যুদ্ধের নিয়মসমূহ

১. “তোমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে যদি দেখ যে তোমাদের থেকেও তাদের অনেক বেশি ঘোড়া, রথ এবং লোক রয়েছে, তবে ভয় পেয়ো না। কেন? কারণ প্রভু যিনি তোমাদের মিশর থেকে বের করে এনেছিলেন, তিনি তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে আছেন।

২. “যখন তোমরা যুদ্ধে যাও তখন যাজক অবশ্যই সৈন্যদের কাছে যাবে এবং তাদের সঙ্গে কথা বলবে।

৩. যাজক বলবে, ‘ইস্রায়েলের লোকেরা আমার কথা শোন ! আজ তোমরা তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাচ্ছ। তোমরা সাহস হারিয়ো না ! তোমরা চিন্তিত এবং ভীত হোয়ো না ! শত্রুদের সম্পর্কে ভীত হয়ো না !

৪. কেন? কারণ প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন এবং তোমাদের বিজয়ী করবেন !’

৫. “ওই লেবীয় গোষ্ঠীভুক্ত পদাধিকারীরা সৈন্যদের বলবে, ‘তোমাদের মধ্যে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে নতুন বাড়ী তৈরি করেছে, কিন্তু সেটিকে এখনও নিবেদন করেনি? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়৷ উচিৎ। নয় তো সে যুদ্ধে নিহত হলে অন্য একজন ব্যক্তি তার বাড়ী নিবেদন করবে।

৬. এখানে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে ক্ষেতে দ্রাক্ষার চারা রোপণ করেছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোন দ্রাক্ষ৷ একত্রিত করেনি? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়া উচিৎ। কারণ যদি সেই ব্যক্তি যুদ্ধে মারা যায়, তাহলে অপর একজন ব্যক্তি তার ক্ষেতের ফল ভোগ করবে।

৭. এখানে কি এমন কোনও ব্যক্তি আছে যে বিবাহের জন্য বাগদত্ত? সেই ব্যক্তির অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাওয়৷ উচিৎ। কারণ যদি সে যুদ্ধে মারা যায়, তাহলে সে যার বাগদত্ত ছিল সেই স্ত্রীলোককে অপর একজন ব্যক্তি বিবাহ করবে।’

৮. “সেই লেবীয় পদাধিকারীরা সৈন্যদের একথাও জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমাদের মধ্যে কি এমন কোন ব্যক্তি আছে যে উৎসাহ হারিয়েছে এবং ভীত হয়েছে? সে অবশ্যই বাড়ী ফিরে যাবে। তাহলে সে অন্যান্য সৈন্যদেরও নিরুৎসাহ করতে পারবে না।’

৯. পরে সৈন্যদের সঙ্গে পদাধিকারীরা যখন কথাবার্তা শেষ করবে তখন তার৷ অবশ্যই সেনাধ্যক্ষদের নির্বাচিত করবে। যারা সৈন্যদের নেতৃত্ব দেবে।

১০. “যখন তোমরা কোন শহর আক্রমণ করতে যাবে, তখন প্রথমে সেখানকার লোকদের শান্তির আবেদন জানাবে।

১১. যদি তারা তোমাদের প্রস্তাব স্বীকার করে এবং দরজা খুলে দেয়, তাহলে সেই শহরের সমস্ত লোকেরা তোমাদের কৃতদাসে পরিণত হবে এবং তোমাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য হবে।

১২. কিন্তু যদি শহরের লোকেরা তোমাদের শান্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে তাহলে তোমরা অবশ্যই শহরটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলবে।

১৩. এবং যখন শহরটিকে অধিগ্রহণ করতে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করবেন, তখন তোমরা অবশ্যই সেখানকার সমস্ত পুরুষদের হত্যা করবে।

১৪. কিন্তু তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য স্ত্রীলোকদের, শিশুদের, গোরু এবং শহরের যাবতীয় জিনিস নিতে পার। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের এই জিনিসগুলো দিয়েছেন।

১৫. তোমাদের থেকে অনেক দূরের সমস্ত শহরগুলোর প্রতি তোমরা এই কাজ করবে— তোমরা যে দেশে বাস কর সেখানকার শহরগুলো বাদ দেবে।

১৬. “কিন্তু প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের যে দেশ দিচ্ছেন তোমরা যখন সেই দেশের শহরগুলে৷ অধিগ্রহণ করবে, তখন তোমরা সেখানে শ্বাস নেয় এমন কাউকে জীবিত রাখবে না।

১৭. তোমরা অবশ্যই প্রভুর আদেশ অনুসারে— হিত্তীয়, ইমোরীয়, কনানীয়, পরিষীয়, হিব্বীয় এবং যিষীয়দের পুরোপুরি ধ্বংস করবে।

১৮. কারণ তা না হলে তারা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করতে শেখাবে; তারা তাদের দেবতাদের পূজা করার সময় যে সাংঘাতিক কাজগুলি করে সেগুলো তোমাদের শেখাবে।

১৯. “যখন তোমরা একটি শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, তোমরা দীর্ঘকাল ধরে সেই শহরটিকে ঘিরে রাখতে পার। সেই শহরের চারদিকের ফলগাছগুলো তোমরা কখনোই কাটবে না। তোমরা এই গাছগুলোর ফল খেতে পার কিন্তু তোমরা কখনোই তাদের কাটবে না। এই গাছগুলো শত্রু নয়, সুতরাং তাদের নষ্ট করে৷ না !

২০. কিন্তু তোমরা যে গাছগুলোকে ফলের গাছ নয় বলে জানো, সেগুলোকে কাটতে পারো। সেই শহরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অস্ত্র তৈরীতে এই গাছগুলো ব্যবহার করতে পারে।। শহরটির পতন না হওয়৷ পর্যন্ত তোমরা ঐ জিনিষগুলি ব্যবহার করতে পারো।

error: Content is protected !!