তুমি মোরে ভুলিয়াছ তাই সত্য হোক !—
সেদিন যে জ্বলেছিল দীপালী-আলোক
তোমার দেউল জুড়ি’ –ভুল তাহা ভুল !
সেদিন ফুটিয়াছিল ভুল ক’রে ফুল
তোমার অঙ্গনে, প্রিয় ! সেদিন সন্ধ্যায়
ভু’লে পরেছিলে ফুল নোটন-খোঁপায় !
ভুল ক’রে তুলি’ ফুল গাঁথি’ বর-মালা
বেলাশেষে বারে বারে হয়েছ উতালা
হয়ত বা আর কারো লাগি’ !… আমি ভুলে
নিরুদ্দেশ তরী মোর তব উপকূলে
না চাহিতে বেঁধেছিনু, গেয়েছিনু গান,
নীলাভ তোমার আঁখি হয়েছিল ম্লান
হয়ত বা অকারণে! গোধূলি-বেলায়
হয়ত বা অকারণে ম্লানিমা ঘনায়
তোমার ও-আঁখিলে ! হয়ত তোমার
পড়ে মনে, কবে যেন কোন্ লোকে কার
বধূ ছিলে ; তারি কথা শুধু মনে পড়ে ! —
ফিরে যাও অতীতে লোকলোকান্তরে
এমনি সন্ধ্যায় বসি’ একাকিনী গেহে !
দু’খানি আঁখির দীপ সুগভীর স্নেহে
জ্বালাইয়া থাক জাগি’ তারি পথ চাহি’ !
সে যেন আসিছে দূর তারালোক বাহি
পারাইয়া অসীমের অনন্ত জিজ্ঞাসা,
সে দেখেছে তব দীপ, ধরণীর বাসা !
তারি লাগি’ থাক বসি’ নব বেশ পরি
শাশ্বত প্রতীক্ষমানা অনন্ত সন্দরী !
হায়, সেথা আমি কেন বাঁধিলাম তরী,
কেন গাহিলাম গান আপনা পাসরি’?
হয়ত সে গান মম তোমার ব্যথায়
বেজেছিল। হয়ত বা লেগেছিল পায়
আমার তরীর ঢেউ। দিয়েছিল ধুয়ে
চরণ-অলক্ত তব। হয়ত বা ছুঁয়ে
গিয়েছিল কপোলের আকুল কুন্তল
আমার বুকের শ্বাস। ও-মুখ-কমল
উঠেছিল রাঙা হয়ে’। পদ্মের কেশর
ছুঁইলে দখিনা বায়, কাঁপে থরথর
যেমন কমল-দল ভঙ্গুর মৃণালে
সলাজ সঙ্কোচে সুখে পল্লব-আড়ালে,
তেমনি ছোঁওয়ায় মোর শিহরি’ শিহরি’
উঠেছিল বারে বারে সারা দেহ ভরি’ !
চেয়েছিল আঁখি তুলি’, ডেকেছিলে যেন
প্রিয় নাম ধ’রে মোর –তুমি জান, কেন !
তরী মম ভেসেছিল যে নয়ন-জলে
কূল ছাড়ি’ নেমে এলে সেই সে অতলে।
বলিলে, –“অজানা বন্ধু, তুমি কি গো সেই,
জ্বালা দীপ গাঁথি মালা যার আশাতেই
কূলে বসে একাকিনী যুগ যুগ ধরি?
নেমে এস বন্ধু মোর ঘাটে বাঁধ তরী !”
বিস্ময়ে রহিনু চাহি’ ও-মুখের পানে
কী যেন রহস্য তুমি —কী যেন কে জানে—
কিছুই বুঝিতে নারি ! আহ্বানে তোমার
কেন জাগে অভিমান, জোয়ার দুর্বার
আমার আঁখির এই গঙ্গা যমুনায় !—
নিরুদ্দেশ যাত্রী, হায়, আসিলি কোথায়?
একি তোর ধেয়ানের সেই যাদুলোক,
কল্পনার ইন্দ্রপুরী ? একি সেই চোখ
ধ্রুবতারা সম যাহা জ্বলে নিরন্তর
ঊর্ধ্বে তোর? সপ্তর্ষির অনন্ত বাসর?
কাব্যের অমরাবতী ? একি সে ইন্দিরা,
তোরি সে কবিতা-লক্ষ্মী? —বিরহ-অধীরা
একি সেই মহাশ্বেতা, চন্দ্ৰাপীড়-প্রিয়া?
উন্মাদ ফাদ যারে পাহাড় কাটিয়া
সৃজিতে চাহিয়াছিল –একি সেই শিরী ?
লায়লি এই কি সেই, আসিয়াছে ফিরি’
কায়েসের খোঁজে পুন ? কিছু নাহি জানি !
অসীম জিজ্ঞাসা শুধু করে কানাকানি
এপার ও-পারে, হায় !… তুমি তুলি’ আঁখি
কেবলি চাহিতেছিলে ! দিনান্তের পাখি
বনান্তে কাঁদিতেছিল –“কথা কও বউ !”
ফাগুন ঝুরিতেছিল ফেলি’ ফুল-মউ !
কাহারে খুঁজিতেছিলে আমার এ চোখে
অবসান-গোধূলির মলিন আলোকে?
জিজ্ঞাসার, সন্দেহের শত আলো-ছায়া
ও-মুখে সৃজিতেছিল কী যেন কি মায়া !
কেবলি রহস্য হায়, রহস্য কেবল,
পার নাই সীমা নাই অগাধ অতল !
এ যেন স্বপনে-দেখা কবেকার মুখ,
এ যেন কেবলি সুখ কেবলি এ দুখ !
ইহারে দেখিতে হয়, ছোঁওয়া নাহি যায়,
এ যেন মন্দার-পুষ্প দেব-অলকায় !
ইহারি স্ফুলিঙ্গ যেন হেরি রূপে রূপে,
নিশীথে এ দেখা দেয় যেন চুপে চুপে
যখন সবারে ভুলি। ধরার বন্ধন
যখন ছিঁড়িতে চাহি, স্বর্গের স্বপন
কেবলি ভুলাতে চায়, এই সে আসিয়া
রূপে রসে গন্ধে গানে কাঁদিয়া হাসিয়া
আঁকড়ি’ ধরিতে চাহে, –মাটির মমতা !
পরান-পোড়ানী শুধু, জানে না ক’ কথা !
বুকে এর ভাষা নাই, চোখে নাই জল,
নির্বাক ইঙ্গিত শুধু শান্ত অচপল !
এ বুঝি গো ভাস্করের পাষাণ-মানসী
কঠিন, শুভ্র। ভোরের ঊষসী,
দিনের আলোর তাপ সহিতে না জানে ।
মাঠের উদাসী সুর বাঁশরির তানে,
বাণী নাই, শুধু সুর, শুধু আকুলতা !
ভাষাহীন আবেদন দেহ-ভরা কথা !
এ যেন চেনার সাথে অচেনার মিশা,
যত দেখি তত হায় বাড়ে শুধু তৃষা ।
আসিয়া বসিলে কাছে তৃপ্ত মুক্তানন,
মনে হ’ল –আমি দীঘি, তুমি পদ্মবন !
পূর্ণ হইলাম আজি, হয় হোক ভুল,
যত কাঁটা তত ফুল, কোথা এর তুল?
তোমারে ঘিরিয়া র’ব আমি কালো জল,
তরঙ্গের ঊর্ধ্বে র’বে তুমি শতদল,
পূজারীর পুষ্পাঞ্জলি সম । নিশিদিন
কাঁদিব ললাট হানি’ তীরে তৃপ্তিহীন !
তোমার মৃণাল-কাঁটা আমার পরাণে
লুকায়ে রাখিব, যেন কেহ নাহি জানে ।
…কত কি যে কহিলাম অর্থহীন কথা,
শত যুগ-যুগান্তের অন্তহীন ব্যথা ৷
শুনিলে সে সব জাগি’ বসিয়া শিয়রে,
বলিলে, “বন্ধু গো, হের দীপ পু’ড়ে মরে
তিলে তিলে আমাদের সাথে ! আর নিশি
নাই বুঝি, দিবা এলে দূরে যাব মিশি !
আমি শুধু নিশীথের। যখন ধরণী
নীলিমা-মঞ্জুষা খুলি’ হেরে মুক্তামণি
বিচিত্রা নক্ষত্রমালা –চন্দ্ৰদীপ জ্বালি’,
একাকী পাপিয়া কাঁদে ‘চোখ গেল’ খালি,
আমি সেই নিশীথের। —আমি কই কথা,
যবে শুধু ফোটে ফুল, বিশ্ব তন্দ্রাহতা
হয় ত দিবসে এলে নারিব চিনিতে,
তোমারে করিব হেলা, তব ব্যথা-গীতে
কেবলি পাইবে হাসি সবার সুমুখে,
কাঁদিলে হাসিব আমি সরল কৌতুকে,
মুছাব না আঁখি-জল । বলিব সবায়,
“তুমি শাঙনের মেঘ –যথায় তথায়
কেবলি কাঁদিয়া ফের, কাঁদাই স্বভাব !
আমি ত কেতকী নহি, আমার কি লাভ
ওই শাঙনের জলে? কদম্ব যূথীর
সখারে চাহি না আমি। শ্বেত-করবীর
সখি আমি। হেমন্তের সান্ধ্য-কুহেলিতে
দাঁড়াই দিগন্তে আসি’, নিরশ্রু-সঙ্গীতে
ভ’রে ওঠে দশ দিক ! আমি উদাসিনী ।
মুসাফির ! তোমারে ত আমি নাহি চিনি !”
ডাকিয়া উঠিল পিক দূরে আম্রবনে
মুহুমুহু কুহুকুহু আকুল নিঃস্বনে।
কাঁদিয়া কহিনু আমি, “শুন, সখি শুন,
কাতরে ডাকিছে পাখি কেন পুন পুন !
চ’লে যাব কোন্ দূরে, স্বরগের পাখি
তাই বুঝি কেঁদে ওঠে হেন থাকি’ থাকি’।
তোমারই কাজল আঁখি বেড়ায় উড়িয়া,
পাখি নয় –তব আঁখি ওই কোয়ালিয়া !”
হাসিয়া আমার বুকে পড়িলে লুটায়ে,
বলিলে, –“পোড়ারমুখি আম্রবনেচ্ছায়ে
দিবানিশি ডাকে, শুনে কান ঝালাপালা !
জানি না ত কুহু-স্বরে বুকে ধরে জ্বালা !
উহার স্বভাব এই, তোমারি মতন
অকারণে গাহে গান, করে জ্বালাতন !
নিশি না পোহাতে বসি’ বাতায়ন-পাশে
হলুদ-চাঁপার ডালে, কেবলি বাতাসে
উহু উহু উহু করি’ বেদনা জানায় !
বুঝিতে নারিনু আমি পাখিও তোমায় !”
নয়নের জল মোর গেল তলাইয়া
বুকের পাষাণ-তলে। উৎসারিত হিয়া
সহসা হারাল ধারা তপ্ত মরু-মাঝে ।
আপনারে অভিশাপি ক্ষমাহীন লাজে !
কহিনু, “কে তুমি নারী, এ কী তব খেলা?
অকারণে কেন মোর ডুবাইলে ভেলা,
এ অশ্রু-পাথারে একা দিলে ভাসাইয়া?
দু’হাতে আন্দোলি’ জল কূলে দাঁড়াইয়া,
অকরুণা, হাস আর দাও করতালি !
অদূরে নৌবতে বাজে ইমন-ভূপালি
তোমার তোরণ-দ্বারে কাঁদিয়া কাঁদিয়া,
—তোমার বিবাহ বুঝি? ওই বাঁশুরিয়া
ডাকিছে বন্ধুরে তব?” যুঝি” ঢেউ সনে
শুধানু পরান-পণে ।… তুমি আনমনে
বারেক পশ্চাতে চাহি’ পড়িলে লুটায়ে
স্রোতজলে, সাঁতরিয়া আসি’ মম পাশে
“আমিও ডুবিব সাথে” বলিয়া তরাসে
জড়ায়ে ধরিলে মোরে বাহুর বন্ধনে !…
হইলাম অচেতন!… কিছু নাই মনে
কেমনে উঠিনু কূলে !… কবে সে কখন
জড়াইয়া ধরেছিলে মালার মতন
নিশীথে পাথার-জলে, শুধু এইটুক্
সুখ-স্মৃতি ব্যথা সম চির-জাগরুক
রহিল বুকের তলে !… আর কিছু নাই !…
তোমারে খুঁজিয়া ফিরি এ-কূলে বৃথাই,
হে চির-রহস্যময়ী ! ও-কূলে দাড়ায়ে
তেমনি হাসিছ তুমি সান্ধ্য-বনচ্ছায়ে
চাহিয়া আমার মুখে ! তোমার নয়ন
বলিছে সদাই যেন, ‘ডুবিয়া মরণ
এবার হ’ল না, সখা ! আজো যায় সাধ
বাঁচিতে ধরার ‘পরে। স্বপনের চাঁদ
হয় ত বা দিবে ধরা জাগ্রত এ-লোকে
হয়ত নামিবে তুমি অশ্রু হয়ে চোখে,
আসিবে পথিক-বন্ধু হয়ে প্রিয়তম
বুকের ব্যথায় মোর –পুষ্পে গন্ধ সম !
অঞ্জলি হইতে নামি’ তোমার পূজার
জড়াইয়া র’ব বক্ষে হয়ে কণ্ঠহার !
নিশীথের বুক-চেরা তব সেই স্বর,
সেই মুখ সেই চোখ করুণা-কাতর
পদ্মা-তীরে-তীরে রাতে আজো খুঁজে ফিরি !
কত নামে ডাকি তোমা, –“মহাশ্বেতা, শিরী,
লায়লি, বকৌলি, তাজ, দেবী, নারী, প্রিয়া !”
—সাড়া নাহি মিলে কারো ! ফুলিয়া ফুলিয়া
বয়ে যায় মেঘনার তরঙ্গ বিপুল,
কখনো এ-কূল ভাঙে কখনো ও-কূল !
পার হতে নারি এই তরঙ্গের বাধা,
ও যেন “এসো না” ব’লে পায়ে-ধ’রে-কাঁদা
তোমার নয়ন-স্রোত ! ও যেন নিষেধ,
বিধাতার অভিশাপ, অনন্ত বিচ্ছেদ,
স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝে যেন যবনিকা !
আমাদের ভাগ্যে বুঝি চিররাত্রি লিখা !….
নিশীথের চখা-চখী, দুইপারে থাকি’
দুইজনে দুইজন ফিরি সদা ডাকি’ !
কোথা তুমি? তুমি কোথা? যেন মনে লাগে,
কত যুগ দেখি নাই ! কত জন্ম আগে
তোমারে দেখেছি কোন্ নদীকূলে গেহে,
জ্বাল দীপ বিষাদিণী ক্লান্ত শ্রান্ত দেহে !
বারে বারে কাঁপে কর, কাঁপে দীপশিখা,
আঁখির নিমিখ কাঁপে, আকাশ-দীপিকা
কাঁপে তারারাজি –যেন আঁখি-পাতা তব,
এইটুকু পড়ে মনে ! কবে অভিনব
উঠিল বিকশি” তুমি আপনার মাঝে,
দেখি নাই ! দেখিব না –কত বিনা কাজে
নিজেরে আড়াল করি’ রাখিছ সতত
অপ্রকাশ সুগোপন বেদনার মত ।
আমি হেথা কূলে কূলে ফিরি আর কাঁদি,
কুড়ায়ে পাব না কিছু? বুকে যাহা বাঁধি’
তোমার পরশ পাব –একটু সান্ত্বনা !
চরণ-অলক্ত-রাঙা দু’টি বালুকণা,
একটি নূপুর, ম্লান বেণী-খসা ফুল,
কবরীর সোঁদা-ঘষা পরিমল-ধূল,
আধখানি ভাঙা চুড়ি রেমি কাচের,
দলিত বিশুষ্ক মালা নিশি-প্রভাতের,
তব হাতে লেখা মম প্রিয় ডাক-নাম
লিখিয়া ছিঁড়িয়া-ফেলা আধখানি খাম,
অঙ্গের সুরভি-মাখা ত্যক্ত তপ্ত বাস,
মহুয়ার মদ সম মদির নিঃশ্বাস
পূরবের পরীস্থান হ’তে ভেসে-আসা,—
কিছুই পাব না খুঁজি’? কেবলি দুরাশা।
কাঁদিবে পরান ঘিরি’? নিরুদ্দেশ পানে।
কেবলি ভাসিয়া যাব শ্রান্ত ভাটি-টানে?
তুমি বসি’ র’বে ঊর্ধ্বে মহিমা-শিখরে
নিষ্প্রাণ পাষাণ-দেবী? কভু মোর তরে
নামিবে না প্রিয়া রূপে ধরার ধূলায়?
লো কৌতুকময়ী ! শুধু কৌতুক-লীলায়
খেলিবে আমারে লয়ে? —আর সবি ভুল?
ভুল ক’রে ফুটেছিলে আঙিনায় ফুল?
ভুল ক’রে বলেছিলে “সুন্দর”? অমনি—
ঢেকেছ দু’হাতে মুখ ত্বরিতে তখনি !
বুঝি কেহ শুনিয়াছে, দেখিয়াছে কেহ
ভাবিয়া আঁধার কোণে লীলায়িত দেহ
লুকাওনি সুখে লাজে? কোন্ শাড়িখানি
পরেছিলে বাছি’ বাছি’ সে সন্ধ্যায় রানী?
হয়ত ভুলেছ তুমি, আমি ভুলে নাই !
যত ভাবি ভুল তাহা –তত সে জড়াই
সে ভুলে সাপিনী সম বুকে ও গলায় !
বাসি লাগে ফুলমেলা। —ভুলের খেলায়
এবার খোয়াব সব, করিয়াছি পণ।
হোক ভুল, হোক মিথ্যা, হোক এ স্বপন,
-এইবার আপনারে শূন্য রিক্ত করি
দিয়া যাব মরণের আগে ! পাত্র ভরি’
ক’রে যাব সুন্দরের করে বিষপান !
তোমারে অমর করি’ করিব প্রয়াণ
মরণের তীর্থ-যাত্রী !
ওগো বন্ধু, প্রিয়,
এমনি করিয়া ভুল দিয়া ভুলাইও
বারে বারে জন্মে জন্মে গ্রহে গ্রহান্তরে !
ও-আঁখি-আলোক যেন ভুল ক’রে পড়ে
আমার আঁখির ‘পরে। গোধূলি-লগনে
ভুল ক’রে হই বর, তুমি হও ক’নে
ক্ষণিকের লীলা লাগি’! ক্ষণিক চমকি’
অশ্রুর শ্রাবণ-মেঘে হারাইও সখি!…
তুমি মোরে ভুলিয়াছ, তাই সত্য হোক !
নিশি-শেষে নিভে গেছে দীপালি-আলোক !
সুন্দর কঠিন তুমি পরশ-পাথর,
তোমার পরশ লভি’ হইনু সুন্দর—
—তুমি তাহা জানিলে না !
…সত্য হোক প্রিয়া
দীপালি জ্বালিয়াছিল –গিয়াছে নিভিয়া !
কলিকাতা
২০-৩-২৮
“চক্রবাক” কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত আপনার মন্তব্যঃ