হযরত আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হইতে ধারাবাহিকভাবে উবায়দা, ইবরাহীম, আ’মাশ, সুফিয়ান, মুহাম্মদ ইব্ন ইউসুফ ও ইমাম বুখারী বর্ণনা করিয়াছেন যে, হযরত আবদুল্লাহ্ (ইবন মাসউদ রাঃ) বলেনঃ একদা নবী করীম (সাঃ) আমাকে বলিলেন- ‘আমাকে কুরআন মজীদ তিলাওয়াত `করিয়া শুনাও।’ আমি আরয করিলাম- আপনার উপর যাহা নাযিল হইয়াছে তাহা আপনাকে তিলাওয়াত করিয়া শুনাইব? নবী করীম (সাঃ) বলিলেন- হ্যাঁ। তখন আমি তাঁহাকে সূরা নিসা শুনাইতে লাগিলাম । আমি নিম্নোক্ত আয়াতের তিলাওয়াত শেষ করিলে নবী করীম (সাঃ) বলিলেন- থামো- فَكُيّْف اذَا جِنْنًا من كُلْ أمّة بشهيْد وَجِكْنَا بِكَ عَلَى هؤلآء شهيّدًا (আর যখন আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্য হইতে একজন করিয়া সাক্ষী উপস্থিত করিব এবং তোমাকে তাহাদের বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে পেশ করিব, তখন কি ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হইবে?) আমি নবী করীম (সাঃ)-এর দিকে তাকাইয়া দেখি, তাহার চক্ষুদ্বয় হইতে দরদর করিয়া অশ্রু গড়াইয়া পড়িতেছে।’
ইমাম ইব্ন মাজাহ ভিন্ন সিহাহ সিত্তার সকল সংকলকই উক্ত হাদীস উক্ত রাবী আ’মাশ হইতে পূর্বোক্ত অভিন্ন ঊর্ধ্বতন সনদাংশে এবং বিভিন্ন অধস্তন সনদাংশে বর্ণনা করিয়াছেন। অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হইয়াছেঃ নবী করীম (সাঃ) বলিয়াছেন- ‘যতক্ষণ তোমাদের মন কুরআন মজীদের তিলাওয়াত সাগ্রহে গ্রহণ করে, তোমরা উহা ততক্ষণ তিলাওয়াত করো। তোমাদের মন উহার তিলাওয়াত গ্রহণ করিতে অনিচ্ছুক হইয়া গেলে উহার তিলাওয়াত স্থগিত রাখ।’