে সমন্বয় স্থাপন করে পুরাতন ও নতুন টেস্টামেন্টের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন রেভারেড মুন যাকে তার অনুসারীরা প্রেরিত পুরুষ বলে মনে করেন। গত শতকের ৭০’র দশকের গোড়ায় এটি বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে যখন মুন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বড় বড় র‍্যালি-সমাবেশের আয়োজন করেন। এর সদস্যরা ছিল কলেজ পড়ুয়া মধ্যবিত্ত শিক্ষিত শ্রেণীর। একত্রীকরণ চার্চ গণবিয়ের আয়োজনের জন্যে বিখ্যাত ছিল। সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল হলরুমে আগত পাত্রপাত্রীদের মাঝ থেকে বিয়ের জন্য জুটি নির্বাচন করতেন মুন নিজে। একেকটি অনুষ্ঠানে ২০০০ বা তারও বেশি বিয়ে হতো। ১৯৭০’র দিকে এই গ্রুপের সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে ফুল, কাপড়, মিষ্টি, বৃক্ষ বিক্রি করতো। বর্তমানে এর সদস্যরা একত্রীকরণ চার্চের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। একত্রীকরণ চার্চ কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে আছে সংবাদপত্র (Wasington Times), টেলিভিশন স্টেশন, হোটেল চেইন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলকারখানা। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের হিসাব মতো সারা পৃথিবী জুড়ে একত্রীকরণ চার্চের প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন সদস্য আছে। মুন তার বিলাস বহুল জীবন যাপন পদ্ধতি ও সদস্যদের দরিদ্র জীবন যাপন পদ্ধতি এবং ডানপন্থী রাজনীতির সমর্থন দেবার জন্য সমালোচিত হন।

প্রাচ্যের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত নতুন ধর্মীয় আন্দোলনঃ ‘ইসকন’ বা International Society for Krisna Conscience, Brahma Kumaris (Raja yoga), আনন্দ মার্গ, রজনীশবাদ (Rajneeshism), সন্যাসীপন্থী ( The Sannyasins), The Orange People Ges Elan Vital’র মতো ধর্মীয় আন্দোলনগুলো প্রাচীন হিন্দু ধর্মের দর্শনকে ভিত্তি করেই উদ্ভব হয়েছে। অন্যদিকে Zen ও Nichiren Shoshu Buddism বৌদ্ধ দর্শনকে ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে। এখানে এদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসেন্স (ISKCON) বা ইসকন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

এটি ‘হরে কৃষ্ণ’ আন্দোলন নামেও পরিচিত। এর প্রতিষ্ঠাতা কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী এ. সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ । এটি নতুন কোন ধর্ম নয়। এটি মূলত হিন্দুধর্মের বৈষ্ণব কালট থেকে তৈরি হয়েছে। এটিকে এর পশ্চিমা সংস্করণ বলা যেতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা বহু প্রবাসী ও ভারতের হিন্দুরা একে সত্যিকারের হিন্দু উপসম্প্রদায় হিসাবে স্বীকার করে নেয়। প্রভুপাদ ১৯৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান এবং এটি দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করে। হিপ্পি ও মাদকে আসক্তদের এরা দ্রুত টেনে নেয় । এর সদস্যরা মনে করে গভীর আধ্যাত্মিকতার মাধ্যমে প্রকৃত সুখী হওয়া যায় । এর সদস্যরা দিনে ১৭২৮ বার ‘হরে কৃষ্ণ’ মন্ত্র জপে থাকে । এরা মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া, ধূমপান করা, চা কফি, মদ পান করা ও বিবাহ বহির্ভূত সেক্স থেকে বিরত থাকে। তারা কৃষ্ণ বিষয়ক সাহিত্য বিতরণ, অনুদান সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহ করে থাকে। এর সদস্যদের রাস্তার পাশে মস্তক মুণ্ডিত, জাফরান রঙ্গের পোশাক পরিহিত অবস্থায় ‘হরে কৃষ্ণ’ জপ করতে দেখা যায়। ২০০২ সালে এর কিছু প্রাক্তন সদস্য এই বলে অভিযোগ আনে যে ৭০ ও ৮০’র দশকে ইসকনের বোডিং স্কুলগুলোতে মারাত্মক শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ২০০২ সালের দিকে ব্যাংকের কাছে বড় অংকের দেনার দায়ে আমেরিকায় এর সবগুলো স্কুল বন্ধ হয়ে যায় ৷

বৈজ্ঞানিক বিদ্যার চার্চ (The Church of Scientology) : ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাতা লাফ্যায়েৎ রন হুব্বার্ড (Lafayette Ron Hubbard) একজন বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক ছিলেন। ১৯৫০ সালে তার লেখা “Dianetics : The Mordern Science of Mental Health” বইটি আমেরিকায় খুব জনপ্রিয়তা পায় যা এখনও একটি বেস্ট সেলার। দায়ানেটিকস (Dianetics) থেরাপিতে মনে করা হয় মানুষের মস্তিষ্কে তার জীবনে বা পূর্ববর্তী জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনার চিত্র গেঁথে থাকে। এ সকল ঘটনার চিত্র সম্মিলিতভাবে মানুষের উন্নতির পথে বাঁধা হিসাবে দেখা দিতে পারে। বৈজ্ঞানিকবিদরা (Scientologiest) দাবি করে থাকেন, The Church of Scientology থেরাপি কোর্সে একজন সিনিয়র বৈজ্ঞানিকবিদ এক্ষেত্রে নিরীক্ষক (Auditor) হিসেবে বিভ্রান্ত মানুষকে এ সকল বাধা ঠেলে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে তৈরি করতে সাহায্য করেন। বৈজ্ঞানিক বিদ্যার চার্চ সম্ভবত নতুন ধর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ‘সম্পদশালী’ ও ‘প্রভাবশালী’ ধর্ম। বৈজ্ঞানিকবিদরা বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য মোটা অংকের অর্থ ব্যয় করে থাকেন, কোন কোন কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য তারা মাথা পিছু ৫০,০০০ পাউন্ড পর্যন্ত খরচ করে থাকেন। বৈজ্ঞানিকবিদরা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ে। আমেরিকাতে তারা বিবাদে জড়িয়েছে Federal Bureau of Investigation (FBI), The Internal Revenue Service, The Food and Drug Administration (FDA) প্রভৃতির সাথে । বিবাদে জড়িয়েছে ইউকে, জার্মানি ও ফ্রান্সে যারাই তাদের নিষিদ্ধ বা বেঁধে রাখতে চেয়েছে । দীর্ঘ চার যুগ আইনী লড়াইয়ের পর, আমেরিকার Internal Revenue Service “The church of Scientologyকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে মেনে নেয়। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ‘দাতব্য কমিশন’কে (Charity Commission) দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি দেয় নি । বৈজ্ঞানিক বিদ্যায় চার্চের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭৫০,০০০। The Church of Scientology’র বার্ষিক আয় প্রায় ২০০ মিলিয়ন পাউন্ড। বৈজ্ঞানিক বিদ্যায় চার্চের পক্ষে আইনী লড়াই লড়বার জন্যে এর প্রায় ১০০ আইনজীবীর পেছনে প্রায় ১৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করে থাকে। মজার বিষয় হলিউডের জোন ট্রাভোল্টা, শ্যারন স্টোন, ডেমি মুরে, টম ক্রুইজ’ এর মতো অভিনেতা অভিনেত্রী এর সদস্য।

শয়তানবাদ (Satanism) অন্য যে কোন ধর্মের চেয়ে বেশি বিতর্কিত। এর অনুসারীরা শয়তানের পূজারি। ১৯৬৬ সালে এনটোন লা ভে (Anton la Vey) সানফ্রান্সিস্কোতে ‘শয়তানের চার্চ’ (The Church of Satan) প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি ‘শয়তানের বাইবেল’ (The Satanic Bible) রচনা করেন। Marlyn Manson’র মতো নাম করা কিছু মিউজিকসিয়ান এতে যুক্ত হওয়ায় এটি নতুন করে আলোচনায় আসে। এলিস্টার ক্রোলি (Alister Crowley) শয়তান উপসনাকারীদের মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিলেন, তিনি তখন ‘সবচেয়ে দুষ্টু মানুষ (জীবিত) হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

১৯৯০ সালের দিকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে “শয়তান উপসনাকারীদের” ধর্মের নামে অনাচারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের পুলিশ ও সরকারের তদন্তে বেরিয়ে আসে শয়তান উপাসনাকারীদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আসে তার অধিকাংশই গুজব।

The International Fortean Society, The Society for the Investigation for the Unexplained, The Raelians-এর মতো ধর্মীয় আন্দোলনগুলো গড়ে উঠেছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীকে নির্ভর করে।

ব্রিটিশ সাংবাদিক এডওয়ার হান্টারের মতে নতুন ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সদস্যদের মন নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে নতুন ধর্মীয় বিশ্বাস ও ধারণার প্রসার ঘটাবার মাধ্যমে এর অনুসারীদের রক্ত মাংসে গড়া পপেটে বা human robot-এ পরিণত করে। নিচের ঘটনাগুলো তার বক্তব্যের সত্যতাই তুলে ধরেঃ

১। ১৮ই নভেম্বর ১৯৭৮, জোনস টাওন, গায়নায় জনতার মন্দির নামে এক ধর্মীয় সংগঠনের নেতা জিম জোনস ও তার ৯১৩ জন অনুসারী বিষাক্ত পানীয় পানের মাধ্যমে মারা যায়।

২। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সৌর মন্দির নামের গ্রুপটি প্রায় ৭০ জন সদস্য আত্মহত্যা করে। তারা বিশ্বাস করতো তাদের মৃত্যুর পর তারা যখন অদৃশ্যতা লাভ করবে, তখন তাদের নেতা যোশেফ দি মামব্রো তাদের সাইরাস গ্রহে নিয়ে যাবেন ।

৩। আর্ডম শিনরিকিয়ো (Supreme Truth Society) নামের জাপানি এই ধৰ্মীয় সংগঠনটি ১৯৯৫ সালে টোকিও সাবওয়েতে বোমা বিস্ফোরণের জন্য দায়ী, এতে ১২ জন নিহত ও হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়।

৪। ১৯৯৭ সালে স্বর্গের দ্বার (Heaven Gate) নামক সংগঠনটির ৩৯ জন সদস্য পরস্পরকে মরতে সাহায্য করে। ১৯৯৭ সালে হেলির ধূমকেতুর আবির্ভাব হয়। এই সংস্থার সদস্যরা মনে করেছিল এই মহাকাশ যানটি তাদেরকে নিতে এসেছে। তাই তারা এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে

error: Content is protected !!