বিধি পালনের আশীর্বাদ

১. “আমি আজ তোমাদের যে সকল আদেশ করছি, তোমরা যদি প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের সেইসব আজ্ঞা যত্নের সাথে পালন কর তবে প্রভু তোমার ঈশ্বর পৃথিবীর সমস্ত জাতির উপরে তোমাদের উন্নত করবেন।

২. যদি তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের বাধ্য হও তবে তিনি যা আদেশ করছেন, আমার আজকের বলা সেইসব এইসব আশীর্বাদ তোমাদের উপরে আসবেঃ

৩. “প্রভু তোমাদের নগরে এবং তোমাদের ক্ষেতে আশীর্বাদ করবেন।

৪. প্রভু তোমাদের গর্ভের ফল আশীর্বাদযুক্ত করবেন। তিনি তোমাদের জমিকে আশীর্বাদ করবেন যাতে ভালো ফসল হয়। তিনি তোমাদের পশুদের আশীর্বাদ করবেন যাতে তাদের বহু শাবক জন্মায়। তিনি তোমাদের গরু ও মেষেদের আশীর্বাদ করবেন।

৫. প্রভু তোমাদের ঝুড়িগুলি ও পাত্রগুলিকে আশীর্বাদ করবেন এবং তা খাবারে ভরে দেবেন।

৬. “তোমরা যা কিছু কর তাতেই সর্বসময়ে প্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।

৭. “তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে এসেছে এমন শত্রুকে পরাস্ত করতে প্রভু তোমাদের সাহায্য করবেন। তোমাদের শত্রুরা তোমাদের বিরুদ্ধে এক পথ দিয়ে আসবে কিন্তু পালাবার সময় সাত পথ দিয়ে পালাবে !

৮. “প্রভু তোমাদের আশীর্বাদ করবেন ও তোমাদের গোলাঘর পূর্ণ করবেন। তুমি যা কিছু কর তাতে তিনি আশীর্বাদ করবেন। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন, সেখানে তোমাদের আশীর্বাদ করবেন।

৯. ‘তিনি যেমন প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই অনুসারেই তিনি তোমাদের তাঁর নিজের বিশিষ্ট ব্যক্তি করে তুলবেন। তুমি যদি প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের সমস্ত আজ্ঞা পালন কর তাহলেই তিনি তা করবেন।

১০. তাহলে পৃথিবীর সমস্ত জাতি জানবে যে তোমরা প্রভুর নামে অভিহিত এবং তারা তোমাদের ভয় করবে।

১১. “আর প্রভু তোমাদের অনেক উত্তম বিষয় দেবেন। তিনি তোমাদের বহু সন্তানের পিতা করবেন এবং তোমাদের পশুরা সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়ে অনেক হবে। যে দেশ তোমাদের দেবেন বলে তোমাদের পূর্বপুরুষের কাছে প্রভু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেই দেশে তোমাদের ভাল ফসল দেবেন।

১২. প্রভু তাঁর মহান আশীর্বাদের ভাণ্ডার খুলে দেবেন। তিনি তোমাদের জমির জন্য উপযুক্ত সময়ে বৃষ্টি দেবেন। প্রভু তোমাদের সমস্ত কাজে আশীর্বাদ করবেন। অনেক জাতিকে তোমরা ধার দেবে কিন্তু তাদের কাছ থেকে তোমাদের ধার করার প্রয়োজন হবে না।

১৩. প্রভু তোমাদের মস্তক স্বরূপ করবেন, পুচ্ছ স্বরূপ করবেন না। তোমরা অবনত না হয়ে উন্নত হবে। এই সমস্তই ঘটবে যদি প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের যে সব আদেশ আমি আজ বলছি তা তোমরা শোন এবং যত্ন সহকারে এইসব আদেশ পালন করো।

১৪. আজ আমি তোমাদের যে সব আজ্ঞা দিচ্ছি তার থেকে দূরে সরে যেও না। তোমরা তার ডান দিকে ব৷ বাম দিকে ফিরে যেও না। সেবা করার জন্য অন্য দেবতার অনুগামী হোয়ো না ।

বিধির অবাধ্যতা ও অভিশাপ

১৫. “কিন্তু প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কথা যদি না শোন— তিনি যা আদেশ করছেন, আমার আজকের বলা সেইসব আদেশ যত্ন সহকারে পালন না কর তবে এই সমস্ত অভিশাপ তোমার প্রতি বর্তাবেঃ

১৬. “প্রভু তোমাদের নগরে এবং ক্ষেতে শাপ দেবেন।

১৭. প্রভু তোমাদের ঝুড়ি ও পাত্র শাপগ্রস্ত করবেন। এবং তাদের মধ্যে কোন খাদ্য থাকবে না ।

১৮. প্রভু তোমাদের সন্তানসন্ততিদের, তোমাদের জমিকে, তোমাদের পশুদের এবং তোমাদের গাভীন গাই ও মেষদের শাপ দেবেন।

১৯. “তোমরা যা কিছু কর না কেন সব সময় প্ৰভু তাতে শাপ দেবেন।

২০. “তোমরা যা কিছু করবে তাতেই অভিশাপ, হতাশা এবং কষ্ট আসবে। তোমরা দ্রুত সম্পূর্ণরূপে বিনাশ না হওয়া পর্যন্ত তিনি এসব করেই চলবেন। তিনি এসব করবেন কারণ তোমরা যা মন্দ তাই কর এবং তাঁকে পরিত্যাগ করেছ।

২১. যে দেশ অধিগ্রহণ করতে যাচ্ছ সেখানে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত প্রভু তোমাদের ভয়ানক সব রোগে রোগগ্রস্ত করবেন।

২২. প্রভু রোগ, জ্বর এবং ফোল দ্বারা তোমাদের শাস্তি দেবেন। প্রভু প্রচণ্ড উত্তাপ পাঠাবেন এবং কোন বৃষ্টি পড়বে না। উত্তাপে এবং রোগে তোমাদের ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। তোমরা ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই খারাপ বিষয়গুলি ঘটতেই থাকবে !

২৩. আকাশে কোন মেঘ দেখা যাবে না— আকাশ ঘসা পিতলের মত এবং পায়ের নীচের জমি লোহার মত শক্ত হবে।

২৪. প্রভু বৃষ্টির পরিবর্তে আকাশ থেকে কেবল ধূলো বালি বর্ষণ করবেন। যে পর্যন্ত তোমাদের বিনাশ না হয় তিনি তা বর্ষণ করবেন। 

২৫. “প্রভু তোমাদের শত্রুদের দিয়ে তোমাদের হারাবেন। তোমরা এক পথ দিয়ে তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে যাবে কিন্তু সাত পথ দিয়ে তাদের সামনে থেকে পালাবে। তোমাদের প্রতি যে সব খারাপ বিষয় ঘটবে তা দেখে পৃথিবীর লোকে ভয় পাবে। 

২৬. “তোমাদের মৃতদেহ বন্য পশুপাখীর খাদ্য হবে। মৃত দেহের উপর থেকে তাদের তাড়িয়ে দেবারও কেউ থাকবে না।

২৭. “প্রভু মিশরীয়দের কাছে যেমন ফোড়া পাঠিয়েছিলেন সেইরকমটি দিয়েই তোমাদের শাস্তি দেবেন। তিনি আব, গলিত ঘা এবং সারে না এমন চুলকানি দিয়ে তোমায় শাস্তি দেবেন।

২৮. প্রভু উন্মাদনা দ্বারা তোমাকে শাস্তি দেবেন। তিনি তোমাকে অন্ধ এবং হতবুদ্ধি করবেন।

২৯. ”দিনের আলোয় হাতড়ে হাতড়ে অন্ধ লোকের মত তোমায় পথ চলতে হবে। তোমরা যা কিছু কর তাতে অসফল হবে। বার বার লোকে তোমাদের আঘাত করবে এবং তোমাদের জিনিস চুরি করে নেবে। আর তোমাদের রক্ষা করার কেউ থাকবে না ।

৩০. “তোমাদের সাথে কোন স্ত্রীলোক বাগদত্তা হবে কিন্তু অপর কেউ তার সাথে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবে। তোমরা বাড়ী বানাবে কিন্তু তাতে বাস করতে পারবে না। তোমরা ক্ষেতে দ্রাক্ষা লাগাবে কিন্তু তার থেকে কোন কিছুই সংগ্রহ করতে পারবে না।

৩১. লোকে তোমাদের সামনেই তোমাদের গরুগুলো মেরে ফেলবে কিন্তু সেই মাংসের কোন অংশই তুমি খেতে পাবে না। লোকে তোমাদের গাধাদের নিয়ে যাবে কিন্তু ফেরত দেবে না। তোমাদের মেষ তোমাদের শত্রুদের দেওয়া হবে। তোমাকে রক্ষা করার জন্য কেউ থাকবে না।

৩২. ‘অন্য জাতির লোকেরা তোমাদের ছেলে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাবে। দিনের পর দিন তাদের অপেক্ষায় চেয়ে চেয়ে তুমি ক্লান্ত হয়ে পড়বে কিন্তু কিছুই করতে পারবে না এবং ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করবেন না।

৩৩. “যে জাতিকে তোমরা চেনো না তারা তোমাদের সব শস্য এবং তোমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফল খেয়ে ফেলবে। তোমরা কেবল সমস্ত জীবন ধরে পীড়ন ও লাঞ্ছনা ভোগ করবে।

৩৪. “তোমাদের চোখ যা দেখবে তা তোমাদের উন্মত্ত করবে ! প্রভু তোমাদের এমন কষ্টকর ফোঁড়া দ্বারা শাস্তি দেবেন যা সারে না। তোমাদের হাঁটু এবং পায়ে এই সব ফোড়া হবে। পায়ের তলা থেকে মাথার তালু পর্যন্ত দেহের সব জায়গাতেই এই ফোড়া বের হবে।

৩৬. ” ‘প্রভু তোমাদের এবং তোমাদের রাজাকে এমন জাতির কাছে পাঠাবেন যাদের তুমি জান না। তুমি এবং তোমাদের পূর্বপুরুষরাও কখনও তাদের দেখেনি। সেখানে তোমরা কাঠ ও পাথরের তৈরী মূর্ত্তির সেবা করবে।

৩৭. প্রভু তোমাদের যে দেশগুলিতে পাঠাবেন, সেখানকার লোকে তোমাদের দুর্দশা দেখে অবাক হবে। তারা তোমাদের দেখে হাসবে এবং তোমাদের সম্বন্ধে মন্দ কথা বলবে।

ব্যর্থতার অভিশাপ

৩৮. “তোমাদের ক্ষেতে তুমি বহু বীজ বুনবে কিন্তু অল্পই ফসল সংগ্রহ করবে, কারণ পঙ্গপাল ফসল খেয়ে ফেলবে।

৩৯. ”তোমরা দ্রাক্ষা ক্ষেতে কষ্ট করে দ্রাক্ষা চাষ করবে কিন্তু দ্রাক্ষা সংগ্রহ বা দ্রাক্ষারস পান করতে পাবে না, কারণ পোকায় তা খেয়ে ফেলবে।

৪০. তোমাদের দেশের সর্বত্র জলপাইয়ের গাছ থাকবে কিন্তু তার থেকে উৎপন্ন কোন তেল তুমি ব্যবহার করতে পারবে না, কারণ জলপাই ফল মাটিতে ঝরে পড়ে পচে যাবে।

৪১. তোমাদের ছেলেমেয়ে থাকলেও তাদের লালন পালন করতে পারবে না, কারণ তাদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়া হবে।

৪২. পঙ্গ পালে তোমাদের সমস্ত গাছ ও ক্ষেতের শস্য ধ্বংস করে দেবে।

৪৩. তোমাদের মধ্যে বাসকারী বিদেশীরা দিনে দিনে শক্তিশালী হয়ে উঠবে আর তোমাদের যা শক্তি ছিল তা তোমরা হারাবে। 

৪৪. বিদেশীরা তোমাদের ধার দেবে, কিন্তু তাদের ধার দেবার মত টাকা তোমাদের কাছে থাকবে না। মাথা যেমন দেহকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, সেইরকমভাবেই তারা মাথা হয়ে তোমাদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে আর তুমি হবে লেজ বিশেষ।

৪৫. “এই সমস্ত শাপ তোমাদের উপর আসবে। তারা তোমাদের ধাওয়া করে ধরবে যে পর্যন্ত না তুমি ধ্বংস হও, কারণ তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কথা শোন নি। তিনি তোমাদের যে সমস্ত আজ্ঞা ও বিধি দিয়েছিলেন ত৷ পালন করো নি।

৪৬. “এই শাপগুলি হবে লোকেদের কাছে একটি চিহ্ন এবং তারা বুঝবে যে ঈশ্বর তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের বিচার করেছেন। তোমাদের প্রতি যে ভয়ঙ্কর বিষয়গুলি ঘটবে তা দেখে লোকে আশ্চর্য হয়ে যাবে।

৪৭. ” “প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের অনেক আশীৰ্বাদ করেছিলেন, কিন্তু তোমরা আনন্দের সাথে প্রফুল্ল মনে তাঁর সেবা করো নি।

৪৮. তাই প্রভু তোমাদের বিরুদ্ধে যে শত্রুদের পাঠাবেন তোমরা তাদেরই সেবা করবে। তোমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত, উলঙ্গ এবং দরিদ্র হবে। প্ৰভু তোমাদের উপর এমন বোঝা চাপাবেন যা সরিয়ে ফেলা যাবে না। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তুমি সেই বোঝা বইবে।

শত্রু জাতির অভিশাপ

৪৯. “তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রভু বহু দূর থেকে এক জাতির আগমন ঘটাবেন। তোমরা তাদের ভাষা বুঝবে না। ঈগল পাখী যেমন আকাশ থেকে নেমে আসে তেমনি দ্রুত তারা আসবে।

৫০. “সেইসব লোক নিষ্ঠুর হবে। তারা বৃদ্ধদের বিষয়ে কোন চিন্তা করবে না এবং শিশুদের প্রতিও দয়া করবে না।

৫১. তারা তোমাদের পশু ও উৎপন্ন খাদ্য নিয়ে নেবে। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা তোমাদের সর্বস্ব নিয়ে যাবে। তারা তোমাদের শস্য, দ্রাক্ষারস, তেল, গরু, মেষ ও ছাগলের কিছুই ছেড়ে যাবে না। তোমাদের ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা তোমাদের সর্বস্ব নিয়ে যাবে।

৫২. “সেই জাতি তোমাদের নগরের চারিদিক ঘিরে তোমাদের আক্রমণ করবে। তোমরা কি মনে করছ নগরের চারিধারের শক্ত উঁচু প্রাচীর তোমাদের রক্ষা করবে? কিন্তু তারা ভেঙ্গে পড়বে। প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের দেওয়া সেই দেশের সর্বত্র সমস্ত নগরগুলি শত্রুরা আক্রমণ করবে।

৫৩. শত্রুরা নগর অবরোধ করে তোমাদের কষ্ট দিলে তুমি এতই ক্ষুধার্ত হবে যে নিজের ছেলে মেয়েদের খেতে শুরু করবে— প্রভু তোমাদের ঈশ্বর যে সন্তানদের দিয়েছিলেন তুমি তাদের দেহ ভোজন করবে।

৫৪. “এমনকি তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে দয়ালু এবং শান্ত লোকটিও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। সে অন্যের প্রতি নিষ্ঠুর হবে এমনকি যে স্ত্রীকে সে অত্যন্ত ভালবাসে তার প্রতিও নিষ্ঠুর হবে এবং জীবিত শিশুদের প্রতিও সে নিষ্ঠুর হবে।

৫৫. খাবার কিছু পড়ে না থাকার দরুণ সে নিজের শিশুদের খাবে এবং সেই মাংস সে পরিবারের অন্য কারও সাথে ভাগ না করে নিজেই খাবে। তোমাদের শত্রু এসে তোমাদের নগর অবরোধ করলে এই সমস্ত মন্দ বিষয়গুলি তোমাদের প্রতি ঘটবে এবং তোমাদের কষ্ট দেবে।

৫৬. “এমনকি তোমাদের মধ্যে বাসকারী কোমল ও ভদ্র মহিলা মাটিতে যার পা পড়ে না, সেও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। তার প্রাণের প্রিয় স্বামীর প্রতি এবং নিজের ছেলেমেয়ের প্রতিও সে নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে।

৫৭. ”সে লুকিয়ে শিশুর জন্ম দিয়ে সেই শিশুটিকে এবং তার সাথে জন্ম দেবার সময় তার দেহ থেকে যা কিছু বেরিয়ে আসে তাও খাবে। শত্রু এসে তোমাদের শহর অবরোধ করে তোমাদের সংকটে ফেললে এই সমস্ত মন্দ বিষয় তোমাদের প্রতি ঘটবে।

৫৮. ‘এই বইতে লেখ৷ সমস্ত আজ্ঞা ও শিক্ষা তুমি অবশ্যই পালন কোর এবং তুমি অবশ্যই প্রভু তোমার ঈশ্বরের গৌরবান্বিত এবং ভয়াবহ নামকে সম্মান করো।

৫৯. যদি তোমর৷ তা পালন না কর তবে প্রভু তোমাদের এবং তোমাদের উত্তরপুরুষদের অনেক অসুবিধায় ফেলবেন। তোমাদের সংকট ও রোগগুলি হবে ভয়ানক !

৬০. মিশরে তোমর৷ অনেক বিপত্তি ও রোগ দেখে ভীত হয়েছিলে। প্রভু ঐ সব মন্দ বিষয়গুলি তোমাদের বিরুদ্ধে ফিরিয়ে আনবেন !

৬১. “এই পুস্তকে লেখা নেই এমন সব সংকট ও রোগও তিনি আনবেন। তোমরা ধ্বংস ন৷ হওয়া পর্যন্ত তিনি তা করেই চলবেন। 

৬২. আকাশের তারার মত তোমাদের বংশধরেরা বহুসংখ্যক হতে পারে, কিন্তু কেবল অল্পসংখ্যকই অবশিষ্ট থাকবে, কারণ তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের কথা শোন নি।

৬৩. “প্রভু তোমাদের মঙ্গল করে ও তোমাদের জাতির বৃদ্ধি সাধন করে যেমন আনন্দ পেতেন, সেই একইভাবে তিনি তোমাদের সর্বনাশ ও ধ্বংস দেখে আনন্দ পাবেন। তুমি যে দেশ অধিকার করতে যাচ্ছ, লোকে তোমাদের সেই দেশ থেকে বের করে দেবে। 

৬৪. “আর প্রভু পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত সমস্ত জাতির মধ্যে তোমাদের ছড়িয়ে দেবেন। সেখানে তোমরা কাঠ, পাথরের তৈরী এমন মূর্ত্তির পূজা করবে, যাদের পূজা তোমাদের পূর্বপুরুষরা কখনও করেনি।

৬৫. “এই সমস্ত জাতির মধ্যে তোমরা কোন শান্তি পাবে না এবং বিশ্রামের জায়গাও পাবে না। প্রভু তোমাদের মন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করবেন। তখন তোমাদের চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়বে এবং তোমরা বিচলিত হয়ে পড়বে।

৬৬. “তোমরা বিপদের মধ্যে বাস করবে এবং দিনে কি রাতে সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকবে। জীবন সম্বন্ধে তোমাদের কোন নিশ্চয়তা বোধ থাকবে না।

৬৭. সকালে তুমি বলবে, ‘হায় ! কখন সন্ধ্যা হবে !’ আর সন্ধ্যা হলে বলবে, ‘হায় ! কখন সকাল হবে !’ হৃদয়ের শঙ্কা এবং ভয়ঙ্কর বিষয় যা তোমরা দেখবে, তার জন্যই এইরকম হবে।

৬৮. “প্রভু জাহাজে করে তোমাদের মিশরে ফেরত পাঠাবেন। আমি বলেছিলাম যে তোমাদের আর সেখানে ফিরে যেতে হবে না; কিন্তু প্রভু তোমাদের সেখানে ফেরত পাঠাবেন। মিশরে তোমরা তোমাদের শত্রুদের কাছে নিজেদের দাস রূপে বিক্রি করতে চাইবে কিন্তু কেউ তোমাদের কিনবে না।”

error: Content is protected !!