ইস্রায়েলে ঈশ্বরের বিশেষ লোকেরা
১. “তোমরা হলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের সন্তান। যখন কেউ মারা যায় তখন তোমরা কোনোভাবেই তোমাদের নিজেদের কাটাছেঁড়া করবে না অথবা মাথা কামিয়ে তোমাদের দুঃখপ্রকাশ করবে না।
২. কেন? কারণ তোমরা অন্যান্য লোকেদের থেকে আলাদা। তোমরা হলে প্রভুর বিশেষ লোকজন। পৃথিবীর সমস্ত লোকের মধ্য থেকে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তাঁর বিশেষ লোক হিসেবে তোমাদেরই নির্বাচিত করেছিলেন।
যে খাবার খাওয়ার জন্য ইস্রায়েলীয়রা অনুমতি পেয়েছিল
৩. “প্রভু যেগুলে৷ ঘৃণা করেন সেগুলো তোমরা খেও না।
৪. তোমর৷ এই সমস্ত পশুদের খেতে পার— গরু, মেষ, ছাগল,
৫. হরিণ, বারশিঙ্গ। হরিণ, ছোট হরিণী, বুনো মেষ, বুনো ছাগল, কৃষ্ণসার হরিণ এবং পার্বত্য মেষ।
৬. “যে কোনোও পশু যাদের পায়ে দুভাগে বিভক্ত খুর আছে এবং যারা জাবর কাটে তাদের তোমরা খেতে পারো।
৭. কিন্তু তোমরা উট, খরগোশ অথব৷ পাহাড়ী শ্বাফন পশুদের খেয়ো না। এই সমস্ত পশুর৷ জাবর কাটে কিন্তু তাদের পায়ে বিভক্ত খুর নেই, সুতরাং ওই সমস্ত পশুরা শুচি খাদ্য হিসেবে তোমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
৮. ‘তোমর৷ অবশ্যই শুয়োর খাবে না। তাদের পায়ের খুরগুলো বিভক্ত, কিন্তু তারা জাবর কাটে না। সুতরাং খাদ্য হিসেবে শুয়োরও তোমাদের গ্রহণযোগ্য নয়। শুয়োরের কোনে৷ মাংস খাবে না। এমনকি শুয়োরের মৃত শরীরও স্পর্শ কোর না।
৯. “পাখনা এবং আঁশ আছে এরকম যে কোনোরকম মাছ তোমরা খেতে পারো।
১০. “কিন্তু জলে বসবাসকারী জীবন্ত কোনো কিছু, যাদের পাখনা অথবা আঁশ নেই সেগুলো তোমরা খেয়ো না। এগুলো তোমাদের পক্ষে শুচি খাদ্য নয়।
১১. “তোমরা যে কোনোও প্রকারের শুচি পাখি খেতে পারো।
১২. কিন্তু এই পাখিগুলো খেয়ো নাঃ ঈগল, শকুন, বাজ,
১৩. “লাল চিল, বাজ পাখি এবং যে কোনো প্রকার চিল,
১৪. যে কোন প্রকার কাক,
১৫. শিং ওয়ালা পেঁচা, লক্ষী পেঁচা, শঙ্খ চিল, যে কোনোও রকম বাজপাখি,
১৬. “ছোট পেঁচা, বড় পেঁচা, সাদা পেঁচা,
১৭. মরুভূমি অঞ্চলের পেঁচা, সামুদ্রিক ঈগল, লিপ্তপাদ সামুদ্রিক পাখি,
১৮. সারস, সারস জাতীয় অন্যান্য যে কোনোও পাখি, ঝুঁটিওয়ালা পাখি অথবা বাদুড়।
১৯. ‘ডানাওয়ালা সমস্ত পোকারাই অশুচি, সুতরাং তাদের খেয়ো না।
২০. কিন্তু তোমরা যে কোনওপ্রকার শুচি পাখি খেতে পার।
২১. “নিজের থেকে মারা গেছে এমন কোনোও পশু তোমরা খেয়ো না। তোমরা মৃত পশু খাবার জন্য তোমাদের শহরের কোনো বিদেশীকে দিতে পারো অথবা তোমরা তা তার কাছে বিক্রি করতে পারো। কিন্তু তোমরা নিজেরা অবশ্যই কোনো মৃত পশু খাবে না, কারণ তোমরা প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের। তোমরা তাঁর বিশেষ লোক। “একটি ছাগশিশুকে তারই মায়ের দুধে রান্না কোরো না।
দশভাগের এক ভাগ দেওয়া
২২. “তোমাদের জমিতে যে ফসল হয়, প্রতি বছর তার দশ ভাগের এক ভাগ আলাদা করে রাখবে।
২৩. এরপর প্রভু যে জায়গাটিকে তাঁর বিশেষ বাসস্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, সেখানে তোমরা যাবে। সেই স্থানে তোমরা তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের উপস্থিতিতে তোমাদের দানা শস্যের, তোমাদের নতুন দ্রাক্ষারসের, তোমাদের তেলের এবং তোমাদের পশুর দলের মধ্যে প্রথমজাত পশুদের এক দশমাংশ ভোজন করবে। এই প্রকারে তোমাদের প্রভু ঈশ্বরের সম্মান দেখানোর কথা সবসময়ে মনে রাখবে।
২৪. “কিন্তু জায়গাট৷ যদি দূরে হয় তবে তোমাদের শস্যের দশভাগের একভাগ তোমাদের পক্ষে বহন করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। সুতরাং প্রভু যখন তোমাকে আশীর্বাদ করেন তখন ঈশ্বর নিজের নাম স্থাপনের জন্য যে স্থান মনোনীত করেছেন তা দূরে হলে
২৫. তোমাদের শস্যের সেই অংশটুকু বিক্রি করে যে টাকা পাবে তা সঙ্গে নাও এবং ঈশ্বর যে জায়গা মনোনীত করেছেন সেই বিশেষ জায়গায় যাও।
২৬. “সেই টাকা দিয়ে তোমরা যা চাও তা কেনো— গরু, মেষ, দ্রাক্ষারস অথবা সুরা অথবা যে কোনোরকম খাদ্য। এরপর সেই জায়গায় প্রভু তোমাদের ঈশ্বরের সঙ্গে তোমরা এবং তোমাদের পরিবারের লোকেরা অবশ্যই খাবে এবং আনন্দ উপভোগ করবে।
২৭. ”কিন্তু তোমাদের শহরে বসবাসকারী লেবীয়দের ভুলো না। তোমরা তাদের সঙ্গে তোমাদের খাদ্য ভাগ করে নেবে কারণ, তোমাদের মতে৷ তাদের জমির কোনো অংশ নেই।
২৮. “প্রতি তিন বছরের শেষে তোমরা অবশ্যই সেই বছরের সংগৃহীত ফসলের এক দশমাংশ সংগ্রহ করবে। তোমাদের শহরগুলোতে এই খাদ্য জমা করে রেখো।
২৯. এই খাদ্য লেবীয় লোকদের জন্য কারণ তাদের নিজেদের কোনো জমি নেই। এই খাদ্য তোমাদের শহরে যাদের খাদ্যের প্রয়োজন তাদেরও জন্য। সেই খাদ্য বিদেশীদের, বিধবাদের এবং অনাথদের জন্য। যদি তোমরা এটি করো তাহলে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সমস্ত কাজে আশীর্বাদ করবেন।