মোশি মারা গেলেন
১. মোশি নবো পর্বতে উঠলেন। তিনি মোয়াবের যদ্দন উপত্যকা থেকে পিসগার চূড়ায় উঠলেন। এটা ছিল যদ্দনের ধারে যিরীহোর অপর পারে। প্রভু মোশিকে গিলিয়দ থেকে দান পর্যন্ত সমস্ত দেশ দেখালেন।
২. প্রভু তাকে নপ্তালি, ইফ্রয়িম ও মনঃশির সমস্ত দেশ দেখালেন। তিনি ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত যিহুদার সমস্ত দেশ দেখালেন।
৩. প্রভু মোশিকে নেগেভ স্থানটি এবং সোর থেকে যে উপত্যকা খেজুর গাছের শহর যিরীহো চলে গেছে তাও দেখালেন।
৪. প্রভু মোশিকে বললেন, “এই সেই দেশ, যার বিষয়ে আমি অব্রাহাম, ইসহাক ও যাকোবের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, ‘এই দেশ আমি তোমার উত্তরপুরুষদের দেব। আমি তোমায় সেই দেশ দেখতে দিয়েছি, কিন্তু তুমি সেখানে যেতে পারবে না । ”
৫. তারপর প্রভুর দাস মোশি মোয়াব দেশে মারা গেলেন। এই রকমই যে ঘটবে তা প্রভু মোশিকে জানিয়েছিলেন।
৬. ‘প্রভু মোশিকে মোয়াব দেশে কবর দিলেন। এটি ছিল বৈৎপিয়োরের সামনের উপত্যকা। কিন্তু আজও লোকে জানে না মোশির কবরটা ঠিক কোথায় রয়েছে।
৭. মারা যাবার সময় মোশির বয়স হয়েছিল ১২০ বছর। তিনি আগেকার মতই শক্ত সমর্থ ছিলেন এবং তার চোখও ক্ষীণ হয়ে যায়নি। ৮. ইস্রায়েলের লোকেরা ৩০ দিন ধরে মোশির জন্য শোক করেছিলেন। সেই শোকের সময় কেটে না যাওয়া পর্যন্ত তারা মোয়াব দেশের যৰ্দ্দন উপত্যকায় কাটালেন।
যিহোশূয় নতুন নেতা হলেন
৯. মোশি যিহোশূয়োর উপরে তার হাত রেখে তাকে নতুন নেতা হিসাবে মনোনীত করেছিলেন। আর তখন নূনের পুত্র যিহোশূয় প্রজ্ঞার আত্মায় পূর্ণ হয়েছিলেন। তাই ইস্রায়েলের লোকেরা যিহোশূয়োর কথার বাধ্য হতে লাগল। প্রভু মোশিকে যা আজ্ঞা করেছিলেন তারা সেই মত কাজ করতে থাকল।
১০. মোশির মত ইস্রায়েলে আর কোন ভাববাদী ছিল না। প্রভু মোশির সামনাসামনি আলাপ করতেন।
১১. “প্রভু মোশিকে মিশর দেশে মহা পরাক্রমের অলৌকিক কাজ করতে পাঠিয়েছিলেন। ফরৌণ, তার উচ্চপদস্থ কর্মচারী ও মিশরের সমস্ত লোক সেই সব অলৌকিক কাজ দেখেছিল।
১২. আর কোন ভাববাদী মোশির মত এত পরাক্রমের ও আশ্চর্য কাজ করেন নি। ইস্রায়েলের সমস্ত লোক তার মহান কাজগুলি দেখেছিল।